অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি

(স্বাস্থ্য সুরক্ষা) ৬ষ্ঠ: অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি – সমাধান

অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই এর ৫ম অধ্যায়। অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি

কাজ-১: ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেকে দেখি
প্রয়োজনীয় সামগ্রী:
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
পরিস্থিতি ০১: আমি দেখলাম আমার বন্ধুরা বিরতির সময়ে খেলছে। আমার মনে হলো যে আমার সাথে খেলতে চায়নি বলে আমায় ডাকেনি ওরা।
কাজের ধারা
• প্রথমে অধ্যায়ের মূল উদ্দেশ্য বুঝে পরিস্থিতি-০১ পড়ি ও নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।
• এরপর নিজ নিজ উত্তরগুলো, ভাবনা ও মতামত নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করি।

নমুনা উত্তর:
১. এমন পরিস্থিতিতে আমার কেমন অনুভূতি হতো?
উত্তর :
এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে বন্ধুদের কাছে গুরুত্বহীন এবং একা মনে হতো।

২. এ অবস্থায় আমি কী করতাম এবং বন্ধুদের কী বলতাম?
উত্তর :
এ অবস্থায় আমি আশেপাশে খুঁজে দেখতাম আমার আরোও কোনো বন্ধু খেলায় অংশগ্রহণ না করে আছে কিনা। না থাকলে আমি বন্ধুদের কাছে গিয়ে আমাকেও খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে অনুরোধ করতাম। এছাড়াও আমাকে না ডাকার কারণ জানতে চাইতাম এবং আমি কোনো ভুল করেছি কিনা তা জানার চেষ্টা করতাম আমার অন্তত একজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করি।

৩. এমন পরিস্থিতিতে তার কেমন অনুভূতি হতো এবং সে কী করতো?
উত্তর :
এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে আমার বন্ধু সৌরভের সাথে আলোচনা করেছি। সেও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল বলে জানায়। এরুপ পরিস্থিতিতে সেও বন্ধুদের কাছে তাকে খেলায় না ডাকার কারণ জানতে চেয়েছিল এবং তার কোনো ব্যবহার তাদের কাছে খারাপ লেগেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করেছিল।

পরিস্থিতি ০২: সারাদিন ক্লাস করে এবং স্কুলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে অংশ নিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেছি। গিয়ে দেখি বাসায় অনেক মেহমান। তারা যে আসবেন তা আমি আগে থেকে জানতাম না। সেই মুহূর্তে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়ার অবস্থা নেই। এ সময় আমার চেয়ে বয়সে ছোট দুজন শিশু এলো এবং কাগজ দিয়ে কিছু খেলনা বানিয়ে দেবার বায়না ধরল।

কাজের ধারা
• প্রথমে পরিস্থিতি-০২ পড়ি ও নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:
১. এমন পরিস্থিতিতে আমার কেমন অনুভূতি হতো?
উত্তর :
এমন পরিস্থিতিতে বিরক্তিবোধ করতাম। কারণ, সারাদিন ক্লাস করে বাসায় ফেরার পর আমি ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নিতে অভ্যস্ত।

২. এ অবস্থায় আমি কী করতাম এবং শিশুদের কী বলতাম?
উত্তর :
এ অবস্থায় আমি বিশ্রাম নেয়ার জন্য কোনো স্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করতাম এবং শিশুদেরকে পরে খেলনা বানিয়ে দিবো বলে প্রতিশ্রুতি দিতাম।

৩. আমার অন্তত একজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করি। এমন পরিস্থিতিতে তার কেমন অনুভূতি হতো এবং সে কী করতো?
উত্তর :
এ বিষয় নিয়ে আমি আমার বন্ধু শামসুর এর সাথে আলোচনা করছি। এমন পরিস্থিতিতে সেও বিরক্তবোধ করতো এবং সে তার পরিস্থিতি শিশুদের বুঝিয়ে বলে বিশ্রামের পরে খেলনা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতো।

পরিস্থিতি ০৩: অনেক দিন অপেক্ষা করার পরে আমার মা পছন্দের রঙ পেন্সিলের বক্স কিনে দিয়েছে। আমি বন্ধুদের দেখাতে ক্লাসে নিয়ে আসলাম। যেই কাছের বন্ধুদের দেখানোর জন্য এগুলো ব্যাগ থেকে বের করলাম, অমনি এক বন্ধু দুটো রঙ পেন্সিল হাত থেকে ছোঁ মেরে নিয়ে নিলো।

কাজের ধারা:
প্রথমে পরিস্থিতি-০৩ পড়ি ও নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:
১. এমন পরিস্থিতিতে আমার কেমন অনুভূতি হতো?
উত্তর :
রঙ পেন্সিল বক্স আমার অনেকদিনের অপেক্ষার ফল হওয়ায় যে কেউ আমার কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নিলে আমার প্রচণ্ড রাগ হতো।

২. এ অবস্থায় আমি কী করতাম এবং কন্ধুকে কী বলতাম?
উত্তর :
এ অবস্থায় রঙ পেন্সিল ফেরত পাওয়ার জন্য মাথা ঠান্ডা রাখতাম। বন্ধুকে বুঝিয়ে বলতাম যে এই পেন্সিলগুলো অনেকদিন অপেক্ষা করার পর মা আমাকে কিনে দিয়েছেন এবং একটি বক্সে ভিন্ন ভিন্ন রঙের পেন্সিল থাকায় সে দুটো পেন্সিল নিলে আমার কাছে আর সেই রঙের পেন্সিল থাকবে না। আমি তাকে পেন্সিল দুটো ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতাম।

৩. আমার অন্তত একজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করি। এমন পরিস্থিতিতে তার কেমন অনুভূতি হতো এবং সে কী করতো?
উত্তর :
এই পরিস্থিতি নিয়ে আমার বন্ধু রাফির সাথে আলোচনা করেছি। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে সেও রাগান্বিত হতো। এছাড়া পেন্সিল ফেরত পাওয়া জন্য সে বন্ধুকে অনুরোধ করতো এবং সে যেন তার মার কাছে গিয়ে এমন রঙ পেন্সিল কিনে নেওয়ার বিষয়ে আবদার করে এবং বুদ্ধি দিতো।

পরিস্থিতি ০৪: আমি আমার বন্ধুদের সাথে খেলছি। খেলায় খুবই টানটান উত্তেজনা অবস্থা। আরেকটু পরেই আমি জিতে যাবো। এমন সময় আমার মা এসে খেলা বন্ধ করতে বলছেন। বলছেন এখুনি পড়তে বসতে। আমি যেতে না চাইলে বিরক্ত হয়েছেন।

কাজের ধারা
প্রথমে পরিস্থিতি-০৪ পড়ি ও নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:
১. এমন পরিস্থিতিতে আমার কেমন অনুভূতি হতো?
উত্তর :
এমন পরিস্থিতিতে আমার প্রচন্ড মন খারাপ হতো।

২. এ অবস্থায় আমি কী করতাম এবং মাকে কী বলতাম?
উত্তর :
এ অবস্থায় আমি কী মাকে অনুরোধ করতাম যেন আর একটু সময় খেলার অনুমতি দেন। খেলা শেষ না করে পড়তে বসলে পড়ায় মন নাও বসতে পারে বলে মাকে বুঝিয়ে বলতাম।

৩. আমার অন্তত একজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করি। এমন পরিস্থিতিতে তার কেমন অনুভূতি হতো এবং সে কী করতো?
উত্তর :
এমন পরিস্থিতি নিয়ে আমার বন্ধু লিয়ানার সাথে আলোচনা করেছি। তারও প্রচণ্ড মন খারাপ হবে বলে জানিয়েছে। সে তার মাকে অনেক ভয় পায় বলে এমন পরিস্থিতিতে খেলা রেখে পড়তে বসা ছাড়া তার উপায় নেই বলে জানিয়েছে।

পরিস্থিতি ০৫: আমি শ্রেণিরকাজের অংশ হিসেবে সহপাঠীদের সাথে একটি নাটকে অংশগ্রহণ করেছি। নাটকে আমার অভিনয় নিয়ে শিক্ষক যে মতামত দিলেন, তার সাথে আমি একমত নই। আমার মনে হচ্ছে কোথাও কোনো ভুল হয়েছে বা শিক্ষক আমাকে অন্য কারও সাথে মিলিয়ে ফেলেছেন।

কাজের ধারা
প্রথমে পরিস্থিতি-০৫ পড়ি এবং নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি ও নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:
১. এমন পরিস্থিতিতে আমার কেমন অনুভূতি হতো?
উত্তর :
এমন পরিস্থিতিতে আমি বিস্মিত হতাম।

২. এ অবস্থায় আমি করতাম এবং উপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে কী বলতাম?
উত্তর :
এ অবস্থায় আমার অভিনয় এর সময় আসলেই কোনো ত্রুটি ছিলো কিনা তা মনে করার চেষ্টা করতাম। উপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছে আমার অভিনয় সম্পর্কে মতামত নিতাম এবং এ ব্যাপারে ঐ শিক্ষকের সাথে কথা বলা ঠিক হবে কিনা তা জানার চেষ্টা করতাম।

৩. আমার অন্তত একজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করি। এমন পরিস্থিতিতে তার কেমন অনুভূতি হতো এবং সে কী করতো?
উত্তর :
এ বিষয়টি নিয়ে আমার একজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করেছি। এমন পরিস্থিতিতে তার অনেক মন খারাপ হতো এবং সে বিস্মিত হতো। সে এই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি স্যারের সাথে কথা বলতো যাতে সে তার অভিনয়ের ত্রুটি সম্পর্কে জানতে পারে এবং পরবর্তীতে আরো ভালো করতে পারে।

কাজ- ২: আমার ব্যক্তিগত সীমানা।
প্রয়োজনীয় সামগ্রী:
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
কার্যক্রম-১

কাজের ধারা
• প্রথমে পাঠ সহায়ক বিষয়বস্তুর প্রস্তুতি অংশের আমাদের ব্যক্তিগত সীমানা ও আমাদের ব্যক্তিগত প্রকাশ’ পড়ে নিরাপদ স্পর্শ সম্পর্কে ধারনা নেই।
• এরপর আমার জন্য নিরাপদ স্পর্শ কোনগুলো তা প্রথম ছকে লিখি।
• উত্তরগুলো নিয়ে এরপর বন্ধুর সাথে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে তাও ছকে লিপিবদ্ধ করি। এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:
আমার জন্য নিরাপদ স্পর্শগুলো হলো-
i. আমার একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ, যেমন— বাবা অথবা মা যদি আমাকে জড়িয়ে ধরে।
ii. মা অথবা বাবা আমার কপালে চুমু দিলে।
iii. কোনো ভালো কাজ করায় শিক্ষক অথবা পরিবারের অন্যান্য সদস্য অথবা প্রতিবেশীরা মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে।
iv. বিশ্বস্ত বন্ধুর হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো কারো উপকার করলে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করা।

v. আমার বন্ধু সিফাত এর সাথে উপরে লেখা উত্তরগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। সেও আমার লেখা নিরাপদ স্পর্শের উত্তরগুলোর সাথে একমত। এমন স্পর্শ সেও পরিবার, শিক্ষক, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। এ ধরনের স্পর্শের মাধ্যমে আমরা কখনোই অস্বস্তিবোধ করিনা। তার সাথে আলোচনা করে আমি আরও কিছু নিরাপদ স্পর্শের ধারণা পাই। এগুলো হলো-
i. খেলাধুলার সময় ব্যক্তিগত স্থান ছাড়া শরীরের অন্যান্য স্থান যেমন হাত, পা, মাথা, পিঠ ইত্যাদি স্থানে স্পর্শ।
ii. কুশল বিনিময়ের সময় একই লিঙ্গের ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া স্পর্শ।
কার্যক্রম-২

কাজের ধারা
• প্রথমে পাঠ সহায়ক বিষয়বস্তু প্রস্তুতি অংশের ‘আমাদের ব্যক্তিগত সীমানা ও ব্যক্তিগত প্রকাশ’ পড়ে অনিরাপদ স্পর্শ সম্পর্কে ধারনা নিই।
• এরপর আমার জন্য অনিরাপদ স্পর্শ কোনগুলো তা দ্বিতীয় ছকে লিখি।
• উত্তরগুলো নিয়ে এরপর বন্ধুর সাথে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে তাও ছকে লিপিবদ্ধ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:
আমার জন্য অনিরাপদ স্পর্শগুলো হলো-
i. আমার শরীরের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো অঙ্গে স্পর্শ করা; সে আমার ছোট, বড়, সমবাসী, পরিবারের সদস্য যেই হোক না কেন।
ii. আমার বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদী, নানা, নানী ছাড়া অন্য কেউ যদি আমার কপালে চুমু দেয়।
iii. আমার ঠোঁটে চুমু দেওয়া।
iv. পরিবারের সদস্য বা বন্ধু ছাড়া অন্য কেউ হাত ধরা।

আমার বন্ধুর সাথে উপরে লেখা উত্তরগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। সেও আমার লেখা অনিরাপদ স্পর্শের উত্তরগুলোর সাথে একমত। তার মতে, আমাদেরকে অনিরাপদভাবে স্পর্শ করার অধিকার কারো নেই। অনিরাপদ স্পর্শ আমাদের শরীর ও মনকে কষ্ট দেয় এবং আমাদের ব্যক্তিগত সীমানা ঘিরে থাকা বাবল ফুটিয়ে দেয়। তার সাথে আলোচনা করে অনিরাপদ স্পর্শ সম্পর্কে আরও ধারণা পেয়েছি। এগুলো হলো-
i. যেকোনো ধরনের আঘাত এবং স্পর্শ যেগুলোর জন্য আমি অস্বস্তিবোধ করি।
ii. বাবা, মা, ভাই ও বোন ছাড়া যেকোনো ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া অপ্রয়োজনীয় স্পর্শ।

কাজ-৩: সহমর্মিতা
প্রয়োজনীয় সামগ্রী:
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
কার্যক্রম-১

কাজের ধারা
• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের পৃষ্ঠা-১০০ এর গল্প-০২: ‘সহমর্মিতা’ পড়ি।
• এরপর প্রথম ছকটি নিজের মতো করে পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা সমাধান:

CamScanner 07 11 2023 17.32 1

কার্যক্রম-২

কাজের ধারা
• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের পৃষ্ঠা-১০০ এর গল্প-০২: ‘সহমর্মিতা’ পড়ি।
• এরপর দ্বিতীয় ছকটি নিজের মতো করে পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা সমাধান:
প্রশ্ন ১. সীমান্ত নিজের অনুভূতি ও চাওয়া প্রকাশ করতে কিংশুক ও রাজিনের সাথে কীভাবে কথা বলতে পারত?
উত্তর :
সীমান্ত তার অনুভূতি ও চাওয়া প্রকাশ করতে কিংশুক ও রাজিনকে বলতে পারত, যেহেতু সে সাঁতার জানেনা তাই তার নদীতে নামা উচিত নয়। তাছাড়া সাঁতার না জানলে বড়রা নদীতে নামতে সবসময় নিষেধ করেন, কারণ এক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রথমে সে সাঁতার শিখবে তারপর নদীতে গোসল করার কথা জানাবে।

প্রশ্ন ২. কিংশুক কীভাবে রাজিনের সাথে কথা বলতে পারত?
উত্তর :
কিংশুক রাজিনকে বলতে পারত, সীমান্ত যেহেতু সাঁতার জানেনা আমরা দুইজন তাকে সাঁতার শিখতে সাহায্য করতে পারি। এতে করে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকবে না, সেও সাঁতার শিখবে এবং তিনজনের নদীতে গোসল করার ইচ্ছেটাও পূরণ হবে।

প্রশ্ন ৩. রাজিনের জায়গায় আমি থাকলে আর কী কী করতে পারতাম?
উত্তর :
রাজিনের জায়গায় আমি থাকলে সীমান্তকে হেয় করে কোনো কথা বলতাম না। আমি রাজিনের সহযোগীতা নিয়ে সীমান্তকে সাঁতার শেখাতে চেষ্টা করতাম।

কাজ ৪: নিজের পছন্দ ও অপছন্দ প্রকাশ
কার্যক্রম-১
কাজের ধারা

• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ১০২ পৃষ্ঠার গল্প-০৩: নিজের পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশ করি’ গল্পটি পড়ি।
• এরপর প্রথম ছকটি নিজের মতো করে পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।
নমুনা সমাধান:

CamScanner 07 11 2023 17.32 3

কার্যক্রম-২
কাজের ধারা

• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ১০২ পৃষ্ঠার গল্প-০৩: ‘নিজের পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশ করি’ গল্পটি পড়ি।
• এরপর দ্বিতীয় ছকটি নিজের মতো করে পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা সমাধান:

CamScanner 07 11 2023 17.32 4

কাজ-৫: আত্মমর্যাদা রক্ষায় পদক্ষেপ
প্রয়োজনীয় সামগ্রী: স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
কার্যক্রম-১
কাজের ধারা
• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ১০৪ পৃষ্ঠার গল্প-০৪: ‘আত্মমর্যাদা রক্ষায় পদক্ষেপ নিই’ গল্পটি পড়ি।
• এরপর প্রথম ছকটি নিজের মতো করে পূরণ করি এবং নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা সমাধান:

CamScanner 07 11 2023 17.32 5

কার্যক্রম-২
কাজের ধারা
• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ১০৪ পৃষ্ঠার গল্প-০৪: ‘আত্মমর্যাদা রক্ষায় পদক্ষেপ নিই’ গল্পটি পড়ি।
• এরপর দ্বিতীয় ছকটি নিজের মতো করে পূরণ করি এবং নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা সমাধান:

CamScanner 07 11 2023 17.32 6
CamScanner 07 11 2023 17.32 7

কাজ-৬: সম্পর্কের যত্নে কথা বলি
কার্যক্রম-১
কাজের ধারা
• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ১০৬ পৃষ্ঠার গল্প-০৫ ‘সম্পর্কের যত্নে কথা বলি’ গল্পটি পড়ি।
• এরপর প্রথম ছকটি পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা সমাধান:

CamScanner 07 11 2023 17.32 8

কার্যক্রম-২
কাজের ধারা
• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ১০৬ পৃষ্ঠার গল্প-০৫ ‘সম্পর্কের যত্নে কথা বলি’, গল্পটি পড়ি।
• এরপর দ্বিতীয় ছকটি পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা সমাধান:

CamScanner 07 11 2023 17.32 9

কাজ-৭: গল্পগুলোর আলোকে অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের কৌশল
প্রয়োজনীয় সামগ্রী: স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
কাজের ধারা
• প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের পৃষ্ঠা: ১০০-১০৭ এর গল্প-চারটি পড়ি।
• এরপর গল্পগুলোর আলোকে ছকটি পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:

CamScanner 07 11 2023 17.32 10
CamScanner 07 11 2023 17.32 11

কাজ-৮: অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের চর্চা: আমার পরিকল্পনা
প্রয়োজনীয় সামগ্রী: স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার

কাজের ধারা
• প্রথমে নিজেদের জীবনে যার সাথে অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে হবে এমন কিছু মানুষদের শনাক্ত করি।
• এরপর ছকে দৈনন্দিন জীবনের ৩টি পরিস্থিতির মাধ্যমে অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের একটি তালিকা তৈরি করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা তালিকার সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা তালিকা:

CamScanner 07 11 2023 17.32 12 1

কাজ-৯: অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের চর্চা
প্রয়োজনীয় সামগ্রী: স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
কার্যক্রম-১
কাজের ধারা
• প্রথমে আগের সেশনের তালিকা অনুযায়ী প্রথম পরিস্থিতিতে কীভাবে কথা বলতে হবে তার পরিকল্পনা করি।
• এরপর ১ম পরিকল্পনা ছকটি পূরণ করি এবং নিচে দেওয়া দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি ।

নমুনা উত্তর:

CamScanner 07 11 2023 17.32 13

কার্যক্রম-২
কাজের ধারা
• প্রথমে আগের সেশনের তালিকা অনুযায়ী দ্বিতীয় পরিস্থিতিতে কীভাবে কথা বলতে হবে তার পরিকল্পনা করি।
• এরপর ২য় পরিকল্পনা ছকে তা লিপিবদ্ধ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:

CamScanner 07 11 2023 17.32 14

কার্যক্রম-৩
কাজের ধারা
• প্রথমে আগের সেশনের তালিকা অনুযায়ী তৃতীয় পরিস্থিতিতে কীভাবে কথা বলতে হবে তার পরিকল্পনা করি।
• এরপর ৩য় পরিকল্পনা ছকে তা লিপিবদ্ধ করি এবং নিচে দেওয়া নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে দেখি।

নমুনা উত্তর:

CamScanner 07 11 2023 17.32 15

আরো পড়োচলো নিজেকে আবিষ্কার করি

কাজ-১০: ভূমিকাভিনয়ের মাধ্যমে অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশ করি
প্রয়োজনীয় সামগ্রী: স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
কাজের ধারা ও নমুনা
• প্রথমে শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী ছোট দলে ভূমিকাভিনয়ের পরিকল্পনা করি।
• এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেরা মিলে ভূমিকাভিনয় করি।
• প্রত্যেক দলের ভূমিকাভিনয়ের পর সহপাঠীরা মিলে ফিডব্যাক দিই।

কাজ-১১: দৈনন্দিন জীবনে আমার অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের চর্চার রেকর্ড
প্রয়োজনীয় সামগ্রী: স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, মার্কার
কাজের ধারা
• প্রথমে আগের সেশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের চর্চার একটি রেকর্ড রাখি।
• সামনের এক মাস চর্চা সংক্রান্ত ঘটনাগুলো বিবরণ ডায়েরি বা জার্নালে লিখে রাখি এবং নিচে দেওয়া নমুনা সমাধানের সাথে মিলিয়ে দেখি।
• এক মাস পর ডায়েরি বা জার্নাল শিক্ষকের নিকট জমা দিই।

নমুনা উত্তর:





CamScanner 07 11 2023 17.32 16

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *