(সাহিত্যপাঠ) এইচএসসি: অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অপরিচিতা হচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থাৎ এইচএসসি’র সাহিত্যপাঠের গল্প। অপরিচিতা গল্প থেকে বাছাইকৃত সেরা ৪টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এবং অনুশীলনের জন্য আরো ৬টি সৃজনশীলসহ মোট ১০টি সৃজনশীল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : খুবই দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় চন্দ্রিমার পিতামাতার। একমাত্র ভিটে ছাড়া তাদের আর কোনো সম্বল ছিল না। সেটিও নদীর গর্ভে তলিয়ে গেলে পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় আসেন চন্দ্রিমার পিতামাতা। ঢাকায় এসে চন্দ্রিমার বাবা চালের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন এবং দিনরাত পরিশ্রম করে এক মহাজনের সহায়তায় অল্পদিনের মধ্যেই প্রচুর টাকার মালিক হয়ে পড়েন। কিন্তু চন্দ্রিমার বাবা এই টাকা আর ভোগ করার অবসর পাননি অল্প বয়সেই তিনি পরলোকগমন করেন। চন্দ্রিমা ঢাকার নামিদামি স্কুলে পড়াশোনা করে। তারা যে এককালে গরিব ছিল এই বিষয়টি ঢাকতে চন্দ্রিমার মা সদা সচেষ্ট থাকেন। সবকিছুতেই অতিরিক্ত খরচ করে চারপাশে একটি জমকালো পরিবেশ তৈরি করে রাখেন। লোকে যেন বুঝতে পারে এরা বনিয়াদি টাকাওয়ালা। এদিকে চন্দ্রিমা হয়ে উঠছে একেবারে আমড়া কাঠের ঢেঁকি।

ক. ‘অপরিচিতা’ গল্প প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
খ. ‘সমস্ত মন এই অপরিচিতার পানে ছুটিয়া গিয়াছিল’ কেন?
গ. চন্দ্রিমার মা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্প ও উদ্দীপক উভয় ক্ষেত্রেই গরিব থেকে ধনী হওয়া পরিবারের হীনম্মন্যতার পরিচয় সুস্পষ্ট— মূল্যায়নটি ব্যাখ্যা করো।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘অপরিচিতা’ গল্প প্রথম প্রকাশিত হয় ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায়।

খ. কল্যাণীর প্রতি অনুপমের গভীর আকর্ষণের ফলে অনুপমের সমস্ত মন সেই অপরিচিতার পানে ছুটে গিয়েছিল।
কল্যাণীকে বিয়ে করতে গিয়ে গহনা যাচাই দ্বন্দ্বে বিয়ে না করেই ফিরে আসতে হয় অনুপমকে। অনুপমের মামার কন্যাপক্ষের গহনা যাচাই করে নেওয়ার ছোটো মানসিকতায় কন্যার বাবা শম্ভুনাথ সেন আত্মমর্যাদা হানি মনে করেন। তাই তিনি বরপক্ষকে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে খালি হাতেই ফিরতে বাধ্য করেন। অনুপম কল্যাণীকে বিয়ে করে আনতে না পারার ক্ষোভ মনে পোষণ করলেও তার সমস্ত মন গভীর আকর্ষণে কল্যাণীর কাছেই যেন ছুটে গিয়েছিল ।

গ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের গরিব থেকে ধনী হওয়া অনুপমের মায়ের চরিত্র ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের গরিব থেকে ধনী হওয়া পরিবারের হীনম্মন্যতার দিকটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : নিতান্তই খেটে খাওয়া পরিবারে জন্মেছিল মাধুরীর পিতামাতা। দুটো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে শরীয়তপুরের নদীভাঙন এলাকা ত্যাগ করে তাদের ঢাকায় আসা। কাজের সূত্রে শ্যামবাজারে কাঁচামালের ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়েন মাধুরীর পিতা। দিন-রাত খাটাখাটনি করে অঢেল টাকার মালিক হন, কিন্তু ভোগ করার অবসর তিনি পাননি। মাধুরী ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ালেখা করে। তারা যে এককালে গরিব ছিলেন— এ বিষয়টি ঢাকতে মাধুরীর মা সদা উৎকণ্ঠিত এবং সচেষ্ট থাকেন। সব সময় অতিরিক্ত খরচ করে চারপাশে একটা জমকালো পরিবেশ তৈরি করে রাখেন। লোকে যেন ভাবে তারা বুনিয়াদি টাকাওয়ালা। আর মাধুরীরকে করে রেখেছেন পটের লক্ষ্মী।

ক. আজ অনুপমের বয়স কত?
খ. অনুপমের মামা কেন অবাক হয়ে গেলেন?
গ. উদ্দীপকের মাধুরীর পিতা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্প উভয় ক্ষেত্রেই নিম্নবিত্ত অবস্থা থেকে উচ্চবিত্ত অবস্থায় উপনীত হওয়া পরিবারের হীনম্মন্যতা ফুটে উঠেছে। ―মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. আজ অনুপমের বয়স সাতাশ বছর।

খ. শম্ভুনাথ সেন সেকরা দিয়ে গহনা পরীক্ষা করিয়ে তাঁকে অপমান করার জন্য মেয়েকে পাত্রস্থ করতে চাইলেন না বলে অনুপমের মামা অবাক হয়ে গেলেন।
মামা কনের গহনা যাচাই করে দেখতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব কষ্ট পান এবং তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আর বরও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে এ বাড়িতে বিয়ে দেবেন না। তাই তিনি মামাকে গহনা যাচাই করে দেখান ঠিকই, বিয়ের খাবারও খাওয়ান কিন্তু তারপর বলেন যে, সম্পর্কটা স্থায়ী করার ইচ্ছা তাঁর নেই। আর এ কথা শুনে মামা অবাক হয়ে যান।

গ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে অনুপমের বাবা চরিত্রটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের হঠাৎ ধনী হয়ে ওঠা অনুপমের পরিবারের মনোভাব বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : নীলফামারীর জলঢাকা পৌর এলাকার সবুজপাড়া মহল্লার বাসিন্দা এরশাদ আলী গরিব মানুষ। তবু বিয়ের সময় তিনি যৌতুক নিতে চাননি। কিন্তু তাঁর পরিবার যৌতুকের দাবি ছাড়েনি। ফলে রোজিনা বেগম নামের যে মেয়েটিকে তিনি বিয়ে করেন, তাঁর মা রাবেয়া বেগমকে যৌতুকের ৯০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে একটি গাভি বিক্রি করতে হয়েছিল এবং জমি বন্ধক রাখতে হয়েছিল। এটা এরশাদের ভালো লাগেনি। বিয়ের সময়ই তিনি তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন যৌতুকের টাকা তিনি তাঁর শাশুড়িকে ফেরত দেবেন। সেই প্রতিশ্রুতি এরশাদ চার বছর পর পূরণ করতে পেরেছেন। তিনি শাশুড়িকে ৪০ হাজার টাকা দামের একটি গাভি এবং ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন।

ক. ‘উমেদারি’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘আপনাদের গাড়ি বলিয়া দিই!’ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের এরশাদ যৌতুকবিরোধী মনোভাবকে প্রকাশ্য রূপ দিলেও ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম তা পারেনি” -উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘উমেদারি’ শব্দের অর্থ চাকরির আশায় অন্যের কাছে ধরনা দেওয়া।

খ. প্রশ্নোত্ত উক্তিটিতে কল্যাণীর বিয়ের গহনা পরীক্ষা করানোর কারণে অপমানিত শম্ভুনাথের প্রতিবাদের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। বরপক্ষ মেয়ের গহনা যাচাই করতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব অপমান বোধ করেন। আর এ ব্যাপারে বর নিশ্চুপ থাকায় তিনি খুব অবাক হয়ে যান। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন যারা তাঁকে বিশ্বাস করেন না, তাদের হাতে মেয়ে তুলে দেবেন না। তাই বিয়ের আসরে যাওয়ার পরিবর্তে তিনি পাত্র পক্ষকে খাইয়ে দেন। খাওয়া শেষ হলে তিনি বরপক্ষকে বিদায় দেওয়া প্রসঙ্গে উক্তিটি করেন। এটা শম্ভুনাথের সংক্ষুব্ধ মনের ভদ্রজনোচিত প্রকাশ।

গ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে শিক্ষার মর্যাদা ও ব্যক্তিত্ববোধের স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে তৎকালীন সমাজের কুপ্রথার ফলাফল ব্যাখ্যা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার
কেন নাহি দিবে অধিকার
হে বিধাতা?
নত করি মাথা
পথপ্রান্তে কেন রব জাগি
ক্লান্ত ধৈর্য প্রত্যাশার পূরণের লাগি
দৈবাগত দিনে?
শুধু শূন্যে চেয়ে রব? কেন নিজে নাহি লব চিনে সার্থকের পথ?

ক. অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
খ. শম্ভুনাথ অনুপমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিলেন না কেন?
গ. উদ্দীপকটি কোন দিক দিয়ে ‘অপরিচিতা’ গল্পের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উক্ত সাদৃশ্যগত দিকটিই উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের প্রধান দিক” —মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা।

খ. বিয়ের দিনে অনুপমের মামা হীন মানসিকতা দেখালেও অনুপম তার কোনো প্রতিবাদ করেনি বলে শম্ভুনাথ অনুপমের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিলেন না।
অনুপমের যৌতুকলোভী মামা মেয়ের বিয়েতে শম্ভুনাথের দেওয়া স্বর্ণালঙ্কার সেকরা দিয়ে যাচাই করে। তার এ হীন মানসিকতা শম্ভুনাথের ব্যক্তিমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে। অন্যদিকে, মামার এ আচরণে অনুপমের নির্বিকার থাকা তার পৌরুষহীন, ব্যক্তিত্বরহিত চরিত্রকেই সুস্পষ্ট করে তোলে। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন শম্ভুনাথ স্বাভাবিকভাবেই এমন নীচ পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান।

গ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে কল্যাণীর মেয়েদের শিক্ষাব্রত গ্রহণের দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাব বিশ্লেষণ করো।

নিজে করো :

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : ঘরেতে এলো না সে তো
মনে তার নিত্য আসা-যাওয়া
পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর।

ক. কন্যাকে আশীর্বাদ করেছিল কে?
খ. ‘ঠাট্টার সম্পর্কটিকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই’ -উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘তার’ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রটিকে এবং কীভাবে প্রতিনিধিত্ব করে?
ঘ. “অনুপমের দৃঢ়তার অভাব প্রকাশই এ গল্পের একমাত্র দিক নয়” -‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে তোমার মতামতসহ মন্তব্যটি যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : রংপুর রেলস্টেশনের পাশেই টিন ও চাটাই দিয়ে তৈরি কিছু কুঁড়েঘর দাঁড়িয়ে আছে। সরু গলিপথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মহিম দেখতে পেল একজন শিক্ষিকা কিছু পথশিশুকে ছড়া ও গান শেখাচ্ছে। মহিম কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে শিক্ষিকার দিকে তাকিয়ে রইল। শিক্ষিকার পড়ানোর ঢং, প্রাণ-চাঞ্চল্য ও হাস্যোজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য মহিমকে আকৃষ্ট করল। স্বাধীনচেতা ও ব্যক্তিত্বময়ী এ নারীর সঙ্গেই কি বিয়ে হবার কথা ছিল তার? মহিম ভাবে আর তখনি তার মনে পড়ে বিখ্যাত সেই গানের কলি: ‘তুমি রবে নীরবে, হৃদয়ে মম…।’

ক. ‘প্রদোষ’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘গাড়িতে জায়গা আছে’— উক্তিটির দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ভাবধারা ‘অপরিচিতা’ গল্পে কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে?— আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের শিক্ষিকা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী চরিত্রের প্রতিচ্ছবি” -তুমি স্বীকার করো কি? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : বিবাহসভায় চারিদিকে হট্টগোল; তাহারই মাঝখানে কন্যার কোমল হাতখানি আমার হাতের ওপর পড়িল। এমন আশ্চর্য আর কী আছে। আমার মন বারবার বলিতে লাগিল, ‘আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম।’ কাহাকে পাইলাম। এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে।

ক. প্রজাপতি কীসের দেবতা?
খ. ‘ভালো মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নাই’ -ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে যে পাওয়ার তৃপ্তি আছে, ‘অপরিচিতা’য় তা আছে। কি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে’। মন্তব্যটি অনুচ্ছেদ এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পালোকে ব্যাখ্যা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : পিতামাতার একমাত্র কন্যা রাবেয়া। পিতার আদর্শে লালিতপালিত আধুনিক রুচিবোধসম্পন্ন এক নারী। পিতা রহিমুদ্দিন সম্রাটের সঙ্গে কন্যার বিবাহের সম্বন্ধ পাকাপাকি করেন। বিবাহে অনেক পণ নির্ধারণ করা হয়। পণের টাকা পরে পরিশোধ করবেন বলে রহিমুদ্দিন সময় চেয়ে নেন। শুভ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বিয়ের পর যৌতুকের জন্য রাবেয়ার ওপর চলে অকথ্য নির্যাতন।

ক. কল্যাণী স্টেশন হতে কী খাবার কিনে নেয়?
খ. অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ‘রাবেয়া’ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করেছে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : গায়ে হলুদের তত্ত্ব আসবে ও বাড়ি থেকে, কী রকম জিনিসপত্র না জানি আসে, পুঁটির মনটা চঞ্চল হয়ে উঠল। একখানা লাল কাপড় নিশ্চয়ই তারা দেবে। পুঁটির মোটে তিনখানা শাড়ি আর একখানা ডুরে শাড়ি আছে মায়ের বাক্সে তোলা। এবার তার অনেক কাপড় হবে, গহনাও হবে, পাঁচ ভরি সোনা দেবার কথাবার্তা হয়েছে। এতদিন দুটি দুল ছাড়া অন্য কোনো গহনা তার অঙ্গে ওঠেনি— অথচ ঐ কুমারী মেয়ে লতিদিরই হাতে দু’গাছা করে চুড়ি।

ক. ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়িকার নাম কী?
খ. শম্ভুনাথ সেনের হৃদয় কীভাবে গলেছিল?
গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন বিষয়টিকে তুলে ধরেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “অবস্থানগত ভিন্নতা থাকলেও উদ্দীপকের পুঁটি এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর মানসিকতা এক সূত্রে গাঁথা।” -মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত ‘হৈমন্তী’ গল্পে বাবার অতি আদরের মেয়ে হৈমন্তী। শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-গরিমায় তিনি মেয়েকে গড়েছেন আধুনিক নারী হিসেবে। বিয়ে দিলেন নব্য ধনী পরিবারের ছেলে অপুর সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের পরেই হৈমন্তীর জীবনে নেমে আসে করুণ পরিণতি। নির্মম যৌতুকপ্রথার শিকার হৈমন্তীকে ঝরে পড়তে হয় অকালেই। আর পরিবারের একান্ত বাধ্য ছেলে অপু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

ক. ‘গুড়গুড়ি’ কী?
খ. ‘আমিতো চমকিয়া উঠিলাম’— কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “রবীন্দ্রনাথ ‘হৈমন্তী’ গল্পে অকালে ঝরে পড়া এক নারীর কাহিনি শোনালেও ‘অপরিচিতা’য় এই যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে জানিয়েছেন তীব্র প্রতিবাদ।” -মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

2 thoughts on “(সাহিত্যপাঠ) এইচএসসি: অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর”

Leave a Comment