সমস্যা দেখে না পাই ভয়, সবাই মিলে করি জয় হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি বই এর শিখন অভিজ্ঞতা। সমস্যা দেখে না পাই ভয়, সবাই মিলে করি জয় অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
সমস্যা দেখে না পাই ভয়,
সবাই মিলে করি জয়
শ্রেণিকার্যক্রম-১
একক কাজ: আমরা মানুষেরা প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই। এবার ক্লাসে আমরা শিক্ষার্থীরা পাশের বন্ধুর সাথে আলোচনা করে সবাই মিলে দৈনন্দিন জীবনের ১০টি সমস্যা খুঁজে বের করবো, যে সমস্যাগুলো আমরা গত এক সপ্তাহে অভিজ্ঞতা করেছি।
কাজের ধারা
১. ক্লাসে পাশের বন্ধুর সাথে আলোচনা করবো।
২. আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া সমস্যা নিয়ে কথা বলবো।
৩. কোন সমস্যাগুলো আমাদের প্রায় প্রতিদিন সহ্য করতে হয় তা চিহ্নিত করবো।
১০টি সমস্যার নমুনা তালিকা
শ্রেণিকার্যক্রম-২
তোমার সুবিধার জন্য নিচে একটি সারণি বানিয়ে দেওয়া হলো যেটিতে তুমি একজনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। (সারণি: ১.১)
কাজের ধারা
১. সারণির প্রশ্নগুলো মনোযোগ দিয় লক্ষ্য করতে হবে।
২. প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যেই আছে।
৩. সম্ভাব্য উত্তর থেকে সঠিক উত্তরটি সারণিতে লিখি।
নমুনা সারণি
শ্রেণিকার্যক্রম-৩
এবার আমরা নিজেরা কিছু সমস্যা চিহ্নিত করি, যেগুলো সমাধানের জন্য আমাদের তথ্যের প্রয়োজন এবং সেগুলোর জন্য উপযুক্ত উৎস কী হতে পারে তা লিখি। (সারণি: ১.২)
কাজের ধারা
১. সারণিটি পূরণ করতে আমরা তথ্যের উৎস সম্পর্কে পূর্ববর্তী শ্রেণিকার্যক্রমের জ্ঞান কাজে লাগাবো।
২. প্রয়োজনীয় সহপাঠি ও শিক্ষকের সাহায্য নিবো।
৩. অধিক অনুশীলনের জন্য আরো কিছু সমস্যার অনুশীলন করবো।
নমুনা সারণি
শিক্ষকের সহায়তায় উপরের সারণিটি পূরণ করে এবং ক্লাসের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের সাথে আলোচনা করে আমরা বুঝতে পারি যে সমস্যা বা প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের ভিন্ন ভিন্ন তথ্যের প্রয়োজনও হয় বিভিন্ন।
তথ্যের জন্য উৎসও হয় ভিন্ন ভিন্ন। যেমন: ‘আমার ক্লাসে গতকাল কোন কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো’ -এই তথ্যের জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খাতা দেখতে হবে বা শ্রেণি শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে যে গতকাল কারা কারা অনুপস্থিত ছিলো। অর্থাৎ এখানে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের নামগুলো হলো তথ্য আর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খাতা বা শ্রেণি শিক্ষক হলেন তথ্যের উৎস।
শ্রেণিকার্যক্রম-৪
- এবার সবাই মিলে ঘরটি পূরণ করি।
ঘর: ১.২
শ্রেণিকার্যক্রম-৫
বাড়ির কাজ: গতদিন বাড়ীর কাজ হিসেবে আমরা যে সমস্যাটি খুঁজে বের করেছিলাম, তা সমাধানের জন্য তথ্যের উৎস (পত্রিকা/ টেলিভিশন/ ইন্টারনেট/ বই/ কোন ব্যক্তি ইত্যাদি) কী হতে পারে তা খুঁজে নিয়ে আসব।
কাজের ধারা
১. সমস্যা নিয়ে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে আলোচনা করব।
২. তথ্যের উৎস খুঁজতে অনেকের সাক্ষাৎকার নিবো।
৩. খুঁজে পাওয়া তথ্য তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ করে রাখবো।
নমুনা উত্তর
আগের সেশনে আমরা যে সমস্যাটি খুঁজে বের করেছিলাম, তা হলো-
“করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কী কী ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক উপায়গুলো কী কী?”
এখন এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কী কী তথ্যের প্রয়োজন হবে তা আগে নির্ধারন করতে হবে। তারপর সেই তথ্যের উৎস বের করতে হবে। উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের যে সকল তথ্যের প্রয়োজন হবে-
- করোনা ভাইরাস কী?
- করোনা ভাইরাস কীভাবে মানুষকে আক্রান্ত করে?
- করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা কী?
- করোনা ভাইরাস থেকে প্রতিকারের সঠিক উপায় কী?
- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিষেধক টিকা নেয়া গুরুত্বপূর্ন কেন?
- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা কিভাবে মানুষকে সচেতন করতে পারি?
এখন আমরা এই তথ্যগুলোর উপযুক্ত উৎস খুঁজে বের করব। আমরা এটি ছকের মাধ্যমে উপস্থাপন করব।
শ্রেণিকার্যক্রম-৬
নিম্নের সারণিটি পূরণ করার লক্ষ্যে আমরা একটি দল গঠন করেছি। আমাদের দলের প্রত্যেক সদস্যের বাসায় ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় শ্রেণি শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে “করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কী কী ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক উপায়গুলো কী কী” বিষয়বস্তুটি সমাধানের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম।
এখন আমরা নিজের দলের জন্য নিচের ছকটি পূরণ করি: (সারণি: ১.৩)
কাজের ধারা
১. দলের সবাই মিলে আলোচনা করে কাজ ভাগ করে নেবো।
২. কাজ করার প্রক্রিয়া নিয়ে নিজেরা আলোচনা করব।
৩. নিজেদের আলোচনার ফলাফল আমরা সারণিতে লিখবো।
নমুনা ছক
শ্রেণিকার্যক্রম-৭
যখন কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তি, বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী বা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নেওয়ার জন্য তার সাক্ষাৎকার নেব তখন তার গোপনীয়তার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখব।
কাজের ধারা
১. আমরা একজন ডাক্তারের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তাই প্রথমেই তার অনুমতি নিয়ে নিয়েছি।
২. যে প্রশ্নগুলো আমরা করব তা আগেই ঠিক করে নিয়েছি।
৩. সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় উত্তর প্রদানকারীকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছি যেনো তিনি সঠিকভাবে তার উত্তরটি দিতে পারেন।
নমুনা সাক্ষাৎকার
প্রথমে ডাক্তারের কাছ থেকে অনুমতি নেব যে তিনি তথ্য দিতে/কথা বলতে ইচ্ছুক কি না।
তিনি ইচ্ছুক হলে, তাকে নিশ্চয়তা দেবো যে তার নাম ও পরিচয় চাইলে গোপন রাখতে পারেন। তাকে জিজ্ঞেস করব তার নাম ও পরিচয় গোপন রাখতে চান কি না। যদি গোপন রাখতে চান, তাহলে তার উদ্ধৃতি/কথা/বক্তব্যটি লেখা, বলা বা প্রকাশ করার সময় আমি এভাবে উপস্থাপন করব- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেছেন…
শ্রেণিকার্যক্রম-৮
বাড়ির কাজ: আমরা দলে বসে কিছু তথ্য শ্রেণিকক্ষেই হয়তো সংগ্রহ করেছি। বাড়ির কাজ হিসেবে আমরা দলের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে নিব কে কোন অংশের তথ্য এবং সে অনুযায়ী আগামী দিন আমরা তথ্য আসবো।
কাজের ধারা
১. আমরা করোনা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার আসল তথ্য খুঁজে বের করব।
২. আমরা এক একজন এক একটি ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে কাজ করব।
৩. অভিজ্ঞ লোকজনের কাছে প্রশ্ন করে আমরা আমাদের কঙ্ক্ষিত তথ্যগুলো খুঁজে নেব।
ভ্রান্ত ধারণার তথ্য খুঁজে বের করার নমুনা
এখানে তিনটি ভ্রান্ত ধারণার তথ্য খুঁজে বের করার নমুনা নিচে দেওয়া হলো। তথ্যগুলো সম্পর্কে আমরা ডাক্তারের সাহায্য নিয়েছি। আমরা সারণি ১.৩ এর জন্য যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছিলাম অর্থাৎ “করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা”, এখন ধারণাগুলো নিয়ে দলের প্রতিটি সদস্য এক একটি ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর বের খুঁজে বের করে নিয়ে আসবে।
প্রথম সদস্য : করোনা ভাইরাস চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোনো ঔষধ আছে কী?
উত্তর: আমি একজন ডাক্তারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোন ঔষধ তৈরি হয়নি। তবে চিকিৎসার জন্য ট্রায়াল কিছু মেডিসিন দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় সদস্য: অ্যান্টিবায়োটিক কী নভেল করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা বা প্রতিরোধী কার্যকরী?
উত্তর: আমার এলাকার ইউনিয়ন কমিউনিটি ডাক্তারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
তৃতীয় সদস্য: রসুন খাওয়া কী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করবে?
উত্তর: আমার চাচা একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, আমি তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রসুন কার্যকর- এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে রসুন একটি উপকারি খাবার, যার কিছু জীবাণুনাশক গুণাগুণ রয়েছে।
শ্রেণিকার্যক্রম-৯
সারণি: ১.৪
আমাদের তথ্য যাচাই হয়ে গেলে নিচের সারণিটি পূরণ করি-
যে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম
………………………………….
যাচাইয়ের পর যা পেলাম
………………………………….
কাজের ধারা
১. আমরা পূর্বের সেশন-৩ এর সারণিতে যে সমস্যাটি বাছাই করেছিলাম তা হলো- “করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা”। উক্ত সমস্যার ব্যাপারে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
২. তথ্যগুলো যাচাই করার জন্য আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করেছি।
৩. নিচে যাচাই করা তথ্যগুলো উল্লেখ করা হলো-
নমুনা সারণি
শ্রেণিকার্যক্রম-১০
কীভাবে আমাদের তথ্যটি যাচাই করেছি।
কাজের ধারা
১. “গৃহপালিত প্রাণী করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে” এই তথ্যটি কীভাবে যাচাই করবো।
২. আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে পারি দুইভাবে। যথা- ১. জড় মাধ্যম (ইন্টারনেট) ও ২. মানবীয় মাধ্যম (ডাক্তার)।
৩. নিম্নে দুটি মাধ্যম থেকে তথ্য যাচাইয়ের নমুনা দেখানো হলো-
নমুনা যাচাই পদ্ধতি
শ্রেণিকার্যক্রম-১১
বিগত সেশনগুলোতে আমরা যে সমস্যা নিয়ে কাজ করছিলাম তা হলো-
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কী কী ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক উপায়গুলো কী কী?
আমরা এর সমাধান বের করেছি। আমরা সমাধানটি ক্লাসে সকলের সমাধান উপস্থাপন করবো।
কাজের ধারা
১. আমরা আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাপ্ত তথ্যের উৎস এবং সেই তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আগের সেশনগুলোতে জেনেছি।
২. আমাদের নির্ধারিত সমস্যা সম্পর্কে আমরা পূর্বেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
৩. তথ্য যাচাইয়ের পরে সঠিক তথ্যগুলো আমরা উপস্থাপন করবো।
নমুনা উপস্থাপন
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কী কী ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক উপায়গুলো-
দলের নাম: পদ্মা
নির্ধারিত সমস্যা: করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক উপায়।
করোনা ভাইরাস নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
আমরা ইতিপূর্বে করোনা ভাইরাসের ভ্রান্ত ধারণাগুলো জেনেছি। এখন আমরা প্রতিরোধ সম্পর্কে জানবো।
করোনা ভাইরাস থাকে বাঁচার উপায়
- জ্বর বা কাশি হলে অন্যদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে।
- হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু না থাকলে কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢাকি।
- বারবার সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করি।
- মাছ-মাংশ ভালোমতো সিদ্ধ করে রান্না করি।
- ব্যবহারের পরে টিস্যু ঢাকনাযুক্ত বিনে ফেলি এবং হাত ধুয়ে ফেলি।
- অপ্রয়োজনে মুখ, চোখ ও নাক স্পর্শ না করি।
- হাঁচি-কাশি হলে মাস্ক ব্যবহার করি।
- জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেই।
- হাঁচি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকি।
মূল্যায়ন ছক
দলীয় উপস্থাপনের জন্য মূল্যায়ন ছকটি শিক্ষক সরবরাহ করবেন। উপস্থাপন শেষ হলে একটি দল অন্য একটি দলকে তাদের উপস্থাপনার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করবে। নিচে একটি নমুনা মূল্যায়ন ছক দেয়া হলো-
শ্রেণিকার্যক্রম-১২
বিগত সেশনগুলোতে আমরা যে সমস্যা নিয়ে কাজ করছিলাম তা হলো-
“করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কী কী ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক উপায়গুলো কী কী?”
আমরা এর সমাধান বের করবো।
সমাধানটি আমরা একটা সচেতনতামূলক পোস্টার বানিয়ে উপস্থাপন করবো।
কাজের ধারা
১. পোস্টারটি করার জন্য আমরা উপকরণ আগেই সংগ্রহ করবো।
২. আঁকাআঁকি করতে পারে এমন সহপাঠিদের দিয়ে পোস্টারটি আঁকবো।
৩. সবাই মিলে পোস্টারটি উপস্থাপন করব।
নমুনা পোস্টার
পোস্টারটি আমরা শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দিব। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা সচেতন হবে। ফলে উপস্থাপনটি মজার এবং কার্যকর হবে।
শ্রেণিকার্যক্রম-১৩
গত ৬/৭ টি সেশনে আমাদের অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হলো এবং এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নতুন অনেক কিছু জানতেও পারলাম। এবার আমরা সব বন্ধুরা মিলে খুঁজে বের করবো আমাদের নতুন কী অভিজ্ঞতা হলো এবং সেই অভিজ্ঞতা আমরা আমাদের জীবনে কীভাবে কাজে লাগাব। এটি হবে আমাদের নিজেদের জন্য নিজেদের তৈরি নির্দেশিকা।
এক্ষেত্রে একজন/দুইজন দায়িত্ব নেব সবার মতামতগুলো বোর্ড, ফ্লিপচার্ট বা একটি কাগজে লিখতে। আলোচনার সুবিধার জন্য কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো- (সারণি ১.৫)।
কাজের ধারা
১. আগের সেশনগুলোর কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমরা সারণিটি পূরণ করব।
২. সহপাঠিদের সাথে আলোচনা করে আমরা তথ্য দিবো।
৩. এটা যেহেতু নির্দেশিকা তাই তা বাস্তবসম্মত তথ্য দিয়ে পূরণ করব।
নমুনা সারণি
শ্রেণিকার্যক্রম-১৪
এই সেশনে আমরা বিগত ৭টি সেশনে যা শিখেছি সেগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করব। এর জন্য আমরা পাঠ্যপুস্তকের সারণি ১.৫ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ করণীয়গুলো ছকে লিখবো।
১.৫ নং সারণি পূরণের সময় শিক্ষক যে যে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে পারেন-
১. তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কার্যকরী উপায় কী?
২. কোন কোন উৎসের তথ্য সহজেই বিশ্বাস করা যাবে না?
৩. তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের এর জন্য করণীয় কী কী?
৪. কোন তথ্য অন্যের সাথে শেয়ার করার আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করা উচিৎ?
৫. তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সোর্স/উৎস-এর উল্লেখ কেন প্রয়োজন?
৬. অন্যের দেওয়া একটি তথ্য শেয়ার করতে তার অনুমতি কেন প্রয়োজন?
শ্রেণিকার্যক্রম-১৫
আমরা শ্রেণিকক্ষে আলোচনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভুল সংশোধনের অনেক উপায় বের করে ফেলেছি। এবার আমরা তথ্য যাচাই এবং এর দায়িত্বশীল ব্যবহার নিয়ে সবাই মিলে একটি পোস্টার তৈরি করব।
পোস্টারে আমরা গুরুত্ব দেবো-
১. তথ্য সংগ্রহের সময় যা করা উচিৎ এবং যা উচিৎ না।
২. তথ্য ব্যবহারের সময় যা করা উচিৎ এবং যা উচিৎ না।
কাজের ধারা
১. এখন আমরা দলগতভাবে ভাগ হয়ে নিচের পোস্টারটি তৈরি করলাম এবং তা শ্রেণিকক্ষে সংরক্ষণ করে রাখলাম।
২. পোস্টার তৈরিতে আমরা আগের সেশন থেকে জানা জ্ঞান কাজে লাগালাম।
নমুনা পোস্টার