(সমাজবিজ্ঞান-১ম) HSC: সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা এর সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা হচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী অর্থাৎ এইচএসসি’র সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্রের ২য় অধ্যায়। সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা অধ্যায় থেকে বাছাইকৃত সেরা ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা এর সৃজনশীল

১. মারিয়া লক্ষ করলেন, সব খাদ্যদ্রব্য সিদ্ধ করলেই নরম হয় না, যেমন ডিম। তখন তার স্বামী আব্দুল কাইয়ুম এর কার্যকারণ নির্ণয় করতে গিয়ে দেখলেন, প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন- ডিম সিদ্ধ করলে শক্ত হয়। কিন্তু শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- চাল, আলু সিদ্ধ করলে নরম হয়। অর্থাৎ এ বিষয়টি পরীক্ষা, প্রমাণ ও যুক্তি দ্বারা নির্ণীত জ্ঞান।
ক. ‘Scientia’ শব্দের অর্থ কী?
খ. গবেষণার সমস্যা নির্বাচন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে নির্ণীত জ্ঞানকে কী বলে অভিহিত করা যায়?
ঘ. উদ্দীপকের কাইয়ুম সাহেবের পরীক্ষা করার পদ্ধতি সম্পর্কে তোমার ধারণা উপস্থাপন করো।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘Scientia’ শব্দের অর্থ হলো ‘জ্ঞান’।

খ গবেষণার প্রথম পর্যায়ের কাজ হচ্ছে গবেষণার জন্য বিষয় বা সমস্যা নির্বাচন।
দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্ত ঘটনা বা বিষয় কৌতূহলের উদ্রেক করে, আমরা সে সমস্ত বিষয় বা ঘটনার কার্য-কারণ সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই। এক্ষেত্রে গবেষক, গবেষণা বিষয়ের আওতায় পড়ে শুধু এমন কোনো বিষয়কে সমস্যা হিসেবে নির্বাচন করেন। এছাড়া সমসাময়িক সমাজে সমস্যাটির পরিধি, গুরুত্ব, যৌক্তিকতা বিবেচনায় আনতে হয়।

গ. উদ্দীপকে নির্ণীত বুদ্ধিপ্রাপ্ত জ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে অভিহিত করা যায়-
বিজ্ঞান হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান যা কার্যত পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার ওপর নির্ভরশীল। এটি যুক্তি নির্ভর পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং এর চূড়ান্ত লক্ষ্য সর্বাধিক কল্যাণ সাধন। এমন জ্ঞানই বিজ্ঞান যা নতুন সত্য আবিষ্কারের জন্য নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতি অনুসরণ করে। এবং গবেষণালব্ধ তথ্য সুসংঘবদ্ধভাবে শ্রেণিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সাধারণ সূত্র প্রতিষ্ঠা করে। উদ্দীপকে উল্লিখিত মারিয়া ও তার স্বামী আব্দুল কাইয়ুম যুক্তিপূর্ণ পরীক্ষা ও কার্যকারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন যে প্রোটিন জাতীয় খাবার সিদ্ধ করলে শক্ত হয় কিন্তু শর্করা জাতীয় খাবার সিদ্ধ করলে নরম হয়, যা বিজ্ঞানের জ্ঞানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সুতরাং উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে নির্ণীত বুদ্ধিপ্রাপ্ত জ্ঞান হলো বিজ্ঞান।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে নির্দেশ করছে বলে আমি মনে করি।
যে যৌক্তিক পদ্ধতিতে সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিষয়াবলি বর্ণনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সাধারণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয় তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে ধারাবাহিক, বস্তুনিষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আহরিত ফলাফল যাচাইকৃত, নিরপেক্ষ, সুশৃঙ্খল ও কষ্টসাপেক্ষ। গবেষণার ক্ষেত্রে যে বিজ্ঞানিভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তার কয়েকটি প্রধান পর্যায় রয়েছে। যেমন সমস্যা নির্বাচন, পর্যবেক্ষণ ও তথ্যসংগ্রহ, তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস, কল্পনা বা প্রকল্প প্রণয়ন, সত্য যাচাই বা সাধারণীকিকরণ ও ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান করা। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সর্বপ্রথম একটি সমস্যা নির্বাচন করে তারপর পর্যবেক্ষণ, তথ্যসংগ্রহ, তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস, ও প্রকল্প প্রণয়ন করে । উক্ত পর্যায় শেষ করে পূর্বে অনুমিত প্রকল্পের সত্যতা যাচাইয়ের পর সাধারণীকরণ ও ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান করে। উদ্দীপকে উল্লিখিত মারিয়া প্রথমে একটি সমস্যা নির্ণয় করেছিল যেমন সব খাদ্যদ্রব্য সিদ্ধ করলে নরম হয় না। যা প্রমাণ করার জন্য মারিয়া ও তার স্বামী আব্দুল কাইয়ুম যুক্তিপূর্ণ পরীক্ষা ও কার্যকারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছে এবং সর্বশেষে একটি সাধারণীকরণ করেছে। যেমন প্রোটিন জাতীয় খাবার সিদ্ধ করলে শক্ত হয় এবং শর্করা জাতীয় খাবার সিদ্ধ করলে নরম হয়।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকেই নির্দেশ করা হয়েছিল।

