তথ্যঝুঁকি মোকাবেলায় মানববন্ধন হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি বই এর শিখন অভিজ্ঞতা। তথ্যঝুঁকি মোকাবেলায় মানববন্ধন অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
তথ্যঝুঁকি মোকাবেলায় মানববন্ধন
শ্রেণিকার্যক্রম-১ : আগের শিখন অভিজ্ঞতায় তৈরি করা বিদ্যালয় পত্রিকায় যেসব উপকরণ যুক্ত করেছিলাম, সেখানে তথ্য আকারে কী কী ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ব্যবহার ছিল, তার একটি তালিকা নিচের ছকে লিখি।
কাজের ধারা
১. শিখন অভিজ্ঞতা-৩ এ বিদ্যালয়ের পত্রিকা “তথ্য সম্ভার” সম্পর্কে জানা।
২. বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সম্পর্কে জানা।
নমুনা ছক
বৃদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের তালিকা
১। তথ্য সম্ভার (বিদ্যালয়ের পত্রিকার নাম হওয়ায় এটি বিদ্যালয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ)
২। অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন
৩। মোবাইল ফোনের জনক
৪। Talking to People
শ্রেণিকার্যক্রম-২ : বিদ্যালয় পত্রিকা মূলত তথ্য আদান-প্রদানের এক ধরনের মাধ্যম। এই রকম অনেক মাধ্যম ব্যবহার করেও আমরা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। সেই মাধ্যমগুলো ডিজিটাল বা ডিজিটাল নয় এমন মাধ্যম হতে পারে। তাই তোমরা বিদ্যালয়ের পত্রিকা তৈরিতে ডিজিটাল মাধ্যম ও হাতে কলমে কাজ করেছো। নিচের ছকে তথ্য আদান-প্রদানে ডিজিটাল ও ডিজিটাল নয় মাধ্যমগুলো লেখো।
কাজের ধারা
১. ডিজিটাল মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জানা।
২. ডিজিটাল নয় এমন মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জানা।
নমুনা ছক

শ্রেণিকার্যক্রম-৩ : যে তথ্যের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পরিচয় চিহ্নিত করা যায়, তাই হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। পাঠ্যবইয়ে যে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলো ছাড়াও আমাদের আর কী কী ব্যক্তিগত তথ্য থাকতে পারে তা নিচের ছকে লিখি।
কাজের ধারা
১. ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে জানা।
২. ব্যক্তিগত তথ্যগুলো কী কী হতে পারে সেগুলো জানা।
নমুনা তালিকা
ব্যক্তিগত তথ্যের তালিকা
১. নিজের ছবি
২. মোবাইল নম্বর
৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর
৪. মোবাইল ব্যাংকিং পিন নম্বর
৫. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের পাসওয়ার্ড
৬. জন্ম নিবন্ধন
৭. একাডেমিক সার্টিফিকেট
৮. জাতীয় পরিচয়পত্র
শ্রেণিকার্যক্রম-৪ : তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি নিরূপণ করতে আমরা একটি জরিপ করতে পারি। জরিপ পরিচালনার জন্য আমরা নিজেরা কয়েকটি প্রশ্ন সংবলিত তথ্য আদান-প্রদানে সম্ভাব্য ঝুঁকি কী হতে পারে তা খুঁজতে একটি প্রশ্নমালা তৈরি করব। মনে রাখতে হবে যে আমরা নিচের তিনটি তথ্য জানতে তাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি-
কীভাবে তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে;
কোন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে;
তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
কাজের ধারা
১. তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা।
২. তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জানা।
৩. তথ্য আদান-প্রদানের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিসমূহ সম্পর্কে জানা।
নমুনা উত্তর
তথ্য আদান-প্রদানে যে ঝুঁকিগুলো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো জানতে আমরা একটি জরিপ তৈরি করব। জরিপ পরিচালনা করার জন্য নিচে কিছু প্রশ্নমালা তৈরি করা হলো-
তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য কিছু প্রশ্নমালা
১. কীভাবে তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে;
২. কোন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে;
৩. তথ্য আদান-প্রদান বুঝুঁকিপূর্ণ হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
৪. তথ্য আদান-প্রদানে আপনি সাধারণত কোন মাধ্যম বেশি ব্যবহার করেন?
৫. তথ্য আদান-প্রদানে কোন মাধ্যম বেশি ব্যবহার করেন না?
৬. আপনি কার সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদান করেন?
৭. আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে কোনটি বেশি শেয়ার করেন?
৮. আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে কোনটি বেশি শেয়ার করেন না?
৯. আপনি কী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন?
১০. একমাত্র আপনি ছাড়া কোনটি একেবারেই শেয়ার করেন না?
১১. আপনি কি টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেন?
১২. আপনার মোবাইল ব্যাংকিং-এর পিন নম্বর কার সঙ্গে আদান-প্রদান করেন?
১৩. আপনি ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করে রাখেন?
১৪. তথ্য আদান-প্রদানে কোন মাধ্যমকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন?
এই প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো কী হতে পারে। অর্থাৎ এই প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে আমাদের তিনটি প্রশ্নের উত্তর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে খুঁজে পাব।
শ্রেণিকার্যক্রম-৫ : আমরা সাক্ষাৎকারের জন্য যে নমুনা প্রশ্নমালা তৈরি করেছিলাম, সেটির আলোকে তোমরা একজন তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য নিম্নের ফরমটি পূরণ করো।
কাজের ধারা
১. শ্রেণি শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে আমরা দলের প্রত্যেক সদস্য এক একজন তথ্যদাতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবো। তবে প্রথমে তথ্যদাতার সাথে সালাম/শুভেচ্ছা বিনিময় করবো, এরপর তার সুস্থ থাকার বিষয়টিও জিজ্ঞেস করবো। এর ফলে তথ্যদাতা তথ্য প্রদানে আপনার প্রতি আন্তরিক হবেন।।
নমুনা উত্তর
নিচের তথ্য সংগ্রহের ফরমটি পূরণ করা হলো –

শ্রেণিকার্যক্রম-৬ : আমরা পূর্বের সেশনে যে জরিপ করেছিলাম, সেই সেশনে একজন ব্যক্তি কোন মাধ্যমটি বেশি ব্যবহার করে তার একটি বিশ্লেষণমূলক তালিকা তৈরি করো। তবে তথ্য বিশ্লেষণ করার সময় নিম্নের দুইটি ব্যাপার বিবেচনায় নিতে হবে-
➤ কতজন কোন মাধ্যম ব্যবহারের কথা বললো তা তালিকা আকারে লিখা।
➤ কোনো প্রশ্নের সংক্ষেপে উত্তরের একাধিক মতামত থাকলে সেগুলো তালিকা আকারে উল্লেখ করা, বিশেষ করে কোন ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে তার তালিকা।
কাজের ধারা
১. তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম সম্পর্কে জানা।
২. তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকিপূর্ণ মাধ্যম সম্পর্কে জানা।
৩. তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমের ব্যবহারকারী সম্পর্কে জানা।
নমুনা উত্তর
উক্ত জরিপ থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেল, কতজন মানুষ ডিজিটাল/ সাধারণ বা ডিজিটাল নয় এমন মাধ্যম ব্যবহার করে তার একটি নমুনা তালিকা নিচে দেখানো হলো-

শ্রেণিকার্যক্রম-৭ : আজ আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন কারণ আমাদের শ্রেণিকক্ষে একজন অতিথি আসছেন। আমরা আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা প্রশ্নগুলো একে একে তাকে জিজ্ঞেস করে উত্তর জেনে নিবো। তার উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মনে নতুন প্রশ্নও তৈরি হতে পারে, প্রশ্নটি যদি আমাদের সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহায়ক হয়, তাহলে অবশ্যই প্রশ্নটি করতে পারব।
বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিচের ছকে লিখি।
কাজের ধারা
১. বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি সম্পর্কে জানা।
২. সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা।
৩. সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রশ্ন তৈরি সম্পর্কে জানা।
নমুনা ছক
বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিচের ছকে লিখি। তাই আজকে আমরা একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে আমাদের শ্রেণি কক্ষে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। নিচে আমাদের সাক্ষাৎকার পর্বটি শুরু করলাম-
স্যার, আপনার মূল্যবান সময় আমাদেরকে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে নতুন কিছু জানার জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করি, তাই আজকের সেশনে আমরা আপনার কাছ থেকে তথ্য আদান-প্রদানে যে ঝুঁকিগুলো সৃষ্টি হতে পারে তা জানব।
শিক্ষার্থী : আমাদের সকল ব্যক্তিগত তথ্য কী ঝুঁকিপূর্ণ?
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ : নিজেদের পরিচয় দেওয়ার মতো যে তথ্যগুলো ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে ব্যক্তিগত তথ্য বলে। যেমন-আমাদের নাম, বয়স, আমি কোন শ্রেণিতে পড়ি, জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম, নিজের ঠিকানা, নিজের ছবি, ই-মেইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। তবে মাধ্যম ও ব্যক্তিভেদে আমাদের সকল ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
শিক্ষার্থী : কোন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ : যে তথ্যগুলো ঝুঁকিপূর্ণ যেমন- নিজের ছবি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড, পাসপোর্ট নম্বর ইত্যাদি। এই ধরনের তথ্যগুলো অন্যের হাতে চলে গেলে তারা আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জেনে যাবে। সেই সাথে সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করে ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে অপরাধ করবে।
শিক্ষার্থী : কীভাবে তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ : সব পদ্ধতিতে তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নন-ডিজিটাল পদ্ধতির তুলনায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য আদান-প্রদান কম বুঝুঁকিপূর্ণ। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য দ্রুত সময়ে প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়, কিন্তু নন-ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুত সময়ে প্রেরণ করা যায় না। যেহেতু নন-ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য কাগজে লিপিবদ্ধ করা থাকে, যা সহজে যে কেউ দেখে নিতে পারে। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি যিনি এটির দায়িত্বে থাকেন তিনি চাইলেও দেখতে পারেন না।
শিক্ষার্থী : তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ : সাধারণত নিজের ছবি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসওয়ার্ড, পিন নম্বর ইত্যাদি এই ধরনের তথ্য আদান-প্রদান হলে তোমাদের ব্যক্তিগত অনেক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
১. তোমার পাসওয়ার্ড দিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে তথ্যের বিভ্রান্ত করতে পারে। এমনকি কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্ট তোমার প্রোফাইলে সংযুক্ত করে দিয়ে তোমাকে ফাসাতে পারে। তোমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরিচিত ব্যক্তির সাথে তথ্যের আদান-প্রদান করে বিভ্রান্তকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
২. তোমার ব্যক্তিগত ছবিকে এডিট করে তোমার ছবির বিকৃত করে সামাজিকভাবে তোমাকে হেনস্থা করতে পারে।
৩. মোবাইল ব্যাংকিং-এর পিন নম্বর অন্যের হাতে চলে গেলে তোমার টাকা সহজে ট্রান্সফার করে নিতে পারে।
প্রশ্নপর্ব শেষ, এখন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ করব।
শ্রেণিকার্যক্রম-৮ : আমরা ইতোমধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেছি। তাছাড়া একটি জরিপ পরিচালনাও করেছি, আবার একজন বিশেষজ্ঞের মতামতও নিয়েছি। এখন আমরা এমন একটি তালিকা তৈরি করবো যেখানে থাকবে ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্যের ঝুঁকি ও ডিজিটাল নয় বা নন-ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি।
কাজের ধারা
১. ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা।
২. নন-ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা।
নমুনা ছক

শ্রেণিকার্যক্রম-৯ : আমরা ডিজিটাল মাধ্যম ও ডিজিটাল নয় বা সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি ইতোমধ্যে আলাদা করেছি। এখন এই ঝুঁকিগুলোতে যে মাধ্যম ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো নিচের ম্যাপের মতো উল্লেখ করো।
কাজের ধারা
১. ডিজিটাল মাধ্যমের উদাহরণ সম্পর্কে জানা।
২. নন-ডিজিটাল মাধ্যমের উদাহরণ সম্পর্কে জানা।
নমুনা ম্যাপ

শ্রেণিকার্যক্রম-১০ : পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং-৫৪ তে একটি কেস স্টাডি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে জুয়েলের সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেটিতে কী ধরনের তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে?
উত্তর: এখানে জুয়েলের ব্যক্তিগত তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়েছে। জুয়েল জানতো না যে, তার ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কেউ ব্যবহার করে ডিজিটাল মাধ্যমে (সামাজিক যোগাযোগ সাইট-ফেসবুক) ছড়িয়ে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে। এর ফলে জুয়েল সামাজিকভাবে হেয় হয়েছে। অনেকে তাকে নিয়ে ভুল মন্তব্য করেছে যা দুঃখজনক।
শ্রেণিকার্যক্রম-১১ : আমরা কেস স্টাডিতে জুয়েলের ক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যেভাবে লঙ্ঘন হয়েছে, তা জানতে পেরেছি। এখন তোমরা দলগতভাবে এক একটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক ঝুঁকির নাম ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনা উল্লেখ করবে।
উপস্থাপনার সময় দল প্রতিনিধি অবশ্যই ব্যাখ্যা দেবে চিহ্নিত সমস্যাটি কেন এবং কীভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে।
আরো পড়ো → সমস্যা দেখে না পাই ভয়, সবাই মিলে করি জয়
আরো পড়ো → আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকা
কাজের ধারা
১. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক ঝুঁকি সম্পর্কে জানা।
২. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন সম্পর্কে জানা।
নমুনা তালিকা
আমার দলের প্রত্যেকটি সদস্য এক একটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক ঝুঁকির নাম ও লঙ্ঘনের ঘটনা নিচের ছকে উল্লেখ করেছে-
দলের নাম: মেঘনা


শ্রেণিকার্যক্রম-১২ : আমরা পূর্বের সেশনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক ঝুঁকিগুলোর যে তালিকা তৈরি করেছিলাম, সেগুলোকে কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তার একটি কর্মপরিকল্পনার ছক তৈরি করো।
কাজের ধারা
১. ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঝুঁকির ধরণ সম্পর্কে জানা।
২. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানা।
৩. ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঝুঁকি মোকাবেলায় কৌশল সম্পর্কে জানা।
নমুনা ছক
উত্তর: আমরা শ্রেণি শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক ঝুঁকিগুলো সমাধান করার জন্য নিম্নে একটি কর্মপরিকল্পনা ছক তৈরি করলাম।


শ্রেণিকার্যক্রম-১৩ : আমরা পূর্বের সেশনগুলোতে ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনেছি। এই সেশনে আমরা দলগতভাবে কিছু প্ল্যাকার্ড তৈরি করব এবং সেই প্ল্যাকার্ড নিয়ে সচেতনতামূলক মানববন্ধনের আয়োজন করব। প্ল্যাকার্ড তৈরির সময় নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করব-
➤ ঝুঁকির কারণ
➤ ঝুঁকির ধরন
➤ ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আইনি দিক
➤ সামাজিক ও নৈতিক দিক
➤ ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয়
➤ ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতা
কাজের ধারা
১. ব্যক্তিগত তথ্যের ঝুঁকির কারণ ও ধরণ সম্পর্কে জানা।
২. ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আইনি দিক সম্পর্কে জানা।
৩. ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেতনতা ও করণীয় সম্পর্কে জানা।
নমুনা প্ল্যাকার্ড
উত্তর: প্ল্যাকার্ড তৈরি করতে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা দরকার, তার সব কয়টির উত্তর আমরা প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ করেছি। নিম্নে তথ্যঝুঁকি মোকাবেলার জন্য নিচে প্ল্যাকার্ড তৈরি করা হলো।
(প্ল্যাকার্ড তৈরি করতে আমরা দলের প্রত্যেক সদস্য একটি করে বিষয়ের উপর প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছি।


আমাদের তৈরি করা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিদ্যালয়ের বারান্দা বা এমন স্থান থেকে প্রদর্শন করব যেন তা বিদ্যালয়ের বাইরের লোকজনও দেখতে পায়।
এভাবে আমরা এই শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তথ্যঝুঁকির মোকাবেলার কাজটি সম্পূর্ণ করলাম।
শ্রেণিকার্যক্রম-১৪
বাড়ির কাজ:
আমরা এই সেশনে যে কর্মপরিকল্পনা শিখলাম, তা কাজে লাগিয়ে আমি আমার পরিবারের ব্যক্তিগত যত ছবি আছে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেব এবং সেটিকে একটি কর্মপরিকল্পনা ছকের মাধ্যমে মোকাবেলা করবো।
কাজের ধারা
১. ঝুঁকি মোকাবেলায় গৃহীত কৌশল সম্পর্কে জানা।
২. কৌশল গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত ফল সম্পর্কে জানা।
নমুনা উত্তর:
আমার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে যদি কোনো ব্যক্তিগত ছবি থাকে, তা যেন নিরাপদ থাকে তার উদ্যোগ হতে পারে- অ্যাপস লক করা, ব্যক্তিগত ছবি মুছে দেওয়া, মোবাইল ফোন লক করে রাখা ইত্যাদি। নিম্নে একটি কর্মপরিকল্পনা ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো-

