(সাহিত্যপাঠ) এইচএসসি: মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মানব-কল্যাণ হচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থাৎ এইচএসসি’র সাহিত্যপাঠের আবুল ফজল এর প্রবন্ধ। মানব-কল্যাণ প্রবন্ধ থেকে বাছাইকৃত সেরা ৪টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এবং অনুশীলনের জন্য আরো ৬টি সৃজনশীলসহ মোট ১০টি সৃজনশীল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : জরিনা কিছুদিন আগেও রাস্তায় ভিক্ষা করে সংসার চালাত। দুই বছর আগে একটি এনজিও’র মাধ্যমে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে সে কাজ শুরু করে। এখন তার দোকানে অনেক বেচাকেনা। সেলাই প্রশিক্ষণ তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। ছেলেমেয়েরাও এখন স্কুলে পড়ে। বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে রহিমার মতো অন্যরাও আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারত।

ক. ‘রেডক্রস’ কোন ধরনের সংস্থা?
খ. মানব-কল্যাণ স্বয়ম্ভূ, বিচ্ছিন্ন, সম্পর্করহিত হতে পারে না কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন প্রসঙ্গটি উদ্দীপকের বিষয়সংশ্লিষ্ট? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘একমাত্র সমতা আর সহযোগ-সহযোগিতা মানব-কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে’ — উদ্দীপক ও ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘রেডক্রস’ সেবাধর্মী সংস্থা।

খ. প্রত্যেক মানুষ সমাজের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত বলে মানব-কল্যাণ স্বয়ম্ভূ, বিচ্ছিন্ন, সম্পর্ক-রহিত হতে পারে না। প্রত্যেক মানুষ সমাজের সাথে সম্পর্কিত। ফলে মানুষের কল্যাণও সামগ্রিকভাবে সমাজের ভালো-মন্দের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সমাজে মানব-কল্যাণ কথাটি সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়। মূলত উপলব্ধিহীনতার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। সমাজের বৃহত্তর .. জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কখনো মানব-কল্যাণ সাধিত হতে পারে না। প্রকৃত মানব-কল্যাণ তখনই সাধিত হবে যখন সমাজের সকলের কল্যাণ একসাথে হবে। আর এ কারণেই মানব-কল্যাণ স্বয়ম্ভূ, বিচ্ছিন্ন, সম্পর্ক-রহিত হতে পারে না।

গ. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধে বর্ণিত মানব কল্যাণ কথাটির প্রকৃত অর্থের দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধে বর্ণিত মানব-কল্যাণ কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : সীমান্ত সাহেব একজন বেসরকারি, স্কুলশিক্ষক। সারাদেশে যখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তখন সরকার দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। এতে সীমান্ত সাহেবের সকল আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যে প্রাইভেট পড়িয়ে সংসারের খরচ চালাতেন, সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তিনি পড়ে যান মহা সংকটে। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার আমিন সাহেব তাকে কিছু খাদ্যসহায়তা করতে এলে তিনি প্রথমে খুবই আনন্দিত হন, কিন্তু পরক্ষণেই তার ভুল ভাঙে। কারণ আমিন সাহেব তাকে খাদ্যসহায়তা দানের দৃশ্যটি মোবাইলে কাউকে দিয়ে ধারণ করাচ্ছিলেন। তার উদ্দেশ্য, সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা। সামান্ত সাহেব প্রবল আত্মসম্মানবোধের কারণে সেই খাদ্যসহায়তা প্রত্যাখ্যান করেন।

ক. কোন মনোভাব নিয়ে মানুষের কল্যাণ করা যায় না?
খ. ‘মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের সূচনা সেখান থেকেই’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটিই মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের একমাত্র দিক নয়।’ — মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. বিভক্তিকরণের মনোভাব নিয়ে মানুষের মঙ্গল করা যায় না।

খ. ‘মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের সূচনা সেখান থেকেই’— বলতে মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পরিবারের ভূমিকার কথা বোঝানো হয়েছে।
মানুষকে মানুষ হিসেবে এবং মানবিক-বৃত্তির বিকাশের মাধ্যমে বেড়ে উঠতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন যথাযথ ক্ষেত্র রচনা বা উপযুক্ত পরিবেশ। এ ক্ষেত্র রচনাই হলো মানব-কল্যাণের প্রাথমিক সোপান। এ সোপান রচনার দায়িত্ব যেমন সমাজ ও রাষ্ট্রের, তেমনি পরিবারকেও পালন করতে হয় এ দায়িত্ব। কারণ, মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের সূচনা সেখান থেকেই শুরু হয়। প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পরিবারের এ ভূমিকার দিকটিকেই বোঝানো হয়েছে।

গ. মানব কল্যাণ প্রবন্ধে বর্ণিত মানব কল্যাণ সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণার দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের আলোচিত অনুষঙ্গসমূহ বিশ্লেষণ করো।

পড়ুন → আহ্বান গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
পড়ুন → গৃহ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
পড়ুন → বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : জীবনবৃক্ষের শাখায় যে ফুল ফোটে তা-ই মনুষ্যত্ব। বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢালতে হবে এই ফলের দিকে লক্ষ রেখে। শুধু শুধু মাটির রস টেনে গাছটা মোটাসোটা হয়ে উঠবে— এই ভেবে কোনো মালী গাছের গোড়ায় জল ঢালে না। সমাজ ব্যবস্থাকেও ঠিক করতে হবে মানুষকে খাইয়েদাইয়ে মোটা করে তোলার জন্য নয়। মানুষের অন্তরের মূল্যবোধ তথা সৌন্দর্য, প্রেম ও আনন্দ সম্বন্ধে চেতনা জাগিয়ে তোলার জন্য। যখন এই চেতনা মানুষের চিত্তে জাগে, তখন এক আধ্যাত্মিক সুষমায় তার জীবন পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তারই প্রতিফলনে সমস্ত জগৎ‍ আলোকময় হয়ে দেখা দেয়।

ক. সবরকম কল্যাণ-কর্মেরই কী রয়েছে?
খ. ‘আসল কথা’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি কি মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সার্বিক দিক প্রকাশ করে? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. সবরকম কল্যাণ-কর্মেরই সামাজিক পরিণতি রয়েছে।

খ. ‘আসল কথা’ বলতে লেখক মানুষের মনুষ্যত্বকে বাদ দিয়ে কেবল জৈবিক অস্তিত্বের প্রতি সহানুভূতিশীল হলে যে মানব কল্যাণ ফলপ্রসূ হবে না, সে বিষয়টি বুঝিয়েছেন।
মানব-কল্যাণ কথাটা অত্যন্ত ব্যাপক। লেখকের মতে, মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস। কিন্তু আমাদের আশেপাশে তাকালেই দেখতে পাই মানুষ মানব কল্যাণের প্রকৃত অর্থ বুঝতে না পেরে একে ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহার করছে। তারা স্রেফ দান-খয়রাত ও কাঙালি ভোজনের মতো কাজকেও মানব কল্যাণ বলে মনে করে থাকে। লেখকের দৃষ্টিতে মানব কল্যাণের এই রূপ কুৎসিত। তাই লেখক এ বিষয়টির ভবিষ্যৎ যে শুভ নয়, সেটি স্পষ্ট করতেই কথাটির অবতারণা করেছেন।

গ. মানব কল্যাণ প্রবন্ধের আলোকে মানব কল্যাণ কথাটির প্রকৃত তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : জগৎ-সংসারে ভোগ ও ত্যাগ দুটি বিপরীতধর্মী দিক। মানুষ ভোগে আনন্দ পেলেও তৃপ্তি পায় না। কিন্তু ত্যাগের মাধ্যমে আনন্দ ও তৃপ্তি দুটোই লাভ করা যায়। শুধু মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই মনুষ্যত্ব লাভ করা যায় না। অপরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আদর্শ ও উদ্দেশ্য মনুষ্যত্বের মধ্যেই নিহিত থাকে। তাই মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারলে সহজেই। কল্যাণময় পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।

ক. অস্তিত্ববাদের মূলকথা কী?
খ. আমাদের দেশ আর সমাজে মানব কল্যাণের প্রকৃত স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি মানব কল্যাণ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত দিকটিই কি ‘মানব কল্যাণ’ প্রবন্ধের একমাত্র দিক? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. অস্তিত্ববাদের মূলকথা হলো— ব্যক্তি মানুষের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দান।

খ. আমাদের দেশে মানব কল্যাণকে মানব-মর্যাদার অবমাননাকর এক পদ্ধতি বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
বর্তমানে আমাদের দেশ ও সমাজে অধিকাংশ মানুষ মানব কল্যাণকে ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহার করে থাকে। স্রেফ দান-খয়রাত আর কাঙালি ভোজনের মতো কাজকেও তারা মানব-কল্যাণ বলে মনে করে থাকে। অথচ এতে মানব-মর্যাদার অবমাননাই ঘটে থাকে। কেবল তা-ই নয়, যারা এসব করে তারা একে অন্যকে বাহবাও দিয়ে থাকে। এভাবেই আমাদের দেশ ও সমাজে মানব-কল্যাণকে মানব-মর্যাদার অবমাননাকর এক পদ্ধতি বানিয়ে ফেলা হয়েছে।

