বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন

(সাহিত্যপাঠ) এইচএসসি: বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন হচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সাহিত্যপাঠের গল্প। বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন গল্প থেকে বাছাইকৃত সেরা ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এবং অনুশীলনের জন্য আরো ৫টি সৃজনশীলসহ মোট ১০টি সৃজনশীল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : টেনমিনিট স্কুল অনলাইনে তুমুল জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। নানারকম শিক্ষামূলক কন্টেন্ট তৈরি করে তারা জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থী ও মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে। অনলাইনে অযথা সময় নষ্ট না করে কীভাবে সময়টাকে নিজেকে গড়ার কাজে লাগানো যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে টেনমিনিট স্কুল। মানুষের উন্নতির জন্য সৃজনশীল কন্টেন্ট তৈরি করায় তারা যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তেমনি নিজেরাও স্বাবলম্বী হয়েছে।

ক. সৌন্দর্য সৃষ্টি ও মানবমঙ্গল ব্যতীত যারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন তাঁদেরকে লেখক কেমন ব্যবসায়ীদের সাথে তুলনা করেছেন?
খ. ‘অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী-ধারণ মহাপাপ’— এখানে ‘অন্য উদ্দেশ্য’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের টেনমিনিট স্কুল ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার সঙ্গে কীরূপ সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে তা আলোচনা করো।
ঘ. ‘মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে’- মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. সৌন্দর্য সৃষ্টি ও মানবমঙ্গল ব্যতীত যাঁরা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন লেখক তাঁদের যাত্রা ব্যবসায়ের মতো নীচু শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সাথে তুলনা করেছেন।

খ. আলোচ্য উক্তিটিতে লেখক ‘অন্য উদ্দেশ্য’ বলতে মূলত ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার এবং মানুষের জন্য হানিকর কর্মকাণ্ডকে বুঝিয়েছেন। সাহিত্যের আসল উদ্দেশ্য সৌন্দর্য সৃষ্টি এবং মানবমঙ্গল। এছাড়া অন্য কোনো লক্ষ্য নিয়ে লিখতে যাওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মত দিয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির লোভে সাহিত্য রচনায় ব্রতী হয়। কিন্তু এ উদ্দেশ্যে লিখতে গেলে তা মানবপীড়নের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সৌন্দর্য সৃষ্টি বা মানবকল্যাণের লক্ষ্য ব্যতীত ভিন্ন কোনো লক্ষ্য নিয়ে সাহিত্য রচনার উদ্যোগসমূহকে লেখক ‘অন্য উদ্দেশ্য’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. সাহিত্যের মধ্য দিয়ে সত্য ও সুন্দরের চর্চার দিকটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : অন্তরে আর বাহিরে সমান নিত্য প্রবল হও!
যত দুর্দিন ঘিরে আসে, তত অটল হইয়া রও!
যত পরাজয় ভয়-আসে, তত দুর্জয় হয়ে ওঠো।
মৃত্যুর ভয়ে শিথিল যেন হয় তলোয়ার-মুঠো ।
সত্যের তরে দৈত্যের সাথে করে যাও সংগ্রাম,
রণক্ষেত্রে মরিলে অমর হইয়া রহিবে নাম।

ক. বঙ্কিমচন্দ্র বিদ্যা জাহিরের চেষ্টাকে কী বলে মনে করেছেন?
খ. ‘অনুকরণে দোষগুলি অনুকৃত হয়, গুণগুলি হয় না ব্যাখ্যা করো।
গ. সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য বক্তব্যটির সঙ্গে উদ্দীপকের শেষ দুই চরণের সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার স্বার্থতাড়িত লেখা পরিহারের আবেদন কবিতাংশের অন্তরে আর বাহিরে সমান নিত্য প্রবল হও!’— আহ্বানকে। উচ্চকিত করে কি? তোমার মতামত দাও।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. বঙ্কিমচন্দ্র বিদ্যা জাহিরের চেষ্টাকে নিন্দনীয় বলে মনে করেছেন।

খ. অনুকরণপ্রিয়তার নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরতে গিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
অনেক নবীন লেখকই প্রতিষ্ঠিত লেখকদের অনুকরণে সাহিত্য রচনা করতে চায়। এর ফলে তারা প্রতিষ্ঠিত লেখকের রচনার দোষ ত্রুটিগুলো সহজে আয়ত্ত করে। গুণগুলো উপেক্ষিতই রয়ে যায়। অনুকরণবৃত্তির এটিই বৈশিষ্ট্য। অনুকরণ করতে গেলে অন্যের ত্রুটিগুলোই বেশি আকর্ষণ করে। বঙ্কিমচন্দ্র অনুকরণবৃত্তির এ সমস্যাটি নির্দেশ করেছেন প্রশ্নোক্ত কথাটির মাধ্যমে।

গ. সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করার স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : মানুষের মনকে সবল সচল সরাগ ও সমৃদ্ধ করবার ভার আজকের দিনে সাহিত্যের উপর ন্যস্ত হয়েছে। কেননা মানুষের দর্শন-বিজ্ঞান, ধর্ম-নীতি অনুরাগ-বিরাগ, আশা নৈরাশ্য, তার অন্তরের স্বপ্ন ও সত্য, এই সকলের সমবায়ে সাহিত্যের জন্ম। অপরাপর শাস্ত্রের ভিতর যা আছে, সে সব হচ্ছে মানুষের মনের ভগ্নাংশ; তবে পুরো মনটার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় শুধু সাহিত্যে।

ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন উপাধিতে ভূষিত হন?
খ. তবে অবশ্য লিখিবেন’— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় উল্লিখিত পরামর্শগুলোর কোনগুলো উদ্দীপকে দৃশ্যমান হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘সাহিত্য রচনায় লেখকের যত্নবান হওয়া প্রয়োজন তা উদ্দীপকে প্রচ্ছন্ন রয়েছে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘সাহিত্যসম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন।

খ. আলোচ্য উক্তিটিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সাহিত্য রচনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের উদ্দেশ্যই রয়েছে। অনেকে কেবল খ্যাতি, অর্থ বা অন্য কোনো স্বার্থোদ্ধারের আশায় সাহিত্য রচনা করেন। বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, খ্যাতি বা অর্থলাভ সাহিত্য রচনার মূল উদ্দেশ্য নয় এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে লিখতে চাওয়া মহাপাপের সমতুল্য। লেখার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কেবলই সৌন্দর্য সৃষ্টি বা মানবকল্যাণ। এ দুটি লক্ষ্যে কেউ, লিখতে চাইলে আলোচ্য কথাটির মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র তাকে উৎসাহিত করেছেন।

গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনা অনুসারে সরলতা ও অলংকারের যথাযথ প্রয়োগ প্রসঙ্গগুলো ব্যাখ্যা করো।

ঘ. প্রবন্ধে মানবকল্যাণে সাহিত্যের উপযোগিতা বিষয়ে লেখকের মতামত বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : লোক ঠকিয়ে টাকা লুটে নেওয়ার প্রতিযোগিতা দ্রব্যমূল্যের বাজার থেকে শুরু করে চিকিৎসাসেবায় হরদম চলছে। দেশসেবা বা মানবসেবায় নিয়োজিত অনেকেই মানুষকে জিম্মি করে টাকা বানানোর ধান্দায় আছে। এ টাকা বানানোর নেশা থেকেই দেশে মাদক ভয়াল থাবা বসাচ্ছে। নৈতিকতার এমন অবক্ষয়ের পেছনে আমাদের সমাজব্যবস্থাও দায়ী।

ক. কাব্য, নাটক, উপন্যাস দু-এক বছর ফেলে রেখে কী করলে তা বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করে?
খ. ‘যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না’- বঙ্কিমচন্দ্রের এ পরামর্শটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ‘টাকা বানানোর নেশা’ কথাটি ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটিকে প্রকাশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘অর্থের জন্য নৈতিকতা বিসর্জন নয়’ আহ্বান এবং ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের প্রত্যাশা একসূত্রে গাঁথা— বিশ্লেষণ করো।

৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. কাব্য, নাটক, উপন্যাস দু-এক বছর ফেলে রেখে তারপর সংশোধন করলে বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করে।

খ. লেখার উৎকর্ষ বৃদ্ধির জন্য সময় নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরতেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
নতুন একটি লেখা তৈরির পর তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা উচিত নয়। কেননা, সেটি কিছুদিন রেখে পুনরায় পড়লে তা থেকে নানা ধরনের ভুল-ত্রুটি আবিষ্কার করা যায়। তাছাড়া লেখকের পরিবর্তিত অভিজ্ঞতাও লেখায় সংযুক্ত করা সম্ভব হয়। এ কারণেই দেখা যায় কবিতা, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি দীর্ঘ সময় রেখে দিয়ে সংশোধন করলে সেগুলো বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করে। এ বিষয়টির অবতারণা করতেই বঙ্কিমচন্দ্র আলোচ্য কথাটি বলেছেন।

গ. সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো পরিহার করা উচিত তার স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে লেখকের গুণাবলির স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : প্রাঞ্জলতা রচনার বড় গুণ। তুমি যাহা লিখিবে লোকে পড়িবামাত্র যেন তাহা বুঝিতে পারে। যাহা লিখিলে, লোকে যদি তাহা না বুঝিতে পারিল, তবে লেখা বৃথা, কিন্তু অনেক লেখক এ কথা মনে রাখেন না।
অনর্থক কতকগুলো সংস্কৃত শব্দ লইয়া সন্ধি সমাসের আড়ম্বর করিও না- অনেকে বুঝিতে পারে না। যদি বলি ‘মীনক্ষোেভাকুল কুবলয়’ তোমরা কেহ কি সহজে বুঝিবে? আর যদি বলি, ‘মাছের তাড়নে যে পদ্ম কাঁপিতেছে’ তবে কে না বুঝিবে?

ক. সকল অলংকারের শ্রেষ্ঠ অলংকার কী?
খ. ‘তিনিই শ্রেষ্ঠ লেখক’- মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি প্রবন্ধের সমগ্রভাবের প্রতিনিধিত্ব করে কি? মতামত বিশ্লেষণ করো।

৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. সকল অলংকারের শ্রেষ্ঠ অলংকার সরলতা।

খ. যে লেখকের লেখা সকলেই বুঝতে পারে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চোখে তিনিই শ্রেষ্ঠ লেখক।
বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, সরলতা রচনার সেরা অলংকার। লেখকের যে কোনো ধরনের রচনা লেখার উদ্দেশ্য নিজের মনের ভাব পাঠকের সামনে তুলে ধরা। এক্ষেত্রে তাঁর উচিত নিজের লেখাকে যথাসম্ভব প্রাঞ্জল করে তোলা। তবেই তাঁর কথা সবার বোধগম্য হবে। সারল্যের গুণে যে লেখকের রচনা সকল পাঠক স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে বুঝতে পারে তাঁকেই শ্রেষ্ঠ লেখক বলে মনে করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আলোচ্য উক্তিটিতে তাঁর এই মনোভাবই প্রকাশিত হয়েছে।

গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধে বর্ণিত সারল্য গুণের বর্ণনা দাও।

ঘ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধের মূলভাব আলোচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : উদ্দীপক-১: বনের পরে বন চলেছে বনের নাহি শেষ
ফুলের ফলের সুবাস ভরা এ কোন পরীর দেশ?
নিবিড় ছায়ায় আঁধার করা পাতার পারাবার,
রবির আলো খণ্ড হয়ে নাচছে পায়ে তার।
উদ্দীপক-২: শতাব্দীলাঞ্ছিত আর্তের কান্না
প্রতি নিঃশ্বাসে আনে লজ্জা;
মৃত্যুর ভয়ে ভীরু বসে থাকা আর না
পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।

