পেশার রূপ বদল হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বই এর ২য় অধ্যায়। পেশার রূপ বদল অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
পেশার রূপ বদল
অ্যাক্টিভিটি ১: হাসপাতালকেন্দ্রিক পেশাসমূহ খুঁজে বের করি।
সম্ভাব্য উপকরণ: ফ্লিপ চার্ট, সাদা/রঙিন পোস্টার পেপার, মার্কার, চক, বোর্ড, ডাস্টার ইত্যাদি।
নির্দেশনা: তোমরা ৫ জন করে শিক্ষার্থীর দল গঠন করো। এরপর হাসপাতালকেন্দ্রিক পেশাসমূহ খুঁজে বের করো। পরিচিতদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে চাকরি করলে তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করো। একটি দল কাজটি উপস্থাপন করো। অন্যান্য দল এর বাইরে আর কী কী পেশা আছে তা খুঁজে বের করো। তারপর পাঠ্যবইয়ে প্রদত্ত ছকের খালি ঘরগুলো পূরণ করো। এক্ষেত্রে হাসপাতালকেন্দ্রিক পেশাসমূহের নমুনা উত্তর অনুসরণ করতে পারো।
নমুনা উত্তর: হাসপাতালকেন্দ্রিক পেশার তালিকা নিচে দেওয়া হলো-
চিত্র: হাসপাতালকেন্দ্রিক পেশাসমূহ
অ্যাক্টিভিটি ২: হাসপাতালকেন্দ্রিক পেশাসমূহের ভূমিকা জানার চেষ্টা করি।
নির্দেশনা: হাসপাতালের পেশাসমূহ প্রথমে চিহ্নিত করার চেষ্টা করো। এরপর কোন পেশার কী কাজ বা ভূমিকা রয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ করো। এজন্য শিক্ষক, অভিভাবক কিংবা ইন্টারনেটের সহায়তা নাও। এবার প্রত্যেকের ভূমিকা লেখো। প্রয়োজনে নিচের নমুনা উত্তরের সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর:
হাসপাতালকেন্দ্রিক পেশাসমূহের ভূমিকা
• চিকিৎসক: রোগীর রোগ নির্ণয় ও নির্মূলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেন।
• ট্রলিম্যান: রোগীদের জন্য মালামাল আনা-নেওয়া করেন।
• ল্যাবরেটরি সহায়ক: রোগীদের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
• প্যাথোলজিস্ট: রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য গবেষণা ও অনুসন্ধান করেন।
• ওয়ার্ডবয়: রোগীদের ইনজেকশন, স্যালাইন, ওষুধ প্রভৃতি দিয়ে সেবা প্রদান করেন।
• পরিচ্ছন্নতাকর্মী: হাসপাতালের সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন।
• হিসাবরক্ষক: হাসপাতালের হিসাব সংক্রান্ত কাজ করেন।
• রিসিপশনিস্ট: হাসপাতালে আগত সবাইকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য দিয়ে সেবা প্রদান করেন।
• ফার্মাসিস্ট: চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে পরামর্শ দেন।
• নার্স: চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে রোগীর চিকিৎসা সেবা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরিচর্যার কাজ করেন।
অ্যাক্টিভিটি ৩: দলগত আলোচনার মাধ্যমে আমাদের এলাকার মানুষের বিভিন্ন পেশার তালিকা তৈরি করি।
নির্দেশনা: তোমরা ৫ জন করে শিক্ষার্থীর দল গঠন করো। এরপর দলগতভাবে তোমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও আশেপাশের লোকজনের পেশা নিয়ে আলোচনা করো। আলোচনা শেষে তোমাদের এলাকার মানুষের বিভিন্ন পেশার তালিকা তৈরি করো। তোমাদের তালিকার সাথে নমুনা উত্তর মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর: দলগত আলোচনার মাধ্যমে আমাদের এলাকার মানুষের বিভিন্ন পেশার তালিকা নিচের ছকে দেওয়া হলো-
অ্যাক্টিভিটি ৪: পাঠ্যবইয়ের দৃশ্যপট ১ এর আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
১. দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায় কী পরিবর্তন এলো?
২. চম্পার ভাই কেন নতুন ব্যবসায় শুরু করল?
নির্দেশনা: পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ৩২ এর দৃশ্যপট-১ ভালোভাবে পড়ো। চম্পার ভাই আগে কী ব্যবসায় করতো, কেন সে ব্যবসায় পরিবর্তন করল তা বোঝার চেষ্টা করো। এবার পাঠ্যবইয়ের খালি ঘরে তুমি নিজে নিজে উত্তর লেখো। নিচের নমুনা উত্তরের সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর:
চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায় পরিবর্তন
চম্পার ভাই আগে মোবাইল ফোনে কথা বলার ব্যবসায় করতো। ফোনে এক মিনিট কথা বলার জন্য সে সাত টাকা করে নিত। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন সহজলভ্য হয়েছে। সবার হাতের মুঠোয় এখন মোবাইল ফোন। ফলে কেউ আর ফোনে কথা বলার জন্য দোকানে যায় না। তাই চম্পার ভাই মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ইন্টারনেটের ব্যবসায় শুরু করল। এর মাধ্যমে সে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং প্রভৃতি সেবা দেয়। এভাবে দিন বদলের সাথে সাথে চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায়ে পরিবর্তন আসে।
চম্পার ভাইয়ের নতুন ব্যবসায় শুরু করার কারণ
চম্পার ভাইয়ের মোবাইল ফোনের ব্যবসায় ছিল। কিন্তু মোবাইল ফোন সকলের কাছে সহজলভ্য হওয়ায় এ ব্যবসায়ের ধস নামে। কিন্তু ইন্টারনেটের চাহিদা বাড়তে থাকে। ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর প্রসার ঘটে। এসব কারণে চম্পার ভাই মোবাইল ফোনের বদলে ইন্টারনেটকেন্দ্রিক ব্যবসায় শুরু করে।
অ্যাক্টিভিটি ৫: আগে আমাদের দেশে কী ধরনের পেশা ছিল এবং মানুষগুলো কীভাবে কাজ করতেন তা নিচের চিত্রগুলো দেখে বোঝার চেষ্টা করি।
সম্ভাব্য উপকরণ: ফ্লিপ চার্ট, সাদা/রঙিন পোস্টার পেপার, ভিডিও ক্লিপ, প্রজেক্টর, মার্কার, চক, বোর্ড, ডাস্টার ইত্যাদি।
নির্দেশনা: পাঠ্যবইয়ের ৩৩ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো ভালোভাবে দেখো। আগে কোন পেশার মানুষ কীভাবে কাজ করতো তা বোঝার চেষ্টা করো। প্রয়োজনে শিক্ষক ও অভিভাবকের সহায়তা নাও। চিত্রের নিচে তোমার ভাবনা পেন্সিল দিয়ে লেখো। এবার নমুনা উত্তরের সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর: চিত্র দেখে পেশা/কাজ উল্লেখ করা হলো-
অ্যাক্টিভিটি ৬: বিভিন্ন খাতের পেশার কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুন নতুন কী ধরনের পেশা সৃষ্টি হয়েছে তা নিচের চিত্র থেকে বোঝার চেষ্টা করি।
নির্দেশনা: পাঠ্যবইয়ের ৩৪ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো ভালোভাবে দেখো। পেশার কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুন নতুন কী ধরনের পেশা সৃষ্টি হয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করো। এবার চিত্রের নিচে পেন্সিল দিয়ে লেখো। নমুনা উত্তরের সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর: চিত্র দেখে পেশার পরিবর্তন ও নতুন পেশা/কাজ সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো-
অ্যাক্টিভিটি ৭: সময়ের সঙ্গে পেশার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ।
নির্দেশনা: ৫ জন করে শিক্ষার্থী মিলে দল গঠন করো। এরপর ২০ বছর আগে বিভিন্ন খাতে পেশার ধরন ও কাজ কেমন ছিল তা আলোচনা, করো। প্রয়োজনে পরিবারের বাবা-মা বা বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের পরামর্শ নাও। এবার পাঠ্যবইয়ে প্রদত্ত ছকটি পূরণ করো। নিচে সময়ের সাথে পেশার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের আলোকে নমুনা উত্তর দেওয়া হলো।
নমুনা উত্তর: ২০ বছর আগে পেশা কেমন ছিল, বর্তমানে কেমন তা পর্যবেক্ষণ করে পরিবর্তনের কারণসহ লেখা হলো-
অ্যাক্টিভিটি ৮: পাঠ্যবইয়ের দৃশ্যপট-২ এর আলোকে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও।
সায়েদা রহমান নতুন কী কী পেশায় যেতে পারেন, তার জন্য কিছু নতুন আইডিয়া দাও।
নির্দেশনা: সায়েদা রহমান কী কী যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করেছেন তা খুঁজে বের করো। তার যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে কোন কোন ব্যবসায় করা সম্ভব তা ভাবো। এবার নিজে নিজে উত্তর করার চেষ্টা করো। প্রয়োজনে নমুনা উত্তরের সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে নিতে পারো।
নমুনা উত্তর: সায়েদা রহমান যেসব নতুন পেশায় যেতে পারেন তা নিচে দেওয়া হলো-
১. সায়েদা রহমান অনলাইনে হোম মেইড ফুড/ঘরে তৈরি খাবারের ব্যবসায় চালু করতে পারেন।
২. তিনি অনলাইনে কাপড় বেচা-কেনার ব্যবসায় করতে পারেন।
৩. তিনি হাতের তৈরি জিনিস বিক্রি করতে পারেন।
৪. তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবার সরবরাহ করার ব্যবসায় করতে পারেন।
৫. তিনি ইউটিউবে চ্যানেল খুলে রান্না শেখানোর কোর্স করাতে পারেন।
৬. তিনি বিভিন্ন আচার-সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন।
অ্যাক্টিভিটি ৯: পেশার মৌলিক দক্ষতা অনুসন্ধান।
সম্ভাব্য উপকরণ: ফ্লিপ চার্ট, পোস্টার পেপার, ভিডিও ক্লিপ, প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, মার্কার, চক, বোর্ড, ডাস্টার ইত্যাদি
নির্দেশনা: একটি স্থানীয় পেশা নির্বাচন করো। বাবা-মার সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে এ পেশায় কাজ করে এমন একজন পেশাজীবীকে শনাক্ত করো। এ পেশায় কাজ করতে গেলে কী কী মৌলিক দক্ষতা দরকার তা উক্ত পেশাজীবীর কাছ থেকে জেনে নাও। এবার সংগৃহীত তথ্য দিয়ে পাঠ্যবইয়ে প্রদত্ত ছকটি পূরণ করো। নিচে পেশাজীবীর মৌলিক দক্ষতার নমুনা উত্তর অনুসরণ করতে পারো।
নমুনা উত্তর: পেশার মৌলিক দক্ষতা অনুসন্ধান নিচে দেওয়া হলো-
অ্যাক্টিভিটি ১০: কেস ১: সেরা রাঁধুনী রাশিদা খাতুন
সম্ভাব্য উপকরণ: চক, বোর্ড, ডাস্টার, ফ্লিপ চার্ট, মার্কার ইত্যাদি
■ রাশিদা খাতুন কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন? তিনি কীভাবে সেরা রাঁধুনী হয়েছিলেন?
নির্দেশনা:
ধাপ-১: পাঠ্যবইয়ের ৩৮ পৃষ্ঠার কেস ১- সেরা রাধুনী রাশিদা খাতুন ভালোভাবে পড়ো।
ধাপ-২: রাশিদা খাতুনের দক্ষতাগুলো চিহ্নিত করো।
ধাপ-৩: রাশিদা খাতুনের সেরা রাঁধুনী হওয়ার উপায় চিহ্নিত করো।
ধাপ-৪: পাঠ্যবইয়ের ফাঁকা ঘরে নিজে নিজে উত্তর লেখো।
ধাপ-৫: নিচের নমুনা উত্তরের সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর: রাশিদা খাতুন যেসব দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তা নিচে দেওয়া হলো-
১. ভালো রান্না করার দক্ষতা।
২. রান্নার উপাদান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান/ধারণা।
৩. নতুন নতুন খাবার রান্না করার দক্ষতা।
৪. খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার দক্ষতা।
৫. রান্নাঘর ও রান্নার সব উপকরণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দক্ষতা।
রাশিদা খাতুনের সেরা রাঁধুনী হওয়ার উপায়
রাশিদা খাতুন ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে রান্নার প্রাথমিক ধারণা লাভ করেন। মাঝে মাঝে তিনি নতুন খাবার রান্না করার চেষ্টা করতেন। বড় হয়ে তিনি রান্না শেখার কোর্স করেছিলেন। প্রথমে তিনি বাড়ির পাশে ছোট-খাটো অনুষ্ঠানে রান্না করতেন। এরপর তিনি ধীরে ধীরে বড় অনুষ্ঠানে রান্না করা শুরু করেন। এছাড়া তিনি হোম মেইড ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেন। রান্নার নতুনত্ব ও গুণগতমান বজায় রেখে তিনি কাজ করেন। তার এ দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও সংকল্প তার ব্যবসায় সাফল্য এনে দিয়েছে। এভাবে তিনি সেরা রাঁধুনী হয়েছিলেন।
অ্যাক্টিভিটি ১১: কেস ২: আমাদের বিধান দর্জি
■ বিধান ত্রিপুরা কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন? তিনি কীভাবে ‘বিধান দর্জি’ হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন?
নির্দেশনা:
ধাপ-১: পাঠ্যবইয়ের ৩৯ পৃষ্ঠার কেস ২- আমাদের বিধান দর্জি ভালোভাবে পড়ো।
ধাপ-২: বিধান ত্রিপুরার দক্ষতাগুলো চিহ্নিত করো।
ধাপ-৩: বিধান দর্জির পরিচিতি পাওয়ার কারণ খুঁজে বের করো।
ধাপ-৪: পাঠ্যবইয়ের ফাঁকা ঘরে নিজে নিজে উত্তর লেখো।
ধাপ-৫: প্রয়োজনে নমুনা উত্তরের সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর: বিধান ত্রিপুরা যেসব দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তা নিচে দেওয়া হলো-
১. ভালোভাবে ও সঠিক উপায়ে কাপড় সেলাইয়ের দক্ষতা।
২. নকশা ও পরিমাপ অনুযায়ী কাপড় কাটার দক্ষতা।
৩. জামা-কাপড়ের সাইজ সম্পর্কে জ্ঞান/ধারণা।
৪. নকশায় নতুনত্ব দেওয়া।
৫. সেলাইয়ের গুণগত মান বজায় রাখা।
৬. কাপড় ও নকশা অনুযায়ী দাম ঠিক করা।
৭. সঠিকভাবে সেলাই মেশিন চালানোর দক্ষতা।
বিধান ত্রিপুরা যেভাবে বিধান দর্জি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন
বিধান ত্রিপুরা শুরুতেই সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয় মাস মেয়াদি কোর্স করেন। কোর্সটি টেইলরিং এন্ড ড্রেস মেকিং-এর ওপর ছিল। এরপর তিনি তার মায়ের হাতের সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রথমে তিনি বাড়ির আশপাশের মানুষের শার্ট-প্যান্ট ও সেলোয়ার- কামিজ সেলাই করতেন। ধীরে ধীরে তিনি সব ধরনের মানুষের জন্য পোশাক বানাতে শুরু করলেন। তিনি কাজে মনোযোগী ছিলেন ও মান বজায় রাখতেন। তার কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফলে কাজের অর্ডার অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে তিনি বাজারে একটি দোকান নেন। এভাবে তিনি বিধান দর্জি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
অ্যাক্টিভিটি ১২: কেস ৩: প্রযুক্তির আলোয় দৃষ্টিজয়ী ভাস্কর
■ ভাস্কর ভট্টাচার্য্য কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন? তিনি কীভাবে বিখ্যাত হয়েছিলেন?
নির্দেশনা:
ধাপ-১: পাঠ্যবইয়ের ৪০ পৃষ্ঠার কেস ৩- প্রযুক্তির আলোয় দৃষ্টিজয়ী ভাস্কর ভালোভাবে পড়ো।
ধাপ-২: ভাস্কর ভট্টাচার্য্যের দক্ষতাগুলো খুঁজে বের করো।
ধাপ-৩: ভাস্কর ভট্টাচার্য্যের বিখ্যাত হওয়ার উপায় চিহ্নিত করো।
ধাপ-৪: পাঠ্যবইয়ের প্রদত্ত ছকে প্রশ্নের উত্তর লেখো।
ধাপ-৫: প্রয়োজনে নিচের নমুনা উত্তর অনুসরণ করতে পারো।
নমুনা উত্তর: ভাস্কর ভট্টাচার্য্য যেসব দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তা নিচে দেওয়া হলো-
১. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান/ধারণা।
২. ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান/ধারণা।
৩. নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান/ধারণা।
৪. দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সহায়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন দক্ষতা।
৫. কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তি পরিচালনার দক্ষতা।
ভাস্কর ভট্টাচার্য্যের বিখ্যাত হওয়ার কারণ
জন্মের দুই বছরের সময় ভাস্কর ভট্টাচার্য্য দৃষ্টিহীন হয়ে যান। অনেক কষ্ট করে তিনি পড়ালেখা শেষ করেন। এরপর তিনি দেশে-বিদেশে কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তির ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য উদ্ভাবন করেন নতুন নতুন প্রযুক্তি। তিনি ১ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সব পাঠ্যপুস্তকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুনত্ব নিয়ে আসেন। তাদের জন্য তৈরি করেন টকিং বই ও অ্যাক্সেসেবল ডিকশনারি। বিদেশি কারিগরি সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করেন কম্পিউটারাইজড ব্রেইল প্রোডাকশন সেন্টার। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইনক্লুসিভ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিণত করতে ভূমিকা রাখেন। স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার পান।
আরো পড়ো → কাজের মাঝে আনন্দ
অ্যাক্টিভিটি ১৩: স্বমূল্যায়ন
নির্দেশনা: স্বমূল্যায়নটি নিজে পূরণ করো। সততা বজায় রেখে সঠিক ঘরে টিক (✔) চিহ্ন দাও। পূরণ করে বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে দেখাও। এরপর তাদের যেকোনো একজনের স্বাক্ষর নিয়ে শিক্ষকের কাছে জমা দাও। নিচে স্বমূল্যায়নের একটি নমুনা দেওয়া হলো।
নমুনা উত্তর: আমরা যা যা করেছি তা পছন্দের ঘরে টিকে (✔) চিহ্ন দেওয়া হলো-
নির্দেশনা: স্বমূল্যায়নের ১ম ছকটি পূরণ করার পর তা পর্যবেক্ষণ করে তোমার প্রাপ্তি চিহ্নিত করো। শিক্ষকের মন্তব্য ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করো। কোন কোন কাজগুলো আরও ভালোভাবে করতে হবে তা মার্কার দিয়ে দাগ দাও। উক্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে জানার জন্য পাঠ সহায়ক বিষয়বস্তু পুনরায় পড়ো। প্রয়োজনে শিক্ষক ও অভিভাবকের সহায়তা নাও। তোমার প্রাপ্ত স্কোর সন্তোষজনক হলে তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করো। নিচের নমুনা উত্তরটি অনুসরণ করতে পারো।
নমুনা উত্তর: নিচে আমার প্রাপ্তি ও এ অধ্যায়ের যেসব বিষয় আরও ভালোভাবে জানতে হবে তা দেওয়া হলো-
আমার প্রাপ্তি:
এ অধ্যায়ের যেসব বিষয় আরও ভালোভাবে জানতে হবে: অধ্যায়টির শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে আমাকে আরও জানতে হবে। শিল্প কারখানায় এর প্রভাব কী তা বুঝতে হবে। এছাড়া কোন পেশার জন্য কী ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন তা জানতে হবে। আমি কোন পেশায় যেতে চাই তা চিহ্নিত করতে হবে। এজন্য কীভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারি তার পরিকল্পনা করতে হবে।