(বাংলা) অষ্টম শ্রেণি: সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

সুখী মানুষ হচ্ছে অষ্টম শ্রেণীর সাহিত্য কণিকা বই এর মমতাজ উদ্দীন আহমদ এর গল্প। সুখী মানুষ গল্প থেকে বাছাইকৃত সেরা ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

লেখক-পরিচিতি (Biography)
নাম : মমতাজ উদ্দীন আহমদ
জন্ম-পরিচয় : ১৮ই জানুয়ারি, ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায়।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় : পিতা : কলিম উদ্দীন আহমদ। মাতা : সখিনা খাতুন।
স্থায়ী ঠিকানা : বজরাটেক, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
শিক্ষাজীবন : প্রবেশিকা : ভোলাহাট রামেশ্বরী ইনস্টিটিউশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, (১৯৫১)। উচ্চ মাধ্যমিক : রাজশাহী করে (১৯৫৪)। স্নাতক : সম্মান (বাংলা), রাজশাহী কলেজ, (১৯৫৭)। স্নাতকোত্তর : বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৮)।
পেশা/কর্মজীবন : অধ্যাপনা, বিভিন্ন সরকারি কলেজ। খণ্ডকালীন অধ্যাপক, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক।
সাহিত্যসাধনা : নাটক : স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, রাজা অনুস্বারের পালা, সাতঘাটের কানাকড়ি, আমাদের শহর, হাস্য লাস্য ভাষ ইত্যাদি। গবেষণাগ্রন্থ : বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত, বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত ইত্যাদি। ছোটগল্প : রগড় কাহিনি ও সরস গল্প ইত্যাদি। উপন্যাস : সজল তোমার ঠিকানা, ওহে নুরুল ইসলাম ইত্যাদি ।
পুরস্কার ও সম্মাননা : শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাহবুবউল্লাহ জেবুন্নেসা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক, আলাওল পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক (১৯৯৭)।
মৃত্যু : দোসরা জুন ২০১৯, ঢাকা।

পাঠ-পরিচিতি (Summary)
‘সুখী মানুষ’ মমতাজ উদ্দীন আহমদের একটি নাটিকা। এর দুটি মাত্র দৃশ্য। নাটিকাটির কাহিনিতে আছে, মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে, ধনী হওয়া এক মোড়লের জীবনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনো সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে মোড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুঁজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না। শেষে একজনকে পাওয়া গেল, যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনোভাবে জীবিকানির্বাহ করে সুখে দিনাতিপাত করছে। তার কোনো সম্পদ নেই, ফলে চোরের ভয় নেই। সুতরাং শান্তিতে ঘুমানোর ব্যাপারে তার কোনো দুশ্চিন্তাও নেই। শেষ পর্যন্ত সুখী মানুষ একজন পাওয়া গেলেও দেখা গেল তার কোনো জামা নেই। সুতরাং মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না। লেখকের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। তা হলো, সম্পদই অশাস্তির কারণ। ‘সুখ’ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। একজনের অনেক সম্পদ থেকেও সুখ নেই। আবার আরেকজনের কিছু না থাকলেও সে সুখী থাকতে পারে।

সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল

১. রফিক সাহেব অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতেন এবং পরে তা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার খারাপ ব্যবহারের কারণে আশেপাশের মানুষের সাথে তার সম্পর্ক ভালো না। সম্পদ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি সন্তানদেরও ভালোভাবে মানুষ করতে পারেননি। টাকা- পয়সা নিয়ে চিন্তিত, চোখে ঘুম নেই; ঠিকমতো খেতেও পারেন না তিনি। বাড়ির কাজের লোক নয়ন সারাদিন কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় খেয়েদেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে। এটা দেখে রফিক সাহেবের মনে হিংসা হয়।

ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় কয়টি দৃশ্য রয়েছে?
খ. হাসু মোড়লের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তার অকল্যাণ কামনা করে কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. নয়নকে কী ধরনের মানুষ বলা যায়? ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রফিক সাহেবকে ‘সুখী মানুষ’ হতে হলে কী কী করতে হবে? ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে লেখ।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সুখী মানুষ নাটিকার দুটি দৃশ্য রয়েছে।

