(ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান) ৬ষ্ঠ: প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো – সমাধান

প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো হচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই এর ৯ম অধ্যায়। প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো অধ্যায়টির পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো

কাজ-১: কাঠামো সম্পর্কে ধারণা গঠনের কার্যাবলি।

CamScanner 08 11 2023 22.25 1

কাজের উদ্দেশ্য: বিভিন্ন বস্তুর কাঠামো ও তার কার্যকারিতার সাথে সম্পর্ক কী তা অনুধাবন করা।

প্রয়োজনীয় উপকরণ: পাঠ্যবইয়ের ছবি, কাগজ ও কলম।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষকের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা দলে বিভক্ত হবে।
• বইয়ে দেওয়া ছবিগুলো দেখার পর আলোচনার মাধ্যমে নমুনা হিসেবে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর বের করবে।
• আলোচনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল সবার উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হবে।

নমুনা সমাধান

CamScanner 08 11 2023 22.25 2 1

কাজ-২; ছবি দেখে উন্মুক্ত আলোচনা।

CamScanner 08 11 2023 22.25 3

কাজের উদ্দেশ্য: বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপ সম্পর্কে জানা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: পাঠ্যবইয়ে দেওয়া ছবি, কাগজ, কলম।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে পাঠ্যবইয়ে উল্লেখিত ছবিগুলো শিক্ষার্থীরা দেখবে।
• পরে পাঠ্যবইয়ে দেওয়া এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরগুলো কাগজে লিখবে।

নমুনা সমাধান

CamScanner 08 11 2023 22.25 4

কাজ-৩: ভূমিরূপের অভিধান তৈরি।
কাজের উদ্দেশ্য: ভূমিরূপের নাম, বৈশিষ্ট্য, ভূমিরূপটি কীভাবে গঠিত হয়েছিলো সে সম্বন্ধে জানা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: ডায়েরি, বুকলেট, ছবি আঁকার পেন্সিল, কাগজ, কলম।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষক প্রথমে ক্লাসে অভিধান শব্দের মানে বুঝিয়ে বলবেন।
• শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপের নাম বোর্ডে লিখবে।
• এরপর পাঠ্যবইয়ের সাহায্য নিয়ে ভূমিরূপগুলোর নাম ডায়েরিতে লিখবে এবং ছবি আঁকবে।
• শিক্ষকের ঠিক করে দেওয়া কিছু বৈশিষ্ট্যসহ ভূমিরূপের অভিধান বানাবে।

নমুনা সমাধান

ভূমিরূপ অভিধান
নদী

CamScanner 08 11 2023 22.25 5

নদী হলো মিষ্টি জলের একটি প্রাকৃতিক জলধারা। সাধারণত উঁচু ভূমি, বা পাহাড়ি গিরিখাত থেকে নদীর সৃষ্টি হয়। এ জলধারা সাগর, মহাসাগর, হ্রদ বা অন্য কোনো নদী বা জলাশয়ে পতিত হয়। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। আমাদের দেশের প্রধান নদীগুলো হচ্ছে— পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলী প্রভৃতি। পৃথিবী বিখ্যাত নদীগুলোর নাম হলো— আমাজন, মিসিসিপি-মিসৌরী, হোয়াংহো, টাইবার, দজলা-ফোরাত প্রভৃতি। নদী নিয়ে আমার বেশ মজার অভিজ্ঞতা আছে । আমার নানুবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। বর্ষাকালে যখন নদী কানায় কানায় পূর্ণ থাকে তখন আমরা সব ভাইবোনেরা মিলে নৌভ্রমণে যাই। নদীর বুকে সূর্য অস্ত যাওয়া দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

কাজ-৪: ভূমিরূপের মানচিত্র ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকা তৈরি।
কাজের উদ্দেশ্য: বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ ভূমিরূপ ও এর সাথে সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে জানা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: মানচিত্র, কাগজ, কলম, পেন্সিল।

কাজের নির্দেশনা:
• ক্লাসে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিক্ষক ধারণা পাবেন, বিভিন্ন ভূমিরূপ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানতে পেরেছে।
• এরপর শিক্ষকের সহায়তায় তারা নিজেদের পরিচিত পরিবেশের ভূমিরূপ নিয়ে আলোচনা করবে।
• পরে বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ ভূমিরূপের তালিকা তৈরি করে মানচিত্রে চিহ্নিত করবে।
• এরপর শিক্ষক তাদের ভূমিরূপের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন দুর্যোগের নাম জিজ্ঞেস করবেন। এগুলোর নাম শিক্ষার্থীরা ছকে লিখবে।

নমুনা সমাধান

কাজ-৫: শিক্ষাসফর ও ভ্রমণ ডায়েরি তৈরি।
কাজের উদ্দেশ্য: বিভিন্ন ভূমিরূপ সম্পর্কে সরাসরি জানা এবং সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা লিখে রাখা
প্রয়োজনীয় উপকরণ: পাঠ্যবই, ডায়েরি, কাগজ, কলম।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা একটি শিক্ষাসফরের আয়োজন করবে।
• শিক্ষাসফর শেষে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে নিজের ভ্রমণ ডায়েরি তৈরি করবে।

নমুনা সমাধান
শিক্ষাসফরের আয়োজন :

CamScanner 08 11 2023 22.25 8

ভ্রমণ ডায়েরি:

লালমাই পাহাড়

CamScanner 08 11 2023 22.25 9

স্থান: লালমাই পাহাড়, কুমিল্লা।
তারিখ: ০১.০২.২০২৩
বর্ণনা: আজকে আমাদের শিক্ষাসফর। আমরা ক্লাসের সবাই মিলে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে যাচ্ছি। ক্লাসে খুশি আপা আমাদের বিভিন্ন ভূমিরূপ সম্পর্কে পড়িয়েছেন। এখন সেগুলোর ব্যাপারে সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আমরা লালমাই পাহাড় দেখতে যাচ্ছি।

কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই পাহাড় থেকে ময়নামতি পর্যন্ত লালমাই পাহাড় বিস্তৃত। এর আয়তন ৩৪ বর্গকিলোমিটার। এর গড় উচ্চতা ২১ মিটার। এ তথ্যগুলো আমরা আমাদের শিক্ষকের মুখ থেকে জানলাম।

ঘুরতে ঘুরতে আমরা দেখলাম এ পাহাড়ের মাটির রং লাল। আমরা আরও দেখলাম পাহাড়ের মাটি নুড়ি, বালি ও কংকর মিশ্রিত। পাহাড়ের চারপাশের সবুজ প্রকৃতি দেখে আমাদের খুব ভালো লেগেছে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা শালবন বিহারও আমরা ঘুরে দেখেছি। লালমাই পাহাড়ের চারপাশে আছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। রয়েছে প্রাচীন রাজাদের রাজপ্রাসাদ। এ সমস্ত কারণে লালমাই পাহাড় পরিণত হয়েছে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে। সারাদিন সবাই মিলে লালমাই পাহাড়ে বেড়ানোর পর আমরা নিজ নিজ বাসায় ফিরে আসি।

কাজ-৬: ধর্মগোলা গল্পে উল্লেখিত সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং আইন-কানুন।

কাজের উদ্দেশ্য: বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তন এবং এদের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক অনুসন্ধান করা।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষকের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা সামাজিক কাঠামো অনুসন্ধানে ধর্মগোলার গল্প পড়বে।
• এরপর পাঠ্যবইয়ে দেওয়া ছক অনুসরণ করে নিচের ছকে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর করবে ।

নমুনা সমাধান

CamScanner 08 11 2023 22.25 10

কাজ-৭: নিজ এলাকার সামাজিক মিথস্ক্রিয়া নিয়ে কাজ।
কাজের উদ্দেশ্য: নিজ এলাকায় গৃহীত কোনো উদ্যোগ থেকে মিথস্ক্রিয়ার অনুসন্ধান করা।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের এলাকার কোনো সম্মিলিত উদ্যোগ চিহ্নিত করবে।
• এরপর তারা সেই উদ্যোগ বা বিষয়ে সেই সমাজের মানুষে-মানুষে ও মানুষে-প্রতিষ্ঠানে যে মিথস্ক্রিয়া তা অনুসন্ধান করবে।
• এরপর খাতায় নিজ এলাকার সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও মানুষে-মানুষে মিথস্ক্রিয়ার বর্ণনা লিখবে। তবে শিক্ষার্থীরা পোস্টার পেপারও ব্যবহার করতে পারবে।

নমুনা সমাধান
আমাদের এলাকায় ‘সততার দেয়াল’ নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনটি শীতকালে গ্রামের অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে । এলাকার বিত্তবান অংশ এবং দুটি বেসরকারি সংস্থা সংগঠনটিকে শীতবস্ত্র প্রদান করে তাদের কার্যক্রমে সহযোগিতা করে।

‘সততার দেয়াল’ সংগঠনের সদস্যরা শীতকালে গ্রামের অসহায় জনগণের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে। এর ফলে গ্রামের মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে। আবার সততার দেয়াল নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। এদিক থেকে সমাজের বিত্তবান ও অসহায় লোকদের সাথে কাজ করার ফলে মানুষে- প্রতিষ্ঠানে মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে। এছাড়া সততার দেয়াল সংগঠনটিতে দুটি বেসরকারি সংস্থা শীতবস্ত্র দেয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানে-প্রতিষ্ঠানে মিথস্ক্রিয়া হয়েছে।

কাজ-৮: লেখচিত্রের মাধ্যমে সামাজিক কাঠামোর উপাদান উপস্থাপন।
কাজের উদ্দেশ্য: সামাজিক কাঠামোর উপাদানগুলোকে লেখচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা।
নমুনা সমাধান:

CamScanner 08 11 2023 22.25 11

কাজ-৯: অতীতের সামাজিক কাঠামো অনুসন্ধান।
কাজের উদ্দেশ্য: বিভিন্ন কাঠামো সম্পর্কে জানা।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের একটি প্রাকৃতিক ও একটি সামাজিক কাঠামোর নাম বলবেন।
• তারা একেকজন একেকটি কাঠামোর নাম বলবে ও বোর্ডে লিখবে। নিচে এর নমুনা দেওয়া হলো।-

নমুনা সমাধান

CamScanner 08 11 2023 22.25 12

কাজ-১০: অতীতের উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে অনুসন্ধানী প্রশ্ন তৈরি করা।

কাজের নির্দেশনা:
• শিক্ষকের সহায়তায় প্রথমে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনুসন্ধানী দল তৈরি করা হবে।
• তারপর তারা অতীতের উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য প্রশ্ন তৈরি করবে।
• প্রতিটি প্রশ্ন অনুসন্ধান করতে হলে সেটিকে ভেঙে আরও ছোট ছোট ও সুস্পষ্ট প্রশ্ন তৈরি করতে হবে।

নমুনা সমাধান:
প্রশ্ন-১. প্রাচীন সভ্যতাগুলোর সংস্কৃতি কেমন ছিল?

CamScanner 08 11 2023 22.25 13

১. অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু (Topic): প্রাচীন সভ্যতার সংস্কৃতি।

২. অনুসন্ধানের জন্য বিষয়বস্তু সংক্রান্ত প্রশ্ন: প্রাচীন সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো সে সময়ের মানুষের জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল?

৩. প্রশ্নের ভেতরকার মূল বিষয়গুলো (Key Concept):
ক. প্রাচীন সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
খ. প্রাচীন সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর প্রভাব।

৪. তথ্যের উৎস নির্বাচন: ইন্টারনেট, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বই।

৫. তথ্য সংগ্রহের উপকরণ নির্বাচন বা তৈরি: প্রশ্নমালা।
প্রশ্নমালা:
ক. মিসরীয় সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো কী কী?
খ. মিসরীয় সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো সে সভ্যতার মানুষের জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল?
গ. গ্রিক সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো কী কী?
ঘ. গ্রিক সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো গ্রিক সভ্যতার মানুষের জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল?
ঙ. সিন্ধু সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো কী কী?
চ. সিন্ধু সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো সে সময়ের মানুষের জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল?

৬. তথ্য সংগ্রহ:
ক. মিসরীয় সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো হলো স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, চিত্রকলা, লিপি, সাহিত্যচর্চা, বিজ্ঞানচর্চা ইত্যাদি।
খ. মিসরীয় সভ্যতার মানুষ প্রথম সভ্যতার ছোঁয়া পায় এবং নগর সভ্যতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।
গ. গ্রিক সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে- দর্শন, শিল্প, সাহিত্য, স্থাপত্য, ধর্ম ইত্যাদি।
ঘ. গ্রিক সভ্যতার মানুষ দর্শন সম্পর্কে জানতে পারে এবং ধর্ম পালন শুরু করে।
ঙ. সিন্ধু সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো হলো- স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, নগর পরিকল্পনা, শিল্প ইত্যাদি।
চ. সিন্ধু সভ্যতার জনগণ উন্নত নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল।

৭. তথ্য বিশ্লেষণ:
ক. মিসরীয় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোর কারণে সে সময়ের মানুষ প্রথম সভ্যতার ছোঁয়া পায় এবং নগর সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।
খ. গ্রিক সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোর প্রভাবে সে সভ্যতার মানুষ দর্শন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে এবং ধর্ম চর্চা শুরু করে।
গ. সিন্ধু সভ্যতার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো সিন্ধু সভ্যতার জনগণকে উন্নত নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত করেছিল।

৮. সিদ্ধান্ত: প্রাচীন সভ্যতাগুলোর অর্থাৎ মিসরীয় সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা এবং সিন্ধু সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো সেসব সভ্যতার মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।

আরো পড়োবই পড়া ক্লাব
আরো পড়োসামাজিক পরিচয়

CamScanner 08 11 2023 22.25 14

১. অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু (Topic): সাংস্কৃতিক উপাদান।

২. অনুসন্ধানের জন্য বিষয়বস্তু সংক্রান্ত প্রশ্ন: বর্তমান মিসর ও গ্রিসের সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো কেমন?

৩. প্রশ্নের ভেতরকার মূল বিষয়গুলো (Key Concept) :
ক. মিসরের বর্তমান সাংস্কৃতিক উপাদান এবং খ. গ্রিসের বর্তমান সাংস্কৃতিক উপাদান।

৪. তথ্যের উৎস নির্বাচন: ইন্টারনেট।

৫. তথ্য সংগ্রহের উপকরণ নির্বাচন বা তৈরি: প্রশ্নমালা।
প্রশ্নমালা: ক. মিসরের বর্তমান সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো কী কী? খ. গ্রিসের বর্তমান সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো কী কী?

৬. তথ্য সংগ্ৰহ:
ক. মিসরের বর্তমান সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো হলো— বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, দর্শন, ধর্ম, জাতীয় রাষ্ট্র, শিল্প, সাহিত্য, স্থাপত্য ইত্যাদি।
খ. গ্রিসের বর্তমান সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো হলো- জাতীয়, রাষ্ট্র, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, ধর্ম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, দৰ্শন, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি।

৭. তথ্য বিশ্লেষণ: মিসর ও গ্রিসে জাতীয় রাষ্ট্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, দর্শন, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো দেখা যায়।

৮. সিদ্ধান্ত: বর্তমান মিসর ও গ্রিসে বিদ্যমান সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো হলো— বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, জাতীয় রাষ্ট্র, ধর্ম, দর্শন, শিল্প-সাহিত্য ইত্যাদি।

প্রশ্ন নং-৩: বর্তমানকালে ও অতীত কালের মানুষের জীবনের সংস্কৃতিগত কী কী মিল-অমিল দেখা যায়?

১. অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু (Topic) : বর্তমান ও অতীতকালের সংস্কৃতি।

২. অনুসন্ধানের জন্য বিষয়বস্তু সংক্রান্ত প্রশ্ন: বর্তমান ও অতীত কালের সংস্কৃতির মধ্যে কী কোনো মিল-অমিল রয়েছে?

৩. প্রশ্নের ভেতরকার মূল বিষয়গুলো (Key Concept): ক. অতীত কালের সংস্কৃতি এবং খ. বর্তমান কালের সংস্কৃতি।

৪. তথ্যের উৎস নির্বাচন: ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই (অনুসন্ধানী পাঠ)।

৫. তথ্য সংগ্রহের উপকরণ নির্বাচন বা তৈরি: প্রশ্নমালা।
প্রশ্নমালা:
ক. অতীত ও বর্তমান কালের মানুষের সাংস্কৃতিক কী কী মিল রয়েছে?
খ. অতীত ও বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতিতে কী কী অমিল রয়েছে?

৬. তথ্য সংগ্ৰহ:
ক. অতীত ও বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতিতে যেসব ক্ষেত্রে মিল দেখা যায় তা হলো- খাদ্য, পোশাক, ঘরবাড়ির নির্মাণ সামগ্রী ইত্যাদি।
খ. অতীত ও বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতির পার্থক্যের ক্ষেত্রগুলো হলো— শিক্ষা, প্রযুক্তি ইত্যাদি।

৭. তথ্য বিশ্লেষণ: অতীত ও বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতিতে খাদ্য, পোশাক, ঘরবাড়ির নির্মাণ সামগ্রী ইত্যাদি ক্ষেত্রে মিল দেখা যায়। আর শিক্ষা, প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অমিল দেখা যায়।

৮. সিদ্ধান্ত: অতীত ও বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতিতে মিল ও অমিল উভয়ই লক্ষ করা যায়।

Leave a Comment