টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি – সমাধান | (শিল্প ও সংস্কৃতি) ৬ষ্ঠ
টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি – সমাধান | (শিল্প ও সংস্কৃতি) ৬ষ্ঠ শ্রেণী। টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিল্প ও সংস্কৃতি বই এর ৮ম অধ্যায়। টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি – সমাধান | (শিল্প ও সংস্কৃতি) ৬ষ্ঠ
কাজ-১: ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কালো রঙের কাগজ অথবা কাপড়ের ব্যাজ তৈরি ও পরিধান করো।
কাজের ধরন : দলীয় কাজ।
নমুনা সমাধান
শোকের প্রতীক হিসেবে ব্যাজ তৈরি করতে হবে। এর জন্য কালো কাপড়, কাগজ বা কালো রং করা সাধারণ কাগজ নিয়ে তাকে ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ১ ইঞ্চি প্রস্থে কেটে নেই এবং পিন দিয়ে বুকের বা পাশে পরিধান করি। চাইলে কালো ফিতাও ব্যবহার করা যায়।
কাজ-২: বঙ্গবন্ধুর শৈশব কৈশোরের উপর ভিত্তি করে বন্ধু খাতায় লেখো।
কাজের ধরন: একক কাজ।
নমুনা সমাধান
বঙ্গবন্ধুর শৈশব কৈশোরের উপর ভিত্তি করে গল্প:
কিশোর বঙ্গবন্ধু
ছাত্র অবস্থায় কাজী আবদুল হামিদ নামে একজন মাস্টার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর। হামিদ সাহেব পড়ানোর পাশাপাশি গরিব ছাত্রদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ গড়ে তুলেন। যেসব গরিব ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার সঙ্গতি ছিল না তাদের জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে চাল সংগ্রহ করা হতো। সেই চাল বিক্রি করে গরিব ছেলেমেয়েদের বই-খাতা কিনে দিয়ে সাহায্য করা হতো। তবে দুর্ভাগ্যবশত হঠাৎ করেই শিক্ষক কাজী আবদুল হামিদ মারা যান। তবে তার শিষ্য মুজিব অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে সমিতির কাজ চালিয়ে যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাঝে সাহস, গরিবের জন্য দরদ, নেতা হওয়ার গুণ এবং দায়িত্ব পালনের প্রবল নিষ্ঠা সেই কিশোরকাল থেকেই উপস্থিত।
কাজ-৩: বঙ্গবন্ধু ও ১৫ই আগস্ট নিয়ে মনের মতো ছবি আঁকো।
কাজের ধরন: একক কাজ।
নমুনা সমাধান

কাজ-৪: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান পরিবেশনের জন্য একক বা দলগতভাবে অনুশীলন করো।
কাজের ধরন: দলীয় কাজ।
নমুনা সমাধান
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান পরিবেশনের জন্য নিম্নের গানটি দলগত অনুশীলন করতে পারি। যেমন:
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই!
যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো
বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা,
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা। [সংক্ষিপ্ত]
কাজ-৫: দলগত অভিনয়ের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের মূলভাবকে তুলে ধরো।
কাজের ধরন: দলীয় কাজ।
নমুনা সমাধান
দলগত অভিনয়ের মাধ্যমে আমরা জাতীয় শোক দিবসের মূলভাবকে নিজেদের মতো তুলে ধরতে পারি। এক্ষেত্রে নিচের ধাপসমূহ অনুসরণ করতে পারি। যেমন:
ধাপ-১: শ্রেণিকক্ষের বন্ধুরা মিলে কয়েকটি ছোট ছোট দলে বিভক্ত হবো।
ধাপ-২: অভিনয় করার জন্য শ্রেণিকক্ষের টেবিলগুলোকে এক করে মঞ্জু তৈরি করবো।
ধাপ-৩: ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু সহ সপরিবারকে হত্যার নির্মম ঘটনা সম্পর্কে জেনে বন্ধুরা একসাথে হয়ে চরিত্রগুলো ভাগ করে নিবো। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে বঙ্গবন্ধুর মতো করে চশমা, পাঞ্জাবী পরিধান করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সন্তান-সন্ততি, স্ত্রী, মিলিটারি বাহিনী ইত্যাদি চরিত্রগুলো নির্ধারণ করে অনুশীলন করতে হবে।
ধাপ-৪: শ্রেণিকক্ষকে ঘর-বাড়ির আকারে সাজিয়ে সকলকে প্রায় নিদ্রারত দেখাতে হবে। এবার মিলিটারি বাহিনী বাড়িতে প্রবেশ করে একে একে পরিবারের সদস্যদের গুলি ছুঁড়তে থাকবে। মৃত্যু বোঝাতে মঞ্চে লাল রঙের আভাস ফুটিয়ে তুলতে হবে। লাল রক্তের জন্য মঙ্গে লাল আলো ব্যবহার করব অথবা লাল রং।
আরো পড়ো → আত্মার আত্মীয়
আরো পড়ো → বৃষ্টি ধারায় বর্ষা আসে
কাজ-৬: ‘টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি’ অধ্যায় সম্পর্কে তোমার অনুভূতি লেখো।
কাজের ধরন: একক কাজ।
নমুনা সমাধান
আমার অনুভূতি
এই অধ্যায়ে মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ‘খোকা’ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে শ্রেণিশিক্ষক আমাদের বিস্তারিত ধারণা দিয়েছেন। গ্রামের একজন সাধারণ বালক খোকার বাঙালি জাতির মহানায়ক হয়ে ওঠার যাত্রাপথ নিঃসন্দেহে সব মানুষের জন্য অনুসরণীয় এবং উৎসাহের উৎস। ছোট খোকা বাল্যকাল থেকেই সেভাবে মানুষের কল্যাণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন, তা জেনে আমিও মানুষের সেবা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। অধ্যয়টি পড়ে আমি বঙ্গবন্ধুর অদম্য সাহস, সীমাহীন আত্মত্যাগ, নির্ভীক নেতৃত্ব আর গভীর দেশপ্রেম সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
আমি বুঝতে পেরেছি যে, এসব গুণের কারণেই তিনি খোকা থেকে মহানায়ক হয়ে উঠেছিলেন। আমিও আমার চরিত্রে এসব গুণের সমন্বয় ঘটাতে চাই। অবশেষে ঘৃণা জানাই স্বাধীনতার সেসব পরাজিত শত্রুদের, যারা নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। স্বাধীনতার শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবে হত্যা করতে পারলেও তাঁর আদর্শকে ধ্বংস করতে পারেনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।