খ. মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষের ওপর অত্যাচার করে অন্যায়ভাবে সম্পদ লুট করে ধনী হয়েছে। তাই হাসু মোড়লের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তার অকল্যাণ কামনা করে।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়ল চরিত্রটি নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষকে অনেক জ্বালিয়েছে। তার অত্যাচারে সুবর্ণপুরের মানুষ অতিষ্ঠ। সে মানুষের সম্পদ লুট করে আজ ধনী। মানুষের কান্নায় মোড়ল ব্যথিত না হয়ে উল্লাস করে। এমনকি তার আত্মীয় হাসুর মুরগি জবাই করে খেয়েছে মোড়ল। এসব অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই হাসু তার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও মোড়লের মৃত্যু কামনা করে।

গ. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে নয়নকে সুখী মানুষ বলা যায়।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় একজন সুখী মানুষের পরিচয় উপস্থাপন করা হয়েছে। সে বনে থাকে এবং নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনোভাবে জীবিকানির্বাহ করে সুখে-শান্তিতে দিনাতিপাত করে। সে নিঃসম্বল একজন মানুষ, তাই তার ঘরে চোর প্রবেশ করবে এমন ধারণা সে কখনো করে না। সুতরাং সে রাতে শান্তিতে ঘুমায় । সে বলে, তার কিছু নাই সুতরাং সেই দুনিয়াতে সুখী মানুষ। সে নিজেকে সুখের রাজাও মনে করে।
উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, রফিক সাহেব পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। এভাবে তিনি সম্পদের বিশাল পাহাড় গড়েছেন। কিন্তু সম্পদ নিয়ে ব্যস্ত থাকায়, আশপাশের মানুষের তার প্রতি খারাপ ধারণা থাকায়, সন্তান অমানুষ হওয়ায় তিনি বেশ অশান্তিতে আছেন। অপরদিকে কাজের লোক নয়ন সারাদিনের কাজ সেরে সন্ধ্যায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে, যা ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার সুখী মানুষকে নির্দেশ করে। কেননা, ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় দেখা যায় যে, মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষের সম্পদ, মুরগি ইত্যাদি আত্মসাৎ করে অবশেষে অশান্তিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের নয়ন ‘সুখী মানুষ নাটিকার সুখী মানুষের মতো একজন সুখী মানুষ।

ঘ. উদ্দীপকের রফিক সাহেব সুখী মানুষ হতে হলে সৎ পথে নিজ পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করে মনের অশান্তি দূর করতে হবে।
আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা ও স্বার্থপরতা মানুষের জীবনের অশান্তির মূল কারণ। মানুষকে ঠকিয়ে মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে মনের সুখ পাওয়া যায় না। কারো অঢেল সম্পদ থাকতে পারে কিন্তু তা অবৈধভাবে উপার্জিত হলে জীবনে সুখের আশা করা যায় না।
মনের অশান্তি দূর করার জন্য মানুষকে কতকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। যেমন— সৎপথে অর্থ-উপার্জন করা, কাউকে না ঠকানো, মানুষের মনে কষ্ট না দেওয়া এবং সব ধরনের অন্যায় ও অবৈধ পথ পরিহার করে সৎপথে চলা। সুখী মানুষ’ নাটিকাটিতে মমতাজ উদ্দীন আহমদ মানুষের মনের অশান্তি দূর করার জন্য এই পদক্ষেপগুলোর কথাই উল্লেখ করেছেন।
উদ্দীপকের রফিক সাহেবকে দেখা যায় যে, তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ার জন্য পণ্য মজুদ করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতেন। আবার মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে তাদের মনে কষ্ট দিয়েছেন। সম্পদ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আপন সন্তানকেও মানুষ করতে পারেননি। টাকার চিন্তায় রাতে ঘুমাতেও পারেন না। তাই সুখী মানুষ নাটিকার আলোকে বলা যায়, রফিক সাহেবকে সুখী হতে হলে সৎপথে উপার্জন করতে হবে, মানুষকে ঠকানো ও কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, সব ধরনের অবৈধ ও অন্যায় পথ পরিহার করতে হবে। তাহলেই রফিক সাহেব তার মনের দুঃখ-কষ্ট দূর করে একজন সুখী মানুষ হতে পারবেন।

২. রফিক সাহেব অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শহরে আলিশান বাড়ি করেছেন। ইদানীং দুর্নীতির দায়ে তার সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। বিচারে তার জেল হয়ে যেতে পারে। লোকজন বলাবলি করছে, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ রফিক এখন তার সমস্ত সম্পদ ত্যাগ করে হলেও এ অবস্থা থেকে বাঁচতে চায়।

ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল কার মুরগি জবাই করে খেয়েছে?
খ. হাসু মোড়লের মৃত্যু কামনা করে কেন?
গ. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার হাসুর দৃষ্টিভঙ্গি উদ্দীপকের মধ্যেও প্রকাশ পেয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মোড়ল ও রফিক সাহেবের জীবনের পরিবর্তন একই সূত্রে গাঁথা- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল জোর করে হাসুর মুরগি জবাই করে খেয়েছে।

খ. মোড়লের অন্যায় কাজকর্ম সমর্থন করতে পারে না বলেই হাসু মোড়লের মৃত্যু কামনা করে।
অন্যায় কাজ যে-ই করুক, তাকে সমর্থন করা যায় না। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়ল এক অত্যাচারী চরিত্র। তিনি গ্রামের মানুষদের অনেক জ্বালিয়েছেন, যা হাসু মেনে নিতে পারেনি। মোড়লকে সে পাপী ও অত্যাচারী মনে করেছে। আর এ জন্যই মোড়লের ফুফাতো ভাই হয়েও হাসু তার মৃত্যু কামনা করে।

গ. ‘পাপ করলে তার শাস্তি পেতে হয়’ হাসুর এই দৃষ্টিভঙ্গি উদ্দীপকের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
এ জগতে মানুষ সর্বদা অর্থ বা অন্নচিন্তায় মত্ত থাকে। ধনী-দরিদ্র সবার মনেই চাই, চাই আরও চাই ভাবটি বিরাজ করে। আর এই অতিরিক্ত লোভ থেকেই তারা অন্যায় ও পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পাপ কখনো কাউকে ক্ষমা করে না।
হাসু নিজেকে অসুখী মনে করে, কারণ তার মধ্যেও চাহিদা আছে। কিন্তু সে কখনো পাপ কর্ম করে না এবং অন্যায়কারীকেও সমর্থন করে না। এজন্যই সে ‘সুখী মানুষ’ গল্পে অত্যাচারী মোড়লের সর্বদা। অকল্যাণ কামনা করতো। তেমনি উদ্দীপকের রফিক সাহেব একজন দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। লোকে বলাবলি করে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। অর্থাৎ মানুষকে তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেই হবে। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় হাসুর দৃষ্টিভঙ্গি উদ্দীপকের মধ্যেও প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ. মোড়ল আর রফিক সাহেবের অসুখের মূল কারণ অভিন্ন আর তা হলো অন্যায় ও অনৈতিকভাবে সম্পদ অর্জন।
উদ্দীপকের রফিক সাহেব দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারেন না। অন্যদিকে মোড়ল ধনী হওয়া সত্ত্বেও তার জীবনে শান্তি নেই। উভয় চরিত্রই অবৈধ সম্পদের মালিক হয়ে জীবন থেকে সুখ হারিয়ে ফেলেছেন।
মোড়লের মতো রফিক সাহেবও প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। কিন্তু এসব অবৈধ সম্পদ তাকে শান্তি দিচ্ছে না। দুশ্চিন্তায় তার রাতের ঘুম হারাম। তিনি বুঝতে পারেন, অধিক সম্পদকে তিনি সুখের উৎস মনে করলেও সেটিই এখন তার অসুখের মূল কারণ।
অর্থ সম্পদের মাঝে সুখ খুঁজে না পেয়ে রফিক সাহেব ও মোড়ল একসময় অনুভব করেছেন অবৈধ পথে উপার্জিত সম্পদই তাদের অসুখের অন্যতম কারণ। এখন তারা সমস্ত সম্পদ ত্যাগ করে হলেও এ অবস্থা থেকে বাঁচতে চান। উভয়েই তাদের জীবনের পরিবর্তন চান। সুতরাং প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি যথার্থ বলা যায়।

