বাংলাদেশের ম্যাচ হারার ৫ কারণ?

বাংলাদেশের ম্যাচ হেরেছে আফগানিস্তানের সাথে। প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ হেরে যাবে সেই ভাবনা ভাবলেও আফগানিস্তান যখন ১৫ ওভার খেলে ফেললো তখনও একটা বড় আশা ছিল বাংলাদেশ জিতার। কিন্তু বাংলাদেশ পারলো না।

বাংলাদেশের ম্যাচ হারার কারণটা কি? এমন ৫ টি কারণই আজ আলোচনা হবে৷

নাম্বার ৫-
ওপেনিং এর যাচ্ছেতাই অবস্থা। বিজয় ও নাইম শেখ অনেক অভিজ্ঞ প্লেয়ার৷ নাইম শেখ ২০১৯ এ টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে বিজয়ের ২০১২ তে। নাইম শেখকে সিনিয়র না বললেও বিজয়কে সিনিয়র না বলার কোনো ওয়ে নেই। ম্যাচে নাইম ও বিজয়ের রান, ৬ ও ৫। তাদের দুজনের স্ট্রাইক রেইটই আশানুরূপ থেকেও নিচে। টি-টোয়েন্টিতে ৭৫ ও ৩৫ স্ট্রাইক রেইটে ওপেনিং ব্যাটসম্যানের খেলা কি হারের একটা কারণ না?

নাম্বার ৪-
টপ অর্ডারের বেহাল দশা। বাংলাদেশের প্রথম ৪ উইকেট পড়েছে ৭,১৩,২৪ ও ২৮ রানে। টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানের রান, ৬,৫,১,১১। ২ ডিজিট রান করেছেন শুধুমাত্র সাকিব আল হাসান। আর এই ৪ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ২ জনেরই স্ট্রাইক রেইট ৫০ এর নিচে। বাকি দুজনের একজনের ৭৫ ও সাকিবের ১২২। টপ অর্ডারের এই ধ্বস বাংলাদেশ হারার আরেকটি কারণ নয় কি?

পড়ুন – এশিয়া কাপ স্কোয়াড ২০২২

নাম্বার ৩-
বাজে ফিল্ডিং। এই কথা না বাড়াই আর। ফিল্ডিং বাজে করার ট্রেন্ডই হয়ে গিয়েছে এখন বাংলাদেশের।

নাম্বার ২-
পেস বোলিং এর বেহাল দশা। ৩ জন পেসার ছিলেন দলে। যার মধ্যে তাসকিনের দলে থাকা নিয়েই ছিলো সঙ্কা। সেই তাসকিনই বাকি দুই পেসারের থেকে ভালো এভারেজে বল করেছেন৷ যদিও সেটা এতোটা বেশি ভালো না তবুও বাকি দুইজনের এভারেজ যখন ১০ এর উপর তখন তাসকিনের এভারেজ ছিলো ৭.৩৩।

নাম্বার ১-
মুস্তাফিজ। বিশ্বাস না করলেও এইটাই সত্যি। মুস্তাফিজের সেই ১৭ তম ওভারে ১৭ রান দেওয়াই আমরা হেরে গিয়েছিলাম। ১৭ রানের তার মধ্যে ২ টাই ওয়াইড। এই দুই ওয়াইড কেনো দিবেন মুস্তাফিজ? আর এই গুরুত্বপূর্ণ ওভারে কেনো ১৭ রান দিবেন উনি? উনার থেকে এই ওভারে ১৭ রান কারোই আশার না। এর পরের ওভারে সাইফুদ্দিন এসে আবার ষোলকলা পূর্ণ করলেন। দুই ছক্কা ২ চার খেলেন। ম্যাচ শেষ।

লাস্ট ম্যাচ শ্রীলঙ্কার সাথে। যা না জিতলে বাংলাদেশ এশিয়াকাপের মূল পর্বেই উঠতে পারবে না।

লিখেছেন-
অসীম দেব
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
স্পোর্টস রাইটার, স্টাডিআওয়ার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *