অর্থ বুঝে বাক্য লিখি হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বই এর ৩য় অধ্যায়। অর্থ বুঝে বাক্য লিখি অধ্যায়ের ৪র্থ পরিচ্ছেদ বাক্য এর অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
৪র্থ পরিচ্ছেদ : বাক্য
১. নিচের বাক্যগুলো পড়ে তাতে সাধারণভাবে কী অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে তা লেখো।
১. আমি বাজারে যাচ্ছি।
২. তুমি কোথায় যাচ্ছ?
৩. তুমি বাজারে যাও।
৪. ওরে বাবা! কত বড়ো বাজার।
নমুনা উত্তর :
১. একটি সাধারণ বক্তব্য বোঝানো হচ্ছে।
২. জানতে চাওয়া হচ্ছে।
৩. নির্দেশ বোঝানো হচ্ছে।
৪. অবাক হয়েছে এমন অনুভূতি বোঝানো হচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের বাক্য খুঁজি
২. ‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে চার ধরনের বাক্য খুঁজে বের করো।
১. বিবৃতিবাচক বাক্য :……………………
২. প্রশ্নবাচক বাক্য :……………………….
৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য :…………..……….
৪. আবেগবাচক বাক্য :……………………
নমুনা উত্তর :
১. বিবৃতিবাচক বাক্য :
- এই জামা হবে একজন সুখী মানুষের।
- তোমার মোড়ল একটা কঠিন লোক।
- মানুষের কান্না দেখলে হাসে।
- আমি একজন সুখী মানুষ।
২. প্রশ্নবাচক বাক্য :
- তাই বলে মোড়লের ব্যারাম ভালো হবে না কেন?
- বাঘের চোখ আনতে হবে?
- সুখ কোথায় পাব? কী করতে হবে?
- আমার মনে দুঃখ কেন?
৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য :
- শান্ত হও।
- আমাকে শান্তি এনে দাও।
- চুপ করো।
- যাও, সুখী মানুষকে খুঁজে দেখো।
- জামা এনে দাও।
৪. আবেগবাচক বাক্য :
- আমার কত টাকা, কত বড়ো বাড়ি!
- মোড়ল বাঁচবে তো!
- হা হা করে পাগলের মতো হাসছ কেন ভাই!
- আহা রে, আমরা এখন কী করব!
আরো পড়ো →২য় পরিচ্ছেদ : শব্দের অর্থ
আরো পড়ো →৩য় পরিচ্ছেদ : যতিচিহ্ন
অনুচ্ছেদ লিখি
৩. বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক— এই চার ধরনের বাক্য ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
নমুনা উত্তর :
টুনটুনি বললে, ‘তবে দেখ তো দেখি, ঐ তালগাছটার ডালে গিয়ে বসতে পারিস কিনা।’
ছানারা তখনি উড়ে গিয়ে তালগাছের ডালে বসল। তা দেখে টুনটুনি হেসে বললে, ‘এখন দুষ্টু বিড়াল আসুক দেখি!’ খানিক বাদেই বিড়াল এসে বললে, ‘কী করছিস টুনটুনি?’
তখন টুনটুনি পা উঠিয়ে তাকে লাথি দেখিয়ে বললে, ‘দূর হ, লক্ষ্মীছাড়ী বিড়ালনী!’ বলেই সে ফুড়ৎ করে উড়ে পালাল। দুষ্টু, বিড়াল দাঁত খিঁচিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে, টুনটুনিকেও ধরতে পারল না, ছানাও খেতে পেল না। খালি বেগুন কাঁটার খোঁচ খেয়ে নাকাল হয়ে ঘরে ফিরল। টুনটুনি আর বিড়ালের কথা, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।