২. সত্যজিৎ ‘বাল্যবিবাহের প্রতি গ্রামবাসীর মনোভাব’ বিষয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিল। গবেষণা করতে গিয়ে সে প্রথমে সমস্যা নির্বাচন, তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস এবং সমস্যার সমাধানের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করে তার গবেষণা শেষ করল।
ক. ‘Republic’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
খ. পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
গ. সত্যজিৎ গবেষণার ক্ষেত্রে কোন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের সত্যজিৎ গবেষণা করতে গিয়ে যে পর্যায়গুলো প্রয়োগ করেছে তা বিশ্লেষণ করো।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘Republic’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন গ্রিক দার্শনিক প্লেটো।

খ. পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপকতার সাথে কোনো কিছু সম্পন্ন করতে হলে যে পন্থার সাহায্য নিতে হয় তাকেই পদ্ধতি বলে। পদ্ধতি হচ্ছে গবেষণার একটি পন্থা। নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের সুশৃঙ্খল ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ হলো পদ্ধতি। আর গবেষণা পদ্ধতি বলতে এমন বিষয়কে বোঝায় যার মাধ্যমে একজন গবেষক গবেষণাকার্য সম্পাদন করে।

গ. সত্যজিৎ গবেষণার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।
বিজ্ঞানসম্মত অনুসন্ধানের দক্ষ উপায়কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলা হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো বিজ্ঞানের ভিত্তি। বিজ্ঞানী যে যৌক্তিক পদ্ধতিতে সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিষয়াবলি বর্ণনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সাধারণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন তাকেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণার বিষয় নির্ধারণের পর নির্ধারিত বিষয়ের ওপর প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, সংগৃহীত তথ্যসমূহের শ্রেণিবিন্যাস, কল্পনা প্রণয়ন এবং তা যাচাইয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়, যার ভিত্তিতে একটি সাধারণ সূত্রে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। উদ্দীপকে সত্যজিৎও গবেষণার বিষয় নির্ধারণ করেছে। আর তা হলো ‘বাল্যবিবাহের প্রতি গ্রামবাসীর মনোভাব’। সে প্রথমে গবেষণার সমস্যা নির্বাচন, সমস্যা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস এবং ভবিষ্যদ্বাণী করে তার গবেষণা শেষ করে যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সুতরাং উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, সত্যজিৎ তার গবেষণা কার্য সম্পাদনের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।

ঘ. উদ্দীপকে সত্যজিৎ তার গবেষণা কার্যে যে পর্যায়গুলো প্রয়োগ করেছে তা হলো সমস্যা নির্বাচন, সমস্যা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করে গবেষণা শেষ করা।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম কাজ হলো গবেষণার জন্য বিষয় বা সমস্যা নির্বাচন। যেমন- মাদকাসক্তি, যৌতুক, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি এক একটি গবেষণার বিষয় হতে পারে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দ্বিতীয় স্তর হলো সমস্যার সংজ্ঞায়ন। নির্বাচিত সমস্যাটিকে সূক্ষ্মভাবে চরিত্রায়ন এবং গবেষণার উপযোগী সংজ্ঞা প্রদান করা হয়। গবেষণা সমস্যার মধ্যকার ধারণাগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণের মাধ্যমে গবেষণা সমস্যা সমাধানের একটি আনুমানিক বিবৃতিই হলো অনুসিদ্ধান্ত বা কল্পনা। অনুসিদ্ধান্ত গঠন করার পর তা প্রাপ্ত তথ্যাবলির দ্বারা সমর্থিত হচ্ছে কিনা সেটা যাচাই করে দেখা প্রয়োজন। তথ্য সংগ্রহ করার পর গবেষককে তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা নিশ্চিত করতে হয়। অবশেষে কল্পনাটি যদি তথ্য দ্বারা সমর্থিত হয় অথবা যথার্থ সাধারণীকরণ সম্ভব হয় তাহলে ভবিষ্যদ্বাণী করা যেতে পারে।
বস্তুত ভবিষ্যদ্বাণী গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত হয়। অবশ্য গৃহীত অনুসিদ্ধান্তের বিপরীত সিদ্ধান্তও আসতে পারে। উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সকল গবেষককে একটি নির্দিষ্ট পন্থা অবলম্বন করে গবেষণা কার্য সম্পাদন করতে হয়।

আরো পড়ো সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ এর সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

৩. মুরাদের এলাকায় বেদে সম্প্রদায়ের একটি বহর কিছুদিনের জন্যে বসতি গেড়েছিল। মুন্না লক্ষ করে, বেদেদের একজন সর্দার আছে এবং প্রত্যেকেই সর্দারের কথা মেনে চলে। এ বিষয়টি সে সমাজবিজ্ঞানের স্যারের নিকট প্রকাশ করে। স্যার বলেন, এটির নাম গোষ্ঠী সংহতি। ইবনে খালদুন বহু বছর পূর্বে এ সম্পর্কে একটি তত্ত্ব দিয়েছেন। তার তত্ত্বের মূল বক্তব্য হলো, প্রত্যেক সমাজের ভিত্তি হলো এ গোষ্ঠী সংহতি। স্যার আরও বলেন, ইবনে খালদুন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ তত্ত্বটি প্রদান করেছিলেন, এজন্যে এ তত্ত্বটি সর্বক্ষেত্রে সমান প্রযোজ্য।
ক. সমাজবিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য কী?
খ. সামাজিক প্রপঞ্চসমূহের ভূমিকা ও কার্যাবলি নিয়ে কোন মতবাদ গোষ্ঠী আলোচনা করে? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে সমাজবিজ্ঞানের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টি সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর? বিশ্লেষণ করো।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সমাজবিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য সমস্যার সমাধানে নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনায় অবদান রাখা।

খ. সামাজিক প্রপণ্যসমূহের ভূমিকা ও কার্যাবলি নিয়ে ক্রিয়াবাদী মতবাদ গোষ্ঠী আলোচনা করে।
ক্রিয়াবাদী মতবাদ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, অস্তিত্বের তাগিদে হলেও ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করে চলে। এ কারণে সমাজ পর্যালোচনায় ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সামাজিক প্রপঞ্চসমূহের ভূমিকা ও কার্যাবলির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। ক্রিয়াবাদী মতবাদ গোষ্ঠীর অন্যতম দিকপাল হচ্ছেন র‍্যাডক্লিফ ব্রাউন, আর. কে. মার্টন, ট্যালকট পারসন্স প্রমুখ।

গ. উদ্দীপকে সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক দিকটি ফুটে উঠেছে। ইবনে খালদুনের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা প্রাপ্ত তত্ত্বটি তথ্য নির্ভর, যৌক্তিক এবং বিজ্ঞানধর্মী যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে নির্দেশ করে।
সমাজবিজ্ঞান একটি যুক্তি তথা বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তার গবেষণার কাজ চালায়। গবেষণার বিষয় নির্বাচন, নির্বাচিত বিষয়ের ওপর তথ্য সংগ্রহ ও তথ্যগুলোর যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিভাগ করে যে সিদ্ধান্ত বা কল্পনা প্রণয়ন করা হয়, তা যাচাই করে দেখার পরেই সমাজবিজ্ঞানে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়, যা একটি নি সাধারণ সূত্র প্রণয়ন করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ সমাজবিজ্ঞান পর্যবেক্ষণলব্ধ তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে এমন সুসংহত জ্ঞানের অন্বেষণের প্রচেষ্টা চালায় যা মূলত বিজ্ঞানভিত্তিক। এই অর্থে সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে অভিহিত করা চলে। বস্তুত বিজ্ঞান হচ্ছে জ্ঞান অন্বেষণের লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এমন এক যুক্তিভিত্তিক সুশৃঙ্খল প্রয়াস যার উদ্দেশ্য সাধারণীকরণ বা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য এমন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
উদ্দীপকে উল্লিখিত গোষ্ঠী সংহতি মূলত ইবনে খালদুন প্রদত্ত ‘আল-আসাবিয়াহ্’, তত্ত্বকে নির্দেশ করে। এই তত্ত্বটি তথ্য নির্ভর, যৌক্তিক এবং বিজ্ঞানধর্মী। যা কিনা সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক দিকটি তুলে ধরে।
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ. উদ্দীপকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি বা বিশ্লেষণের ধরন সমাজবিজ্ঞানে অনুসরণ করা হলেও এটি পুরোপুরি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে না। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সাথে সমাজবিজ্ঞানের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের গবেষণার তথ্যাবলি বস্তু জগতের এমন কোনো পদার্থ যা পঞইন্দ্রীয় দ্বারা বোঝা যায়। সমাজবিজ্ঞানের বিষয় সমাজ যার তথ্যাবলি প্রায়ই বিমূর্ত বা অবস্তুগত। আর তাই পঙ্গুইন্দ্রীয় দ্বারা এসব সর্বদা বোঝা যায় না। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের গবেষণার উপাদান বা তথ্যাবলি গবেষক বা বিজ্ঞানীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সমাজবিজ্ঞানীর গবেষণাধীন উপাদান বা তথ্যাবলি হলো মানুষ, যা গবেষক-এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নয়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানী তার গবেষণাধীন তথ্য উপাদান বা পদার্থসমূহ ইচ্ছানুযায়ী একটির সঙ্গে অপরটির মিলিয়ে তার রাসায়নিক ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। পক্ষান্তরে সমাজবিজ্ঞানীর পক্ষে সামাজিক উপাদানসমূহের উপরোক্ত পন্থায় প্রাকৃতিক বিজ্ঞানীর ন্যায় মিলন ঘটিয়ে তার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা প্রায় অসম্ভব। তবে এটাও বলা যায় যে, কোনো বিজ্ঞানী সম্পূর্ণ নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না। অপরপক্ষে সমাজবিজ্ঞান সামাজিক প্রপঞ্চসমূহের বিশ্লেষণ শেষে ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রয়াস পায় যা শর্তসাপেক্ষে অনেক সময় ফলপ্রসূ হয়েও থাকে। সমাজবিজ্ঞান তার গবেষণার পদ্ধতির মানের উন্নতি ঘটিয়ে চলেছে এবং সংগৃহীত তথ্যাবলির বিজ্ঞানভিত্তিক তথা যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্যে গবেষক তার নিজ এলাকায় সমাজ গবেষণা না করে অন্য সমাজের গবেষণায় অংশ নিচ্ছে।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়টি সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে খুব বেশি কার্যকর হবে না কারণ সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মত নাও হতে পারে।

৪. মিসেস সেতারা বেগম একজন রসায়নবিদ। একটি কেমিক্যাল কোম্পানির পরীক্ষাগারে বিভিন্ন স্রব্যের গুণাগুণ নির্ণয় করা তার প্রধান কাজ। কাজের অবসরে ইদানিং তিনি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সমসাময়িক বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন লেখেন। এসব সামাজিক সমস্যা সমাধানে তিনি দিকনির্দেশনাও প্রদান করেন, যা পরবর্তীতে ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়।
ক. পদ্ধতি কী?
খ. ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?
গ. মিসেস সেতারা বেগমের কেমিক্যাল কোম্পানির কাজ ও পত্রিকা অফিসের কাজের মধ্যে বৈসাদৃশ্য নির্ণয় করো।
ঘ. পত্রিকা অফিসে মিসেস সেতারা বেগমের কর্মসাফল্য নিঃসন্দেহে সমাজবিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক মর্যাদা দিয়েছে- বিশ্লেষণ করো।

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক. গবেষণা কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা হয় তাকে পদ্ধতি বলে।

খ. ঐতিহাসিক বর্ণনার ভিত্তিতে অতীত ঘটনা সম্পর্কে যুক্তিনির্ভর গবেষণার প্রচেষ্টাকে ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলে।
অতীতকালের সামাজিক ঘটনাবলির ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বর্তমান সমাজ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান লাভ করার পন্থাকেই সমাজবিজ্ঞানে ঐতিহাসিক পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই পদ্ধতির সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ঘটনা, সামাজিক প্রক্রিয়া এবং প্রাচীন সভ্যতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

গ. মিসেস সেতারা বেগমের কেমিক্যাল কোম্পানির কাজ হচ্ছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান নির্ভর এবং পত্রিকা অফিসের কাজ হচ্ছে সামাজিক বিজ্ঞান নির্ভর। স্বভাতই এই দুই বিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য।
প্রাকৃতিক বিজ্ঞান হচ্ছে প্রকৃতির ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহের পাঠ। একই সাথে এটি ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ যে সমস্ত উপায়ে আন্তক্রিয়া করে ও পরিবর্তন ঘটায় তারও বিজ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়ন। অন্যদিকে সামাজিক বিজ্ঞান হচ্ছে মানব সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কিত অধ্যয়ন। এই বিজ্ঞান প্রতিটি মানুষের সামাজিক আচরণের ওপর এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোকপাত করে।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, সেতারা বেগম কেমিক্যাল কোম্পানির পরীক্ষাগারে বিভিন্ন দ্রব্যের গুণাগুণ নির্ণয় করেন যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানকে নির্দেশ করে এবং এ ক্ষেত্রে তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পদ্ধতিকেই অনুসরণ করেছেন। অন্যদিকে তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে পত্রিকা অফিসে সমসাময়িক বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রতিবেদন লিখেন এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানের পদ্ধতিগত পার্থক্য তুলে ধরে।
সুতরাং উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সেতারা বেগমের কেমিক্যাল কোম্পানির কাজ ও পত্রিকা অফিসের কাজের মধ্যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগত বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. মিসেস সেতারা বেগমের কর্মসাফল্য নিঃসন্দেহে সমাজবিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক মর্যাদা প্রদান করেছে।
সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা হলো সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করা। সমাজবিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে প্রথমে গবেষণার বিষয় নির্ধারণ করা হয়। অতঃপর নির্ধারিত বিষয়ের ওপর প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, সংগৃহীত তথ্যসমূহের বিন্যাস, অনুসিদ্ধান্ত প্রনয়ন এবং তা যাচাইয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বোণী করা হয় এবং তার ভিত্তিতে একটি সাধারণ সূত্রে উপনীত হওয়া। উক্ত কাজগুলোর মাধ্যমে যেকোনো গবেষণা বা কর্মসাফল্য সমাজবিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক মর্যাদা দিতে সক্ষম।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, সেতারা বেগম বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন লেখেন। তিনি সমস্যার সমাধানকল্পে দিক নির্দেশনাও প্রদান করেন। অতঃপর এটি পরবর্তীতে ফলপ্রসু হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান করে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি এখানে পুরোপুরি বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন যা সমাজবিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক মর্যাদা দিতে সক্ষম হবে।
সুতরাং উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সেতারা বেগমের কর্মসাফল্য নিঃসন্দেহে সমাজবিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক মর্যাদা দিয়েছে কারণ তিনি তার কর্মে পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন।

৫. গৌতম একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করেন। সম্প্রতি তাকে স্বপ্নপুর গ্রামে বদলি করা হয়। তাকে এ গ্রামের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। গৌতম পরিসংখ্যান অফিস থেকে এ গ্রামের পরিবারের সংখ্যা (৩৬০টি) এবং নারী ও পুরুষের সংখ্যা (৬৭৮ ও ৬২০ জন) জেনেছেন। এ গ্রামের মানুষের সমস্যা, চাহিদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি তাকে গবেষণা করে বের করতে হবে এবং তাদের জন্য কী পদক্ষেপ নিতে হবে তাও নির্ধারণ করতে হবে।
ক. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির একটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
খ. গবেষণায় কেন অনুমিত সিদ্ধান্ত প্রণয়ন করতে হয়?
গ. স্বপ্নপুরের সার্বিক উন্নয়ন সম্পর্কে একটি পরীক্ষা করতে চাইলে গৌতম কোন গবেষণা পদ্ধতিটি বেছে নেবেন এবং কেন?
ঘ. ‘অন্যান্য গবেষণা পদ্ধতির ন্যায় উক্ত পদ্ধতিটিতে কতগুলো ধাপ অনুসরণ করতে হয়’- উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, প্রকৃতিগতভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি জটিল ও বিশ্লেষণধর্মী।

খ. গবেষণায় অনুমিত সিদ্ধান্ত প্রণয়ন করা হয়, কারণ এটি গবেষণার দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং এটিকে কেন্দ্র করেই গবেষণাকার্য পরিচালিত হয়।
গবেষণায় কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে এবং বাদ দিতে হবে তা এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। অনুমিত সিদ্ধান্ত গবেষককে ভ্রান্ত পথ পরিহারে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে গবেষক সময়, জনবল, অর্থ ও মেধার অপচয় থেকে রক্ষা পায়।

গ. স্বপ্নপুরের সার্বিক উন্নয়ন সম্পর্কে একটি পরীক্ষা করতে চাইলে গৌতম যে গবেষণা পদ্ধতিটি বেছে নেবেন তা হলো জরিপ পদ্ধতি।
জরিপ পরিচালিত হয় সুনির্দিষ্ট একটি ভৌগোলিক এলাকার ওপর। এ পদ্ধতিতে এলাকার জনসংখ্যা, পুরুষ, নারী, শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী, আয়ের উৎস, পেশা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাব্যবস্থা, পয়ঃপ্রণালি ব্যবস্থা প্রভৃতি উপাদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে এলাকাটির পরিস্থিতি জানা যায় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সজহতর হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত গৌতমের দায়িত্ব হলো স্বপ্নপুর গ্রামের মানুষের সমস্যা, চাহিদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি গবেষণা করে বের করা এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যেহেতু জরিপ পদ্ধতি এ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করে তাই স্বপ্নপুরের সার্বিক উন্নয়ন সম্পর্কে পরীক্ষা করতে চাইলে গৌতম সামাজিক গবেষণার জরিপ পদ্ধতিটি বেছে নেবেন।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, গৌতম জরিপ গবেষণা পদ্ধতিটি বেছে নেবেন, কারণ এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো একটি বিষয়ের সামগ্রিক চিত্র লাভ করা যায়।

ঘ. প্রত্যেক গবেষণা পদ্ধতির ক্ষেত্রেই কতকগুলো ধাপ বা স্তর অনুসরণ করে গবেষণা কার্যটি সম্পন্ন করতে হয়। জরিপ পদ্ধতিও গবেষণার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ধাপ বা স্তর অনুসরণ করে থাকে।
জরিপ পদ্ধতির প্রথম ধাপ হলো সমস্যা নির্বাচন করা। গবেষক তার পছন্দ অনুযায়ী গবেষণার বিষয় নির্বাচন করতে পারেন। তবে সমস্যা হতে হবে নির্দিষ্ট পরিসরে যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরপর গবেষক সমস্যার সাথে সম্পর্কিত প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত গবেষণাপত্রী, প্রবন্ধ, পুস্তক সংগ্রহ করবেন। প্রাথমিক প্রস্তুতির পর গবেষককে নমুনা নির্বাচন করতে হবে। নমুনা হলো সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বকারী অংশ। গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষককে সমগ্রকের সব একক নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই তাকে নমুনায়নের পদ্ধতি বেছে নিতে হয়। গবেষণা কার্যক্রম শুরুর আগেই গবেষণার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে উপযুক্ত পদ্ধতি ও কৌশল নির্বাচন করতে হয়।
তারপর গবেষণা বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত রেখে কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হবে গবেষককে সে বিষয়ে পূর্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এরপর গবেষক তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তার বিশ্লেষণে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সবশেষে গবেষক বিশ্লেষণকৃত তথ্যের ওপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন।
উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, অন্যান্য গবেষণা পদ্ধতির ন্যায় জরিপ পদ্ধতিও কতকগুলো ধাপ অনুসরণ করে থাকে।

Leave a Comment