পড়ুন →আমাদের লোকশিল্প গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
পড়ুন →এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

৩. আনোয়ার সাহেব অনেক পরিশ্রম করে সততার সাথে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কোনোদিনও কারো ক্ষতি করেননি। পরিশ্রম আর সততাই ছিল তাঁর প্রেরণাশক্তি। পক্ষান্তরে রজব আলী সুদের কারবার করে ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। মানুষকে বিপদে ফেলে চড়া সুদে টাকা ধার দেয়াই তার প্রধান লক্ষ্য। শেষ বয়সে এসে তার মনে কোনো সুখ নেই। তার ভেতরে শুধুই অতৃপ্তি আর হাহাকার।

ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়লের কথিত রোগের নাম কী?
খ. সুখকে বড় কঠিন জিনিস বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের রজব আলীর সাথে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আনোয়ার সাহেব এবং ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার কাঠুরে যেন এক অভিন্ন সত্তা – যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়লের কথিত রোগের নাম হাড় মড়মড় রোগ।

খ. পাঁচ গ্রাম খুঁজে কোথাও সুখী মানুষ না পাওয়ায় হাসু সুখকে বড় কঠিন জিনিস বলেছেন।
দুনিয়াতে সুখী মানুষ পাওয়া খুবই কষ্টের। এ দুনিয়াতে ধনী চায় আরও ধন। ভিখারি আরও ভিক্ষা চায়, পেটুক চায় আরও খাবার। সবাই শুধু ‘চাই আর চাই”। অল্পে তুষ্ট না হওয়ায় সবাই আজ অসুখী। অনেক চাহিদা থাকায় কারও কোথাও সুখ নেই। সুখ একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। তাই হাসুর মতে সুখ বড় কঠিন জিনিস।

গ. উদ্দীপকের রজব আলীর সাথে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার লোভী, অত্যাচারী মোড়ল চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘সুখী মানুষ’ মমতাজ উদ্দীন আহমদের একটি নাটিকা। তিনি এই নাটিকার কাহিনিতে মানুষের সুখের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। দুনিয়াতে যারা অন্যায় ও অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে তারা কখনো সুখী হতে পারে না। কিন্তু যারা সৎপথে নিজ পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে জীবনযাপন করে তারাই সুখী।
উদ্দীপকে দেখা যায়, রজব আলী একজন সুদকারবারি। সুদের কারবার করেই তিনি ধনী হয়েছেন। মানুষকে বিপদে ফেলে বেশি সুদে তিনি টাকা ধার দেন। কিন্তু শেষ বয়সে তিনি কোনো সুখ দেখেন না। এজন্য তার ভেতর শুধুই অতৃপ্তির হাহাকার বিরাজমান। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায়ও দেখা যায়, মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষকে ভীষণ জ্বালিয়েছে। গরু কেড়ে নিয়েছে, ধান লুট করেছে, মানুষের কষ্ট দেখে তৃপ্তি পেয়েছে। লোভী, অত্যাচারী ও পাপী মোড়ল জীবনে সুখ পায় না। এজন্য হাড় মড়মড় রোগে আক্রান্ত হয়ে সে কবিরাজের কাছে ‘সুখ দাও’ বলে আর্তচিৎকার করছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের রজব আলী ও ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি হলো লোভী, অত্যাচারী এবং পাপী মোড়ল।

ঘ. উদ্দীপকের আনোয়ার সাহেব এবং ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার কাঠুরে পরিশ্রম ও সততার দিক থেকে এক ও অভিন্ন সত্তা।
পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই, যে সুখের প্রত্যাশা করে না। কিন্তু কেবল অর্থ-বিত্তের ওপর সুখ নির্ভরশীল নয়। কঠোর শ্রম ও বৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন ছাড়া কখনো সুখ আসা করা যায় না। অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে মানুষের সাথে ধোঁকাবাজী করে টাকা-কড়ি হাতিয়ে নেওয়া সবই অন্যায়ের শামিল। ‘সুখ’ জিনিসটা কঠিন হলেও সততা আর কঠোর পরিশ্রমী হলে তা পাওয়া সম্ভব। সুতরাং অন্যের ক্ষতির আশা না করে সততার সাথে শ্রম ও সাধনার মধ্যে সুখের আশা করা যায়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, আনোয়ার সাহেব একজন সৎ ও পরিশ্রমী ব্যবসায়ী। সততা ও পরিশ্রমের সাথে ব্যবসায় করে তিনি প্রতিি হয়েছেন। কোনোদিন তিনি কারো ক্ষতি করার প্রত্যাশা করেননি। কেবল পরিশ্রম আর সততাই ছিল তার একমাত্র বল। অপরদিকে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায়ও কাঠুরে সারাদিন বনে বনে কাঠ কাটে। সেই কাঠ বাজারে বিক্রি করে যা পায়, তা দিয়ে চাল-ডাল কিনে। তৃপ্তি ও আনন্দভরে খেয়েদেয়ে গান গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে যায়, এক ঘুমেই রাত শেষ হয়ে যায়, তার ঘরে সোনা-দানা জামা-জুতা না থাকায় ঘরে চোর ঢোকারও কোনো ভয় নেই তার। শুধু তাই নয়, নিজেকে দুনিয়ার সর্বাধিক ‘সুখী মানুষ’ ও মস্ত বড় বাদশা বলেও দাবি করে এই কাঠুরে। তাই বলা যায়, কারো ক্ষতি সাধনে লিপ্ত বা প্রত্যাশা না থাকায় উভয়েই সুখী।
উদ্দীপক ও ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় দেখা যায়, উদ্দীপকের আনোয়ার সাহেব কোনোদিন কারো ক্ষতির আশা করেন না। নিজ পরিশ্রম আর সততায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পরিশ্রম এবং সততাকে তার আগামী দিনের শক্তি বানিয়ে নিয়ে সুখ উপলব্ধি করেছেন। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায়ও কাঠুরে বনে কাঠ কেটে জীবিকা-নির্বাহের মাধ্যমে জীবনযাপন করে। সোনাদানা-জামাজুতো না থাকায় চোরের ভয় করে না এবং লোভ না থাকায় কারো ক্ষতি করার চিন্তাও আসে না। তাই উদ্দীপক ও ‘সুখী মানুষ’ নাটিকা বিশ্লেষণে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে, আনোয়ার সাহেব এবং কাঠুরের কর্ম- পরিবেশ ভিন্ন হলেও শ্রম-সততা ও পরিশ্রমের দিক থেকে উভয়ে এক অভিন্ন সত্তা।

৪. রফিক সাহেব অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শহরে আলীশান বাড়ি করেছেন। ইদানীং দুর্নীতির দায়ে তার সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। এতদিন তিনি যাকে সুখের উৎস মনে করেছিলেন আজ তাই হয়ে উঠেছে অসুখের মূল কারণ।

ক. সুখী মানুষ কী ধরনের রচনা?
খ. হাসু মোড়লের মৃত্যু কামনা করে কেন?
গ. নাটিকার মোড়ল চরিত্রের সাথে উদ্দীপকের রফিক সাহেবের চরিত্রের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রফিক সাহেব আর ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল চরিত্রটি একই সূত্রে গাঁথা- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘সুখী মানুষ’ এক ধরনের নাটিকা

খ. মোড়লের অন্যায় কাজকর্ম সমর্থন করতে পারে না বলেই হাসু মোড়লের মৃত্যু কামনা করে।
অন্যায় কাজ যে-ই করুক, তাকে সমর্থন করা যায় না। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়ল এক অত্যাচারী চরিত্র। তিনি গ্রামের মানুষদের অনেক জ্বালিয়েছেন, যা হাসু মেনে নিতে পারেনি। মোড়লকে সে পাপী ও অত্যাচারী মনে করেছে। আর এ জন্যই মোড়লের ফুফাতো ভাই হয়েও হাসু তার মৃত্যু কামনা করে।

গ. নাটিকার মোড়ল চরিত্রের সাথে উদ্দীপকের রফিক সাহেবের চরিত্রের যথার্থ সাদৃশ্য রয়েছে।
‘সুখী মানুষ’ মমতাজ উদ্দীন আহমদের একটি নাটিকা। নাটিকাটির কাহিনিতে আছে, মানুষ ঠকিয়ে মানুষের মনে কষ্ট নিয়ে ধনী হওয়া এক মোড়লের শান্তি নেই। কারণ মোড়ল পরের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। পরের সম্পদ অবৈধভাবে আত্মসাৎ করলে কখনো সুখী হওয়া যায় না।
মানবজীবনে সুখ একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। অনেক সম্পদ থাকলেই সুখ নিশ্চিত করা যায় না। আবার কোনো সম্পদ না থাকলেও সে সুখী হতে পারে। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল অত্যাচারী। সে পরের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। এখন সে অসুখী । একটু সুখের জন্য সে ছটফট করেছে। তার সুখ কেউই নিশ্চিত করতে পারছে না। উদ্দীপকের রফিক সাহেব অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় পড়েছেন। শহরে আলীশান বাড়ি করেছেন। ইদানীং দুর্নীতির দায়ে তার সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। এতদিন তিনি যাকে সুখের উৎস মনে করেছিলেন, আজ তাই হয়ে উঠেছে অসুখের মূল কারণ। এদিক থেকে বলা যায়, মোড়লের সাথে উদ্দীপকের রফিক সাহেবের চরিত্রের যথার্থ সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ. উদ্দীপকের রফিক সাহেব আর সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল চরিত্রটি একই সূত্রে গাঁথা- মন্তব্যটি যথার্থ।
সুখ জিনিসটি আসলে মনের ব্যাপার। অঢেল সম্পদ থাকলেই সুখ নিশ্চিত করা যায় না। আবার কোনো সম্পদ না থাকলেও একজন মানুষ সুখী হতে পারে। অবৈধ সম্পদ অর্জন করে, কারও ওপর অত্যাচার করে, জুলুম করে, সম্পদের পাহাড় গড়ে কখনো সুখী হওয়া যায় না।
উদ্দীপকে দেখা যায়, রফিক সাহেব অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শহরে আলীশান বাড়ি করেছেন। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে তার সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। এতদিন তিনি যাকে সুখের উৎস মনে করেছিলেন আজ তাই হয়ে উঠেছে অসুখের মূল কারণ। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লেরও একই অবস্থা।
উদ্দীপকের রফিক সাহেব দুর্নীতি করে অবৈধ টাকাপয়সা উপার্জন করেছেন, তেমনি ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লও প্রজাসাধারণের ওপর অত্যাচার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে। ফলে দু’জনের কেউই সুখে নেই। অবৈধ সম্পদ তাদের সুখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অতএব, উদ্দীপকের রফিক সাহেব আর ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়ল চরিত্রটি একই সূত্রে গাঁথা- মন্তব্যটি যথার্থ।

৫. পলাশ চৌধুরী কমিশনার থাকা অবস্থায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শহরে বহুতল ভবন ও দামী গাড়ি কিনেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলেও দুর্নীতির কারণে তার নমিনেশন পেপার বাতিল করা হয়। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। লোকে বলাবলি করে, এটা তার পাপের ফল। চৌধুরী এখন সম্পদ পরিত্যাগ করে হলেও এ অবস্থা থেকে বাঁচতে চায়।

ক. মোড়লের ‘নাড়ি’ কে পরীক্ষা করছে?
খ. মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না’ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পলাশ চৌধুরীর মনোভাবের সাথে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লের কী মিল খুঁজে পাও? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মোড়ল ও পলাশ চৌধুরীর জীবনের পরিবর্তন একই সূত্রে গাঁথা-মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক. কবিরাজ মোড়লের ‘নাড়ি’ পরীক্ষা করছে।

খ. ‘মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না।’- বলতে মানসিক যন্ত্রণায় কাতর মানুষের যে ওষুধ সেবনে কাজ হয় না, শারীরিক উপশম লাভ করা যায় না তা বোঝানো হয়েছে।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় প্রশ্নোক্ত কথাটি মোড়লকে বলেছে তার ফুফাতো ভাই হাসু। মোড়ল একজন অত্যাচারী, অবিবেচক লোক মানুষের অধিকার হরণ করে সে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তার মধ্যে অনুশোচনা জাগ্রত হয়েছে, যার ফলে শারীরিক অশান্তির চেয়ে মানসিক অশান্তিই বেশি দেখা দিয়েছে। তাই হাসুর মতে, কবিরাজের ওষুধে মোড়লের মনে শান্তি আসবে না।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পলাশ চৌধুরীর লোভী মনোভাবের সাথে সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লের মানুষ ঠকিয়ে ধনী হওয়া ও তার পরিণতির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
সুখী মানুষ মমতাজ উদ্দীন আহমদের একটি নাটিকা। নাটিকাটির কাহিনিতে আছে, মানুষ ঠকিয়ে মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ধনী হওয়া এক মোড়লের শান্তি নেই। কারণ মোড়ল পরের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। পরের সম্পদ অবৈধভাবে আত্মসাৎ করলে কখনো সুখী হওয়া যায় না।
মানবজীবনে সুখ একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। অনেক সম্পদ থাকলেই সুখ নিশ্চিত করা যায় না। আবার কোনো সম্পদ না থাকলেও সে সুখী হতে পারে। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল অত্যাচারী। সে পরের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। এখন সে অসুখী। একটু সুখের জন্য সে ছটফট করেছে। তার সুখ কেউই নিশ্চিত করতে পারছে না। উদ্দীপকের পলাশ চৌধুরী অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শহরে আলীশান বাড়ি করেছেন। ইদানীং দুর্নীতির দায়ে তার নমিনেশন বাতিল করা হয়। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। এতদিন তিনি যাকে সুখের উৎস মনে করেছিলেন, আজ তাই হয়ে উঠেছে অসুখের মূল কারণ। এদিক থেকে বলা যায়, মোড়লের সাথে উদ্দীপকের পলাশ চৌধুরী চরিত্রের যথার্থ সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ. মোড়ল ও পলাশ চৌধুরীর জীবনের পরিবর্তন একই সূত্রে গাঁথা – মন্তব্যটি যথার্থ।
সুখ জিনিসটি আসলে মনের ব্যাপার। অঢেল সম্পদ থাকলেই সুখ নিশ্চিত করা যায় না। আবার কোনো সম্পদ না থাকলেও একজন মানুষ সুখী হতে পারে। অবৈধ সম্পদ অর্জন করে, কারও ওপর অত্যাচার করে, জুলুম করে, সম্পদের পাহাড় গড়ে কখনো সুখী হওয়া যায় না।
উদ্দীপকে দেখা যায়, পলাশ চৌধুরী অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শহরে আলীশান বাড়ি করেছেন। তবে দুর্নীতির দায়ে তার নমিনেশন হাতছাড়া হয়ে যায়। রাতে দুশ্চিন্তায় তার ঘুম হয় না। এতদিন তিনি যাকে সুখের উৎস মনে করেছিলেন আজ তাই হয়ে উঠেছে অসুখের মূল কারণ। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লেরও একই অবস্থা।
উদ্দীপকের পলাশ চৌধুরী কমিশনার থাকা অবস্থায় দুর্নীতি করে অবৈধ টাকাপয়সা উপার্জন করেছেন, দামী গাড়ি কিনেছেন । তেমনি ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লও প্রজাসাধারণের ওপর অত্যাচার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে। ফলে দু’জনের কেউই সুখে নেই। অবৈধ সম্পদ তাদের সুখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অতএব, উদ্দীপকের পলাশ চৌধুরী আর সুখী মানুষ নাটিকায় মোড়ল চরিত্রটি একই সূত্রে গাঁথা— মন্তব্যটি যথার্থ।

Leave a Comment