(সাহিত্যপাঠ) এইচএসসি: মাসি-পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মাসি-পিসি হচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থাৎ এইচএসসি’র সাহিত্যপাঠের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প। মাসি-পিসি গল্প থেকে বাছাইকৃত সেরা ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এবং অনুশীলনের জন্য আরো ৫টি সৃজনশীলসহ মোট ১০টি সৃজনশীল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : মানুষ চিরকাল মানুষের ওপর যে অত্যাচার করিয়া আসিতেছে, তাহা পশুদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ মানুষ একটি চিন্তাশীল প্রাণী। তাহার বুদ্ধিবৃত্তি এত প্রবল যে ইচ্ছা করিলেই সে তাহার ভিতরকার পশুটিকে দুর্দান্ত ও নির্মম করিয়া তুলিতে পারে। পশুর চেয়ে তাহার সুখ আরামের স্পৃহা একবিন্দু কম নয় এবং এই নিমিত্তে সে পৃথিবী কেন, পুরো সৌর জগৎটাকে ধরিয়া বাঁধিয়া তার আরামের যন্ত্রে পরিণত করতে চেষ্টা করিয়া আসিতেছে।

ক. কার শাশুড়ি-ননদ বাঘের মতো ছিল?
খ. ‘ডাল ছেড়ে উড়তে আর নতুন ডালে গিয়ে বসতে কী তার পাখা ঝাপটানি।’— এ উক্তি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি মাসি-পিসি গল্পের কোন বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মানুষ একটি চিন্তাশীল প্রাণী’ উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পে এ সত্যটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। — মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. মাসির শাশুড়ি-ননদ বাঘের মতো ছিল।

খ. উক্তিটি দ্বারা মাসি-পিসির জীবনে নতুন বিপদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
মাসি-পিসি গল্পে অসহায় বিধবা নারীর জীবন সংগ্রামের দিকটি লেখক তুলে ধরেছেন মাসি ও পিসি চরিত্রের মাধ্যমে। স্বামী জগুর হাত থেকে আহ্লাদিকে রক্ষার দায়িত্ব নেয় তারা। কিন্তু জগু তার বন্ধু কৈলাশকে দিয়ে মাসি-পিসিকে নানাভাবে ভয় দেখায়। এ দিকটিকেই লেখক তাদের জীবনে অশুভ ইঙ্গিত মনে করে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

গ. ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আলোকে নেতিবাচক চরিত্রগুলোর স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আলোকে তৎকালীন সমাজবাস্তবতার স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : স্বামীর অত্যাচার মেনে না নেওয়ায় দুই সন্তানের জননী দেলোয়ারা বেগম তালাকপ্রাপ্ত হন। বাপের ভিটাতে ফিরে এসে প্রথম এক বছর দুর্বিষহ জীবন কাটে তার। তারপর সেলাইয়ের কাজ শিখে এবং হাঁস-মুরগির খামার করে নিজ পায়ে দাঁড়ান। তার এ সংগ্রাম গ্রামের বহু নারীকেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

ক. সালতি কী?
খ. ‘ভাঁওতা দিয়ে আমাদের দমাবার ফিকির সব’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের দেলোয়ারা বেগম ও মাসি-পিসি গল্পের মাসি-পিসির জীবনের গল্প কীভাবে সাযুজ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘দেলোয়ারা বেগমের যে আত্মপ্রত্যয় মাসি-পিসি গল্পের মূল প্রতিপাদ্যও তাই’ – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘সালতি’ হলো শালকাঠ নির্মিত বা তালগাছের সরু ডোঙা।

খ. চালাকি করে যে মাসি-পিসিকে সবাই ভড়কে দিতে চায়, সে কথা বুঝতে পেরে মাসি এ কথা বলেছিল। আহ্লাদি স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য বাবার বাড়ি চলে আসে এবং মাসি-পিসির কাছে নিরাপদ আশ্রয় পায়। কিন্তু জগুর মামলা করার কথা বলে কৈলাশ তাদের ভয়ভীতি দেখায়। কৈলাশের কথায় আহ্লাদি কিছুটা দমে যায়। কিন্তু মাসি প্রকৃত ঘটনা উপলব্ধি করতে পেরে আহ্লাদিকে অভয় দিতে এমন মন্তব্য করেছিল।

গ. মাসি-পিসি গল্পে মাসি-পিসির জীবন সংগ্রামের দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মাসি-পিসি গল্পের আলোকে নারী জাগরণের দিকটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : আদিবাসী মুন্ডা পরিবারের মেয়ে সাঁঝলি। স্বামী অত্যাচার করে বলে সে তার মা-বাবার কাছে ফিরে আসে। তাদের পরিবারে দারিদ্র্য যেন নিত্যসঙ্গী। সাঁঝলি কারো ওপর নির্ভর না করে নিজের দায়িত্ব নিজেরই কাঁধে তুলে নেয়। বাঁশের ঝুড়ি তৈরি ও পাহাড়ের গায়ে সবজি চাষ করে সে বেশকিছু পুঁজিও করে। স্বামী তাকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সাঁঝলির মা-বাবা সাফ জানিয়ে দেয় এমন দুশ্চরিত্র স্বামীর কাছে মেয়েকে পাঠাবে না তারা! সাঁঝলিও সায় দেয় তাদের কথায়।

ক. মাসি পিসিকে কী বলে সম্বোধন করত?
খ. ‘গলা কেটে রক্ত দিয়ে সে ধার শোধ করা যদি-বা সম্ভব, অন্ন দেওয়ার ক্ষমতা কোথায় পাবে।’ — বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের সাঁঝলি ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা করো।
ঘ. ‘পারিবারিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই পারে নারীর সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে।’ —উদ্দীপক ও মাসি-পিসি গল্পের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য তুলে ধরো।

৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. মাসি পিসিকে বেয়ান বলে সম্বোধন করত।

খ. প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা আহ্লাদির বাবার দুর্ভিক্ষের সময়কার দুরবস্থার প্রকাশ ঘটেছে।
দুর্ভিক্ষের সময় বাবার সংসারে অভাব নেমে আসলে আহ্লাদিও সেসময় অত্যাচারী স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়িতে চলে আসে। বাবার সংসারে অভাব থাকলেও মাসি-পিসির সেবা-যত্নে আহ্লাদি বেঁচে গিয়েছিল সেবার। মাসি-পিসি আহ্লাদিকে সেবা-যত্ন করে যে উপকার করেছে, সে উপকার শোধ করা আহ্লাদির বাবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। গলা কেটে রক্ত দিয়ে যদিও সেটা শোধ করা সম্ভব, কিন্তু সংসারে টানাপড়েনের কারণে অন্ন দিয়ে তা শোধ করা অসম্ভব ছিল।

গ. মাসি-পিসি গল্পের আহ্লাদির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরো।

ঘ. মাসি-পিসি গল্পে মাসি-পিসির দায়িত্ববোধের স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : ফুলপুরের ফুলি বেগম বাড়ির কাজ করে সংসার চালান। অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার ভারও তার। কিন্তু শয়তান জগলুর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে তার ওপর। ফুলি খুব সতর্ক। কিছুতেই হার মানবেন না। এক গভীর রাতে ফুলির ঘরে সিঁধ কাটে জগলু। ফুলি তখনো সজাগ ছিলেন। সবই টের পান। যখন মাথা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে, ভারি ধারালো কাটারির আঘাতে ধর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জগলুর মাথা।

ক. বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো’— উক্তিটি কার?
খ. মাসি-পিসি আহ্লাদিকে স্বামীর ঘরে পাঠাতে চান না কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে মাসি-পিসি গল্পের কোন দিক থেকে মিল দেখা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি মাসি-পিসি গল্পের খণ্ডাংশ মাত্র— মন্তব্যটি বিচার করো।

৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো’— উক্তিটি মাসির।

খ. অত্যাচারের ভয়ে মাসি-পিসি আহ্লাদিকে স্বামীর ঘরে পাঠাতে চায় না। জগুর সাথে আহ্লাদির বিয়ের পর থেকেই আহ্লাদি ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। খেতে না দিয়ে জগু তাকে দিনভর বেঁধে রাখত, কলকে পুড়ে ছ্যাকা দিত। জগুর লাথির চোটে আহ্লাদির প্রায় মরমর অবস্থা হয়েছিল। জগুর এসব অত্যাচারের কারণে মাসি-পিসি আহ্লাদিকে আর স্বামীর ঘরে পাঠাতে চায় না।

গ. মাসি-পিসি গল্পের জীবন-সংগ্রামের দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মাসি-পিসি গল্পের মূলভাব বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : অর্ধেক বেলা স্কুল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। বিকেলে পার্টির কাজ থাকে, লোকজন আসে। আলাপ আলোচনা হয়, ছুটির দিনে যেতে হয় গ্রামে গ্রামে কিংবা সাঁওতাল এলাকায়। একটুও সময় নেই। কোথা দিয়ে যে দিনগুলো কেটে যায়, টের পায় না ইলা, রামেনের সঙ্গে সকালে বা রাতে দেখা যায়। শুধু রান্নাঘর, স্বামীসেবা কিংবা সন্তান পালন তো চায়নি। ও চেয়েছিল বেড়ি ভেঙে বেরিয়ে আসা জীবন, যে জীবনের চারদিকে অবরোধের নিগড় লোহার শেকল হয়ে আটকে থাকবে না।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন গল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন?
খ. ‘নে কৈলেশ, মরতে মোরা মেয়াকে পাঠাব না।’ উক্তিটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
গ. মাসি-পিসি গল্পের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে মাসি-পিসি গল্পের যে ভাবগত মিল রয়েছে— তার স্বরূপ উন্মোচন করো।

৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অতসী মামী’ গল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।

খ. কৈলেশ আহ্লাদিকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর কথা বললে পিসি আলোচ্য উক্তিটি করে।
শ্বশুরবাড়িতে আহ্লাদিকে অনেক গঞ্জনা সইতে হতো। তার ওপর তার স্বামী জগুর নির্যাতন সইতে না পেরে আহ্লাদি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মাসি পিসির আশ্রয়ে চলে আসে। কৈলেশ মাসি-পিসিকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে জগু এখন ভালো হয়ে গেছে। তাই তাদের উচিত মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো। একথার উত্তরে মাসি বলে যে, শ্বশুরবাড়িতে তারা আহ্লাদিকে মরতে পাঠাবে না। এর মধ্য দিয়ে উক্তিটিতে স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে আহ্লাদিকে রক্ষা করার দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।

গ. মাসি-পিসি গল্পের মাসি-পিসির জীবন সংগ্রামের দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মাসি-পিসি গল্পের মূলভাব বিশ্লেষণ করো।

অনুশীলনের জন্য আরও সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : বিধবা পরীবানুর সংসারে পনেরো বছরের একটি মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। নিজের ও মেয়ের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পরীবানুকেই নিতে হয়। স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য জমিটুকুর দেখাশোনাও সে করে, পাড়ার বখাটেরা প্রায়ই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে। পরীবানু নীরবে তা সহ্য করে। কারণ এ সমাজের অধিকাংশ ব্যক্তিই রক্ষকের নামে ভক্ষক।

ক. ‘পাঁশুটে’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘নিজেকে আহ্লাদির ছ্যাচড়া নোংরা নর্দমার মতো লাগে’ — ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের পরীবানুর সাথে মাসি-পিসি গল্পের মাসি পিসির বৈসাদৃশ্য চিহ্নিত করো ।
ঘ. ‘এ সমাজের অধিকাংশ ব্যক্তিই রক্ষকের নামে ভক্ষক’ — মন্তব্যটি মাসি-পিসি গল্পের আলোকে মূল্যায়ন করো।

পড়ুন > মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ‘এইখানে তোর বুজির কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে
এত আদরের বুজিরে তাহার ভালোবাসিত না মোটে
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।’

ক. আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?
খ. মাসি ও পিসি কেন রাতে সজাগে থাকতে চায়?
গ. উদ্দীপকের বুজির ওপর নির্যাতনের সঙ্গে মাসি-পিসি গল্পের আহ্লাদির ওপর নির্যাতনের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।
ঘ. উদ্দীপকটি পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন সমাজে নারীর প্রতি বিভীষিকাময় অত্যাচারের একটি প্রামাণ্য দলিল’- উদ্দীপক এবং মাসি-পিসি গল্পের আলোকে মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : কৃষক বাবুলের বড় মেয়ে রেবার বিয়ে হয়। পাশের গ্রামে। স্বামীর অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত সংসার ভেঙে যায়। তার অভাবের সংসারে মেঘের ফিরে আসাকে সহজভাবে মেনে নিতে পারে না गान জ ঞ্জনার শিকার রেখা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নিয়ে হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তুলে স্বাবলম্বী হয়ে এখন সে শুধু পরিবারেরই নয়, গ্রামের সকল অসহায় মেয়ের আশ্রয়স্থল।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
খ. আহ্লাদির বাপ দুর্ভিক্ষের সময় মাসি-পিসির খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের বাবুল ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির সাদৃশ্যপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পে নারীদের সাহসিকতার দিক ফুটে উঠলেও এ দুয়ের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। — আলোচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : পর্বত গৃহছাড়ি যবে নদী বাহিরায়
সিন্ধুর উদ্দেশ্যে
কার হেন সাধ্য যে রোধে তার গতি!
দানব নন্দিনী আমি রক্ষঃ কুলবধূ
রাবণ শ্বশুর মম মেঘনাদ স্বামী
আমি কি ডরাই সখী ভিখারী রাঘবে।
ক. ‘সালতি’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘মুফতে যা পাওয়া যায় তাতেই জগুর প্রবল লোভ’ বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন দিকটি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে নারীর সাহসী প্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপক এবং মাসি-পিসি’ গল্পে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : বিধবা খোদেজার দুই সন্তান নিয়ে সংসার। কাঁথা সেলাই করে, বাঁশের ঝুড়ি বুনে, শাকপাতা বিক্রি করে জীবন চলে তার। চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে ঝি এর কাজও করে সে। একদিন রাতে’ চৌকিদার এসে বলে চেয়ারম্যান সাহেব তলব করেছেন। খোদেজা বুঝতে পারে চৌকিদারের যোগসাজসে কিছু লম্পট আমার সর্বনাশ করতে চায়। খোদেজা সকালে দেখা করতে চাইলে চৌকিদারেরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে খোদেজা বটি নিয়ে বের হয়।
ক. আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?
খ. ‘ডাল ছেড়ে উড়তে আর নতুন ডালে গিয়ে বসতে কী তার পাখা ঝাঁপটানি’— এ উক্তি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের খোদেজার জীবনের সাথে মাসি-পিসি গল্পের সাদৃশ্য বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে খোদেজার বেঁচে থাকার লড়াই মাসি-পিসি গল্পের শ্রেণি সংগ্রাম ও প্রতিরোধ ফুটিয়ে তোলে”— মূল্যায়ন করো।

Leave a Comment