“হাসি কান্নার এডমিশন” -তারেক আহমেদ

একটি দেশের প্রায় সব শিক্ষার্থীর ইচ্ছা বা স্বপ্ন থাকে একটি ভালো জায়গায় নিজের উচ্চশিক্ষা অর্জন করার। আর তার জন্যে সবচেয়ে সর্বোত্তম জায়গা হলো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।সবার মত আমার ও সেই একই সপ্ন ছিল, একটি ভালো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিজের একটি আসন দখল করার।

কোভিড ১৯ এ এলোমেলো পুরো বিশ্বের কার্যক্রম। ২০২০ সালের এইচ এসসি পরীক্ষা মার্চ থেকে বারবার পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন সময় ৭ই অক্টোবর ২০২০, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিলেন ২০২০ সালের এইচ এসসি পরীক্ষা কোভিড ১৯ এর কারণে নেওয়া হচ্ছে না। ফলাফল তৈরী করা হবে বিগত দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গড় করে। মিথ্যা বলবনা, অনেক খুশী হয়ে ছিলাম। কারণ বিগত দুই পরীক্ষার ফলাফল ও মোটামুটি ভালো। আর বারবার পরীক্ষা পিছানই পড়াশোনার ধৈর্য আর সে রকম ভাে ধরে রাখতে পারিনি, প্রস্তুতি তে অনেক ঘাটতি হয়ে গিয়েছে এই কয়মাসে। যাইহোক একটা ঝামেলা ঘাড় থেকে নামল।

মনে মনে ভাবলাম কয়েকদিন পর থেকেই এডমিশন এর জন্যে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে, বেশী দেরী করা ঠিক হবেনা। ভাবতেছি কোচিং এ ভর্তি হবো। এতদিন প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বেশ কিছুদিন থেকে মেডিক্যাল এর প্রতি কেমন জানি ভাল লাগা কাজ করছে। আর আব্বু আম্মু ও মেডিক্যাল এ অনেক আগ্রহী। সব সমীকরণ মিলিয়ে মেডিক্যাল  হলাম। করোনার প্রকোপ তখন ও যায়নি যার কারণে আমাদের কোচিং অনলাইনেই শুরু হয়। পরীক্ষা ক্লাস সব অনলাইনে। পরীক্ষা দিই কিন্তু মার্ক তেমন ভালো আসতো না। বাসায় থেকে একা একা পড়াশোনা, কী পড়বো কী পড়বো না অনেক বড় সমস্যায় পরে যাই। পড়ি, তবু পরীক্ষায় মার্ক ভাল হয় না। ভাবলাম রাজশাহী শহরে মেস এ যাবো, কিন্তু করোনার সমস্যার কারণে পরে আর যাওয়া হয়নি।

এইভাবে আস্তে আস্তে মেডিক্যাল পরীক্ষার দিন চলে আসলো। পরীক্ষা দিলাম, মার্ক আসল ৫৫, কামার্ক সেই সময় ৬৬। একটু মন খারাপ হয়েছিলো, পরে নিজেকে বুঝালাম তোর প্রস্তুতি তে ঘাটতি ছিল যার কারণে চান্স হয়নি। প্রস্তুতি তেমন ভালো না বুঝলাম ডেন্টালেও হবে না। ডেন্টাল পরীক্ষা দিলাম মার্ক আসল ৬২, কামার্ক ৮২। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন শেষ।

সামনে ঢাবির পরীক্ষা, সব ইউনিট এর ই ফরম তুলা আছে। মন কে বুঝালাম এইবার আর ভুল করা যাবেনা ।কিন্তু আবার সেই করোনার কারণে পরীক্ষা বার বার পিছাতে লাগলো। আবার পড়াশোনায় ঘাটতি চলে আসলো। আব্বুর কোথায় ঢাবির সব ইউনিট এই ফোরম তুলেছীলাম। পরীক্ষা পিছাতে পিছাতে আবার পরীক্ষার নতুন তারিখ দিলো। ক ইউনিট এ পরীক্ষা দিলাম রিটেন এ ফেল। বাকী ইউনিট আর না বলি ,বাকী ইউনিটেও বাজে অবস্থা। তিনটা স্বপ্ন নিজ দোষ এ শেষ করে দিলাম। আল্লাহ্ এর কাছে তখন বারবার চাইতে থাকি” আল্লাহ্ একটা পাবলিক ভার্সিটি তে আমাকে তুমি চান্স দিয়ে দাও আল্লাহ্”। এডমিশণ টাইমে আমি যাই করিনা কেন কখনো নামাজ ছেড়ে দেইনি।

সামনে রাবির পরীক্ষা, ফর্ম তুললাম, কিন্তু রাবির একটা নিয়ম তাদের বাছাই করণ পদ্ধতি। ১ম ধাপের বাছাই করণ ফলাফল দিলো। আমি আবেদন করার সুযোগ ই পেলাম না, অনেক ভেঙ্গে পরলাম। শুনেছি রাবি তে চান্স পাওয়া নাকি সব থেকে সহজ। আব্বু বারবার বলছে হয়তো এখানেই চান্স হতো, আর পরীক্ষ ই দিতে পারছেনা। বাড়ীর সবার মন খারাপ। পরে আল্লাহ্ মুখ তুলে চাইলো, ২য় ধাপে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেলাম। ৪ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাবির সি ইউনিট এ ভর্তি পরীক্ষা, শুধু বায়োলজি দাগালাম।পরীক্ষার ফলাফল দিলো মার্ক আসলো ৫৭, সিরিয়াল ১৮৪৯। মনে ভয় ধরে গেলো চান্স কী অল্পের জন্যে মিস হয়ে যায় নাকি। আল্লাহ্ এর কাছে বারবার চাইতে লাগলাম। নামাজ এ বসলেই কান্না চলে আস্ত ।আল্লাহ্ কে বলতাম আল্লাহ্ যেকোনো সাবজেক্ট এ অতন্ত আমাকে চান্স করে দাও।

সবার আশা ছিল কোথায় চান্স না হলেও ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পরীক্ষায় চান্স হবে। ১০ অক্টোবর গুচ্ছ পরীক্ষা হলো, ভাবলাম এত সিট চান্স তো হবেই। আব্বু আম্মু সবাই কে আশ্বাস দিলাম চান্স হবে। কিন্তু ভাগ্যের কি লিলা এবার এত কম মার্ক আসলো যা আমি কখনোই ভাবিনি। এবার একদম ভেঙ্গে পরলাম ি হচ্ছে আমার সাথে। যতোটুকু পড়াশোনা করেছি আল্লাহ্ একটা সিট তো আমার ভাগ্যে রাখতেই পারতেন ।প্রতিটা মুহূর্ত যেন আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। আবার ধৈর্য ধরলাম সামনে চবি তে পরীক্ষা। ও হ্যাঁ, এই দুঃসময় আবার আমার আম্মুর পিত্তথলী তে পাথর ধরা পরে। অপারেশন করা জরুরী, কিন্তু আমার কোথা ভেবে অপারেশন করাতে চাচ্ছেনা। এই জন্য যে, এমনি চান্স পাচ্ছিনা এখন অপারেশন করালে পড়াশোনা তে সমস্যা হবে। এই নিয়ে একটু কোথা কাটাকাটি হয়। আমি রাগ করে আব্বু কে বলি আমার যা হওয়ার হবে আম্মুর অপারেশন করান। সেদিন রাত এ অনেক কান্না করেছিলাম সব আমার দোষ এ এসব হচ্ছে, আল্লাহ্ কে বারবার বলতাম” আল্লাহ্ কেন এই দিন আমার নিয়ে আসলে কবে আমি এটা থেে মুক্তি পাবো “। আবার ভালো করে পড়াশোনা শুরু করলাম চবির জন্যে। একদিন ফজরে ঊঠে দেখি আম্মু আমার জন্যে নামায এ বসে কান্নাকাটি করছে। আমার জন্যে আল্লাহ্ এর কাছে দোয়া চাচ্ছে। এটা দেখার পর নিজের কান্না ধরে রাখতে পারিনি, এই দুই মানুষ টার মুখে আমি হাসির বদলে কান্না দিলাম। আল্লাহ এই দিন তুমি আমায় কেন দিলে? চবি পরীক্ষার ৪ দিন আগে আম্মার অপারেশন, অপারেশন আল্লাহর রহমতে ভালোভাবে সম্পন্ন হলো। আমি চট্টগ্রাম গেলাম পরীক্ষা দিতে ।আলহামদুল্লাহ অনেক ভালো পরীক্ষা হলো, কেন জানি মনে হচ্ছিলো এইবার চান্স পেতে যাচ্ছি। প্রায় ৮৬ টার মতো হইছে, সবাই বলল চান্স হবে। কিন্তু সেই একি গল্প, মেরিট আসলো ৩৫৭৪।কিন্তু সব বড় ভাইরা বলছিল গতবার ৫০০০ পর্যন্ত গিয়েছিল তাই তুমি সাব্জেক্ট পাবা। আশা রাখলাম সবাই যখন বলছে আল্লাহ্ এইবার হয়ত ফেরাবেন না। জাবি তেও পরীক্ষা দিলাম। কিন্তু জাবি তে চান্স পাওয়া সব থেকে কঠীন, তাই খুব একটা আশা বাদি ছিলাম না। এদিকে রাবির মেরিট লিস্ট দিচ্ছে, আব্বুর বন্ধু রাবির শিক্ষক, তিনি বলছেন তারেক এর রাবি তেই সাবজেক্ট আসতে পারে। মনে একটু আশা জাগলো। রাি এবং চবি তে অপেক্ষা মান আছি। এইভাবে দুষ চিন্তায় দিন যেতে লাগলো।

একদিন আব্বু এসে বল্লো যা হইছে হইছে মেডিক্যাল সেকেন্ড টাইম দে, আর এইবার ভাল করে পড়বি । কোন জায়গায় সেকেন্ড টাইম নাই মেডিক্যাল ই আমার শেষ ভরসা। এদিকে রাবির চবির মেরিট লিস্ট দিচ্ছে। বিজ্ঞান এর বিষয় এ মার্ক কম থাকায় ১ম বার কৃষি গুচ্ছে পরীক্ষা দিতে পারিনি। সব আশা বাদ দিয়ে রাজশাহী শহরে চলে গেলাম, এইবার আর বাসা থেকে প্রস্তুতি নয়। আমার একটাই শেষ ভরসা মেডিক্যাল। একদম ক্লাস ব্যাচ এ ভর্তি হলাম “রাজশাহী রেটিনা” তে। এদিকে রাবির চবির মেরিট লিস্ট প্রায় চেক দেই একটা যদি সাব্জেক্ট আসতো, একটু ভরসা পেতাম।কিন্তু সেই দিন আর আসেনা। প্রতি টা মেরিট লিস্ট দেখার পর কান্নায় ভেঙ্গে পরি। আব্বু আম্মু ফোণে অনেক সান্ত্বনা দেয়, সাপোর্ট দেয়, যা সেকেন্ড টাইমে খুব কম ছেলে মেয়ে ই পায়। এই দিক দিয়ে আমি ভাগ্যবান। আম্মু কে একদিন বলি আি কি এমন পাপ করেছি আল্লাহ্ আমার উপর একটুও দয়া করলনা, একটা সাবজেক্ট তো আমারে ভিক্কা দিত, আম্মু বলে আল্লাহ্ কাউকে নিরাশ করেনা আরেকটু সবুর কর বাবা। আমার মামা ও অনেক সাপোর্ট দিছে সেই সময়। কিন্তু অনেক মানুষ আব্বু আম্মু কে বেশী বেশী শুনাই তো এর ছেলে এই খাণে চান্স পাইছে ওর মেয়ে ঐখানে চান্স পাইছে, এসব সত্যে ও আব্বু আম্মু আমাকে ফুল সাপোর্ট দিয়ে গেছে। এই সাপোর্ট টাই আমাকে সাহস জাগায়, আমি পারবো, আমকে পারতেই হবে। অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম। রেটিনা তে পরীক্ষায় পজিশন এক দুই এর মধ্যে থাকতে লাগলো। এদিক এ রাবির শেষ মেরিট লিস্ট দিলো, ৩৫ এ অপেক্ষামাণ থেকে আমার রাবির স্বপ্ন শেষ। সেদিন এতো পরিমাণকান্না করেছিলাম যেন দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো। মেসের রুম এ আমি একা কোন ভাবেই কান্না আটকাতে পারছিলাম না। রাত এ আব্বু আম্মু ফোণ দিলো তাদের সাথে কথা বলে একটু হাল্কা হইলাম। পড়াশোনার জোর আরও বাড়িয়ে দিলাম এইবার আমাকে চান্স পেতেই হবে। কোচিং এর সময় বাদেই ১২-১৪ ঘণ্টা করে পড়তাম। রেটিনার স্পেশাল ব্যাচ এ সিলেক্ট হইলাম, ভাইয়ারা বলল তুমি চান্স পাবা মেডিক্যাল এ এখন তোমার কাজ ভালো মেডিক্যাল এ চান্স পাওয়া।

আরও পড়াশোনার জোড় বাড়িয়ে দিলাম একদম দরকারি কাজ বাদ এ কাজ শুধু পড়া। কারণ আমার চান্স পেতেই হবে। ফোণ বাক্সে তালা দিয়া রাখতাম। শেষ এক মাস প্রায় ১৭ ১৮ ঘণ্টা করে পড়েছি। মেডিক্যাল পরীক্ষার দিন চলে আসলো, দুই রাকাত নফল নামাজ পরে পরীক্ষা দিতে গেলাম। আলহামদূলীল্লাহ পরীক্ষা ভাল দিলাম। রেটিনার এর সাথে মিলিয়ে দেখলাম ৭৫ টা হয়েছে। অনেক খুশী হইলাম কারণ এই মার্ক মেডিক্যাল এ চান্স পাওয়ার জন্যে যথেষ্ট। রেজাল্ট দিলো মার্ক আসলো ৫ কেটে ৭০। কাট মার্ক ছিল ৭২, দুই মার্ক এর জন্যে মেডিক্যাল এ চান্স মিস । এতো কষ্ট সব বৃথা, চোখ দিয়ে অবিরাম পানি ঝড়ছে। আমার এই অবস্থা দেখে আম্মু ও কান্না করে ফেললো। আব্বু আম্মু এসে আবার সান্ত্বনা দিলো। কিন্তু এখনো সব শেষ হয়নি, কিছুদিন পর খবর পাইলাম রাবি তে সেকেন্ড টাইম থাকছে। মনের মধ্যে একটু শক্তি সঞ্চিত হলো। আবার মেস এ ফিরে গিে নিজের সর্বচ্চোটা দিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। বুয়েটের অভি দত্ত ভাই এর কাছে অন লাইনে ম্যাথ কোর্স এ ভর্তি হই। আর UCC তে এক্সাম ব্যাচ এ ভর্তি হই। এক্সাম দিয়ে কনফিডেন্স বাড়তে শুরু করে। এর পর কিছুদিন পর শুনলাম কৃষি গুচ্ছে ও সিলেকশন থাকছেনা। আমার আরও একটা সুযোগ সৃষ্টি হল। কিন্তু আমি তখন শুধু রাবি নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করছি। রাবি, জাবি, গুচ্ছ, কৃষি গুচ্ছ সবজায়গায় ফর্ম তুললাম কিন্তু আমার টার্গেট শুধুই রাবি কে ঘিরে। এইবার রাবি তে শুধু চান্স নয় আমাকে ভালো সাবজেক্ট পেতে হবে। পরীক্ষা দিলাম রাবি তে, আলহামদুল্লিলাহ অনেক ভালো পরীক্ষা হলো। ৩ দিন পর সাধারন গুচ্ছ সেটা ও দিলাম। এরপর আবার ২ দিন পর জাবির পরীক্ষা। ঢাকা গেলাম পরীক্ষা দিতে, মন টা অনেক খুশি হয়ে আছে কারন রাবি গুচ্ছ আমার দুই পরীক্ষা ই ভালো হইছে। জাবির পরীক্ষার দিন ই রাবির রেজাল্ট দেয়ার কথা, আমি বাসে বসে থেকে জাবির জন্যে পড়ছি, আবার রাবির রেজাল্ট নিয়ে ও চিন্তা হচ্ছে, কি যে হবে। জাবি তে সেই সময় নেট কাজ করছিলো না। জাবির সেন্টার এ ঢোকার ১০ মিনিট আগে আব্বু ফোন দিয়ে জানালো রাবি তে আমার পজিশন আসছে ১১৫১। মন টা একটু খারাপ হয়ে গেল এইবার ও সেফ জনে নাই। অনেক রাগ আসলো নিজের প্রতি, আবার মনে হচ্ছিলো আল্লাহ্ এতটা পাষাণ। এত কষ্ট করলাম, এতো আল্লাহ্ কে ডাকলাম তবুও একটু ও দয়া করলনা। রাগ নিয়েই সেন্টার এ ঢুকলাম। পরীক্ষা দিলাম, সেন্টার থেকে বের হয়ে আম্মু ফোন দিলো। পরীক্ষা কেমন হইছে জিজ্ঞেস করতেই রেগে যাই, পরীক্ষা যেমন ই দিই আমি তো দুরভাগা। পরশু আরেকটা ইউনিট এর পরীক্ষা তাই থাকার জন্য মীর মোশারফ হল এর মসজিদ এ যাই। ৩ আগস্ট জাবির সজিব ভাই এর সাথে রাতে ঘুরে আবার মসজিদ এ আসি। এসে ফেসবুক এ ঢুকতেই দেখি জাবির রেজাল্ট দিয়েছে। পিডিএফ চেক করতেই দেখি ১১৪৬৯১৬ এর পাশে ২৮২ লিখা, সেই মুহূর্ত আমি লিখে প্রকাশ করতে পারবোনা ।সাথে সাথে আম্মু কে ফোন দেই” আম্মু তোমার ছেলে আজ চান্স পেয়েছে তোমার ছেলে আজ থেকে পাব্লিকিয়ান, আজ থেকে আমি সফল দের কাতারে। তারপর নামাজ পরে আল্লাহ্ এর কাছে শুক্রিয়া আদায় করি। পরে, ভর্তি হই পদার্থ বিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট এ।

পরে কৃষি গুচ্ছের জন্যে আর পড়া হয়নি, বাকৃবি ঘুরা বলে এসে পরীক্ষা দেই, আল্লাহ্র রহমতে এইখানেও চান্স পেয়ে যাই। যা এখন আমার ২য় বাড়ি। পরে রাবি তেও পদার্থ বিজ্ঞান সাবজেক্ট আসে । পরে সবকিছু বিবেচনায় বাকৃবি ই হয় আমার স্থায়ি ঠিকানা।

তাই একজন সেকেন্ড টাইমার হিসেবে বলবো- ধৈর্য ধরে, আল্লাহ্ এর উপর ভরসা রেখে নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে যেকোনো কাজ করবেন, ইনশাল্লাহ আল্লাহ্ কখনো আপনাকে নিরাশ করবেননা, আজ হোক কাল হোক আপনার ধৈর্যের ফল তিনি দিবেন দিবেন।

~ তারেক আহমেদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

Leave a Comment