(বাংলা) ৬ষ্ঠ: মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি – সমাধান

মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বই এর ১ম অধ্যায়। মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি অধ্যায় এর অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি অধ্যায়ের সমাধান

পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ
নিচে কয়েকটি পরিস্থিতির উল্লেখ আছে। এসব পরিস্থিতিতে কী ধরনের যোগাযোগ হয়, ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে আলোচনা করো এবং ভূমিকাভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করো।

IMG 20230412 124256

নমুনা উত্তর:
বাবা : কী! রাতের খাবার কেমন খেয়েছ সবাই? আজ সারা দিন তোমরা কে কীভাবে কাটিয়েছ বলো দেখি?
শিক্ষার্থী : বাবা, আজ আমি স্কুল থেকে ফেরার পথে একজন অন্ধকে রাস্তা পার হতে সাহায্য করেছি।
বাবা : বাহ্! খুব ভালো কাজ করেছ। আমাদের সবারই পরোপকারী হওয়া উচিত।
ছোট ভাই : পরোপকারী কারা বাবা?
বাবা : যারা অন্যের উপকার করে তারাই পরোপকারী।
ছোট ভাই : আমি তো আজ দাদুকে ওষুধ খেতে সাহায্য করেছি। এটাকে কি পরোপকার বলা যায়?
মা : হ্যাঁ অবশ্যই। তুমি সাহায্য করেছ বলেই তো তোমার দাদু ঠিক সময়ে ওষুধ খেতে পেরেছেন।
বাবা : হ্যাঁ, তোমার মা ঠিকই বলেছেন।
মা : আজ বাবা ঠিকমতো ওষুধ খেয়েছেন । বিকেলে বাবাকে নিয়ে পার্কে হাঁটতে গিয়েছিলাম।
বাবা : নিয়মিত ওষুধ খেলে বাবা আবার আগের মতো হাঁটতে পারবেন।
মা : তোমার দিন আজ কেমন কেটেছে?
বাবা : দিনের শুরুটা বেশ ভালো ছিল। মিটিং শেষে অফিসের সবাই একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছি। সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হয়ে আজ পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পরে দেখা হওয়ায় তার সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করলাম।
মা : ও এজন্যই তোমার বাসায় ফিরতে দেরি হয়েছে।
বাবা : হ্যাঁ
মা : এখন চলো ঘুমাতে যাই। সকালে বাচ্চাদের স্কুল আছে আর তোমাকেও অফিসে যেতে হবে। বেশি রাত জাগলে সকালে উঠতে ইচ্ছে করবে না।
বাবা : হ্যাঁ, চলো ঘুমিয়ে পড়ি। বাচ্চারা শুভরাত্রি।
শিক্ষার্থী : শুভরাত্রি!
ছোট ভাই : শুভরাত্রি!

IMG 20230412 124319

নমুনা উত্তর:
শিক্ষার্থী : [মুচিকে উদ্দেশ করে] নমস্কার কাকু। আমার জুতা ছিড়ে গিয়েছে। সেলাই করে দেওয়া যাবে?
মুচি : নমস্কার [জুতা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার পর] এক পাটি সিলাই করমু? নাকি দুই পাটিই সিলাই কইরা দিমু?
মা : দুই পাটি সেলাই করলে কত টাকা নেবেন?
মুচি : ৫০ টাকা নিমু।
মা : ৫০ টাকা তো বেশি হয়ে যায়। ৩০ টাকা নিন।
মুচি : বেশি চাই নাই। দুই পাটি জুতা সিলাই করতে সবাই ৫০ টাকাই নেয়। বিশ্বাস না হইলে আপনে যাচাই কইরা দেহেন।
মা : ঠিক আছে ৪০ টাকা নিন
মুচি : মুচি আচ্ছা দ্যান। [জুতাজোড়া নিয়ে বসে কাজ শুরু করল।]
শিক্ষার্থী : [কাজ শেষ হলে] আপনাকে ধন্যবাদ।
মুচি : ধইন্যবাদ বাবা! বাঁইচা থাকো।

IMG 20230412 124335

নমুনা উত্তর:
শিক্ষার্থী : আসসালামু আলাইকুম চাচা, শরীরের এখন কী অবস্থা?
অসুস্থ আত্মীয় : ওয়ালাইকুম আসসালাম। এখন আগের চেয়ে ভালো। তোমরা কেমন আছ?
শিক্ষার্থী : আমরা ভালো আছি। এই হাসপাতালের চিকিৎসা কেমন মনে হচ্ছে?
অসুস্থ আত্মীয় : এখানকার ডাক্তাররা খুবই আন্তরিক। তাঁরা নিয়মিত এসে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
শিক্ষার্থী : চাচা, আপনি চিন্তা করবেন না। দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন আশা করি।
অসুস্থ আত্মীয় : দোয়া কোরো মা।
বাবা : সুস্থ হতে কত দিন লাগতে পারে ডাক্তার সেসব কিছু বলেছেন নাকি?
অসুস্থ আত্মীয় : ডাক্তার বলেছেন সপ্তাহখানেক হাসপাতালেই থাকতে হবে। তাঁরা যে ওষুধ দিয়েছেন, সেগুলো হাসপাতাল থেকেই সরবরাহ করছে। ওষুধের কোর্স শেষ হলেই ছাড়পত্র দিয়ে দেবে বলেছেন।
বাবা : ঠিকমতো চিকিৎসা নিন। আর যেকোনো দরকারে জানাবেন। [রোগীর হাতে খামে করে কিছু টাকা দেওয়ার পর] ভালো থাকবেন। আজ তাহলে আসি। পরে আবার আসব। বিদায়।
অসুস্থ লোক : তোমরাও ভালো থেকো। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

IMG 20230412 124358

নমুনা উত্তর:
(একজন দোকানদার দোকানে বেচাকেনা করছেন। দোকানের সামনে একজন শিক্ষার্থী এল। শিক্ষার্থী দোকানিকে উদ্দেশ করে কথা বলে।)
শিক্ষার্থী : আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল। কেমন আছেন?
দোকানদার : ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভালো আছি, তুমি কেমন আছ?
শিক্ষার্থী : আমিও ভালো আছি। আমি কিছু জিনিস কিনতে এসেছি।
দোকানদার : তুমি কী কী কিনতে চাও বলো।
শিক্ষার্থী : আমাকে কি কলমের কয়েকটি নমুনা দেখানো যাবে?
দোকানদার : অবশ্যই। এই নাও, এগুলোর মধ্যে যে কলম তোমার পছন্দ হবে, সেটাই নিতে পারো।
ক্রেতা ১ : আচ্ছা ভাই, আপনার দোকানে কি টুথব্রাশ আছে?
দোকানদার : জি আছে। এই নিন পাঁচটি ব্রাশ। আপনার কোনটি পছন্দ দেখে নিন।
ক্রেতা ২ : আমাকে আধা কেজি মসুর ডাল দাও।
দোকানদার : জি চাচা, এখনই দিচ্ছি।
ক্রেতা ২ : ঠিকভাবে মেপে দিও।
দোকানদার : ঠিক আছে। আমি মেপে দিচ্ছি। আপনি দেখে নিন।
শিক্ষার্থী : সবগুলো কলমই সুন্দর। তবে আমাকে আপাতত এই একটি কালো কালির আর একটি নীল কালির কলম দিন। এ দুটির দাম কত?
দোকানদার : দুটি কলমের দাম ২০ টাকা।
শিক্ষার্থী : আর আমাকে কিছু খাতা দেখান।
দোকানদার : কী খাতা লাগবে?
শিক্ষার্থী : একটা বাংলা, একটা ইংরেজি আর একটা অঙ্ক খাতা দিন।
দোকানদার : ঠিক আছে, এখনই দিচ্ছি।
ক্রেতা ১ : আমাকে এই ব্রাশটি দিন। এটার দাম কত?
দোকানদার : ৫০ টাকা।
ক্রেতা ১ : ঠিক আছে। এই নিন টাকা।
শিক্ষার্থী : আমার খাতা আর কলম একসঙ্গে কত টাকা দাম হলো?
দোকানদার : কলম ২০ টাকা আর খাতা ৬০ টাকা। মোট ৮০ টাকা।
শিক্ষার্থী : ঠিক আছে। এই নিন টাকা।
দোকানদার : ধন্যবাদ।
শিক্ষার্থী : আপনাকেও ধন্যবাদ।

IMG 20230412 124419

নমুনা উত্তর:
(একজন শিক্ষার্থী তার তিন সহপাঠীর সঙ্গে গল্প করতে করতে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছে।)
শিক্ষার্থী : আজ ক্লাসে স্যার বাংলা কবিতা লেখার কৌশল খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন।
প্রথম সহপাঠী : হুম। আমি তো মনে হয় এখনই ছন্দে ছন্দে একটা ছড়া লিখতে পারব।
দ্বিতীয় সহপাঠী : আমিও বিষয়টা ভালোমতোই বুঝতে পেরেছি।
তৃতীয় সহপাঠী : আমি তো আগে কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম। আজকের ক্লাসের পর আমার জন্য সেটা আরও সহজ হবে।
(একজন অপরিচিত লোক শিক্ষার্থীদের সামনে এসে দাঁড়ালেন।)
অপরিচিত লোক : আচ্ছা বাবারা। তোমরা কি আমাকে একটা সাহায্য করতে পারবে?
শিক্ষার্থী : জি চাচা। বলেন, কীভাবে সাহায্য করতে পারি?
অপরিচিত লোক : এই ঠিকানাটা আমাকে একটু দেখিয়ে দিতে পারো?
প্রথম সহপাঠী : ঠিকানাটা দেখি? এটা তো রাতুলদের বাড়ির ঠিকানা!
দ্বিতীয় সহপাঠী : রাতুলদের বাড়ি তো আমাদের বাড়ির পাশেই।
তৃতীয় সহপাঠী : তাহলে তো তুই-ই ওনাকে সঙ্গে করে নিয়ে রাতুলদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারিস।
দ্বিতীয় সহপাঠী : চাচা আপনি আমার সঙ্গে আসেন। আমি আপনাকে পৌঁছে দিচ্ছি।
অপরিচিত লোক : ঠিক আছে চলো বাবা। তোমরা সবাই ভালো থেকো।
সকলে একসাথে : আপনিও ভালো থাকবেন চাচা।

IMG 20230412 124443

নমুনা উত্তর:
(মা ফোন নিয়ে শিক্ষার্থীর কাছে দিয়ে।)
মা : এই নাও তোমার স্যার ফোন করেছেন
(শিক্ষার্থী ফোন কানে ধরে।)
শিক্ষার্থী : আসসালামু আলাইকুম স্যার। কেমন আছেন?
শিক্ষক : ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভালো আছি। তুমি কেমন আছ? বেশ কিছুদিন খেয়াল করছি, তুমি স্কুলে আসছ না। তোমার এক সহপাঠীর কাছে শুনলাম, তুমি অসুস্থ।
শিক্ষার্থী : জি স্যার। গত কয়েক দিন যাবৎ জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছি।
শিক্ষক : ও আচ্ছা। কোডিড-১৯ টেস্ট করিয়েছ?
শিক্ষার্থী : জি স্যার। ডাক্তার বলেছেন, এটা ভাইরাস জ্বর। কিছু ওষুধ দিয়ে বলেছেন, দুই-এক দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।
শিক্ষক : তো এখন কী অবস্থা?
শিক্ষার্থী : এখন কিছুটা সুস্থ। আজ আর জ্বর আসেনি। যদি আর জ্বর না আসে তাহলে কাল থেকে স্কুলে আসব।
শিক্ষক : ঠিক আছে। শরীরের যত্ন নাও। আর বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাও। তাহলে দ্রুত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
শিক্ষার্থী : জি স্যার। অসুস্থ হওয়ার পর আম্মু সার্বক্ষণিক আমার পাশে আছেন।
শিক্ষক : ঠিক আছে, ভালো থেকো। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো এই কামনা করি।
শিক্ষার্থী : ঠিক আছে। ভালো থাকবেন স্যার। খোদা হাফেজ।
শিক্ষক : খোদা হাফেজ।

IMG 20230412 124604 1

নমুনা উত্তর:
পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগের ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। যেমন—
ক) ব্যক্তির বয়স এবং তার সঙ্গে কীরূপ সম্পর্ক এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কথা বলতে হবে।
খ) শ্রোতা যেন বক্তব্যের বিষয় সহজে ও স্পষ্টরূপে বুঝতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গ) বড়োদের সঙ্গে কথা বলার সময় নমভাবে এবং বিনয়ের সঙ্গে বলতে হবে।
ঘ) কোনো বিষয়ে আলোচনার সময় বয়স ও সম্পর্ক অনুযায়ী সম্মান বজায় রেখে কথা বলতে হবে।
ঙ) কথা বলার সময় অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বাদ দিতে হবে।

IMG 20230412 124700

নমুনা উত্তর:

  • তুমি, তোমার, তোমাকে, তোমরা, তোমাদের → ছোটো ভাই-বোন, মা-বাবা, বন্ধু, সমবয়সি, বয়সে ছোটো পরিচিতদের।
  • আপনি, আপনার, আপনাকে, আপনারা, আপনাদের → বয়সে বড়ো ব্যক্তি; যেমন- মা, বাবা, দাদা, দাদি, নানা, নানি, মামা, মামি, চাচা, চাচি, খালা, খালু, শিক্ষক; অপরিচিতদের।
  • তুই, তোর, তোকে, তোরা, তোদের → ঘনিষ্ঠজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আদরের ছোটো ভাই-বোন, কাছের মানুষদের।
  • সে, তার, তাকে, তারা, তাদের → বয়স ও সম্পর্কে ছোটো এবং ঘনিষ্ঠদের।
  • তিনি, তার, তাঁকে, তাঁরা, তাঁদের → বয়সে বড়ো ও সম্মানিত ব্যক্তিদের।
  • ও, ওর, ওকে, ওরা, ওদের → ঘনিষ্ঠজন ও বয়সে ছোটোদের।

নিচের বাক্যগুলো দেখো। বাক্যগুলোতে কোন কোন শব্দে পরিবর্তন হয়েছে তা চিহ্নিত করো।
ক. তুমি কেমন আছ?
খ. আপনি কেমন আছেন?
গ. তুই কেমন আছিস?
ঘ. সে কেমন আছে?
ঙ. তিনি কেমন আছেন?
চ. ও কেমন আছে?

নমুনা উত্তর:
যে যে শব্দে পরিবর্তন হয়েছে তা মোটা অক্ষর দিয়ে দেখানো হলো-
ক. তুমি কেমন আছ?
খ. আপনি কেমন আছেন?
গ. তুই কেমন আছিস?
ঘ. সে কেমন আছে?
ঙ. তিনি কেমন আছেন?
চ. ও কেমন আছে?

IMG 20230412 124838
IMG 20230412 124900

নমুনা উত্তর:
তুমি / তোমরা
আসা – তুমি আমাদের বাড়িতে এসো।
যাওয়া – তোমরা স্কুলে যাও।

আপনি / আপনারা
যাওয়া – আপনি এখন কোথায় যাচ্ছেন?
খাওয়া – আপনারা কোথায় খাবেন?

তুই / তোরা
করা – তুই বাড়ির কাজ ভালোভাবে করিস।
যাওয়া – তোরা কি আজ স্কুলে যাবি?

সে / তারা
লেখা – সে চিঠি লেখে।
যাওয়া – তারা মাঠে খেলতে গিয়েছে।

তিনি / তাঁরা
চেনা – তিনি রাজুকে চেনেন।
হওয়া – অনুষ্ঠানে তারা সময়মতো উপস্থিত হয়েছেন।

ও / ওরা
পড়া – ও আমার সঙ্গে পড়ে।
যাওয়া – ওরা আগামীকাল বনভোজনে যাবে।

যোগাযোগের অনুশীলন
১. বাইরে থেকে মাত্র বাড়ি ফিরেছ। এমন সময়ে তোমার ছোটো ভাই তোমার সঙ্গে খেলার জন্য বায়না ধরেছে। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা হচ্ছে।

নমুনা উত্তর:
ছোটো ভাই : ভাইয়া, আমি কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি?
শিক্ষার্থী : স্কুল থেকে ফিরতে দেরি হয়ে গিয়েছে। আমার জন্য অপেক্ষা করছিলি কেন?
ছোট ভাই : বাবা নতুন ব্যাট আর বল কিনে এনেছেন। তোমার সঙ্গে ক্রিকেট খেলব।
শিক্ষার্থী : কিন্তু আমি এইমাত্র স্কুল থেকে ফিরলাম। এখন খেলতে পারব না।
ছোটো ভাই : আম্মু বলেছে তুমি বাসায় এলে তোমার সঙ্গে বল খেলতে। তাই বাইরে যাইনি। এখনই খেলতে হবে।
শিক্ষার্থী : কিন্তু আমি এখন ক্লান্ত। আচ্ছা, ঠিক আছে চল। তবে বেশিক্ষণ খেলতে পারব না।
ছোট ভাই : ঠিক আছে। তুমি ব্যাট করো, আমি বল করব।
শিক্ষার্থী : ঠিক আছে।

২. আজ নতুন বই হাতে পেয়েছ। খবরটি তোমার দাদা বা নানাকে ফোন করে জানাও।

নমুনা উত্তর:
শিক্ষার্থী : হ্যালো নানা, শুভ অপরাহ্ণ।
নানা : শুভ অপরাহ্ণ নানাভাই।
শিক্ষার্থী : কেমন আছেন নানা?
নানা : ভালো আছি। তুমি কেমন আছ?
শিক্ষার্থী : আমিও ভালো আছি। নানা, আজ আমাদের স্কুলে নতুন বই দিয়েছে।
নানা : তাই নাকি নানাভাই। বই কখন হাতে পেয়েছ?
শিক্ষার্থী: একটু আগে।
নানা : নতুন বই পেয়ে কেমন লাগছে?
শিক্ষার্থী : খুব ভালো লাগছে। আপনি নতুন বই দেখতে আমাদের বাড়ি আসবেন।
নানা : অবশ্যই আসব নানাভাই। ভালো থেকো।
শিক্ষার্থী : আপনিও ভালো থাকবেন।

৩. তোমার চাচা টেলিফোন করে জানালেন, তোমার দাদি অসুস্থ। এ নিয়ে চাচার সঙ্গে আলাপ করছ।

নমুনা উত্তর:
শিক্ষার্থী : আসসালামু আলাইকুম চাচা, কেমন আছ?
চাচা : ওয়ালাইকুম আসসালাম, আমি ভালো আছি বাবা। তুমি কেমন আছ?
শিক্ষার্থী : ভালো আছি।
চাচা : তোমাদের বাসার সবাই ভালো আছে?
শিক্ষার্থী : হ্যাঁ চাচা সবাই ভালো আছে। দাদি কেমন আছেন?
চাচা : তোমার দাদির সংবাদ দিতেই কল করেছি। তোমার দাদি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। তোমাদের খুব দেখতে চাচ্ছেন
শিক্ষার্থী : দাদির কী হয়েছিল?
চাচা : তাঁর বয়স হয়েছে। ইদানীং নানারকম রোগে ভুগছেন, ওষুধও নিয়মিত খেতে চান না, ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
শিক্ষার্থী : দাদিকে ঢাকায় নিয়ে আসো। এখানে অনেক ভালো ভালো চিকিৎসক আছেন। তিনি নিশ্চয় খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
চাচা : উনি তো এখন যাত্রাপথের ধকল নিতে পারবেন না, বরং তোমরা যদি কিছুদিনের জন্য গ্রামে আসতে পারো, তাহলে খুব ভালো হয়।
শিক্ষার্থী : হ্যাঁ চাচা অবশ্যই আসব।
চাচা : ভালো থেকো।
শিক্ষার্থী : তুমিও ভালো থেকো চাচা।

৪. বাসার কাছের দোকানে খাতা ও কলম কিনতে গিয়েছ। সব জিনিস কেনা শেষে দেখা গেল, তোমার কাছে কিছু টাকা কম পড়েছে। এ নিয়ে দোকানির সঙ্গে কথা বলছ।

নমুনা উত্তর:
শিক্ষার্থী : কাকা, ভালো আছেন?
বিক্রেতা : হ্যাঁ বাবা, ভালো আছি। তোমার পরিবারের সবাই ভালো আছেন?
শিক্ষার্থী : হ্যাঁ সবাই ভালো আছেন।
বিক্রেতা : কী লাগবে তোমার?
শিক্ষার্থী : আমাকে একটি কলম, দুটি পেনসিল, একটি ইরেজার আর তিনটি খাতা দিন।
বিক্রেতা : আর কিছু লাগবে?
শিক্ষার্থী : না কাকা আজ আর কিছু লাগবে না।
বিক্রেতা : বিল করব?
শিক্ষার্থী : হ্যাঁ করুন ।
বিক্রেতা : একটি কলম, দুটি পেনসিল, একটি ইরেজার আর তিনটি খাতা মিলে দাম হয়েছে ১৮৫ টাকা।
শিক্ষার্থী : কিন্তু আমার কাছে তো ১৫০ টাকা আছে। একটি খাতা রেখে দিন, আমি আগামীকাল এসে নিয়ে যাব।
বিক্রেতা : আগামীকাল নিতে হবে না। এখনই নিয়ে যাও পরে টাকা পাঠিয়ে দিও।
শিক্ষার্থী : ঠিক আছে কাকা, বাবা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে আপনাকে টাকা পাঠিয়ে দিতে বলব।
বিক্রেতা : ঠিক আছে। ভালো থেকো।
শিক্ষার্থী : আপনিও ভালো থাকবেন। বিদায়।
বিক্রেতা : বিদায়।

৫. তোমার ক্লাসে একজন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তুমি তার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছ এবং তোমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছ।

নমুনা উত্তর:
পুরনো শিক্ষার্থী : শুভ সকাল
নতুন শিক্ষার্থী : শুভ সকাল
পুরোনো শিক্ষার্থী : কেমন আছ?
নতুন শিক্ষার্থী : ভালো আছি।
পুরোনো শিক্ষার্থী : কী নাম তোমার?
নতুন শিক্ষার্থী : আরিশ। তোমার নাম?
পুরোনো শিক্ষার্থী : আমার নাম মুহিব। তোমাকে মনে হয় এই স্কুলে আগে কখনো দেখিনি।
নতুন শিক্ষার্থী : ঠিকই বলেছ। আমি এই স্কুলে নতুন ভর্তি হয়েছি।
পুরোনো শিক্ষার্থী : কোন শ্রেণিতে?
নতুন শিক্ষার্থী : ষষ্ঠ শ্রেণীতে।
পুরোনো শিক্ষার্থী : বাহ! আমিও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি।
নতুন শিক্ষার্থী : তোমার কোন শাখা?
পুরোনো শিক্ষার্থী : ‘খ’ শাখা।
নতুন শিক্ষার্থী : আমারও তো ‘খ’ শাখা।
পুরোনো শিক্ষার্থী : চলো ক্লাসে যাই।
নতুন শিক্ষার্থী : আমি কিন্তু ক্লাস কোনটা চিনি না। তুমি আমাকে ক্লাস খুঁজে পেতে সাহায্য করবে?
পুরোনো শিক্ষার্থী : অবশ্যই। তুমি পুরোনো স্কুল ছেড়ে নতুন স্কুলে কেন ভর্তি হয়েছ?
নতুন শিক্ষার্থী : বাবা সরকারি চাকরি করেন। তাই আমরা কখনো এক জায়গায় বেশি দিন থাকতে পারি না। এবার বাবা বদলি হয়ে ঢাকায় এসেছেন।
পুরোনো শিক্ষার্থী : ও। আমাদের স্কুলটি তোমার ভালো লাগবে আশা করি। এটি এই এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ভালো স্কুল। এখানকার পড়াশোনা খুব ভালো। শিক্ষকরাও খুব আন্তরিক।
নতুন : তাহলে তো ভালোই। চলো ক্লাসে যাই।
পুরোনো শিক্ষার্থী : চলো।

৬. পাশের বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান যচ্ছে। তুমি দাওয়াত পেয়েছ। সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে তুমি তোমার মায়ের সঙ্গে কথা বলছ।

নমুনা উত্তর :
শিক্ষার্থী : মা, পাশের বাসার রুমি আজ আমাকে ওর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছে। অনুষ্ঠানে আমার সব বন্ধুরা আসবে। আমিও যেতে চাই।
মা : জন্মদিনের অনুষ্ঠান কখন অনুষ্ঠিত হবে?
শিক্ষার্থী : আজ সন্ধ্যায়।
শিক্ষার্থী : যেতে পারো, তবে ক্লাসের পড়া ও বাড়ির কাজ শেষ করার পর।
শিক্ষার্থী : কিন্তু মা ততক্ষণে তো অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে। অনুষ্ঠান যেন শেষ না হয়ে যায় সে জন্য বিকেলে পড়তে বসবে।
শিক্ষার্থী : তাহলে খেলব কখন?
মা : আজ খেলার সময় পাবে না। তুমি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছ, আমি অনুমতি দিয়েছি। এখন তোমার দায়িত্ব হলো, অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আগামীকালের স্কুলের পড়া শেষ করা। এবার তুমি ভেবে দেখো, সন্ধ্যায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাবে নাকি বিকেলে খেলতে যাবে?
শিক্ষার্থী : ঠিক আছে। বিকেলে পড়া শেষ করে সন্ধ্যায় রুমিদের বাসায় যাব।
মা : আচ্ছা। বন্ধুকে কী উপহার দেবে ঠিক করেছ?
শিক্ষার্থী : তা তো ভাবিনি। আচ্ছা মা রুমিকে বই উপহার দিলে কেমন হয়?
মা : খুব ভালো হয়। কোন বইটি দিতে চাও?
শিক্ষার্থী : স্কুলের লাইব্রেরিতে ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ বইটি পড়ে ভালো লেগেছে। ভাবছি, বইটি রুমিকে উপহার দেবো।
মা : বাহ্! চমৎকার ভাবনা। তাহলে তোমার বাবাকে কল করে বইটির কথা বলো, তিনি কিনে আনবেন।
শিক্ষার্থী : ধন্যবাদ মা!
মা : তোমাকেও ধন্যবাদ!

IMG 20230412 124949

নমুনা উত্তর : জরুরি পরিস্থিতিতে আমি বা আমরা যার সঙ্গে যোগাযোগ করব, তা নিচের ছকে দেওয়া হলো-
১. তোমার এলাকার কোনো বাড়িতে আগুন লেগেছে। → ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় থানা বা উপজেলা প্রশাসন।
২. খেলার মাঠে এক বন্ধু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। → বিদ্যালয় বা বিদ্যালয়ের আশপাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নিকটস্থ ফার্মেসি, স্থানীয় চিকিৎসক, অসুস্থ বন্ধুর মা-বাবা।
৩. ঝড়ের পরে বিদ্যুতের তার রাস্তায় পড়ে আছে। → স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় থানা বা উপজেলা প্রশাসন।
৪. হারিয়ে যাওয়া কোনো শিশুকে খুঁজে পাওয়া গেছে। → হারিয়ে যাওয়া শিশুর অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় থানা বা উপজেলা প্রশাসন।

1 thought on “(বাংলা) ৬ষ্ঠ: মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি – সমাধান”

Leave a Comment