গ. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধে বর্ণিত কল্যাণময় পৃথিবী রচনার দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মানব কল্যাণ প্রবন্ধে আলোচিত অনুষঙ্গগুলো বিশ্লেষণ করো।

অনুশীলনের জন্য আরও প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আরাম সুখের, মানুষ হইয়া নিতে মানুষের সেবা।
ইসলাম বলে, সকলে সমান, কে বড় ক্ষুদ্র কেবা।
ভৃত্য চড়িল উটের পৃষ্ঠে উমর ধরিল রশি,
মানুষে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া ধুলায় নামিল শশী।

ক. ‘মানবতন্ত্র’ প্রবন্ধটি কে লিখেছেন?
খ. অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীতের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘কবিতাংশটি মানব কল্যাণ প্রবন্ধের আংশিক প্রতিচ্ছবি।’ — তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : ‘ক্ষুধা লাগলে খেয়ে যান’ স্লোগান নিয়ে ভিক্ষুক, পাগল, পথশিশু ও ভবঘুরে অসহায় মানুষের জন্য যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারনে ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ চালু করা হয়েছে। …..এই হোটেলে বসে বিনাপয়সায় প্রতিদিন দুপুরে ১০০ জন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষ, শ্রমিক, ভ্যান-রিকশা চালক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী খেতে পারবেন। মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং উদ্ভাবক, মিজানুর রহমানের উদ্যোগে করোনার শুরু থেকে টানা ১৬০ দিন। খুঁজে খুঁজে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ক. মানব কল্যাণ প্রবন্ধটি কত সালে রচিত?
খ. দান-খয়রাতকে লেখক মানব কল্যাণ বলে অভিহিত করতে চান না কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের কোন চেতনার সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের মূল শিক্ষা উদ্দীপকটি কতটা ধারণ করেছে বলে তুমি মনে করো? মতামত দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে মিলি যবে পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়েঘরে।

ক. সত্যিকার মানব-কল্যাণ কীসের ফসল ?
খ. বর্তমানে রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা মানুষকে বিভক্ত করে কেন?
গ. উদ্দীপকটি মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি যেন মানব কল্যাণ প্রবন্ধের মূলভাবেরই দ্যোতক।’ — মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : সবারে বাস রে ভালো
নইলে মনের কালো ঘুচবে নারে!
আছে তোর যাহা ভালো
ফুলের মতো দে সবারে।
করি তুই আপন আপন,
হারালি যা ছিল আপন,
এবার তোর ভরা আপন
বিলিয়ে দে তুই যারে তারে।

ক. বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় সাহিত্যিক উক্তি কোনটি?
খ. ইসলামের নবি ভিক্ষুককে স্বাবলম্বনের পথ দেখিয়েছিলেন কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি প্রবন্ধের একমাত্র দিক নয়। উদ্দীপক ও মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কৌড়ি গ্রাম। পুরো গ্রামজুড়ে রাস্তার দুপাশে গাছের সারি, প্রতিটি বাড়িতেই সুশৃঙ্খল বৃক্ষরাজি। কৌড়ি গ্রামের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপকার শাহজাহান বিশ্বাস, যিনি ‘বৃক্ষপ্রেমিক শাহজাহান’ নামেই পরিচিত। এই গ্রামে তিনি নিজ খরচে নিঃস্বার্থভাবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার গাছ লাগিয়েছেন। শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, ‘সারাদেশে যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী গাছ রোপণ করা যায়, তাহলে কোনো অভাব থাকবে না। দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হবে না।’

ক. ‘Relationship is the fundamental truth of the world of appearance’ – উক্তিটি কার?
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘Relationship’ কথাটি দ্বারা কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘কল্যাণময় পৃথিবী সৃষ্টিতে শাহজাহান বিশ্বাসের উদ্যোগ অত্যন্ত শিক্ষণীয়’— মানব কল্যাণ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : করোনা মহামারির কালে নরসুন্দর নিত্যানন্দ খুবই বিপাকে পড়েছে। সেলুন খোলা থাকলেও লোকের দেখা নেই বললেই চলে। আয়ের অন্য উৎস না থাকায় এর ওপরই তাকে নির্ভর করতে হয়। পরিবারের সবার মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার দায়িত্ব তার ওপরই। বিভিন্ন মানুষ যৎসামান্য খাদ্য সহায়তা দিলেও প্রবল আত্মসম্মানবোধের কারণে তা সে গ্রহণ করতে পারে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের দীনতা প্রকাশের বড়ো ভয় তার।

ক. আবুল ফজল কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
খ. কীভাবে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন?
গ. উদ্দীপকে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত দিকটি মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর কতটুকু প্রতিফলিত করে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

Leave a Comment