শরৎ আসে মেঘের ভেলায়

(শিল্প ও সংস্কৃতি) ৬ষ্ঠ: শরৎ আসে মেঘের ভেলায় – সমাধান

শরৎ আসে মেঘের ভেলায় হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিল্প ও সংস্কৃতি বই এর ৯ম অধ্যায়। শরৎ আসে মেঘের ভেলায় অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

শরৎ আসে মেঘের ভেলায়

কাজ-১: শরতের আকাশের রং, মেঘের ভেসে বেড়ানো, কাশবন, কাশফুল, বক এইসব সম্পর্কে বন্ধুখাতায় লিখে রাখো অথবা এঁকে রাখো।
কাজের ধরন:
একক কাজ।

নমুনা সমাধান
ক. শরৎ সম্পর্কে লেখা: ঝকঝকে নীল আকাশের বুকে ধবধবে সাদা মেঘের ভেলা। নানাবিধ ফুলের শোভা আর শস্যের শ্যামলতা। ভাদ্র- আশ্বিন এ দুই মাস মিলে শরৎ ঋতু। শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুল, গাছে গাছে শিউলি, বেলি, জুঁই, শেফালি, মালতি, টগর, হাসনাহেনা আর বিলে-ঝিলে শাপলা ফুলের সমারোহ আর লম্বা লম্বা তালগাছে পাকা তালের মিষ্টি ঘ্রাণ। শরৎ ঋতুর সৌন্দর্য বাংলার প্রকৃতিকে করে তোলে রূপময় ও মোহনীয়। শরতের সকালে বয়ে চলে ঝিরিঝিরি হাওয়া।

ছোট ছোট পাখিদের বেপরোয়া দাপাদাপি ও মিষ্টি কলতান। ফুটন্ত শিউলির প্রাণ জুড়ানো ঘ্রাণ। শিউলিতলায় হালকা শিশিরে ভেজা দুর্বাঘাসের ওপর চাদরের মতো বিছিয়ে থাকে রাশি রাশি শিউলি ফুল। আমনের মাঠে মাঠে শিশিরসিক্ত সবুজের স্বচ্ছ শামিয়ানা! বাতাসের দাপটে অবিরাম ঢেউ তুলে যায় আমন ধানের ক্ষেতজুড়ে। নদীর তীরে শুভ্র সাদা কাশফুলের খিলখিল হাসিতে যেন তার সবটুকু সৌন্দর্য ঢলে পড়ার উপক্রম। শরতের আকাশের মতো স্বচ্ছ আকাশ আর কোনো ঋতুতে দেখা যায় না।

শরতের মেঘমুক্ত আকাশে যেন শুভ্রতার ফুল ঝরে। শরতের দিনে খুব ভোরে কিশোর-কিশোরীরা ছুটে যায় ফুল কুড়াতে শিউলিতলায়। ফুল কুড়িয়ে মালা বানিয়ে গলায় পরে। নদী- নালা, খাল-বিলে ক্রমেই পানি কমতে শুরু করে। সেই সুযোগে গ্রাম বাংলার জনসাধারণ মিলেমিশে আনন্দঘন নৌকা ভ্রমণের আয়োজন করে। এঁকেবেঁকে বয়ে চলা নদীর বুকে মাঝিরা ডিঙি নাও বাইতে বাইতে গেয়ে ওঠে ভাটিয়ালি গান। বিলের জলে নক্ষত্রের মতো ফুটে থাকে লাল সাদা শাপলা ফুল।

খ. শরৎকালের দৃশ্য:

received 934877231103173

কাজ-২: দলে ভাগ হয়ে অধ্যায়ের নাটিকাটির চরিত্র সংখ্যা বের করো।
কাজের ধরন:
দলীয় কাজ।

নমুনা সমাধান
অধ্যায়ের নাটিকাটির ৫টি চরিত্র আছে। চরিত্রগুলো হলো- ১. রাফি, ২. মাঝি, ৩. বক/বকপাখি, ৪. খোকা, ৫. কাশবন

কাজ-৩: হাত-পুতুল (ফিঙ্গার পাপেট) বা ভঙ্গিমার মাধ্যমে ‘রাফি’ শীর্ষক নাটিকাটির অনুশীলন করো।
কাজের ধরন:
দলীয় কাজ।

নমুনা সমাধান
কাজ-১ এ চিহ্নিত করা চরিত্রগুলোতে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবো তা নির্ধারণ করে অনুশীলন করবো। চরিত্রগুলো হাত-পুতুল বা হাতে ভঙ্গিমার মাধ্যমে করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারি। যেমন:

ধাপ-১: উপরের চরিত্রগুলোকে হাত-পুতুল বানানোর ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই পায়ের পুরানো মোজা অথবা একটু বড় কাপড়ের টুকরো/ যেকোনো কাগজ কিংবা বিভিন্ন রঙের সুতা/দড়ি/বোতাম/ গাছের পাতা/ডাল/ফুল/ফেলনা জিনিস দিয়ে তৈরি করবো।

ধাপ-২: চরিত্রগুলোকে কল্পনা করে সেইভাবে কাপড়/কাগজ/পুরানো মোজা কাটতে হবে। তারপর সুতা দিয়ে চুল, বোতাম দিয়ে চোখ অথবা নকশা করে সেলাই করে হাত-পুতুল বানাবো। এক্ষেত্রে হাতের মাপটা জেনে বানানো শুরু করবো।

ধাপ-৩: হাত নড়াচড়া করানোর মধ্য দিয়ে এবং মুখ প্রসারিত/ সংকুচিত/ হাস্যোজ্জ্বল/বিস্ময়ের ভঙ্গিমাগুলো দিয়ে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলবো।

ধাপ-৪: চরিত্রগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে গলার স্বর পরিবর্তন করবো যেন তাদের চরিত্রের সাথে গলা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। চরিত্র অনুযায়ী শব্দ করে কথাগুলো উপস্থাপন করবো।

আরো পড়োবৃষ্টি ধারায় বর্ষা আসে
আরো পড়োটুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি

কাজ-৪: ‘শরৎ আসে মেঘের ভেলায়’ অধ্যায় সম্পর্কে তোমার অনুভূতি লেখো।
কাজের ধরন:
একক কাজ।

নমুনা সমাধান
আমার অনুভূতি: এই অধ্যায়ে শিক্ষক আমাদের শরৎকালের বর্ণনা দিয়েছেন। শরৎকালে আকাশের পরিবর্তন, মেঘেদের ভেসে বেড়ানো, কাশবনের রূপ ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি। বন্ধুখাতায় প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে রেখেছি। বন্ধুদের সাথে শরৎকাল নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। বন্ধুখাতায় শরৎকালের ছবি এঁকেছি।

বইতে একটি কাব্য নাটিকা ছিলো, শ্রেণিশিক্ষকের সাহায্যে আমরা সেই নাটিকাটি অভিনয় করেছি। আমরা আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি নাটিকাটি। সহপাঠীরা মিলে নাটিকার চরিত্র বের করে পাপেট বানিয়েছি। হাতের আঙুলের সাহায্যে তা অভিনয়ে উপস্থাপন করেছি। সহপাঠীদের সাথে নাটিকাটি উপস্থাপন করেছি এবং বন্ধুখাতায় প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি এঁকে রেখেছি।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *