(বাংলা) SSC: কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

কপোতাক্ষ নদ হচ্ছে মাধ্যমিক অর্থাৎ নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ১ম পত্র বই এর মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর কবিতা। কপোতাক্ষ নদ কবিতা থেকে বাছাইকৃত সেরা ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল

১. গ্রামের ছেলে পলাশ উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কুমিল্লা শহরে থেকে লেখাপড়া করে। বিভিন্ন কারণে কয়েক বছর তার বাড়ি যাওয়া হয় না। একদিন বিকেলে সে কয়েকজন বন্ধুর সাথে গোমতী নদীর পাড়ে বেড়াতে যায়। নদীর গতিময় জলরাশির দিকে চোখ পড়তেই তার মন হাহাকার করে ওঠে। তার মনে পড়ে গেল দুরন্ত শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত ডাকাতিয়া নদীর কথা। এ নদীর বুকে সে কত সাঁতার কেটেছে; এ নদীর পাড়ে সে কত খেলা করেছে। পলাশ ডাকাতিয়া নদীর তীরে তার গ্রামে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

ক. কবি বহু দেশে কী দেখেছেন?
খ. ‘আর কি হে হবে দেখা’- কবির এরূপ আক্ষেপের কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের পলাশের সাথে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের পলাশ এবং ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির কিছু সাদৃশ্য থাকলেও উভয়ের মাঝে বৈসাদৃশ্যও কম নয়”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. কবি বহু দেশে বহু নদ দেখেছেন।

খ. সুদূর প্রবাসে থাকার কারণে কবির মনে সন্দেহ জেগেছে তিনি আর কখনো প্রিয় নদের সান্নিধ্যে আসতে পারবেন কি না।

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ভ্রান্তির ছলনায় পড়ে স্বদেশ থেকে অনেক দূরে ফ্রান্সের ভার্সাইয়ে অবস্থান করছিলেন। সেখানে থাকাকালে জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের বেদনা-বিধুর স্মৃতি তাঁর মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। দূর বিদেশে বসেও তিনি যেন তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলা কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কবি এই নদের সাথে তাঁর মধুময় স্মৃতির কথা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। এই নদের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য তাঁর মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কিন্তু ভাগ্য-বিড়ম্বিত কবি জানেন না এ নদের সাথে আদৌ তাঁর আর দেখা হবে কি না।

গ. শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নদীর কথা স্মরণ করে কাতর হয়ে পড়ার দিক থেকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির সাদৃশ্য রয়েছে।

শৈশবস্মৃতি সহজে ভোলা যায় না। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ তার শৈশবের স্মৃতিময় পরিবেশ থেকে অনেক দূরে চলে গেলেও কোনো না কোনো দিন সেসব স্মৃতি তাকে ব্যাকুল করে তোলে। স্মৃতির টানে ব্যাকুল হয়ে মানুষ আবার তার পুরোনো জায়গায়, চেনা পরিবেশে ফিরে আসতে চায়। বিশেষ করে জন্মভূমির বুকে শৈশবের মধুময় স্মৃতি স্মরণ করে মানুষ বেশি কাতর হয়ে পড়ে।

উদ্দীপকের পলাশ গ্রামের ছেলে। সে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কুমিল্লা শহরে থেকে লেখাপড়া করে। বিভিন্ন কারণে কয়েক বছর তার বাড়ি যাওয়া হয় না। একদিন বিকেলে সে কয়েকজন বন্ধুর সাথে গোমতী নদীর পাড়ে বেড়াতে যায়। সেখানে নদীর গতিময় ** জলরাশির দিকে তাকিয়ে তার মন হাহাকার করে ওঠে। তার মনে **পড়ে যায় স্মৃতিবিজড়িত ডাকাতিয়া নদীর কথা। শৈশবে এ নদীর বুকে সে সাঁতার কেটেছে, এর পাড়ে খেলা করেছে। ডাকাতিয়া নদীর তীরে গ্রামে যাওয়ার জন্য তার মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির ক্ষেত্রেও অনুরূপ নদীকেন্দ্রিক স্মৃতিকাতরতার পরিচয় পাওয়া যায়। সুদূর ফ্রান্সে অবস্থানকালে কবি তাঁর শৈশবস্মৃতি-বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের কথা ভেবে আকুল হয়ে পড়েন। সুদূর প্রবাসে থেকেও তিনি যেন কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। এ নদ যেন তাঁকে স্নেহডোরে বেঁধেছে, কিছুতেই তিনি এ নদের স্মৃতি ভুলতে পারেন না। তাই বলা যায়, শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নদীর কথা ভেবে স্মৃতিকাতর হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের পলাশ ও ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. শৈশবের নদীকে ভেবে স্মৃতিকাতর হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের পলাশ এবং ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির সাদৃশ্য থাকলেও উভয়ের অবস্থানগত ভিন্নতা, নদীর প্রশস্তি বর্ণনা ও মনের আকুলতা প্রকাশের দিক থেকে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

শৈশবস্মৃতি মধুর ও আনন্দময়। সময়ের স্রোতে জীবন এগিয়ে গেলেও মানুষ তার স্মৃতিময় শৈশবকে সহজে ভুলতে পারে না। জীবনের প্রয়োজনে জন্মস্থান ছেড়ে অনেক দূরে অবস্থান করলেও মনের অজান্তেই শৈশব তার পিছু নেয়। তাই মানুষ তার শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ভেবে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে।

উদ্দীপকে দেখা যায়, গ্রামের ছেলে পলাশ উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে কুমিল্লা শহরে থেকে পড়াশুনা করে। বিভিন্ন কারণে কয়েক বছর তার বাড়ি যাওয়া হয় না। একদিন বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সাথে সে গোমতী নদীর পাড়ে বেড়াতে যায় এবং নদীর গতিময় জলরাশি দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। তার মনে পড়ে এ নদীর বুকে সে কত সাঁতার কেটেছে, কত খেলা করেছে এ নদীর পাড়ে। ডাকাতিয়া নদীর তীরে তার গ্রামে যাওয়ার জন্য সে ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির ক্ষেত্রেও অনুরূপ নদীকেন্দ্রিক স্মৃতিকাতরতার পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু কবি তাঁর স্মৃতিকাতর মনের ব্যাকুলতা যেভাবে প্রকাশ করেছেন, তা উদ্দীপকের পলাশের মধ্যে দেখা যায় না। উপরের আলোচনা থেকে এই প্রতীয়মান হয় যে, “উদ্দীপকের পলাশ ও ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির কিছু সাদৃশ্য থাকলেও উভয়ের মাঝে বৈসাদৃশ্যও কম নয়” মন্তব্যটি যথার্থ।

২. প্রবাসী তানভির সময় সুযোগের অভাবে দেশে আসতে না পারলেও সে তার গ্রামের কথা বিশেষ করে শৈশবে সোনালী দিন কাটানো প্রিয় মাদরাসার কথা ভুলতে পারে না। তাই সে প্রায় প্রতিদিনই কারোর না কারোর সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে প্রিয় গ্রামটিকে দেখে নেয়। সে তার গ্রামের রাস্তা-ঘাট, স্কুল- মাদরাসা ও মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নের জন্য পিতার কাছে প্রতি বছরই নিয়মিতভাবে টাকা পাঠায়।

ক. ‘কপোতাক্ষ নদ‘ কবিতায় কখন ‘মায়া-মন্ত্রধ্বনি’ শোনার কথা বলা হয়েছে? ‎‫
খ. ‘বঙ্গের সংগীত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? বুঝিয়ে লেখ।
গ. তানভিরের ভিডিও কল করার মধ্যে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তানভিরের কার্যক্রমের সাথে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার বিষয়বস্তুর তুলনামূলক আলোচনা কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় নিশার স্বপনে ‘মায়া-মন্ত্রধ্বনি’ শোনার কথা বলা হয়েছে।

খ. ‘বঙ্গের সংগীত’ বলতে কবি এখানে বাংলা গান বা বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগের বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন।

স্বদেশের প্রতি কবির হৃদয়ের যে কাতরতা, কপোতাক্ষ নদের জন্য যে প্রেমভাব তা প্রবাস জীবনে এসে গভীরভাবে অনুভব করেন। তিনি প্রবাস জীবনের নিঃসঙ্গতায় স্মৃতিকাতর হয়ে উঠেন। তাঁর প্রাণে নিশার স্বপনের মতো সর্বদায় বাংলার প্রতি মায়া-মন্ত্রধ্বনি বাজতে থাকে। তিনি অনুভব করেন এত মধুময় সুরে পৃথিবীর আর কোনো ভাষায় তাঁর হৃদয়কে অনুরণন তোলে না। বাংলার আলো-হাওয়া-জল; বাংলা ভাষা যেন সংগীতের সুর লহরির মতো কাছে টেনে নিচ্ছে।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রবাসী তানভিরের ভিডিও কল করার মাধ্যমে তানভিরের জীবনব্যবস্থা পাঠ্যবইয়ের কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনব্যবস্থার মিল পাওয়া যায়।

যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত সাগরদাঁড়ি গ্রামে কবি মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি পাশ্চাত্য জীবনাদর্শের চাকচিক্যের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। পাশ্চাত্য জীবনাদর্শ তাঁকে এমনভাবে আকৃষ্ট করে যে, তিনি নিজ ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তাঁর নামের আগে মাইকেল যুক্ত করেন।

উদ্দীপকে তানভিরের জীবনব্যবস্থায় কবি মাইকেল মধুসূদনের জীবনব্যবস্থা ফুটে উঠেছে। পাশ্চাত্য জীবনাদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে প্রবাস জীবনযাপন করলেও তিনি তাঁর জন্মভূমি ও দেশকে ভুলতে পারেননি। ভুলতে পারেননি শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত সেই কপোতাক্ষ নদকে। তাই কবি বিদেশে বসেও কপোতাক্ষকে ভালোবেসে নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে গেছেন।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তানভিরের কার্যক্রম বলতে কবি মাইকেল মধুসূদনের স্বদেশপ্রেমকে বোঝানো হয়েছে।

যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত সাগরদাঁড়ি গ্রামে মাইকেল মধুসূদনের জন্ম। তাঁর জীবনে শৈশবের নানা স্মৃতি রয়েছে কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে। মধুময় সে সব স্মৃতিকথা স্মরণ করে কবি আবেগাপ্লুত হতেন। হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিলেন কপোতাক্ষ নদকে। প্রবাস জীবনেও এক মুহূর্তের জন্যও তিনি ভুলতে পারেননি মধুর স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদকে।

ছাত্রজীবন থেকেই মধুসূদন দত্ত পাশ্চাত্য সাহিত্য ও জীবনদর্শনে আকৃষ্ট ছিলেন। যার ফলে একটা সময় তিনি নিজ ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে বিদেশে পাড়ি দেন। প্রবাস জীবনেও তিনি তাঁর মাতৃভূমিকে ভুলতে পারেননি। তাই প্রবাসে বসে শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদকে নিয়ে ‘কপোতাক্ষ নদ’ রচনা করেন। যেরূপ উদ্দীপকের তানভির বিদেশে বসেও দেশের কথা মনে পড়ে অহরহ। যেমন মনে পড়ে মাইকেল মধুসূদনের।

মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ও গুণাবলির মধ্যে স্বদেশপ্রেম অন্যতম। কবি মাইকেল মধুসূদনের ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিদেশে থেকেও কবি কপোতাক্ষ নদকে গভীরভাবে ভালোবাসেন। কপোতাক্ষ নদের কুলকুল ধ্বনি কবি স্বপ্নের ঘোরে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনেন। তাঁর দেখা বিদেশের বহু নদ-নদী কবির তৃষিত হৃদয়ের তৃষ্ণা মেটাতে পারেনি। কেবল কপোতাক্ষের জলই কবির নিকট সঞ্জীবনী সুধা, স্বর্গের অমিয়। তদ্রূপ উদ্দীপকের তানভির বিদেশে অবস্থান করলেও মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করে। ভুলতে পারেনি তার প্রিয় গ্রামটিকে; যেমন ভুলতে পারেননি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

৩. প্রায় পাঁচ বছর হলো শরিফুল মালয়েশিয়া এসেছে। এর মধ্যে একবারও তার দেশে ফেরা হয়নি। কাজের প্রচণ্ড চাপে দেশের কথা ভাববারও সময় কম। তবে অবসরে যখন সে থাকে তখন কেবলই বাড়ির পাশের বটগাছের কথা মনে পড়ে তার। কারণ এই বটগাছের ছায়ায় কত খেলেছে, গাছে উঠে ছোটবেলায় পাখির ছানা ধরেছে।।

ক. কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কীভাবে তাঁর কান জুড়ান?
খ. ‘দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? বর্ণনা কর।
গ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন দিকটি শরিফুলের একাকিত্বের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও শরিফুলের অনুভূতির মধ্যে বৈপরীত্য আছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক. কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘ভ্রান্তির ছলনে’ তাঁর কান জুড়ান।

খ. মাতৃদুগ্ধ যেমন শিশুর তৃষ্ণা মেটায়, তেমনি কপোতাক্ষ নদের জল কবির প্রাণের তৃষ্ণা মেটায়। এ বিষয়টি বোঝাতে কবি আলোচ্য কথাটি বলেছেন।

কপোতাক্ষ নদের তীরে কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে। এ নদের তীরেই তিনি তাঁর সুখ-দুঃখের সময় পার করেছেন। কপোতাক্ষ নদের স্বচ্ছ টলমলে জল তাঁর প্রাণের তৃষ্ণা দূর করেছে। কবির কাছে কপোতাক্ষ নদ হলো জন্মভূমির স্তনে দুগ্ধের প্রবাহের মতো। এ দুগ্ধ প্রবাহ কবিপ্রাণকে শীতল করে। তাই তিনি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

গ. কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবাসে থেকে কপোতাক্ষ নদের কথা মনে করেছেন। শরিফুলের মধ্যে এই দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় দেখা যায় কবি শৈশবে কপোতাক্ষ নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন। যখন তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন, তখন জন্মভূমির শৈশব, কৈশোরের বেদনাবিধুর স্মৃতি তাঁর মনে জাগিয়েছে কাতরতা। দূরে বসেও তিনি যেন কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কত দেশে কত নদনদী তিনি দেখেছেন, কিন্তু জন্মভূমির এই নদ যেন মারের স্নেহডোরে তাঁকে বেঁধেছে। কিছুতেই তিনি তাকে ভুলতে পারেন না। এখানে কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে।

উদ্দীপকেও আমরা অনুরূপ প্রতিচ্ছবি লক্ষ করি। শরিফুল পাঁচ বছর হলো মালয়েশিয়া এসেছে চাকরির উদ্দেশ্যে। কাজের চাপে দেশের কথা ভাববার সময় পায় না সে। তবে অবসর সময়ে তার স্মৃতিতে জেগে ওঠে জন্মভূমির সেই বটগাছের কথা। এই বটগাছের নিচে কত খেলাধুলা করেছে সে। এই গাছে উঠে পাখির ছানা ধরেছে। ছোট বেলার সে স্মৃতি মনে হওয়ায় সে আবেগাপ্লুত হয়। এখানে তার স্মৃতিচারণের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও শরিফুলের অনুভূতির মধ্যে বৈপরীত্য আছে- মন্তব্যটি সঠিক।

‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অনুপম দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। কবির জন্মভূমির পাশ দিয়ে প্রবাহমান কপোতাক্ষ নদ। শৈশবে এই নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন তিনি। অন্ধ মোহে আবিষ্ট হয়ে তিনি যখন ফ্রান্সে বসবাস করেন, তখন জন্মভূমির শৈশব, কৈশোরের বেদনাবিধুর স্মৃতি তাঁর মনে জাগিয়েছে কাতরতা। দূরে বসেও তিনি কপোতাক্ষ নদের কথা মনে করেছেন। তিনি বহু নদ-নদী দেখেছেন কিন্তু এ নদের কথা কিছুতেই ভুলতে পারেননি।

উদ্দীপকে দেখা যায় শরিফুল পাঁচ বছর হলো মালয়েশিয়া এসেছে চাকরির সুবাদে। কাজের চাপে দেশের কথা ভাববার সময় হয় না। তার। তবে অবসর সময়ে তার স্মৃতিতে জেগে ওঠে সেই বটগাছের কথা, যে গাছের তলায় সে খেলা করেছে। গাছে উঠে পাখির ছানা ধরেছে। তার স্মৃতিতে তাই বটগাছটি উঠে এসেছে। এখানে তার স্মৃতিকাতরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

আমরা ‘কপোতাক্ষ নদ’ ও উদ্দীপকটি বিশ্লেষণে দেখতে পাই, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বড় কবি হওয়ার আশায় বিদেশে গিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর ভুল ভাঙলে তিনি স্বদেশে আসার জন্য ব্যাকুল হন। তাঁর শৈশব, কৈশোরের নদ কপোতাক্ষের কথা মনে পড়ে। তিনি সংশয় প্রকাশ করেন আর হয়ত তাঁর নদের দেখা হবে না। এখানে কবির চেতনায় দেশপ্রেম প্রবলভাবে ধরা দিয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে শরিফুলের শুধু বটগাছের কথা মনে পড়েছে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সঠিক বলে মনে করা যায়।

আরো পড়োবঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

৪. স্বপ্নে আমার গড়াই নদী নিতুই কাছে ডাকে

ভালোবাসার নদী আমার বুকের মাঝে থাকে।
চপলমোদী ঢেউ থিরথির টলটল লাগে জল
তোমার কথা পড়লে মনে চক্ষু ছলছল।
তোমার জলেই ডুব সাঁতারে শীতল করি বুক
আবার কবে পাওয়া হবে ছুঁয়ে দেখার সুখ।

ক. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
খ. ‘দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. ‘আবার কবে পাওয়া হবে ছুঁয়ে দেখার সুখ’- চরণটিতে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “কবিতাংশটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সার্থক রূপায়ণ”- মূল্যায়ন কর।

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

খ. ‘দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে’- বলতে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর আবাল্য সুহৃদ কপোতাক্ষ নদের স্রোতধারাকে বুঝিয়েছেন।

কবি কপোতাক্ষ নদের সুপেয় স্রোতধারাকে মাতৃদুগ্ধের সাথে তুলনা করেছেন। কারণ এটি ছিল কবির শৈশবের নানা স্মৃতিবিজড়িত নদ। কবির মতে, মায়ের দুধের ঋণ যেমন অপরিশোধ্য, ঠিক তেমনি কপোতাক্ষ নদের কাছে কবির যে স্নেহ-ঋণ তা অপরিশোধ্য।

গ. মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় স্বদেশ-স্বজন বিরহকাতর অন্তরের তীব্র হাহাকার কপোতাক্ষ নদকে আশ্রয় করে প্রকাশ করেছেন। প্রদত্ত উদ্দীপকের চরণটিতেও এ দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবির স্বদেশ, স্বজন বিরহ এবং তাদের সাথে মিলনের সীমাহীন আকুলতা, স্মৃতিকাত অনিশ্চয়তার আবেগতাড়িত জিজ্ঞাসা প্রকা সহজেই বলা যায়, উদ্দীপকের ‘আবার কবে এবং সেই সাথে ‘য়েছে। একথা পাওয়া হবে ছুঁয়ে দেখার সুখ’ শীর্ষক চরণে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার “আর কি হে হবে দেখা?” অংশের বিরহকাতর প্রেমিকের প্রেমাস্পদের সাথে মিলনের তীব্র আকুতি প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত চরণে কবি বলেছেন, ভালোবাসার বুকের মাঝে সর্বদা থিরথির করে বয়ে চলার, কল্পনার সরোবরে ডুবে সাঁতার কেটে শরীর-মন জুড়ানো, গড়াই নদীকে আবার কবে ছুঁয়ে দেখার সুখ অর্জিত হবে। উদ্দীপকে উল্লিখিত চরণটি আমাদেরকে মুহূর্তের মধ্যে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘কপোতাক্ষ নদ’-এর নিম্নোক্ত চরণটি স্মরণ করিয়ে দেয়-“আর কি হে হবে দেখা?” উভয় কবির কবিতাতে মাতৃভূমির প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ. মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মাধ্যমে ফেলে আসা স্বদেশের প্রতি নাড়ির টান মর্মস্পর্শী ভাষায় প্রকাশ করেছেন। প্রদত্ত উদ্দীপকটিতেও অনুরূপ অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছে।

জন্মভূমির অতি তুচ্ছ জিনিসও মানুষের নিকট পরম মমতার। কবির নিকট কপোতাক্ষ নদের প্রতিটি ধূলিকণা মাতৃদুগ্ধের ন্যায় পবিত্র, সুপেয় এবং পুষ্টিকর। জন্মভূমির ধূলিকণা সোনার চেয়েও দামি এবং মায়ের মতো পবিত্র। খ্যাতির আশায় বিদেশে পাড়ি দিয়ে কবি শান্তি খুঁজে পাননি। তাঁর মন পড়ে আছে কপোতাক্ষ নদের তীরে।

কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি কবির মনে যেমন মধুর সংগীতের অনুরণন তোলে- বিদেশে থেকেও কবি ভুলতে পারে না কৈশোরের নদী কপোতাক্ষের কথা। প্রদত্ত উদ্দীপকেও তেমনি বর্ণিত হয়েছে জন্মভূমির কোল ঘেঁষে বয়ে চলা গড়াই নদীর মাঝে জন্মভূমির প্রতি মানুষের হৃদয়ের টান।

‘জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপী গরীয়সী’ জননী জন্মভূমি স্বর্গ থেকেও শ্রেষ্ঠ; এরূপ পবিত্রতম প্রিয় সত্তার জন্য হৃদয়ানুভূতির বিশুদ্ধ আবেগ ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার ন্যায় প্রদত্ত উদ্দীপকের কবিতায়ও সমরূপে বিদ্যমান। সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত কবিতাংশটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সার্থক রূপায়ণ।

৫. স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল সামিউল। সাহিত্যে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করে। নানা সমস্যার কারণে দেশে না ফিরতে পারলেও বাড়ির পাশের বুড়ো বটগাছটির ছায়ায় বসে বাঁশি বাজানোর কথা মনে পড়ায় তার মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সামিউল যে কবিতা, ছড়া লেখে তার মধ্যে তার। গ্রামটি যেন অবিকলরূপে ফুটে ওঠে।

ক. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় ‘বিরলে’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘বঙ্গজজনের কানে’- বলতে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন দিকটি সামিউলের ব্যাকুলতার মধ্যে ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার বক্তব্য বিষয়টি উদ্দীপকের মধ্যে কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ কর।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় ‘বিরলে’ শব্দের অর্থ একান্ত নিরিবিলিতে।

খ. স্বদেশের মানুষের কাছে কবির বাণী পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রতিষ্ঠা লাভের মোহে নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে ভ্রমণ করেছেন। কবি চলার পথে বহু নদ-নদী দেখেছেন বিদেশ বিভুঁইয়ে। কিন্তু কবির তৃষিত হৃদয়কে কোনো নদীর পানিই তৃপ্ত করতে পারেনি। কপোতাক্ষের পানি যেন কবির নিকট মাতৃদুগ্ধ। কপোতাক্ষের কাছে কবির সবিনয় আকুতি- যতদিন তার জলধারা সাগরে পতিত হবে ততদিন সে যেন স্বদেশের মানুষের কাছে তার কথা বলে। ‘বঙ্গজ জনের কানে’ যেন কপোতাক্ষ কবির প্রেমের বাণী পৌঁছে দেয়।

গ. মাইকেল মধুসূদন যেমন তাঁর অতীত স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদকে কোনোভাবেই ভুলতে পারেন না, তেমনি উদ্দীপকের সামিউলও অতীত স্মৃতিবিজড়িত বটগাছটিকে ভুলতে পারে না।

শৈশবের বহু স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ কবি মধুসূদন দত্তের কল্পনাকে প্রচণ্ড বেগে নাড়া দিয়েছে। কবিতার ছত্রে ছত্রে সেই শৈশব-স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষের কথা বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লাভের মোহ তাকে দেশত্যাগে প্রলুব্ধ করেছে, খ্যাতিও তিনি পেয়েছেন, কিন্তু সেই স্মৃতি তিনি ভুলতে পারেননি। তিনি কপোতাক্ষের প্রতি এতই কাতর হয়েছেন যে, নদীর পানিকে তিনি মাতৃদুগ্ধের সাথে তুলনা করেছেন। মাতৃদুগ্ধে যেমন শিশুর পরিপুষ্টি হয়, কপোতাক্ষের জলধারাও তেমনি কবির প্রাণের পিপাসা, নিবারণ করে। তাই শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদকে কবি ক্ষণিকের জন্যও ভুলতে পারছেন না।।

উদ্দীপকে আমরা দেখি, স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় গেছে সামিউল। সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে সেখানেই সে শিক্ষকতা শুরু করে। নানা সমস্যার কারণে সে দেশে ফিরতে পারে না, কিন্তু বাড়ির পাশের বটগাছটিকে তার সবসময় মনে পড়ে। এ গাছের ছায়ায় বসে সে বাঁশি বাজিয়েছে। তাই তার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে সেই গাছটি স্থান করে আছে। অর্থাৎ মাইকেল। যেমন তাঁর অতীত স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদকে কোনোভাবেই ভুলতে পারেন না, তেমনি উদ্দীপকের সামিউলও অতীত স্মৃতিবিজড়িত বটগাছটিকে ভুলতে পারেন না।

ঘ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় বর্ণিত কবির স্বদেশপ্রেমের বাণী উদ্দীপকে সুন্দরভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।

স্বদেশপ্রেম একটি মহৎগুণ। স্বদেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। যার মধ্যে এই গুণটি আছে সে তার দেশের কল্যাণের জন্য অবশ্যই কাজ করে। মানুষের মঙ্গলে তার হাত প্রসারিত হয়।

‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবির স্বদেশপ্রীতির সীমাহীন আকুলতা ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে। ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে অবরুদ্ধ প্রতিবেশ, স্বজনহীন পারিপার্শ্বিকতায় কবি-হৃদয় বেদনাবিদ্ধ। সেই নিঃসঙ্গ প্রতিবেশই কবিকে স্বদেশভূমির প্রতি আরো কাতর করে তোলে। শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ কবির হৃদয়কে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়ে যায়। কবিতার ছত্রে ছত্রে তার আবেগময় নদী বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। কবি বহু নদ দেখেছেন কিন্তু একমাত্র কপোতাক্ষই তাঁর স্নেহের তৃষ্ণা মেটাতে পেরেছে। তিনি কপোতাক্ষের পানিকে মাতৃদুগ্ধের সাথে তুলনা করেছেন। কপোতাক্ষ নদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগ্রহ তাকে আবেগময় করে তুলেছে।

উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, স্টুডেন্ট ভিসায় সামিউল অস্ট্রেলিয়া যান। সেখানে শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তার ফেলে আসা অতীত স্মৃতিবিজড়িত বটগাছটির কথা কোনোভাবেই তিনি ভুলতে পারেন না। তার সমস্ত কর্মে সেই গাছটির স্মৃতি বারবার উঁকি দেয়। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় যেমন কবির আত্মার ক্রন্দন ও স্বদেশপ্রীতির উল্লেখ আছে ছত্রে। ছত্রে, তেমনি উদ্দীপকেও স্বদেশপ্রেমের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তাই সামিউলের লেখায়ও তার সেই ফেলে আসা গ্রাম ও বটগাছের অবিকল চিত্র ফুটে উঠেছে।

Leave a Comment