৪র্থ পরিচ্ছেদ: প্রবন্ধ

(বাংলা) ৬ষ্ঠ: সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি (৪র্থ পরিচ্ছেদ: প্রবন্ধ) – সমাধান

সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বই এর ৬ষ্ঠ অধ্যায়। সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি অধ্যায়ের ৪র্থ পরিচ্ছেদ: প্রবন্ধ এর অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

প্রবন্ধ
‘প্রবন্ধ’ হলো কোনো বিষয়ের গদ্য রচনা। লেখক সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে অবলম্বন করে কিছু জানানোর উদ্দেশ্যে, কিংবা সে বিষয়ে নিজস্ব মতামত জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে প্রবন্ধ রচনা করেন। সে ক্ষেত্রে ভাবের অনুগামী ভাষা ব্যবহার করেন, মত প্রতিষ্ঠার জন্য কখনো যুক্তি উপস্থাপন করেন, কখনো তত্ত্ব ও তথ্যের সমাবেশ ঘটান, কখনোবা ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন । আর তাই প্রবন্ধ রচনায় ভাব, ভাষা, যুক্তি ও বর্ণনার একটা আঁটোসাঁটো বন্ধন থাকা অতি জরুরি। তবেই তা হবে সার্থক রচনা।

সুতরাং, যে গদ্য রচনায় কোনো বিষয় সম্বন্ধে লেখকের চিন্তাভাবনা, অভিজ্ঞতা, বোধ ইত্যাদি উপযুক্ত ভাষার মাধ্যমে যুক্তি-বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে সুসংহত রূপ লাভ করে, তাকেই প্রবন্ধ বা প্রবন্ধ রচনা বলে। প্রবন্ধ রচনায় বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। লেখক নিজের পছন্দমতো যেকোনো বিষয়েই প্রবন্ধ রচনা করতে পারেন।

প্রবন্ধের শ্রেণিবিভাগ
রচনার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে প্রবন্ধ প্রধানত দুই ধরনের হতে পারে। যেমন: ক. তন্ময় প্রবন্ধ, খ. মন্ময় প্রবন্ধ।
১. তন্ময় প্রবন্ধ : তন্ময় প্রবন্ধকে বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধও বলা হয়। এই প্রবন্ধে লেখকের জানা ও বোঝার গভীরতা সুন্দরভাবে প্রকাশ পায়। বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ লেখা হয়। যেমন— আবদুল কাদিরের ‘কবি নজরুল’।
২. মন্ময় প্রবন্ধ : মন্ময় প্রবন্ধে লেখকের মেধাশক্তির চেয়ে ব্যক্তিহৃদয় বেশি প্রাধান্য পায়। এটি লেখকের কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তির আশ্রয়ে লিখিত হয়। যেমন— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘লিপিকা’।

তবে বিষয়বস্তু উপস্থাপনের ভঙ্গি অনুসারে প্রবন্ধকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. তথ্যমূলক : এ ধরনের প্রবন্ধে কোনো বিষয়কে স্পষ্টভাবে উপস্থাপনের জন্য তথ্য উপস্থাপনকেই লেখক প্রাধান্য দেন। সাধারণত কোনো বিখ্যাত ব্যক্তি, স্থান, ভাষা, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এ ধরনের প্রবন্ধ লেখা হয়।
২. যুক্তিপ্রধান : এ ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ে নিজস্ব মত প্রতিষ্ঠার জন্য লেখক যুক্তি অবতারণাকে প্রাধান্য দেন। সাধারণত দেশ, জাতি ও সমাজের প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান সমস্যা, সমস্যার কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে এ ধরনের প্রবন্ধ লেখা হয়।
৩. বর্ণনামূলক : এ ধরনের প্রবন্ধে তথ্য ও যুক্তি উপস্থাপনের তুলনায় লেখক অবলম্বিত বিষয়ে নিজের ধারণা ও অভিজ্ঞতার বর্ণনাকেই প্রাধান্য দেন বেশি। প্রকৃতির রূপ বর্ণনা, নিজস্ব স্মৃতিচারণা ও মনের একান্ত অনুভূতি প্রকাশের জন্যই সাধারণত লেখক এ ধরনের প্রবন্ধ রচনা করেন। এ ক্ষেত্রে লেখক যতটা সম্ভব ইন্দ্ৰিয়ানুভূতিকে কাজে লাগান।

প্রবন্ধের কাঠামোবিন্যাস
একটি প্রবন্ধ সাধারণত তিনটি অংশে রচিত হয় :
১. ভূমিকা বা সূচনা,
২. মূল অংশ বা মধ্যভাগ,
৩. উপসংহার বা শেষভাগ।
ভূমিকা অংশে সাধারণত মূল বিষয় সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক ইঙ্গিত প্রদান করা হয়। তাই ভূমিকা হতে হয় বিষয়ানুগ, আকর্ষণীয়।
মূল অংশে মূল বিষয় বা বক্তব্য সন্নিবেশিত হয়। বিষয় অনুসারে বক্তব্য প্রকাশের জন্য আলাদা আলাদা অনুচ্ছেদ ভাগ করে প্রয়োজনীয় সংকেত নির্দেশ করে নিতে হয়। সংকেত সূত্রের পরম্পরা রক্ষা করে বিষয় সম্পর্কে ক্রমান্বয়ে সিদ্ধান্তমূলক সমাপ্তির দিকে এগোতে হয়। উপসংহারে লেখক সাধারণত বিষয় সম্পর্কে নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেন। ভূমিকায় যে বিষয়ের উপস্থাপন হয়, মূল অংশে তার সম্প্রসারণ ঘটে এবং উপসংহারে তা সিদ্ধান্তমূলক পরিণতি লাভ করে।

প্রবন্ধের ভাষা-বৈশিষ্ট্য : প্রবন্ধের ক্ষেত্রে ভাষা হতে হবে বিষয় ও ভাবের উপযোগী। সে ভাষা অবশ্যই সহজবোধ্য, স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল হতে হবে, যেন পাঠক পড়ামাত্রই লেখকের বক্তব্য বুঝতে পারেন। অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় কথা প্রবন্ধের ক্ষেত্রে সতর্কভাবে বর্জন করতে হবে। এককথায় ভাষার সরলতা, স্পষ্টতা ও সৌন্দর্য প্রবন্ধ রচনার প্রধান গুণ। সর্বোপরি, প্রবন্ধের ভাষা ব্যাকরণসম্মতভাবে অবশ্যই শুদ্ধ হতে হবে।

প্রবন্ধ রচনায় দক্ষতা অর্জনের উপায়
নিয়মিত অনুশীলনই প্রবন্ধ রচনায় দক্ষতা অর্জনের প্রধান উপায়। তবে আরও কিছু বিষয় এর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে :

  • প্রবন্ধ লেখায় দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রচুর বই পড়তে হয়। পাশাপাশি বিষয়গত ধারণা ও শব্দভান্ডার বৃদ্ধির জন্য পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ, সংবাদ, প্রতিবেদন, নিবন্ধ ইত্যাদি নিয়মিত পাঠ করতে হয়।
  • বিষয়ানুগ যুক্তি, তথ্য ও তত্ত্ব উপস্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে লেখকের পরিমিতিবোধ একান্ত অপরিহার্য। অনুশীলনই পরিমিতিবোধ অর্জনের প্রধান সহায়ক।
  • স্পষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে প্রবন্ধের বক্তব্য বাস্তব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ও যৌক্তিক পরম্পরায় উপস্থাপিত ও সন্নিবেশিত করতে হয়।
  • ভাষারীতির ক্ষেত্রে সাধু-প্রমিতের মিশ্রণ অবশ্যই বর্জনীয়। সাধু ও প্রমিত রীতির মধ্যে প্রমিত রীতি অবলম্বনই শ্রেয়।
  • নির্ভুল বানান ও নির্ভুল বাক্য গঠনের প্রতি সজাগ থাকতে হবে।
  • অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সজ্ঞানে বর্জন করতে হবে।
  • তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি বক্তব্যকে জোরালো করার জন্য প্রবাদ-প্রবচন ও উদ্ধৃতি সন্নিবেশ করা যাবে। তবে সুদীর্ঘ উদ্ধৃতি এবং ঘন ঘন উদ্ধৃতি প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪র্থ পরিচ্ছেদ: প্রবন্ধ

১. ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধটি নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
নির্দেশনা :
‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধটি মনোযোগ দিয়ে পড়ো। প্রবন্ধটি পড়ে কী বুঝেছ তা নিজের ভাষায় লেখো।
নমুনা উত্তর : প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানের লেখা প্রবন্ধ ‘আমাদের লোকশিল্প’। এটি তাঁর ‘আমাদের লোকসৃষ্টি’ বই থেকে নেওয়া হয়েছে। এই প্রবন্ধে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যসংশ্লিষ্ট নানারকম লোকশিল্প সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। একসময় এদেশে তৈরি কুটিরশিল্পের নানা সামগ্রীর দেশে-বিদেশে বেশ সুনাম ছিল। গ্রামীণ মানুষের হাতে তৈরি সেসব সামগ্রী এখন ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ‘ঢাকাই। মসলিন’ তেমনই এক লোকশিল্প। ঢাকা শহরের সন্নিকটে ডেমরা এলাকার তাঁতিদের দ্বারা তৈরি মসলিন কাপড়ের সুনাম সর্বত্র ছিল। গ্রামে গ্রামে নকশিকাঁথার কথাও উল্লেখ করা যায়। বর্ষাকালে কৃষকের বাড়িতে তেমন কাজ থাকে না। এই অবসরে কৃষাণিরা নকশিকাঁথা সেলাই করত। নকশিকাঁথা সেলাই করতে ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লেগে যেত। প্রতিটি সূচের ফোঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে মানুষের অন্তর্গত অনুভূতি ও গল্পকথা। জামদানি শাড়ির কদর এখনো কমেনি। নারীদের কাছে জামদানি যেন স্বপ্নময় শাড়ি। নারায়ণগঞ্জ জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জামদানি কারিগরদের বসবাস।

কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিখ্যাত কাপড় খাদি বা খদ্দর। খাদি কাপড় সম্পূর্ণ হাতে তৈরি হয়। গ্রামের মানুষ অবসরে তুলা থেকে হাতে সুতা কাটে । এদেরকে কার্টুনি নামে ডাকা হয় । কাটা সুতা ও হস্তচালিত তাঁতে খাদি কাপড় তৈরি হয়। পার্বত্য অঞ্চলসহ সিলেটের মাছিমপুর অঞ্চলের মণিপুরি মেয়েরা এসব কাপড় বুনে পরিধান করে। বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে একসময় কাঁসা ও পিতলের তৈরি বাসনপত্রের বেশ প্রচলন ছিল। গলিত কাঁসা ছাঁচে ঢেলে তৈরি হয় নানান ধরনের তৈজসপত্র। এগুলোর গায়ে খোদাইকৃত নকশাগুলো বেশ চমৎকার। এগুলোর মধ্যে বদনা, বাটি, গ্লাস, থালা, ফুলদানি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। লোকশিল্পের মধ্যে পোড়ামাটির তৈজসপত্রের সুনাম আছে। মাটির কলস, হাঁড়ি, পাতিল, সানকি, ফুলদানি, টেপা পুতুল ইত্যাদি তৈরির কাজে পালপাড়া বা কুমোরপাড়ার নিরলসভাবে কাজ করেন। লোকশিল্প হিসেবে খুলনার মাদুর, সিলেটের শীতলপাটি বেশ সমাদৃত। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি হয় প্রয়োজনীয় দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্র। এগুলো বর্তমানে গ্রাম ও শহরের ঘরে ঘরে শৌখিন মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। ওপরে উল্লিখিত বিভিন্ন রকম সামগ্রী বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের নিদর্শন। এগুলো আমাদের গর্বের উপলক্ষ্য বৈকি। তবে লোকশিল্পের এসব অনুষঙ্গ এখন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি।

২. প্রবন্ধের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করো।
নমুনা উত্তর :

CamScanner 06 20 2023 13.21 2 1

আরো পড়ো সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি ২য় পরিচ্ছেদ
আরো পড়োসাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি ৩য় পরিচ্ছেদ

৩. দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে ‘বাংলা নববর্ষ’ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লেখো।
নমুনা উত্তর :

বাংলা নববর্ষ

বাংলাদেশের একটি প্রধান সর্বজনীন উৎসব হলো বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক। বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে উদযাপিত হয়। আর এই নববর্ষের আগমনে দেশের সর্বত্রই বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। বাংলা সন চালু হবার পর নববর্ষ উদ্‌যাপনে নানা আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয়। নবাব এবং জমিদারেরা চালু করেন ‘পুণ্যাহ’ অনুষ্ঠান। পয়লা বৈশাখে প্রজারা নবাব বা জমিদাররা বাড়িতে আমন্ত্রিত হতেন। সেখানে তাদের মিষ্টিমুখ করানো হতো, পান, সুপারির ব্যবস্থাও থাকত। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রজাসাধারণের কাছ থেকে খাজনা আদায়। জমিদারি উঠে যাওয়ায় এই প্রথা বিলুপ্ত হয়। নববর্ষের অন্যতম উৎসব হলো ‘হালখাতা’। এই অনুষ্ঠানটি ব্যবসায়ীরা উদ্‌যাপন করে থাকে। সারা বছর কৃষকদের কাছে বাকিতে পণ্য বিক্রি করে এই দিনে তারা তাদের মিষ্টিমুখ করিয়ে পাওনা টাকা আদায় করে। বাংলা নববর্ষের প্রধান অনুষ্ঠান হলো বৈশাখী মেলা। এই মেলা দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে। বার্ষিক বিনোদনের জায়গাও এই মেলা। মেলায় থাকত কবিগান, কীর্তন, যাত্রা, গম্ভীরা গান, পুতুল নাচ, নাগরদোলাসহ নানা আনন্দ আয়োজন।
শহর ও গ্রাম উভয় জায়গাতেই অনেক জাঁকজমকভাবে নববর্ষের উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়। উৎসব একই হলেও দুইয়ের মাঝে ভিন্নতা দেখা যায়। নগর জীবনে প্রভাতে সূর্যকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু করে। নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করে। এ দিন সাধারণত সকল শ্রেণি ও সকল বয়সের মানুষ বাঙালি পোশাক পরিধান করে। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে তরুণীরা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, হাতে চুড়ি, খোপায় ফুল, গলায় মালা ও কপালে টিপ পরে। আর ছেলেরা পরে পাজামা ও পাঞ্জাবি। আবার কেউ কেউ ধুতি- পাঞ্জাবিও পরে। শহরাঞ্চলের মানুষের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। কৃষি পরিবারগুলো বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পার করে। আবার অঞ্চলভেদে অনুষ্ঠানের তারতম্য দেখা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা বৈসুব, সাংগ্রাই ও বিজু এই তিনটি উৎসব উদ্‌যাপন করে। এই তিনটি উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়। রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই – শোভাযাত্রায় মুখোশ, কার্টুনসহ যেসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র বহন করে। ভোর থেকে রবীন্দ্র-নজরুল সংগীতের মনোমুগ্ধকর গানে রমনার বটমূলে সমবেত হয়ে নববর্ষ বরণ করে ছায়ানট। এছাড়া বাংলা একাডেমিতে বৈশাখী ও কারুপণ্য মেলা এবং গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা এলাকা পয়লা বৈশাখের দিনে লক্ষ মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি পরে ছেলেরা এবং নানা রঙের শাড়ি পরে মেয়েরা এই অনুষ্ঠানকে বর্ণিল করে তোলে। আনন্দময় এ সৌহার্দপূর্ণ এ পরিবেশ আধুনিক বাঙালির জীবনের এক গৌরবময় বিষয়।

3 Comments

  1. To good. I m really happy to fill my tables
    So usefull things i relly happt

  2. “আমাদের লোকশিল্প” প্রবন্ধে কয় ধরনের লোকশিল্পের উল্লেখ আছে ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *