আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকা হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি বই এর শিখন অভিজ্ঞতা। আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকা অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকা
সেশন-১
শ্রেণিকার্যক্রম-১ : একটি প্রতিবেদন তৈরিতে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা জরুরি, তা লিখি এবং একটি নমুনা প্রতিবেদন তৈরি করি।
কাজের ধারা
১. প্রতিবেদনের থিম বা বিষয় নির্ধারণ করা।
২. বিষয় বা থিমের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করা।
৩. প্রতিবেদনে অন্য কোনো ব্যক্তির তথ্য, গল্প/ছবি/কবিতা যুক্ত করলে অবশ্যই তথ্যের উৎস উল্লেখ করা।
৪. প্রতিবেদন তৈরিতে একটি নাম বা শিরোনাম দেওয়া।
৫. প্রতিবেদনটি যে তৈরি করবে তার নাম, তারিখ উল্লেখ করা।
নমুনা প্রতিবেদন
প্রতিবেদনের শিরোনাম: আমার জীবনে প্রথম কম্পিউটার ব্যবহার
আবরার মাহাদী
১৫ই মার্চ, ২০২৩
আমার নাম আবরার মাহাদী। আমি এই বছর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। ভর্তির কিছুদিন পর নতুন বই পেলাম। এবার একটু আনন্দ বেশি কারণ, ডিজিটাল প্রযুক্তি নামে একটি বই হাতে পেয়েছি। অনেকদিনের স্বপ্ন ছিলো কবে হাতে কলমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবো। তাই বিষয় শিক্ষক সেদিন বললেন, আগামীকাল তোমাদেরকে প্রথম ক্লাসে হাতে-কলমে কম্পিউটার চালানো শিখাবো। সেদিন আনন্দে সারারাত ঘুমাতে পারিনি যে কখন ভোর হবে, স্কুলে যাবো।
আম্মু আমাকে স্কুলে নিয়ে আসলো, ক্লাসে গিয়ে দেখি সবাই আমার মতো খুব খুশি। একটু পরে স্যার আমাদের কম্পিউটার ল্যাবে নিয়ে গেলেন। কিন্তু ল্যাবে প্রবেশ করার পূর্বে নির্ধারিত অ্যাপ্রোন পরিধান করে এবং জুতা খুলে ল্যাবে প্রবেশ করলাম।
স্যার প্রথমে বললেন, তোমরা কি জানো আজকের এই কম্পিউটার আবিষ্কারের পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি এবং তিনি কে? পরে জানতে পারলাম তিনি হলেন চার্লস ব্যাবেজ নামে একজন ইংরেজি প্রকৌশলী ও গণিতবিদ। তার হাত ধরে আজকের এই আধুনিক কম্পিউটার। এরপর স্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইস যেমন- মনিটর, সিপিইউ, মাউস, কী-বোর্ড ইত্যাদি বিষয় পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারপর সিপিইউতে পাওয়ার বাটনে একবার চাপ দিলেন এবং বললেন এটি একবার চাপতে হয়। পরে কম্পিউটার অন হলো।
এরপর স্যার ল্যাবের সবগুলো কম্পিউটার আমাদের সবাইকে দিয়ে অন-অফ করালেন। আমি নিজেও একটি কম্পিউটার অন-অফ করেছিলাম। এভাবে প্রতিদিন আমি ল্যাবে গিয়ে কম্পিউটার সম্পর্কে আরো কিছু জানার চেষ্টা করি। এটি একটি চমৎকার প্রযুক্তি তাই সকলের কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানা উচিৎ।
শ্রেণিকার্যক্রম-২ : উপরের প্রতিবেদনটি ক্লাসের সবাই করেছি। এখন এই প্রতিবেদনটি মূল্যায়ন করব। নিচের ঘরে টিক দেয়ার মাধ্যমে আমরা সহপাঠীর প্রতিবেদন মূল্যায়ন করব।
নমুনা ঘর
শ্রেণিকার্যক্রম-৩ : আমরা যে নমুনা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছি। শিক্ষক আমাদের প্রতিবেদনটিতে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শিক্ষক যে বিষয়টিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছেন তা লিখি।
কাজের ধারা
১. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সম্পর্কে ধারণা থাকা।
২. শ্রেণি শিক্ষকের সহায়তা নেওয়া।
নমুনা উত্তর
শিক্ষক সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, যিনি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন তার নাম দেওয়া আছে কিনা। প্রতিবেদনে অন্যের কোনো তথ্য বা ছবি ব্যবহার করা থাকলে সেটির উৎস উল্লেখ করা হয়েছে কিনা।
শ্রেণিকার্যক্রম-৪ : অন্যের সৃষ্ট তথ্য ব্যবহারের সময় যেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেন তা বের করতে হবে। আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা ওপরের শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে এর কারণ খুঁজে বের করতে পারি। নিচের বক্সে আমাদের খুঁজে বের করা কারণটি/কারণগুলো লিখি।
কাজের ধারা
১. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সম্পর্কে জানা।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মালিকানা সম্পর্কে জানা।
নমুনা বক্স
সহপাঠীর প্রতিবেদন মূল্যায়ন করার সময় শিক্ষক একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিষয়টি কেনো গুরুত্বপূর্ণ সেটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
চিহ্নিত বিষয়টি হলো- অন্যের সৃষ্ট তথ্য ব্যবহারের সময় সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করা।
মনে করো তুমি একটি কবিতা লিখলে। কবিতাটি লেখার সময় তোমাকে অনেক চিন্তা করতে হয়েছে, বুদ্ধি খাটাতে হয়েছে, সময় ও শ্রম দিতে হয়েছে। এখন কেউ যদি তোমার কবিতাটি তার নিজের কবিতা বলে দাবি করে। তখন কেমন লাগবে, নিশ্চয়ই খারাপ দিতে হয়েছে। এই ধরনের কাজ এক ধরনের অপরাধ। তাই অন্যের কোনো লেখা বা ছবি ব্যবহার করলে, সেই লেখা বা ছবির স্রষ্টার নাম উল্লেখ করতে হয়। এটি না করলে অন্যের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের চুরির দায়ে আইনগত মামলা হবে এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সেশন-২
শ্রেণিকার্যক্রম-৫
কেন কারও তৈরি করা কিছু ব্যবহার করলে সঙ্গে ব্যক্তির নাম দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সে সম্পর্কে শিক্ষক কিছু কারণ জানতে চাইবেন। আমাদের সহপাঠীরা যে কারণগুলো বলছে তা থেকে কয়েকটি কারণ আমরা নিচের ঘরে লিখতে পারি।
কাজের ধারা
১. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মালিকের নাম জানা।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মালিকের কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানা।
নমুনা ঘর
সহপাঠীদের বলা উত্তর-
১. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মালিকের নাম চিহ্নিত করা।
২. যিনি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সৃষ্টি করেছেন, তার মেধা, চিন্তা ও দক্ষতাকে মূল্যায়ন করা।
৩. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মালিককে সমাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া।
৪. তথ্যের উৎস সম্পর্কে জানা। পূর্বে এই বিষয়ে যিনি তথ্য দিয়েছেন, বর্তমানে এই বিষয়ে আরো তথ্য আছে কিনা, তা জানা।
শ্রেণিকার্যক্রম-৬
অনুশীলন
এখানে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চিহ্নিত করার অনুশীলন করব।
সেশন-৩
শ্রেণিকার্যক্রম-৭ : ‘গত সেশনে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধারণা পেলাম ও অনুশীলন করলাম। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের এই ধারণা আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকাটি তৈরি করতে অনেক সহায়তা করবে। এবার আমরা একটি খেলা খেলবো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধরনগুলো বোঝার জন্য। শিক্ষকের কাছ থেকে খেলার নামটি ও কীভাবে খেলতে হবে তা জেনে নিয়ে খেলা শুরু করি।
কাজের ধারা
১. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সম্পর্কে জানা।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধরণ সম্পর্কে জানা।
নমুনা খেলা
খেলার নাম “ট্রেজার হান্ট”।
শ্রেণি শিক্ষক আমাদের পূর্বের সেশনে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। তাই আমরা এখন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ নিয়ে দলগতভাবে খেলাটি খেলবো। তাই শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে নিম্নে খেলার কৌশলটি উল্লেখ করা হলো-
১. স্যারের দেওয়া কিছু শব্দের নাম (বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের নাম) আমরা এক একটি চিরকুটে লিখবো। এরপর চিরকুটগুলো একটি বক্সে নিয়ে এলোমেলোভাবে নাড়াচড়া করবো।
২. এরপর প্রত্যেক দলের সদস্য নিজেদের মতো করে একটি করে চিরকুট উঠাবো।
৩. আমরা সবাই যার যার চিরকুটে যা পেয়েছি তা চিরকুটের পাশে চিহ্ন হিসেবে নিজের নাম লিখবো এবং চিরকুটে লেখা বিষয়টি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কিনা সেটিও লিখবো।
৪. এরপর দল নেতার মাধ্যমে শিক্ষকের কাছে চিরকুটটি জমা দিবো।
৫. এরপর শিক্ষক, এক একটি চিরকুট খুলে যার নাম পাবে তাকে চিরকুটের লেখা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদটির সম্পর্কে বলার জন্য নির্দেশ দিবেন।
শ্রেণিকার্যক্রম-৮
আমরা শিক্ষকের কাছে খেলার নামটি ও কীভাবে খেলতে হবে তা জেনে নিই। এখন কিছু চিরকুট তৈরি করবো এবং কী কী চিরকুট খুঁজে বের করতে পেরেছি তা নিচের চিরকুটগুলোর পাশে লিখি। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাগজ সংযুক্ত করতে পারি।
শ্রেণিকার্যক্রম-৯
এবার নিচের বইয়ে লিখি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের কয়টি ধরন আমাদের প্রতিবেদনে আছে।
কাজের ধারা
১. সেশন-১ এর “আমার জীবনে প্রথম কম্পিউটার ব্যবহার” প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জানা।
২. প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের নামগুলো সম্পর্কে জানা।
নমুনা উত্তর
সেশন-১ এর প্রতিবেদনে যে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- কম্পিউটার, মনিটর, সিপিইউ, মাউস, কীবোর্ড, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল এবং ইন্টারনেট ব্রাইজার সফটওয়্যার ইত্যাদি। অর্থাৎ প্রতিবেদনটিতে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেগুলো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও সফটওয়্যার।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস
ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে কম্পিউটারের আবিষ্কারক হচ্ছেন ইংরেজ গণিতবিদ ও প্রকৌশলী চার্লস ব্যাবেজ। তিনি তার চিন্তা, চেতনা, দক্ষতা দিয়ে সর্বপ্রথম ডিফারেন্স ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন। তার ডিফারেন্স ইঞ্জিনের মাধ্যমে আজকে আমরা আধুনিক কম্পিউটার হাতে পেয়েছি।
সফটওয়্যার
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট, মাইক্রোসফট এক্সেল এবং ইন্টারনেট ব্রাইজার হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। এগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এবং মাইক্রোসফট এক্সেল বিল গেটস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি মাইক্রোসফটের তৈরি।
আরো পড়ো → সমস্যা দেখে না পাই ভয়, সবাই মিলে করি জয়
সেশন-৪
শ্রেণিকার্যক্রম-১০
গত সেশনে খেলার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ খুঁজে পেয়েছি এবং ধারণা পেয়েছি। এখন এসব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহারের জন্য আমাদের কী করা উচিত তা নিচে লিখি।
কাজের ধারা
১. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সম্পর্কে জানা;
২. গত সেশনের খেলার সময় খুঁজে পওয়া বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদগুলো চিহ্নিত করা।
নমুনা উত্তর
গত সেশনে খেলার সময় আমরা যে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদগুলো খুঁজে পেয়েছিলাম তা হলো-
চিত্রকর্ম, সফটওয়্যার, পত্রিকা, সূত্র, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার প্রভৃতি।
এসব সম্পদ ব্যবহারের সময় আমাদের অবশ্যই স্বত্বাধিকারীদের প্রাপ্য মূল্যায়ন দিতে হবে। কোথাও এইসব সম্পদ ব্যবহার করলে এর দ্রষ্টার নাম উল্লেখ করতে হবে। এই সম্পদের কোন কিছু কপি করা যাবে না। যদি কেউ তা করে, তবে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শ্রেণিকার্যক্রম-১১
এবার চলো আমরা আরও একটি অনুশীলনী করি। যদি আমরা স্বত্বাধিকারীর নাম না ব্যবহার করি, তাহলে স্বত্বাধিকারী ব্যক্তির কী ক্ষতি হতে পারে। পাশে বসে থাকা সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিচের ঘরে আমরা আমাদের অনুমানগুলো লিখি।
কাজের ধারা
১. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বত্বাধিকারীর ধরণ সম্পর্কে জানা।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বত্বাধিকারীর ক্ষতির ধরণ সম্পর্কে জানা।
নমুনা ঘর
সেশন-৫
শ্রেণিকার্যক্রম-১২
এবার আমরা বিদ্যালয় পত্রিকাটি তৈরি করবো। পত্রিকাটি তৈরি করার জন্য এই অভিজ্ঞতার শুরুতে আমরা যে দলে ভাগ হয়ে থিম/বিষয় নির্ধারণ করেছিলাম, সে দলের সদস্যরা একসঙ্গে বসবো এবং নিজেদের তৈরি করা প্রতিবেদন দিয়ে একটি বিদ্যালয় পত্রিকা বানাবো। এরপর বিদ্যালয় পত্রিকার প্রথম পাতাটি নিচে প্রদর্শন করবো।
কাজের ধারা
১. পত্রিকা তৈরির নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানা।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও স্বত্বাধিকারীর নাম সম্পর্কে জানা।
৩. পত্রিকা তৈরিতে যে বিষয়গুলো জানা দরকার তা জানা।
নমুনা বিদ্যালয় পত্রিকা