ক. এখন কোন উদ্দেশ্যে লিখতে গেলে লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হয়ে পড়ে?
খ. ‘বাঙ্গালা সাহিত্য, বাঙ্গালার ভরসা’— ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপক-১-এ ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় বর্ণিত সাহিত্যের কোন বৈশিষ্ট্যটি ফুটে উঠেছে?
ঘ. ‘উদ্দীপক-১ ও ২-এ সাহিত্য সৃষ্টির উদ্দেশ্য পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।’— প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ইতিহাসে সচরাচর শাসকদের বীরত্ব ও মহানুভবতার প্রাধান্য থাকে। তাদের লোভ, প্রতিহিংসা, শোষণ আর নিষ্ঠুরতার বহু কাহিনিই রয়ে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। কেননা, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইতিহাস রচিত হয়েছে শাসকদের আজ্ঞাবহ লেখকদের মাধ্যমে। বলা হয়ে থাকে বিজয়ীরাই সব সময় ইতিহাস লেখে।

ক. ‘কদাপি’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘কিন্তু আমাদের এখনও সেই দিন হয় নাই’— কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্য রচনার কোন নেতিবাচক দিকটির প্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে উদ্দীপকে চিহ্নিত ত্রুটিটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে’– প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : কল্পনা করার শক্তি আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে। আর এটাকে ধারালো করার জন্য প্রয়োজন অনুশীলন। সৃজনশীলতা যে শুধু এ ধরনের কাজগুলোতেই প্রযোজ্য তা নয়, বরং পড়াশোনার ক্ষেত্রেও আমরা এর প্রয়োগ করতে পারি। বর্তমানে আমরা অনেকেই শুধু পাঠ্যপুস্তকের গঁৎবাধা বিষয়বস্তু নিয়েই পড়ে থাকি। বেশিরভাগ সময় যার উদ্দেশ্য থাকে ক্লাসে প্রথম, দ্বিতীয়, কিংবা তৃতীয় হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়া।

ক. ‘লোকরহস্য’ বঙ্কিমচন্দ্রের কী ধরনের গ্রন্থ?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র যশের জন্য লিখতে বারণ করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে সৃজনশীলতার গুরুত্ব বর্ণনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : একটা সময় ছিল যখন এনাম সাহেবের খুব নামডাক ছিল। লোকে তাঁর নতুন লেখা পড়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করত। তিনি আজকাল পত্রিকা এবং বিভিন্ন সংগঠনের সাময়িকীতে লেখার জন্য বেশি সময় ব্যয় করেন। ফলে লেখা সংশোধনের খুব একটা সময় পান না। রুচিশীল পাঠকের কাছে তাই এনাম সাহেবের লেখার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায় আজকাল।

ক. বঙ্কিমচন্দ্র লেখার পর হঠাৎ না ছাপিয়ে কী করতে বলেছেন?
খ. ‘কিন্তু আমাদের এখনও সেই দিন হয় নাই’ -কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের এনাম সাহেবের সাহিত্যের মানোন্নয়নে বর্জনীয় বিষয়সমূহ ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : ‘লোকরঞ্জনবাদ এমন একটি রাজনৈতিক আন্দোলন, যা সাধারণ মানুষের স্বার্থ, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং স্বভাবজাত অনুভূতিকে কেন্দ্র করে সুবিধাপ্রাপ্ত স্বল্পসংখ্যক অভিজাতের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বা নৃগোষ্ঠীর অধিকারের প্রতি দৃষ্টিপাত না করে তারা সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছার আবেদনই করে, যা উদার গণতন্ত্রের বিরোধী।’
সাধারণভাবে লোকরঞ্জনবাদ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আবেগ, বঞ্চনা বা হতাশাকে কাজে লাগায়। এসব বিবেচনায় নিয়ে তারা জনগণকে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখায়। বাস্তবায়ন করা যাবে কি যাবে না, সেসব বিচার-বিবেচনা না করেই তারা ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেয়। মূলত লোকরঞ্জনবাদ ক্ষমতায় আরোহণের একটি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ক. সকল অলংকারের শ্রেষ্ঠ অলংকার কী?
খ. লেখক রচনায় লোকরঞ্জনের বিরোধিতা করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের মূলভাবের অনুগামী নয়’ -উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *