কাজের মাঝে আনন্দ হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বই এর ১ম অধ্যায়। কাজের মাঝে আনন্দ অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
কাজের মাঝে আনন্দ
অ্যাক্টিভিটি ১: প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করো।
সম্ভাব্য উপকরণ: ফ্লিপ চার্ট, মার্কার, দড়ি, আঠা, কাচি, চক, বোর্ড, ডাস্টার ইত্যাদি।
নির্দেশনা: নিজের ও পরিবারের কাজ সম্পর্কে অভিভাবক ও শিক্ষকের কাছ থেকে ধারণা নাও। গত কয়েক দিন সকাল থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কী কী করেছ ভাবো। প্রয়োজনে মা-বাবার সাথে আলোচনা করো। সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে একটি তালিকায় নিজের ও পরিবারের কাজগুলো আলাদা করে লেখো। এবার তোমার তালিকার সাথে নিচের নমুনা উত্তরটি মিলিয়ে দেখো।
নমনা উত্তর:
ছক ১.১ : প্রতিদিনের কাজের তালিকা
অ্যাক্টিভিটি ২: প্রজেক্ট ওয়ার্ক
শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণ করে দুটি পোস্টার বানাও
- পরিবারের কাজের উপায় দুটি আলাদা পোস্টার নিজেদের ইচ্ছেমতো ডিজাইন করো।
- দুটি পোস্টারে মজার দুটি শিরোনাম দাও।
- চিত্র/ছবি/কোলাজ/কার্টুন/লেখা/পেপার কাটিং ইত্যাদি যেকোনো কিছু দিয়ে পোস্টার সাজাতে পারো।
সম্ভাব্য উপকরণ: কেস স্টাডি ‘বাঁচতে হলে শিখতে হবে, লড়াইতে জিততে হবে’, পোস্ট বক্স হিসেবে ব্যবহার করা যায় এমন যেকোনো বক্স, ভিডিও ক্লিপ (লিংক), মার্কার/চক ইত্যাদি।
নির্দেশনা: প্রতিদিন নিজের জন্য কী কী করো তা ভাবো। তারপর কোন কাজগুলো করলে পরিবারের অন্য সদস্যদের উপকার হয় তা চিহ্নিত করো। প্রয়োজনে অভিভাবক বা বড়দের মতামত নাও। সেখান থেকে নিজের ও পরিবারের জন্য করতে হয় এমন দু’টি করে কাজ নির্বাচন করো। সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে দু’টি কোলাজ/ কার্টুন/ চিত্র/ ছবি/ তালিকা/ গল্প তৈরি করো। সেগুলো মজার দু’টি শিরোনাম দিয়ে পোস্টার আকারে জমা দাও। নিচে কার্টুন এঁকে দুটি নমুনা পোস্টার তৈরি করা হলো।
নমুনা পোস্টার:
অ্যাক্টিভিটি ৩: নিজের কাজের সাপ্তাহিক পরিকল্পনা ও অনুশীলন করো।
নির্দেশনা: আগামী সপ্তাহে কী কী নিজের কাজ করতে হতে পারে তা অনুমান করো। প্রয়োজনে অভিভাবক বা বড়দের সাথে আলোচনা করো। এবার কাগজে কাজ ও সাপ্তাহিক বার উল্লেখ করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করো। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে সারাদিন কী কী কাজ করেছ তার পাশে টিক দাও। সপ্তাহ শেষে তোমার অনুভূতি জানিয়ে আত্মপ্রতিফলন লেখো এবং শিক্ষক ও অভিভাবকের মতামত নাও। নিচের নমুনা উত্তরের সাথে তোমার কাজটি মিলিয়ে দেখো।
নমুনা উত্তর:
ছক ১.২ : নিজের কাজের সাপ্তাহিক পরিকল্পনা ও অনুশীলন
অ্যাক্টিভিটি ৪: পরিবারের কাজের সাপ্তাহিক পরিকল্পনা ও অনুশীলন করো।
নির্দেশনা: আগামী সপ্তাহে পরিবারের জন্য কী কী কাজ করতে হতে পারে তা অনুমান করো। প্রয়োজনে অভিভাবক বা বড়দের সাথে আলোচনা করো। এবার কাজ ও সাপ্তাহিক বার উল্লেখ করে কাগজে লিখে একটি পরিকল্পনা তৈরি করো। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে সারাদিনে কী কী কাজ করেছ-তার পাশে টিক দাও। সপ্তাহ শেষে তোমার অনুভূতি জানিয়ে আত্মপ্রতিফলন লেখো এবং শিক্ষক ও অভিভাবকের মতামত নাও। নিচের নমুনা উত্তরের সাথে তোমার তৈরিকৃত পরিকল্পনাটি মিলিয়ে দেখো।
নমুনা উত্তর:
ছক ১.৩ : পরিবারের কাজের সাপ্তাহিক পরিকল্পনা ও অনুশীলন
অ্যাক্টিভিটি ৫: দলে বিভস্ত হয়ে পাঠ্যবইয়ের “দৃশ্যপট-১: খাবার কথন” এর আলোকে প্রশ্নাবলির উত্তর দাও।/সূত্র: পাঠ্যবই, পৃষ্ঠা ১০/ সম্ভাব্য উপকরণ: ভিডিও ক্লিপ (লিংক), ক্লিপ চার্ট/সাদা/রঙিন পোস্টার পেপার, মার্কার, দড়ি, আঠা, কাচি, স্কেল ইত্যাদি।
নির্দেশনা: শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হও। পাঠ্যবইয়ের দৃশ্যপট-১ মনোযোগ দিয়ে পড়ো। খাবার টেবিলে রাজু ও রন কী করেছে এবং কী করা উচিত ছিল তা ভাবো। তারপর দলের সদস্যরা তাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করো। এবার প্রতিটি দল থেকে একজন দৃশ্যপট সম্পর্কিত প্রশ্নাবলির উত্তর দাও। নিচে নমুনা উত্তরের সাথে তোমাদের ভাবনা মিলিয়ে নাও।
□ তুমি যদি রাজু হতে তাহলে কী করতে?
নমুনা উত্তর: আমি যদি রাজু হতাম, তাহলে-
- যতটুকু খেতে পারব, ততটুকু খাবারই প্লেটে নিতাম।
- অন্যের অংশের খাবার নিয়ে এঁটো করতাম না।
- ধীরে-সুস্থে খাবার খেতাম।
- খাওয়ার পানি সাথে নিয়ে খেতে বসতাম।
- এঁটো হাতে পানির মগ ধরতাম না।
- প্লেটের চারপাশে খাবার ছড়িয়ে ফেলতাম না।
- খাওয়ার পর নিজের প্লেট নিজেই ধুয়ে রাখতাম।
□ রুনু কীভাবে রাজুকে খাবারের আদব-কায়দা শেখাতে পারে? পরামর্শ দাও।
নমুনা উত্তর: রুনু যেখাবে রাজুকে খাবারের আদব-কায়দা শেখাতে পারে-
- রাজুকে বোঝাতে পারে যে, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খাবারই প্লেটে নেওয়া উচিত।
- রাজুকে ধীরে সুস্থে খাবার খেতে বলতে পারে।
- প্লেটে অতিরিক্ত খাবার নিয়ে এঁটো করতে নিষেধ করতে পারে।
- এঁটো হাতে পানির মণ ধরলে রাজুকে সেটা পরিষ্কার করতে বলতে পারে। সে পরিষ্কার না করলে বাবা-মাকে জানাতে পারে।
- প্লেটের চারপাশে খাবার ছড়িয়ে খেতে নিষেধ করতে পারে।
- খাওয়ার সময় মোবাইল চালাতে নিষেধ করতে পারে।
- খাওয়ার পর রাজুকে প্লেট ধুয়ে রাখতে উৎসাহিত করতে পারে।
অ্যাক্টিভিটি ৬: দলে বিভক্ত হয়ে পাঠ্যবইয়ের দৃশ্যপট-২: রিনা ও সুমনের দিনকাল থেকে নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দাও।
নির্দেশনা: শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হও। পাঠ্যবইয়ের ‘দৃশ্যপট-২: রিনা ও সুমনের দিনকাল’ মনোযোগ দিয়ে পড়ো। দলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সুমন ও রিনার প্রাত্যহিক কাজ সম্পর্কে আলোচনা করো। তারা প্রতিদিন কী কী করে এবং কী করা উচিত ছিল তা চিহ্নিত করো। এবার প্রতিটি দল থেকে একজন দৃশ্যপট সম্পর্কিত প্রশ্নাবলির উত্তর দাও। নিচে নমুনা উত্তরের সাথে তোমাদের সুপারিশ মিলিয়ে নাও।
□ সুমন ও রিনার জন্য তোমাদের সুপারিশ কী?
নমুনা উত্তর: সুমন ও রিনার জন্য আমাদের সুপারিশগুলো হলো-
- বিছানা গুছিয়ে রাখতে হবে।
- কাপড়-চোপড় নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখতে হবে।
- স্কুল থেকে ফেরার পর স্কুলের পোশাক, জুতা-মোজা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হবে।
অ্যাক্টিভিটি ৭: সাপ্তাহিক কাজের অনুশীলন করো ও প্রতিফলন দেখাও।
নির্দেশনা: গত সাত দিনে নিজের ও পরিবারের জন্য কী কী কাজ করেছ তা লক্ষ করো। এবার কাজগুলোর একটি তালিকা তৈরি করো এবং সপ্তাহে কয়দিন কাজটি করেছ তার পাশে টিক দাও। প্রতিদিনের প্রতিটি কাজের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ। এভাবে সপ্তাহ শেষে তোমার প্রাপ্ত মোট স্কোর এবং পাঠ্যবই অনুযায়ী খেতাব নির্ণয় করো। তোমার অর্জনের ওপর শিক্ষক এবং অভিভাবকের মতামত নাও। নিচের নমুনা ছকটির সাথে তোমার কাজের তালিকা মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর:
ছক ১.৪ : সাপ্তাহিক কাজের অনুশীলন ও প্রতিফলন
অ্যাক্টিভিটি ৮: তোমার বিদ্যালয়কে কেমন দেখতে চাও, তা কল্পনা করে একটি ছবি আঁকো বা গল্প লেখো।
সম্ভাব্য উপকরণ: কেসস্টাডি ‘বিদ্যালয়ে আসি, আনন্দে ভাসি’ পোস্টার পেপার, ফ্লিপ চার্ট, ভিডিও ক্লিপ (লিংক), মার্কার/চক, বোর্ড, ডাস্টার ইত্যাদি।
নির্দেশনা: তোমার বিদ্যালয়কে যেমন দেখতে চাও তা কল্পনা করো। একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকে সে সম্পর্কে ধারণা নাও। এক্ষেত্রে তুমি অভিভাবক ও শিক্ষকের পরামর্শ নিতে পারো। এরপর বাড়ির বড়দের সাথে আলোচনা করে ঠিক করো বিদ্যালয়ের একটা ছবি কীভাবে সাজাবে। সেই অনুযায়ী ছবি আঁকো বা গল্প লেখো। নমুনা হিসেবে একটি ছবি এঁকে দেখানো হলো।
নমুনা ছবি:
নমুনা গল্প:
আমার কল্পনায় আমি যে বিদ্যালয়কে দেখি, সেটি খোলামেলা একটি ভবন হবে। তার সামনে একটি বিশাল মাঠ থাকবে। মাঠে সবুজ ঘাস, আর গাছের ছায়ায় বসার ব্যবস্থা থাকবে। টিফিন পিরিয়ডে সেই মাঠে আমি সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করব। বিদ্যালয়ের মাঠ আর শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। শ্রেণিকক্ষে বড় কয়েকটি জানালা থাকবে। এতে করে শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের সুবিধা থাকবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বন্ধুভাবাপন্ন হবেন। আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে পারব। বিদ্যালয়ে সবাই হাসি-খুশি আর আনন্দে পড়ালেখা করবে।
অ্যাক্টিভিটি ৯: কেসস্টাডি: ‘বিদ্যালয়ে আসি, আনন্দে ভাসি’ থেকে নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দাও।
নির্দেশনা: শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী তোমরা শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দল গঠন করো। দলবদ্ধভাবে পাঠ্যবইয়ের ‘বিদ্যালয়ে আসি, আনন্দে ভাসি’ কেসস্টাডিটি পড়ো। এবার সবাই মিলে আলোচনা করো কী কী কাজ তোমরা ক্লাসে করতে পারো, কী করলে শ্রেণিকক্ষ নোংরা হবে না প্রভৃতি। প্রয়োজনে বড় ক্লাসের শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা অভিভাবকের কাছ থেকেও ধারণা নিতে পারো। এবার কেসস্টাডির প্রশ্নটির উত্তর লেখো। এরপর নিচের নমুনা উত্তরটির সাথে তোমার উত্তরটি মিলিয়ে নাও।
□ ক্লাসের পরিবেশ কীভাবে আরও সুন্দর ও আনন্দময় করা যায়?
নমুনা উত্তর: ক্লাসের পরিবেশ যেভাবে আরও সুন্দর ও আনন্দময় করা যেতে পারে-
- ক্লাসের মেঝেতে কাগজের টুকরা, চিপস-চকলেটের খোসা ফেলবো না।
- ক্লাসের দেয়ালে লেখালেখি বা আঁকাআঁকি করবো না।
•ক্লাসে হৈচৈ করে অন্যদের বিরক্ত করবো না। - ক্লাসের সবার সাথে সুন্দর আচরণ করবো।
- কাউকে ‘বুলিইং’ করবো না, অর্থাৎ কাউকে ক্ষ্যাপাবো না বা কষ্ট দেব না।
অ্যাক্টিভিটি ১০: আত্মজিজ্ঞাসা
নির্দেশনা: গত কয়েক দিনে বিদ্যালয়ে কী কী কাজ করেছ তা লক্ষ করো। প্রয়োজনে অভিভাবক, শ্রেণিশিক্ষকের সাথে আলোচনা করো। প্রতিটি কাজ কতবার করেছ তার ওপর ভিত্তি করে নিজেকে স্কোর দাও। এবার মোট স্কোরের ভিত্তিতে তোমার খেতাব নির্ণয় করো এবং শিক্ষকের মতামত নাও।
নমুনা উত্তর:
ছক ১.৫ : আত্মজিজ্ঞাসা
অ্যাক্টিভিটি ১১: “আমার বিদ্যালয়, আমার ভালোবাসা” দেয়ালিকার জন্য নিজের কথা লেখো।
নির্দেশনা: তোমার বিদ্যালয়ের কোন বৈশিষ্ট্যগুলো তোমার ভালো লাগে তা ভাবো। যেমন: বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ, গাছপালা, শিক্ষকের আচরণ প্রভৃতি। প্রয়োজনে অভিভাবক ও সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করো। এবার তোমার বিদ্যালয়ের বর্ণনা দিয়ে একটি দেয়ালিকা লেখো। নিচের নমুনা উত্তরের সাথে তোমার ভাবনা মিলিয়ে নাও।
নমুনা উত্তর: আমার বিদ্যালয়ের নাম ‘আদর্শ বিদ্যালয়’। এটি ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। স্কুলে প্রবেশের জন্য বিশাল গেইট আছে। তার ওপর • বড় বড় অক্ষরে বিদ্যালয়ের নাম লেখা। নামটা চোখে পড়লেই মন খুশিতে ভরে ওঠে। বিদ্যালয়ে ঢুকতেই সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ চোখে পড়ে। আর বড় গাছগুলোর মাঝে মাথা উঁচু করে আছে আমার বিদ্যালয়। এটি খোলামেলা দুইতলা একটি ভবন। আমার ক্লাসরুম নিচ তলায়। সেখানে সহপাঠীদের সাথে আমি মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করি। শিক্ষকরা সবাই খুব আন্তরিক। যেকোনো প্রয়োজনে তাদের সাথে কথা বলা যায়। টিফিন পিরিয়ডে সহপাঠীদের সাথে আমি মাঠে খেলাধুলা করি। বিদ্যালয়ে স্মরাদিন আমার খুব আনন্দে কাটে। আমি আমার বিদ্যালয়কে ভালোবাসি।
আরো পড়ো → আমার জীবন আমার লক্ষ্য
আরো পড়ো → দশে মিলে করি কাজ
অ্যাক্টিভিটি ১২: ছবি আঁকো-“আমাদের সমাজটা যে রকম দেখতে চাই”।
সম্ভাব্য উপকরণ: পোস্টার পেপার, বোর্ড, মার্কার/চক, দড়ি, আঠা ইত্যাদি।
নির্দেশনা: তোমাদের স্বপ্নের সমাজটা কেমন হবে তা কল্পনা করো। সমাজ কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে সবাই মিলেমিশে থাকা উচিত ভা ভাবো। প্রয়োজনে অভিভাবক বা শিক্ষকের মতামত নাও। এবার তোমার মনের মতো একটি সমাজ আঁকো। এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত তোমার আশেপাশে দেখা যায় এমন দৃশ্যপট আঁকতে পারো। নমুনা হিসেবে কয়েকটি দৃশ্যপট দেখানো হলো-
নমুনা ছবি:
চিত্র: আমাদের সমাজটা যেরকম দেখতে চাই
অ্যাক্টিভিটি ১৩: শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে সূর্যরশ্মি পূরণ করো- “সমাজের জন্য আমরা যা করতে পারি”।
নির্দেশনা: সমাজের প্রতি তোমার কী কী দায়িত্ব আছে তা জানতে চেষ্টা করো। তোমার কোন কাজের মাধ্যমে সমাজের মানুষের উপকার হয় তা ভাবো। এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক, আত্মীয়দের সহায়তা নাও। তারপর শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে পাঠ্যবইয়ের সূর্যরশ্মিটি পূরণ করো। এবার তোমার উত্তরের সাথে নিচের সূর্যরশ্মিটি মিলিয়ে নাও।
নমুনা সূর্যরশ্মি:
সূর্যরশ্মি: সমাজের জন্য আমরা যা করতে পারি
অ্যাক্টিভিটি ১৪: সমাজের জন্য তুমি করেছ এমন একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের অভিজ্ঞতার গল্প লেখো/ছবি আঁকো।
নির্দেশনা: সমাজের জন্য তুমি কী কী করেছ তা ভাবো। এর মধ্যে তোমার কাছে কোন কাজটি আনন্দময় এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা চিহ্নিত করো। তারপর সেই অভিজ্ঞতা গল্প বা ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করো। নমুনা উত্তরের সাথে তোমার ভাবনা মিলিয়ে নাও।
নমুনা ছবি:
নমুনা গল্প:
আমার বাসার পাশে একটি খেলার মাঠ আছে। প্রতিদিন বিকালবেলায় সেখানে এলাকার ছেলে-মেয়েরা খেলতে আসে। অনেকেই পরিবার- পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন। বয়স্ক মানুষজন পার্কের সবুজ ঘাসে হাঁটাহাঁটি করেন। এ সময়টায় তাদের অনেকেই মাঠে চিপসের প্যাকেট, কলার খোসা, পানির বোতল ফেলে। এভাবে মাঠ দিন দিন নোংরা হয়ে পড়ছিলো।
তাই এক বন্ধের দিনে আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে মাঠের আবর্জনা পরিষ্কার করলাম। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মাঠ দেখে লোকজন খুব অবাক হলো। তখন আমরা তাদের অনুরোধ করলাম মাঠে ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে। কারণ মাঠ অপরিষ্কার থাকলে দুর্গন্ধ ছড়াবে ও মশাদের উপদ্রব বেড়ে যাবে। তখন আর কেউ মাঠে-খেলাধুলা করতে বা ঘুরতে আসতে পারবে না। এ কথা শুনে তারা দুঃখ পেল। আর বুঝতে পারল যে মাঠ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব সকলেরই। তারা কথা দিলো মাঠ আর অপরিষ্কার করবে না।
অ্যাক্টিভিটি ১৫: স্বমূল্যায়ন
নির্দেশনা: স্বমূল্যায়নটি নিজে পূরণ করো। সততা বজায় রেখে সঠিক ঘরে টিক (✔) চিহ্ন দাও। পূরণ করে বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে দেখাও। এরপর তাদের যেকোনো একজনের স্বাক্ষর নিয়ে শিক্ষকের কাছে জমা দাও। নিচে স্বমূল্যায়নের একটি নমুনা দেওয়া হলো।
নমুনা উত্তর: এই অধ্যায়ে আমরা যা যা করেছি তোমার পছন্দের ঘরে টিক (✔) চিহ্ন দাও
নির্দেশনা: স্বমূল্যায়নের ১ম ছকটি পূরণ করার পর তা পর্যবেক্ষণ করো। তোমার প্রাপ্তি ও ঘাটতি চিহ্নিত করো। উক্ত বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে জানার জন্য পাঠ সহায়ক বিষয়বস্তু পুনরায় পড়ো। প্রয়োজনে শিক্ষক ও অভিভাবকের সহায়তা নাও। তোমার প্রাপ্তি সন্তোষজনক করতে চেষ্টা অব্যাহত রাখো।
নমুনা উত্তর:
আমার প্রাপ্তি: এই অধ্যায়টি থেকে আমি যা শিখেছি তা নিয়ে আমার মনের অবস্থা হলো-
সুতরাং, এভাবে হাসতে হলে এই অধ্যায়ের যেসব বিষয় আমাকে আরো ভালোভাবে জানতে হবে তা হলো-
- পারিবারিক কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা প্রণয়ন।
- বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শনাক্তকৃত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে পরিকল্পনা প্রণয়ন।
- পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন।
- সামাজিক ক্ষেত্রে নিজের দায়িত্ব শনাক্তকরণ ও পালন।
এই অধ্যায় শেষে আমার অর্জন নিয়ে শিক্ষকের মন্তব্য:
যে কাজগুলোর নিয়মিত চর্চা আমাকে চালিয়ে যেতে হবে সেগুলো হলো-
- নিজ কাজের পরিকল্পনা তৈরি ও চর্চা
- পারিবারিক কাজের পরিকল্পনা তৈরি ও চর্চা
- বিদ্যালয়ের প্রতি দায়িত্ব চিহ্নিত করণ ও চর্চা