সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | (বাংলা) অষ্টম শ্রেণি
সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | (বাংলা) অষ্টম শ্রেণি. সুখী মানুষ হচ্ছে অষ্টম শ্রেণীর সাহিত্য কণিকা বই এর মমতাজ উদ্দীন আহমদ এর গল্প। সুখী মানুষ গল্প থেকে বাছাইকৃত সেরা ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | (বাংলা) অষ্টম শ্রেণি
লেখক-পরিচিতি (Biography)
নাম : মমতাজ উদ্দীন আহমদ
জন্ম-পরিচয় : ১৮ই জানুয়ারি, ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায়।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় : পিতা : কলিম উদ্দীন আহমদ। মাতা : সখিনা খাতুন।
স্থায়ী ঠিকানা : বজরাটেক, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
শিক্ষাজীবন : প্রবেশিকা : ভোলাহাট রামেশ্বরী ইনস্টিটিউশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, (১৯৫১)। উচ্চ মাধ্যমিক : রাজশাহী করে (১৯৫৪)। স্নাতক : সম্মান (বাংলা), রাজশাহী কলেজ, (১৯৫৭)। স্নাতকোত্তর : বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৮)।
পেশা/কর্মজীবন : অধ্যাপনা, বিভিন্ন সরকারি কলেজ। খণ্ডকালীন অধ্যাপক, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক।
সাহিত্যসাধনা : নাটক : স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, রাজা অনুস্বারের পালা, সাতঘাটের কানাকড়ি, আমাদের শহর, হাস্য লাস্য ভাষ ইত্যাদি। গবেষণাগ্রন্থ : বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত, বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত ইত্যাদি। ছোটগল্প : রগড় কাহিনি ও সরস গল্প ইত্যাদি। উপন্যাস : সজল তোমার ঠিকানা, ওহে নুরুল ইসলাম ইত্যাদি ।
পুরস্কার ও সম্মাননা : শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাহবুবউল্লাহ জেবুন্নেসা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক, আলাওল পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক (১৯৯৭)।
মৃত্যু : দোসরা জুন ২০১৯, ঢাকা।
পাঠ-পরিচিতি (Summary)
‘সুখী মানুষ’ মমতাজ উদ্দীন আহমদের একটি নাটিকা। এর দুটি মাত্র দৃশ্য। নাটিকাটির কাহিনিতে আছে, মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে, ধনী হওয়া এক মোড়লের জীবনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনো সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে মোড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুঁজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না। শেষে একজনকে পাওয়া গেল, যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনোভাবে জীবিকানির্বাহ করে সুখে দিনাতিপাত করছে। তার কোনো সম্পদ নেই, ফলে চোরের ভয় নেই। সুতরাং শান্তিতে ঘুমানোর ব্যাপারে তার কোনো দুশ্চিন্তাও নেই। শেষ পর্যন্ত সুখী মানুষ একজন পাওয়া গেলেও দেখা গেল তার কোনো জামা নেই। সুতরাং মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না। লেখকের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। তা হলো, সম্পদই অশাস্তির কারণ। ‘সুখ’ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। একজনের অনেক সম্পদ থেকেও সুখ নেই। আবার আরেকজনের কিছু না থাকলেও সে সুখী থাকতে পারে।
সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল
১. রফিক সাহেব অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতেন এবং পরে তা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার খারাপ ব্যবহারের কারণে আশেপাশের মানুষের সাথে তার সম্পর্ক ভালো না। সম্পদ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি সন্তানদেরও ভালোভাবে মানুষ করতে পারেননি। টাকা- পয়সা নিয়ে চিন্তিত, চোখে ঘুম নেই; ঠিকমতো খেতেও পারেন না তিনি। বাড়ির কাজের লোক নয়ন সারাদিন কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় খেয়েদেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে। এটা দেখে রফিক সাহেবের মনে হিংসা হয়।
ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় কয়টি দৃশ্য রয়েছে?
খ. হাসু মোড়লের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তার অকল্যাণ কামনা করে কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. নয়নকে কী ধরনের মানুষ বলা যায়? ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রফিক সাহেবকে ‘সুখী মানুষ’ হতে হলে কী কী করতে হবে? ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে লেখ।
১নং প্রশ্নের উত্তর (সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর)
ক. সুখী মানুষ নাটিকার দুটি দৃশ্য রয়েছে।
খ. মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষের ওপর অত্যাচার করে অন্যায়ভাবে সম্পদ লুট করে ধনী হয়েছে। তাই হাসু মোড়লের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তার অকল্যাণ কামনা করে।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়ল চরিত্রটি নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষকে অনেক জ্বালিয়েছে। তার অত্যাচারে সুবর্ণপুরের মানুষ অতিষ্ঠ। সে মানুষের সম্পদ লুট করে আজ ধনী। মানুষের কান্নায় মোড়ল ব্যথিত না হয়ে উল্লাস করে। এমনকি তার আত্মীয় হাসুর মুরগি জবাই করে খেয়েছে মোড়ল। এসব অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই হাসু তার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও মোড়লের মৃত্যু কামনা করে।
গ. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে নয়নকে সুখী মানুষ বলা যায়।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় একজন সুখী মানুষের পরিচয় উপস্থাপন করা হয়েছে। সে বনে থাকে এবং নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনোভাবে জীবিকানির্বাহ করে সুখে-শান্তিতে দিনাতিপাত করে। সে নিঃসম্বল একজন মানুষ, তাই তার ঘরে চোর প্রবেশ করবে এমন ধারণা সে কখনো করে না। সুতরাং সে রাতে শান্তিতে ঘুমায় । স%