(বাংলা)পঞ্চম: হাতি আর শিয়ালের গল্প গল্পের প্রশ্ন উত্তর

হাতি আর শিয়ালের গল্প হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বই এর গল্প। হাতি আর শিয়ালের গল্প গল্পের অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

হাতি আর শিয়ালের গল্প গল্পের প্রশ্ন উত্তর

এক নজরে হাতি আর শিয়ালের গল্প গল্পের মূলকথাটি জেনে নিই-
মানুষ থাকে লোকালয়ে আর পশুরা থাকে জঙ্গলে। এমনই এক জঙ্গলে পশু-পাখি সুখে বসবাস করছিল। কিন্তু একদিন মস্ত বড় এক হাতি তাড়া খেয়ে সেই বনের মধ্যে ঢুকে পড়ে। হাতিটি বনের মধ্যে ঢুকেই অন্যান্য পশু-পাখি-প্রাণীর ওপর ভীষণ অত্যাচার শুরু করে। সবার ঘুম কেড়ে নেয়। তখন একদিন বনের প্রাণীরা সবাই মিলে সিংহের গুহায় এলো। কীভাবে এ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সবাই তা ভাবতে লাগল। শেষে শেয়ালের ওপর দায়িত্ব পড়ল এ বিপদ থেকে সবাইকে উদ্ধার করার। শেয়াল অপূর্ব বুদ্ধি ও কৌশলে হাতিটিকে নদীর তীরে নিয়ে এলো। শিয়ালের চালাকিতে নদীতে পড়ে হাতিটি ধীরে ধীরে তলিয়ে গেল। আর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেল বনের সব প্রাণী। শাস্তি পেল অত্যাচারী হাতি। অন্যের ওপর অত্যাচার করলে এভাবেই শাস্তি ভোগ করতে হয়।

সতর্কতার সাথে নিচের শব্দগুলোর সঠিক বানান জেনে নিই-
সুন্দর, ঝোপঝাড়, ছোঁয়া, জঙ্গল, রাজত্ব, প্রাণী, শুঁড়, তিরিক্ষি, স্বাগত, কাণ্ড, হুঙ্কার, গুবরে, ইঁদুর, শক্তি, সিংহ, তটস্থ, শঙ্কিত, সন্ধ্যা, উদ্‌গ্রীব, আস্তানা, ভালুক, শলা-পরামর্শ, পিঁপড়ে, গম্ভীর, শান্তি, শাস্তি, সমস্বরে, যুক্ত, স্বাধীন।

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
দিগন্ত, অহংকার, তিরিক্ষি, তুলকালাম কাণ্ড, হুঙ্কার, মেদিনী, তটস্থ, শঙ্কিত, শক্তিধর, আস্তানা, উদ্‌গ্রীব, সমস্বরে।
উত্তর :
দিগন্ত →প্রান্তরের শেষে আকাশ যেখানে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে বলে মনে হয়।
অহংকার →গর্ব, নিজে অনেক বড় কেউ -এ রকম মনে করা।
তিরিক্ষি →খারাপ মেজাজ।
তুলকালাম কাণ্ড →এলাহি কাণ্ড।
হুঙ্কার →চিৎকার।
মেদিনী →পৃথিবী।
তটস্থ →ব্যতিব্যস্ত।
শঙ্কিত →ভীত।
শক্তিধর →শক্তি আছে যার।
আস্তানা →বাসস্থান, বসবাসের জায়গা।
উদ্‌গ্রীব →খুব আগ্রহী।
সমস্বরে→একসঙ্গে শব্দ করা বা কথা বলা।

২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
দিগন্তের, অহংকার, তিরিক্ষি, তুলকালাম কান্ড, হুঙ্কার, মেদিনী, তটস্থ, শঙ্কিত
ক. বিদ্যুৎ চমকালে…..কেঁপে ওঠে বলে মনে হতে পারে।
খ. …..পতনের মূল।
গ. কী হয়েছে, এত…..হয়ে আছ কেন?
ঘ. বনের সিংহ…..দিলে মানুষের মনে ভয় জাগে।
ঙ. নিজের কলমটা খুঁজে না পেয়ে সে…..বাধিয়ে দিয়েছে।
চ. …..ওপারে কী আছে কেউ জানে না।
ছ. মেজাজ…..বলে তার কাছে কেউ ঘেঁষতে চায় না।
জ. তুমি এত…..কেন? কী হয়েছে?

উত্তর :
ক. বিদ্যুৎ চমকালে মেদিনী কেঁপে ওঠে বলে মনে হতে পারে।
খ. অহংকার পতনের মূল।
গ. কী হয়েছে, এত শঙ্কিত হয়ে আছ কেন?
ঘ. বনের সিংহ হুঙ্কার দিলে মানুষের মনে ভয় জাগে।
ঙ. নিজের কলমটা খুঁজে না পেয়ে সে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে দিয়েছে।
চ. দিগন্তের ওপারে কী আছে কেউ জানে না।
ছ. মেজাজ তিরিক্ষি বলে তার কাছে কেউ ঘেঁষতে চায় না।
জ. তুমি এত তটস্থ কেন? কী হয়েছে?

পড়ুন → সুন্দরবনের প্রাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর
পড়ুন → সংকল্প কবিতার প্রশ্ন উত্তর

৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
প্রশ্ন ক. অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর :
গুরুগম্ভীর ভারিক্কি চালের কেশর দোলানো সিংহকে অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে।

প্রশ্ন খ. বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
উত্তর :
বনের মধ্যে হাজারো রকমের প্রাণী মিলেমিশে সুখে বসবাস করছিল। হঠাৎ একদিন তাড়া খেয়ে বনের মধ্যে এক মস্ত বড় হাতি ঢুকে পড়ে। হাতিটি বনে ঢুকেই জোরে গলা ফাটিয়ে হুঙ্কার দেয়। থরথর করে কেঁপে ওঠে সমস্ত বন। হাতিটি কখনো হরিণকে শুড় দিয়ে ছুড়ে ফেলে, আবার কখনো পিঁপড়াকে পায়ের তলায় পিষে মারে। কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। এভাবে হাতির অত্যাচারে বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসে।

প্রশ্ন গ. গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর :
গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে হাতির অত্যাচার থেকে বাঁচার কথা বলা হয়েছে। শিয়ালের বুদ্ধিতে বনের সব পশু-পাখি হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা পায়। এখন তারা নিশ্চিন্তে ও শান্তিতে বসবাস করবে। এমন অবস্থাকে গল্পে যুক্ত স্বাধীন বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ঘ. শিয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
বনের মধ্যে নানান পশু-পাখি সবাই মিলে সুখে বসবাস করছিল। হঠাৎ করে ঐ বনে হাতির আগমন ও অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। শিয়াল হাতিকে শান্তি না দিলে এ অত্যাচার আরও বেড়ে যেত। বনের কোনো প্রাণী হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা পেত না। তখন প্রত্যেকের জীবনই বিপন্ন হয়ে পড়ত। তাই বলা যায় শিয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনে বসবাসকারী পশু- পাখিদের অশান্তি দূর হতো না।

প্রশ্ন ঙ. হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের কোন বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে কর?
উত্তর :
হাতি অন্যের তাড়া খেয়ে বনের মধ্যে প্রবেশ করে এবং বনে বসবাসকারী পশু-পাখির ওপর অত্যাচার শুরু করে। শিয়াল কৌশলে হাতিকে শান্তি দেয়। হাতির এ শাস্তির জন্য দায়ী হাতির বেপরোয়া স্বভাব, অহংকার, নিরীহ প্রাণীদের ওপর অত্যাচার শক্তিকে ভালো কাজে ব্যবহার না করা, অন্যের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা ও অজ্ঞতা।

প্রশ্ন চ. মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়ত দেখা দিল কেন?
উত্তর :
সভ্যতার আগে মানুষ বিচ্ছিন্ন বসবাস করত। মানুষ যখন থেকে সভ্য হতে শুরু করেছে তখন থেকে মিলেমিশে থাকা শুরু করে। কারণ সমাজে প্রত্যেক মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সমাজে কেউ একা বাস করতে পারে না। তাই মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন থেকেই সমাজবদ্ধ হয়ে মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

প্রশ্ন ছ. সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?
উত্তর :
প্রাণীদের মধ্যে শিয়াল সবচেয়ে চালাক। শিয়ালের বুদ্ধির কথা কম-বেশি সবাই জানে। কারণ শিয়াল শক্তি দিয়ে না পারলে বুদ্ধি দিয়ে ঐ হাতিকে শাস্তি দেওয়ার একটা উপায় বের করবে। এ কারণে সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল।

প্রশ্ন জ. শিয়াল কীভাবে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করল?
উত্তর :
হাতির অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য বনের সব পশু-পাখি শিয়ালকে দায়িত্ব দিল। শিয়াল কৌশলে হাতিকে রাজা বলে স্বীকার করে এবং সবার সঙ্গে দেখা করার জন্য নদীর ধারে নিয়ে আসে। শিয়াল হাতিকে বলে যে, বনের অন্যান্য প্রাণী নদীর ওপারে হাতির জন্য অপেক্ষা করছে। শিয়াল হাতিকে নদী পার হতে বলে নিজে সাঁতার কেটে চলে গেল। হাতি শিয়ালের মতো করে নদীতে নামতেই পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করে। কারণ হাতির শরীরের অনেক ওজন। আর এভাবেই শিয়াল কৌশলে হাতিকে নদীতে ফেলে বনের পশু-পাখিদের রক্ষা করল।

প্রশ্ন ঝ. অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর :
অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়। মৃত্যু বা ধ্বংসই এর শেষ পরিণাম। কারণ অহংকার পতনের মূল। তাই দুষ্ট হাতিটিও শেষ পর্যন্ত পানিতে ডুবে মরে যায়।

৪. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। খালি জায়গায় ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
সুন্দর, কুৎসিত, অহংকার, নিরহংকার, ভয়, সাহস, স্বাধীন, পরাধীন
ক. আমরা…..দেশের অধিবাসী।
খ. …..পতনের মূল।
গ. চেহারা নয়, আসল…..হলো মানুষের মন।
ঘ. মনে…..থাকলে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।

উত্তর :
ক. আমরা স্বাধীন দেশের অধিবাসী।
খ. অহংকার পতনের মূল।
গ. চেহারা নয়, আসল সুন্দর হলো মানুষের মন।
ঘ. মনে ভয় থাকলে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।

৫. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই।
ক. বনের সব প্রাণী কার কাছে এসে জড়ো হলো?
১. বাঘ
২. শিয়াল
৩. হাতি
√ ৪. সিংহ

খ. কার জন্য বনে আবার শান্তি এলো?
১. সিংহ
√ ২. শিয়াল
৩. ভালুক
৪. বাঘ

গ. হাতির অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য কেন শিয়ালকে দায়িত্ব দেয়া হলো?
১. শিয়াল সাঁতার জানে
২. শিয়াল খুব সাহসী
√ ৩. শিয়াল বুদ্ধিমান
৪. শিয়াল হাতির বন্ধু

ঘ. হাতির করুণ পরিণতির জন্য দায়ী কোনটি?
√ ১. হাতির অহংকার
২. হাতির লম্বা শুঁড়
৩. হাতির ভারী শরীর
৪. হাতির বোকামি

ঙ. হাতিকে বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে এলো না কেন?
√ ১. হাতির অত্যাচারের জন্য
২. হাতি খুব বড় বলে
৩. হাতির ভয়ে
৪. হাতি সাঁতার জানে বলে

৬. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি।
শান্তি → অশান্তি → অসৎ প্রতিবেশীর কারণে তার অশান্তি লেগেই আছে।
সভ্য → অসভ্য → অসভ্য মানুষকে সকলে ঘৃণা করে।
ধ্বনি → প্রতিধ্বনি → গুহায় শব্দ করলে তা প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে।
শক্তিশালী → দুর্বল → ছেলেটি বেশ দুর্বল।

৭. নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লিখি।
দুষ্টু →বিশেষণ
হাতি →বিশেষ্য
বুদ্ধিমান →বিশেষণ
এবং →অব্যয়
আমি →সর্বনাম
চায় →ক্রিয়া

৮. যেকোনো একটা প্রাণী সম্পর্কে বলি এবং পাঁচটি বাক্যের একটা অনুচ্ছেদ রচনা করি।
উত্তর :

বনে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে বাঘ অন্যতম। বাঘ অন্য প্রাণীর মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে রাঘ দেখতে পাওয়া যায়। এর নাম রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ বাঘ আমাদের জাতীয় পশু।

৯. কর্ম-অনুশীলন।
একটি গল্প লেখার চেষ্টা করি। প্রথমে শিক্ষকের সহায়তায় ২/৩টি সাদা কাগজ নিই। সেগুলোকে একটি ভাঁজ করে নোটবুকের মতো তৈরি করি। এখন প্রতিটি কাগজের এক পাশে নিচের দিকের অর্ধেক থেকে গল্প লেখা শুরু করি। আর উপরের অর্ধেকে নিজের খুশিমতো ছবি আঁকি লেখা শেষে উপরে একটা কভার পৃষ্ঠা যোগ করি। সে-পৃষ্ঠায় গল্পের একটা নাম দিই ও লিখি, নিজের নাম লিখি এবং ইচ্ছামতো ছবি আঁকি। এভাবে নিজের লেখা একটি গল্পের বই তৈরি করি।

ধরাতলে নরাধম

আমাদের গ্রামের বাড়ির পাশেই বাজার। সেখানে সপ্তাহে শনি- মঙ্গলবার দুদিন হাট বসত। আমি দাদুভাইয়ের সঙ্গে হাটে যেতে বায়না ধরতাম । তিনি মাঝে মাঝে নিয়ে যেতেন। হাটে পুকুর পাড়ে বড় নিমগাছ তলায় দুই-তিনটে দোকান। মাঝে সবুজ ঘাসে ছাওয়া খালি জায়গা। সেখানে রেকসিন বিছিয়ে ছোট ছোট শিশি, ট্যাবলেট সাজিয়ে দুদু ডাক্তার ওষুধ নিয়ে বসতেন। তার ফরসা গোলগাল মুখ, কালো ফ্রেমের চশমায় খুব সুন্দর লাগত। দাদুভাইকে উনি খুব সম্মান করতেন। সেখানে আমাকে বসিয়ে রেখে দাদুভাই হাটে কেনা-কাটা করতেন। সেদিন সবেমাত্র আমরা হাটে গিয়ে দুদু ডাক্তারের দোকানের কাছাকাছি হয়েছি; তখনই দেখলাম কোথা থেকে একটা লোক এসে ডাক্তারের বিছানো রেকসিনটা টেনে তুলে ফেলে ওষুধপত্র সব ছুড়ে ফেলে দিল। ওষুধের শিশিগুলো ভেঙে ফেলল। ডাক্তার তাকে থামানোর চেষ্টা করল, পারল না। আমি ভয়ে কাঁদতে শুরু করলাম। দাদুভাই আমার হাত ছেড়ে দিয়ে ঐ লোকটাকে থামাতে কখন চলে গেছেন খেয়াল করিনি। আমাকে কাঁদতে দেখে ডাক্তার সাব এগিয়ে এলেন। আমাকে আদর করে চোখ মুছে দিলেন। বললেন- “আহা! তুমি কাঁদছ কেন? কাঁদে না, কাঁদে তো ছোট বাচ্চারা, তুমি তো অনেক বড়। ঘোড়ায় চড়তে পারবে, টগবগ টগবগ করে যুদ্ধে যেতে পারবে। তুমি তো মস্ত বীর। বীর তো ভয় পায় না।” আমার কান্না থামল; কিন্তু ভয় পুরোপুরি কাটছে না। ঐ রাগী লোকটা কসাই, সে যেন কাকে টাকা দিয়ে ঐ জায়গার দখল নিয়েছে। কিন্তু হাটের লোকজন মানছে না, ওটা ডাক্তারের বসার জায়গা। কেউ তাকে সরাতে পারবে না। কথাটা শুনে আমি খুশি হলাম । ততক্ষণে দাদুভাই চলে এসেছেন । তখন ডাক্তার সাহেব আমাকে একটা ছড়া শোনালেন-
উই আর ইঁদুরের দ্যাখো ব্যবহার
যাহা পায়, তাহা কেটে করে ছারখার,
ধরাতলে নরাধম খল আছে যতো
ঠিক তারা উই আর ইঁদুরের মতো।

Leave a Comment