ফুটবল খেলোয়াড়

(বাংলা)পঞ্চম: ফুটবল খেলোয়াড় কবিতার প্রশ্ন উত্তর

ফুটবল খেলোয়াড় হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বই এর লেখক জসীমউদ্দীন এর কবিতা। ফুটবল খেলোয়াড় কবিতার অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

ফুটবল খেলোয়াড় কবিতার প্রশ্ন উত্তর

কবি পরিচিতি জেনে নিই :
নাম – জসীমউদ্দীন।
জন্ম পরিচয় :
জন্মতারিখ – ১ জানুয়ারি, ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দ।
জন্মস্থান – তাম্বুলখানা, ফরিদপুর (মাতুলালয়)।
পিতৃভূমি- গোবিন্দপুর গ্রাম।
পিতৃ পরিচয় :
পিতার নাম – আনসারউদ্দীন মোল্লা।
শিক্ষাজীবন :
মাধ্যমিক – এসএসসি, ফরিদপুর জিলা স্কুল।
উচ্চ মাধ্যমিক – এইচএসসি, রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর।
উচ্চতর শিক্ষা – বিএ (পাস), রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর; এমএ, বাংলা (১৯৩১), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন :
১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে প্রাদেশিক সরকারের প্রচার বিভাগের পাবলিসিটি অফিসার নিযুক্ত হন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি আমৃত্যু সাহিত্য সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।
সাহিত্যকর্ম :
বিখ্যাত কবিতা – কবর।
কাহিনিকাব্য – নকশীকাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, সখিনা, মা যে জননী কান্দে প্রভৃতি।
খণ্ডকাব্য – রাখালী, বালুচর, ধানখেত, রূপবতী, মাটির কান্না প্রভৃতি।
গদ্যগ্রন্থ – চলে মুসাফির, যাদের দেখেছি, জীবনকথা, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায় প্রভৃতি।
উপন্যাস – বোবাকাহিনী।
শিশুতোষ রচনা – হাসু, এক পয়সার বাঁশি, ডালিম কুমার, বাঙ্গালীর হাসির গল্প প্রভৃতি।
নাটক – পদ্মাপার, বেদের মেয়ে, মধুমালা, বাঁশের বাঁশি, পল্লীবধূ প্রভৃতি।
গানের বই – রঙ্গিলা নায়ের মাঝি, গাঙের পাড় প্রভৃতি।
পুরস্কার ও সম্মাননা – একুশে পদক (১৯৭৬), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি।
জীবনাবসান – ১৩ মার্চ, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ।

এক নজরে ফুটবল খেলোয়াড় কবিতার মূলকথাটি জেনে নিই-
ফুটবল খেলোয়াড় ইমদাদ হক খেলতে গিয়ে প্রতিদিনই হাতে, পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। রাতে মেসে ফিরে চাকরকে দিয়ে ক্ষতস্থানে মালিস লাগায়। তার হাত-পা এমনভাবে ভেঙেছে যে, মেসের বন্ধুরা ভাবে, ইমদাদ হক বুঝি আর খেলতে পারবে না। সারা রাত মালিশ লাগিয়ে ব্যথায় কুঁকড়ে নির্ঘুম কাটায়। অথচ সকাল হতেই সে আর বিছানায় থাকে না। বিকেলে তাকে আবার দেখা যায় ফুটবল মাঠে বল নিয়ে গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দুরন্ত গতিতে। ভাঙা পায়ের জাদুতে বজ্র হেনে গোলের পর গোল দিয়ে জয়ের মশাল জ্বালে সে। দেখে দর্শকরা মহা কলরব তোলে। কিন্তু খেলোয়াড় ইমদাদ হক মেসে এসে আবার চাকরের খোঁজ করে। মালিশ লাগিয়ে সারা রাত চিৎকার করে কাটায়। সকাল হলেই তার জয়ের কথা পত্রিকায় আসে।

সতর্কতার সাথে নিচের শব্দগুলোর সঠিক বানান জেনে নিই—
খেলোয়াড়, মেস, ক্ষত, খ্যাতি, সন্ধ্যা, গিঁট, লবেজান, সেঁক, ভাঙা, পঙ্গু, শিশি, দাঁত, ড্রিবলিং, বজ্র, কোলাহল, দর্শক, খোঁড়া, মালিশ, আনন্দ, চিৎকার, দৈনিক।

১. ফুটবল খেলোয়াড় কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই।
জাত খেলোয়াড় ইমদাদ হক। খেলা এবং খেলায় জেতাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। নিজের অবস্থা যেমনই হোক না কেন খেলা-পাগল সে, খেলবেই। খেলতে গিয়ে ইমদাদ কত শত আঘাত পায়। তবু সেসব কষ্টকে পরোয়া না করে সে খেলে এবং তার জন্যই খেলায় জিত আসে। তার জন্যই সকল দর্শক খেলার আনন্দ পায়। এই কবিতায় খেলাচ্ছলে একটি আদর্শকে তুলে ধরা হয়েছে। তা হলো, নিজের যোগ্যতার সবটুকু দিয়ে মানুষ যদি একান্তভাবে কিছু করে, তবে অন্য সকলের জন্যও সে বড় কিছু করতে পারে।

২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
ক্ষত, পটি, মালিশ, ড্রিবলিং, বজ্র, কোলাহলকল, মহাকলরব।
উত্তর :
ক্ষত → শরীরের কাটা স্থান বা আঘাত পাওয়া স্থান।
পটি → কাপড়ের লম্বা টুকরা। এটা দিয়ে শরীরের কোনো স্থান বাঁধা থাকে।
মালিশ → যে ওষুধ বা মলম চেপে চেপে শরীরে লাগাতে হয়।
ড্রিবলিং → এটা ফুটবল খেলার একটা কৌশল। পায়ে পায়ে গড়িয়ে নিয়ে কৌশলে বল কাটিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বজ্র → ভীষণ শব্দ করে ঝড়ের আকাশে বিদ্যুৎ প্ৰকাশ পাওয়া।
কোলাহলকল → কোলাহল হলো অনেক মানুষের শোরগোল, গোলমাল। আর ‘কল’ বলতে বোঝায় মানুষের গলার সুন্দর আওয়াজ। এখানে খেলায় সকলে একসঙ্গে গোল-গোল চিৎকার করলে বেশ ভালো শোনায় বলে ‘কোলাহলকল’ বলা হয়েছে।
মহাকলরব → ভীষণ চিৎকার।

৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
বজ্র, পটি, মালিশের, ক্ষত, মহাকলরব
ক. ইমদাদ হকের শরীরে অনেক আঘাতের…..রয়েছে।
খ. সন্ধ্যাবেলায় পায়ে হাতে…..বাঁধে সে।
গ. খেলায় জিতে দর্শকেরা…..করে ফিরে যাচ্ছে।
ঘ. টেবিলের ওপর…..শিশিগুলো রাখা আছে।
ঙ. …..পড়ার শব্দে শিশুটির ঘুম ভেঙ্গে গেল।
উত্তর :
ক. ইমদাদ হকের শরীরে অনেক আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
খ. সন্ধ্যাবেলায় পায়ে হাতে পটি বাঁধে সে।
গ. খেলায় জিতে দর্শকেরা মহাকলরব করে ফিরে যাচ্ছে।
ঘ. টেবিলের ওপর মালিশের শিশিগুলো রাখা আছে।
ঙ. বজ্র পড়ার শব্দে শিশুটির ঘুম ভেঙ্গে গেল।

পড়ুন → সুন্দরবনের প্রাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর
পড়ুন → হাতি আর শিয়ালের গল্প গল্পের প্রশ্ন উত্তর

৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিই ও লিখি।
প্রশ্ন ক. প্রভাত বেলায় ফুটবল খেলোয়াড় ইমদাদ হকের বিছান শূন্য পড়ে আছে কেন?
উত্তর :
ইমদাদ হক একজন ফুটবল খেলোয়াড়। সারা দিন ফুটবল খেলার কারণে তার হাতে-পায়ে অনেক ব্যথা হয়। সারা রাত সে কষ্ট পায়। কিন্তু সকাল বেলা তার ঘরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় না। কারণ সারা রাতের ব্যথা ভুলে সকালে ইমদাদ ঠিকই খেলার মাঠে অনুশীলন করতে পৌঁছে যায়। আসলে ফুটবল খেলোয়ার ইমদাদ হকের অনুশীলনে যাওয়ার কারণেই প্রভাত বেলায় বিছান শূন্য পড়ে থাকে।

প্রশ্ন খ. টেবিলের ওপরে ছোট-বড় মালিশের শিশি কবিকে উপহাস করছে কেন?
উত্তর :
ইমদাদ হক একজন একনিষ্ঠ ফুটবল খেলোয়াড়। সারা দিন খেলার কারণে রাতে তার হাতে-পায়ে অনেক ব্যথা হয়। সে ব্যথা কমানোর জন্য মেসের চাকর পটি বাঁধা হাতে-পায়ে সেঁক দিয়ে দেয়, ওষুধ মালিশ করে। আর ইমদাদ সারা রাত সে ব্যথায় কেঁদে কেঁদে ডাক ছাড়ে। কবি ইমদাদের অবস্থা জানার জন্য সকালে তার ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানা শূন্য। ইমদাদ হক অনুশীলনের জন্য ঠিকই সকালে বেরিয়ে পড়েছে। ঘরের মধ্যে পড়ে আছে শুধু ছোট-বড় মালিশের শিশিগুলো। তখন নিজের ভুল ধারণার জন্য কবির মনে হয়েছে ঘরের শিশিগুলো তাঁকে উপহাস করছে।

প্রশ্ন গ. কবিতায় ইমদাদ হকের খেলা ও দর্শকের আনন্দপূর্ণ নানান অভিমতের বর্ণনা দাও।
উত্তর :
ফুটবল খেলোয়াড় কবিতায় কবি জসীমউদ্দীন ইমদাদ হক নামে একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের জীবনযাপন বর্ণনা করেছেন। ইমদাদ হক সারা দিন খেলে আর রাতে ব্যথায় ছটফট করে কেঁদে কেঁদে ডাক ছাড়ে। সকালে ইমদাদ হককে ঘরে পাওয়া যায় না। সন্ধ্যার সময় তাকে মাঠে দেখা যায়। খেলার মাঠে ইমদাদ সবার আগে বল নিয়ে ছুটে চলে। বাম পায়ে বল ড্রিবলিং করে ডান পায়ে ঠেলা মারে। সে বল নিয়ে বাতাসের মতো এগিয়ে চলে। চারদিক থেকে দর্শকের মহাকলরব শোনা যায়। সবাই ইমদাদের নামে জয়ধ্বনি করে।

৫. খালি জায়গায় কবিতার ঠিক লাইনটি লিখি।
ক………………………………………………………
সারা রাত শুধু ছটফট করে কেঁদে কেঁদে ডাক ছাড়ে।
খ. টেবিলের পরে ছোট বড় যত মালিশের শিশিগুলি,
………………………………………………………..
গ. গোল-গোল-গোল- মোদের মেসের ইমদাদ হক কাজি,
………………………………………………………..
উত্তর :
ক. মেসের চাকর হয় লবেজান সেঁক দিতে ভাঙা হাড়ে,
সারা রাত শুধু ছটফট করে কেঁদে কেঁদে ডাক ছাড়ে।
খ. টেবিলের পরে ছোট বড় যত মালিশের শিশিগুলি,
উপহাস যেন করিতেছে মোরে ছিপি পরা দাঁত তুলি।
গ. গোল-গোল-গোল-মোদের মেসের ইমদাদ হক কাজি,
ভাঙা দুটি পায়ে জয়ের ভাগ্য লুটিয়া আনিল আজি।

৬. ইমদাদ হক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখি।
উত্তর :
ইমদাদ হক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে দেওয়া হলো –
i. ইমদাদ হক একজন একনিষ্ঠ ফুটবল খেলোয়াড়।
ii. ইমদাদ হক মেসে থাকত।
iii. নিজের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, খেলা পাগল সে, খেলবেই।
iv. অনেক বেশি খেলার জন্য রাতে ইমদাদের হাতে-পায়ে ব্যথা হতো।
v. সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে ইমদাদ ঠিকই জয় ছিনিয়ে আনত

৭. ফুটবল খেলোয়াড় কবিতাটি আবৃত্তি করি।
উত্তর :
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা আগে কবিতাটি মুখস্থ কর এরপর কবিতাটির ভাব ও ভাষা অনুযায়ী আবৃত্তি কর। প্রয়োজনের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের সহযোগিতা নাও।

৮. কর্ম-অনুশীলন।
ক. আমার প্রিয় খেলা নিয়ে একটি রচনা লিখি।

ফুটবল খেলা

ভূমিকা : বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরেই জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। ইংরেজরা আসার আগে বাংলাদেশে এ খেলার প্রচলন ছিল না। তারাই ফুটবল খেলা প্রথম আমাদের দেশে প্রচলন করে। আজ দেশের সর্বত্র এ খেলা অনেক জনপ্রিয়।
বিবরণ : অনধিক একশ গজ দীর্ঘ এবং আশি গজ চওড়া একটি সমতল মাঠে ফুটবল খেলা হয়। মাঠের চারদিকে লাইন চিহ্নিত করা হয়। লাইনের বাইরে গেলে বল ‘আউট’ হয়। লম্বা দিকের দুই পাশে দুটি করে খুঁটি মাটিতে গেড়ে একটি লম্বা কাঠখণ্ড খুঁটিগুলোর মাথায় স্থাপন করে ‘গোলপোস্ট’ তৈরি করা হয়। ‘গোলপোস্ট’- এর এক খুঁটি থেকে অন্য খুঁটির দূরত্ব আট গঞ্জ। গোল লাইনের পেছন দিকে সংলগ্ন থাকে একটি জাল। খেলার সময় বিপক্ষের খেলোয়াড় বল গোল লাইন অতিক্রম করাতে পারলে গোল হয়। এ খেলায় প্রতিটি দলে এগারো জন করে খেলোয়াড় থাকে। খেলার সময় সবার আগে থাকে পাঁচ জন, তাদের বলে ফরোয়ার্ড। ফরোয়ার্ড লাইনের পিছনে থাকে তিন জন, তাদের নাম হাফব্যাক। তারা ফরোয়ার্ডদের সাহায্য করে। হাফব্যাক তিন জনের ঠিক পেছনেই থাকে দুজন ব্যাক আর গোলমুখে গোলরক্ষক। গোলরক্ষকের কাজ গোলপোস্টে বল ঢুকতে না দেওয়া। নির্দিষ্ট, সীমানার মধ্যে গোলরক্ষক হাত দিয়ে বল ধরতে পারে। অন্য কোনো খেলোয়াড় হাতে বল ধরলে বা হাতে বল লাগলে ‘হ্যান্ড বল’ ধরা হয়। ফুটবল খেলার পরিচালককে বলে রেফারি। রেফারিকে সাহায্য করার জন্য মাঠের দুধারে থাকে দুজন সহকারী রেফারি। ফুটবল খেলার সময়কাল ৯০ মিনিট। মাঝখানে দশ মিনিটের বিরতি থাকে।
উপকারিতা : ফুটবল খেলা দেহের পেশিগুলো মজবুত করে এবং শরীরকে শক্ত-সমর্থ করে গড়ে তোলে। মনকে করে প্রফুল্ল। খেলোয়াড়রা এ খেলার মাধ্যমে শেখে ধৈর্যশীলতা, নিয়মানুবর্তিতা, কর্তব্যজ্ঞান আর আনুগত্য। মানুষের জীবনে এ গুণগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
উপসংহার : এ খেলার একটি অদ্ভুত আকর্ষণ আছে। ফুটবল নাম শুনলেই ছেলে-বুড়ো সবার মধ্যেই চাঞ্চল্য দেখা দেয়। ঝড়-বৃষ্টি অগ্রাহ্য করে সবাই ছোটে খেলা দেখতে। খেলা দেখতে দেখতে অনেকে বিশেষ বিশেষ ক্রীড়া দল বা ক্লাবের সমর্থক হয়ে পড়ে। দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ ঘটে। আমাদের দেশের ফুটবল খেলার মানকে আরও উন্নত করার জন্য চেষ্টা করা দরকার।

খ. ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার সাময়িক ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটা আবেদনপত্র লিখি।
উত্তর :

তারিখ : ১০.০৩.২০২৩
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
শিমুলতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়
শিমুলতলী, ঢাকা।

বিষয় : ফুটবল খেলা দেখার জন্য সাময়িক ছুটির আবেদন।
জনাব
যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সবিনয় নিবেদন এই যে, আজ সকাল ১১টা থেকে ১২.৩০টা পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ শ্রেণি ও পঞ্চম শ্রেণির মধ্যে একটি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত ঐ খেলাটি আমরা উপভোগ করতে চাই।
অতএব বিনীত নিবেদন, খেলাটি দেখার অনুমতি দিয়ে আমাদের সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাময়িক ছুটি দিতে আপনার মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক
আপনার অনুগত
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে
মো. জাকির হোসেন
পঞ্চম শ্রেণি, শাখা দিবা- ক, রোল নং ০১

গ. নিচের ফরমটি খাতায়/কাগজে লিখে পূরণ করি।

আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
প্রতিযোগিতা ফরম

উত্তর :
১. শিক্ষার্থীর নাম : মো. সুমন আলী
২. বিদ্যালয়ের নাম : থানার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
৩. শ্রেণি : পঞ্চম
৪. (ক) শিক্ষার্থীর পিতার নাম : মো. শহীদ আলী
(খ) শিক্ষার্থীর মাতার নাম : মোসা. মাহমুদা আকতার
৫. বর্তমান ঠিকানা :
গ্রাম/সড়ক নং : পরানপুর, ডাকঘর/মহল্লা : থানার হাট উপজেলা : চাটখিল, জেলা : নোয়াখালী।
৬. স্থায়ী ঠিকানা :
গ্রাম/সড়ক নং : পরানপুর, ডাকঘর/মহল্লা : থানার হাট উপজেলা : চাটখিল, জেলা : নোয়াখালী।
৭. জন্ম তারিখ : ০১.০২.২০১০ খ্রিষ্টাব্দ।
৮. প্রতিযোগিতায় যেসব বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক…
ক. ফুটবল
খ. ১০০ মিটার দৌড়
গ. দেশাত্মবোধক গান

আরিফ আহমেদ
……………………..
শ্রেণিশিক্ষকের স্বাক্ষর

মো. সুমন আলী
……………………
শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর





Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *