(বাংলা) SSC: মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মানুষ মুহম্মদ (স.) হচ্ছে মাধ্যমিক অর্থাৎ নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ১ম পত্র বই এর মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী এর প্রবন্ধ। মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধ থেকে বাছাইকৃত সেরা ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের সৃজনশীল

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : জব্বার মোল্লাকে সৎ মানুষ হিসেবেই সবাই চেনে। পাশের গ্রামের মদন খাঁ জব্বার মোল্লার সমস্ত সম্পদ দখল করে নেয়। তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। শুধু বিধাতার কাছে ফরিয়াদ করেছেন। এক সময় মদন খাঁ সব সম্পত্তি হারিয়ে পথের ফকিরে পরিণত হয় এবং অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করতে থাকে। তার এই দুর্দিনে জব্বার মোল্লাই তাকে সাহায্য করেন।

ক. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের উৎস কী?
খ. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধে বর্ণিত ‘এমন নিঃস্ব কাঙালের বেশে মহানবি মৃত্যু রহস্যের দেশে চলিয়া গেলেন’। ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের জব্বার মোল্লার মধ্যে মহানবি (স.) চরিত্রের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি ‘মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের খণ্ডিত অংশ মাত্র— উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের উৎস ‘মরু ভাস্কর’ প্রবন্ধগ্রন্থ।

খ. মহানবি (স.) নিজেকে আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো মনে করে স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যের কণ্টক মুকুট পরিধান করেছিলেন। আর তাই নিঃস কাঙালের বেশে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত মহানবি (স.)-এর আচরণ মানুষের অনুকরণীয় আদর্শ। জীবনে সুখ ভোগের সুযোগ থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। সত্যের জন্য তিনি অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেছিলেন। দুঃখ ও শোকের দিনেও তিনি আল্লা নাম উচ্চারণ করে সান্ত্বনা পেয়েছেন। মানুষের মনের রাজা হয়ে নিজের ইচ্ছায় দারিদ্র্যকে বরণ করে তিনি সাধারণ মানুষের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে সবসময় খাবার থাকত না। এমনকি রাতে বাতি জ্বালাবার তেল পর্যন্ত কোনো কোনো দিন মিলত না।

গ. উদ্দীপকের জব্বার মোল্লার মধ্যে মহানবি (স.)-এর চরিত্রের উদারতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত মহানবি (স.) ছিলেন উদার ও মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। তার উদারতার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে তাকে মহামানব করে তুলেছে। উদ্দীপকের জব্বার মোল্লার মাঝেও উদারতার গুণটি দেখা যায়। গ্রামের সবাই তাকে সৎ মানুষ হিসেবে জানে। কিন্তু পাশের গ্রামের মদন খাঁ জব্বার মোল্লার সমস্ত সম্পদ দখল করে নেয়। কিন্তু তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি । শুধু বিধাতার কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছেন। সেই মদন বা যখন সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে তখন জব্বার মোল্লা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তার পাশে দাঁড়ান। এর মধ্যে তার মহত্ত্ব ও উদারতার পরিচয় পাওয়া যায়।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধেও মহানবি (স.)-এর উদারতার পরিচয় মেলে। তিনি তায়েফ ও মক্কাবাসীর অত্যাচার সহ্য করেও তাদের ক্ষমা করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। উদারতার এই দৃষ্টান্তটি উদ্দীপকের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।

ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের খণ্ডিত অংশ মাত্র— মন্তব্যটি যথার্থ।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)‘ প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর নানাবিধ মানবীয় গুণাবলির পরিচয় পাওয়া যায়। উদারতা ও ক্ষমাশীলতা তার চারিত্রিক গুণাবলির অন্যতম প্রধান দিক উদ্দীপকে জব্বার মোল্লার উদারতা ও ক্ষমাশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। যে তাঁর অনিষ্ট করেছে তার প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব না দেখিয়ে তিনি নীরব থেকেছেন। শুধু আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছেন। আবার এই অনিষ্টকারী যখন বিপদে পড়েছে তখন তিনি তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে উদারতার এক বিরল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি (স.)- এর চরিত্রের অনেকগুলো মানবীয় গুণাবলির পরিচয় স্থান পেয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল উদারতা এবং ক্ষমাশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। অন্য বিষয়গুলি এখানে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের চিত্রটি মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের খণ্ডিত অংশমাত্র।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : অর্ধ পৃথিবী করেছ শাসন ধুলার তখতে বসি
খেজুর পাতার প্রাসাদ তোমার বারে বারে গেছে খসি
সাইমুম ঝড়ে পড়েছে কুটির, তুমি পড়নি ক’ নুয়ে,
ঊর্ধ্বের যারা পড়েছে তাহারা, তুমি ছিলে খাড়া ভুঁয়ে।
শত প্রলোভন বিলাস বাসনা ঐশ্বর্যের মদ
করেছে সালাম দূর হতে সব ছুঁইতে পারেনি পদ।

ক. ‘পুলকদীপ্তি’ অর্থ কী?
খ. মানুষের একজন হইয়াও হযরত মুহম্মদ (স.) দুর্লভ কেন?
গ. মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের চেয়ে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের ভাব অধিকতর গভীর ও ব্যাপক” — মন্তব্যটির সাথে তুমি কি একমত? যুক্তিসহ লেখো।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত ‘পুলকদীপ্তি’ শব্দের অর্থ আনন্দের উদ্ভাস।

খ. অনন্য মানবিক গুণাবলির কারণে হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন দুর্লভ।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন অত্যন্ত সহনশীল এবং নিরহংকারী একজন মানুষ। অত্যাচারীকে তিনি কখনো অভিশাপ দেননি। বংশগৌরব এক মুহূর্তের জন্যও তাঁর মাঝে স্থান পায়নি। উদারতার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি নেই। সত সাধনায় তিনি ছিলেন বজ্রের মতো কঠিন, পর্বতের মতো অটল; অথচ করুণায় ছিলেন কুসুমকোমল। এককথায় বলা যায় ত্যাগ, প্রেম, সাধুতা, সৌজন্য, ক্ষমা, সাহস, অনুগ্রহ, আত্মবিশ্বাস, চারিত্রিক সৌন্দর্য এসব মানবিক দিকের সমাহার মানুষের মাঝে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। তাই তিনি মানুষের একজন হয়েও দুর্লভ।

গ. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত মহানবি (স.)-এর অনাড়ম্বর জীবন ও চারিত্রিক দৃঢ়তার দিকটির সঙ্গে উদ্দীপকের সাদৃশ্য রয়েছে। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় গুণাবলির পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। মহানবি (স.) মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার মধ্যে থেকেও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করেছিলেন। কোনো প্রলোভনই তাঁকে নিজের আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। অনাড়ম্বর জীবন ও চারিত্রিক দৃঢ়তাই তাঁকে সকলের নিকট মহান করে তুলেছে।
উদ্দীপকে ক্ষমতাধর শাসকের অনাড়ম্বর জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অর্ধ পৃথিবী শাসন করেও তিনি খেজুর পাতার কুটিরে বসবাস করেন। চারিত্রিক দৃঢ়তার কারণে কোনো প্রলোভনই তাঁকে নিজের অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি। বিলাস ব্যসন ও ঐশ্বর্যের মোহ তাঁকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি কখনো। আলোচ্য প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর চরিত্রেও এই দিকগুলোর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। আর এই প্রেক্ষিতেই উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধটি সাদৃশ্যময় হয়ে উঠেছে।

ঘ. মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর মানবীয় গুণাবলির সার্বিক বিশ্লেষণ ফুটে উঠলেও উদ্দীপকটি তার সমগ্রতা স্পর্শ করতে না পারায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়ে উঠেছে।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত আলোচ্য প্রবন্ধে মানুষ হিসেবে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর চরিত্রমাধুর্যের আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের নিকট আদর্শ হিসেবে মহানবি (স.) নিজের জীবন রূপায়িত করে গিয়েছেন। তিনি সারা জীবন মানুষের কল্যাণের চিন্তা করেছেন। ক্ষমা, মহত্ত্ব, ত্যাগ, ক্ষুদ্রতাবোধ ও সাধারণ জীবনযাপনে তিনি ছিলেন অনুপম আদর্শের প্রতীক। মানুষের পক্ষে আচরণীয় সকল চারিত্রিক গুণাবলিই তাঁর মধ্যে ছিল।
উদ্দীপকে এমন একজন শাসকের কথা বলা হয়েছে যিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করেও সাধারণ জীবনযাপন করেন। কোনো ঐশ্বর্যের মোহ তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। খেজুর পাতার প্রাসাদ বারবার খসে পড়লেও তিনি কখনো রাজপ্রাসাদের মোহে আকৃষ্ট হননি। চারিত্রিক দৃঢ়তা তাঁকে কখনো সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেনি। প্রলোভনে পড়েও কখনো নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি তিনি।
উদ্দীপকের শাসকের সাধারণত্ব ও চারিত্রিক দৃঢ়তা আলোচ্য প্রবন্ধের মহানবি (স.)-এর মধ্যে দেখা গেলেও মুহম্মদ (স.)-এর বিস্তৃতি আরও ব্যাপক। মহানবি (স.)-এর চরিত্রমাধুর্যের সকল দিক প্রবন্ধে ফুটে উঠলেও উদ্দীপকে তা প্রকাশ পায়নি। প্রবন্ধে নবিজির ক্ষমা, ত্যাগ ও মহত্ত্বের আলোচনা থাকলেও উদ্দীপকে তার অনুপস্থিতি লক্ষণীয়। তাই সার্বিক বিচারে বলা যায়, “উদ্দীপকের চেয়ে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের ভাব অধিকতর গভীর ও ব্যাপক” প্রশ্নোত্ত এই মন্তব্যটি যথার্থ।

পড়ুন → পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
পড়ুন → আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর সংবাদ শুনে অনেকেই অবিশ্বাস করে ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কিন্তু তিনি ছিলেন আমাদের মতোই একজন সাধারণ মানুষ। রক্তে, মাংসে গড়া ও সুখ-দুঃখ নিয়ে ছিল তাঁর জীবন । পৃথিবীতে এসেছিলেন আল্লাহর আদেশে মানবজাতির হেদায়েতের জন্য। সকল যন্ত্রণা, অত্যাচার সহ্য করে হাসিমুখে তিনি দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনাটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
খ. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধে বর্ণিত ‘এমন নিঃস্ব কাঙালের বেশে মহানবি মৃত্যু রহস্যের দেশে চলিয়া গেলেন’। ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবির চরিত্রের যে দিকটি বর্ণিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় গুণাবলির খণ্ডচিত্র মাত্র”- বিশ্লেষণ করো।

৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনাটি ‘মরুভাস্কর’ গ্রন্থের অন্তর্গত।

খ. মহানবি (স.) নিজেকে আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো মনে করে স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যের কণ্টক মুকুট পরিধান করেছিলেন। আর তাই নিঃস কাঙালের বেশে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত মহানবি (স.)-এর আচরণ মানুষের অনুকরণীয় আদর্শ। জীবনে সুখ ভোগের সুযোগ থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। সত্যের জন্য তিনি অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেছিলেন। দুঃখ ও শোকের দিনেও তিনি আল্লা নাম উচ্চারণ করে সান্ত্বনা পেয়েছেন। মানুষের মনের রাজা হয়ে নিজের ইচ্ছায় দারিদ্র্যকে বরণ করে তিনি সাধারণ মানুষের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে সবসময় খাবার থাকত না। এমনকি রাতে বাতি জ্বালাবার তেল পর্যন্ত কোনো কোনো দিন মিলত না।

গ. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর চরিত্রের দায়িত্বশীলতা, সহনশীল ও ক্ষমাপরায়ণতার দিকটি বর্ণিত হয়েছে আলোচ্য প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর মানবিক গুণাবলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তিনি সারাজীবন মানব জাতির কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন । তাঁর ত্যাগ, সাধনা, মহত্ত্ব সারা বিশ্বের সকল মানুষের জন্য অনুকরণীয়। তায়েফে সত্য প্রচার করতে গিয়ে তাঁকে অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে হয় । তবুও তিনি সত্য প্রচারে পিছপা হননি। সকল প্রতিকূলতাকে সহ্য করে হাসিমুখে অপরাধীদের ক্ষমা করেছেন।
উদ্দীপকে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মহত্ত্ব, দায়িত্বশীলতা এবং ন্যায়পরায়ণ জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি আমাদের মতোই রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন। কিন্তু তিনি সারাজীবন মানব জাতির হেদায়েতের জন্য কাজ করেছেন। তাঁর ওপর সকল অত্যাচার সহ্য করে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসিমুখে। সুতরাং উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবির চরিত্রের দায়িত্ব নিষ্ঠা, মহত্ত্ব, ক্ষমতা ও সহনশীলতার দিকটি বর্ণিত হয়েছে।

ঘ. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে সামগ্রিকভাবে মহানবি (স.)-এর মানবিক গুণাবলির বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে উদ্দীপকের ক্ষুদ্র পরিসরে তার সমস্ত কিছু উঠে আসেনি।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে মানব জাতির শ্রেষ্ঠ আদর্শ হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবিক গুণাবলি ও জীবন বাস্তবতা। তিনি ছিলেন সকল গুণের আধার। মানুষের পক্ষে যা অনুকরণীয় তিনি তারই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি বিপুল ঐশ্বর্য, ক্ষমতা ও মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মধ্যে থেকেই একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন। ক্ষমা, মহত্ত্ব, প্রেম ও দয়া তাঁর চারিত্রিক গুণের মধ্যে প্রধান।
উদ্দীপকে মহানবি (স.)-এর জীবন প্রবাহের কিছু দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তিনি আমাদের মতো সাধারণ মানুষ হলেও সারাজীবন মানবজাতির। কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। নিজের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সকল অনাচার-অত্যাচার তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন।
উদ্দীপকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবিক গুণাবলির কিছু দিক উঠে এসেছে। কিন্তু আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা হযরত মুহম্মদ (স.) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পাই। মানুষের শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে তিনি তাঁর জীবন রূপায়িত করে তুলেছিলেন। তাঁর সাধনা, ত্যাগ, কল্যাণচিন্তা ছিল বিশ্বের সমগ্র মানুষের জন্য অনুকরণীয়। তাছাড়া ইসলাম প্রচারে নবিজির জীবনের বেশ কিছু ঘটনা প্রবন্ধে আলোকপাত করা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় গুণাবলির সামগ্রিক চিত্র নয়, খণ্ডচিত্র মাত্র।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : হাফিজ সাহেব বারবার নির্বাচিত একজন নামকরা চেয়ারম্যান। নির্বাচনের সময় তার জনপ্রিয়তা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নামে নানান মিথ্যাচার করতে থাকে। এমনকি তার নামে একটি মিথ্যা দুর্নীতির মামলাও দায়ের করে। এতকিছুর পরেও তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিরোধীদের ক্ষমা করে দেন এবং সকলকে নিয়ে একসাথে কাজ করার ঘোষণা দেন।

ক. হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মাজার কোথায়?
খ. আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই’- কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন মাত্র”- বিশ্লেষণ করো।

৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মাজার সৌদি আরবের মদিনায়।

খ. হযরত মুহম্মদ (স.) নিজের সাধারণত্ব প্রমাণ করতেই আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
হযরত মুহম্মদ (স.) মক্কা বিজয়ের পর একদিন সাফা পর্বতের পাদদেশ বসে বক্তৃতা করছিলেন। এমন সময় একটা লোক তাঁর কাছে এসে ভয়ে কাঁপতে লাগল। তখন হযরত মুহম্মদ (স.) তার কাঁপার কারণ জানতে চেয়ে এবং তাকে অভয় দিয়ে আলোচ্য উক্তিটি করেন।

গ. উদ্দীপকে মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের হযরত মুহম্মদ (স.)-এর ক্ষমাশীলতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনায় মহানবি (স.)-এর ব্যক্তিত্বের নানা দিক ফুটে উঠেছে। প্রেম, ক্ষমা ও দয়া ছিল তাঁর অজস্র চারিত্রিক গুণাবলির মধ্যে অন্যতম। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে বার বার শত্রুদের দ্বারা নির্যাতিত হতে হয় তাঁকে। তবুও তিনি তাদের অভিশাপ না দিয়ে নিঃশর্তে ক্ষমা করেছেন। মহানবি (স.)-এর ক্ষমাশীলতার এই গুণ উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত হাফিজ সাহেব একজন নামকরা চেয়ারম্যান হলেও বারবার প্রতিপক্ষের দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এমনকি তার নামে মিথ্যা দুর্নীতির মামলাও দায়ের করা হয়। এতকিছুর পরও হাফিজ সাহেব বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ না হয়ে তাদেরকে তিনি ক্ষমা করে দিয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তাই বলা যায়, ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনার ক্ষমাশীলতার দিকটিই উদ্দীপকের আলোচনায় ফুটে উঠেছে।

ঘ. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের ক্ষমাশীলতার দিকের প্রতিফলন ঘটলেও অন্যান্য বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেনি।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর অজস্র গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। হযরত ছিলেন মানুষের নবি, তাই মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তিনি তারই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করেছেন তিনি। ক্ষমতা ও মহত্ত্ব, প্রেম ও দয়া তার অজস্র চারিত্রিক গুণের মধ্যে প্রধান। তাঁর সাধনা, ত্যাগ ও কল্যাণচিন্তা ছিল সমগ্র মানুষের জন্য অনুকরণীয়।
উদ্দীপকের হাফিজ সাহেব একজন নামকরা চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বারবার। তারপরও তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন এবং শত্রুদের বিনা শর্তে ক্ষমা করে দিয়েছেন। উদ্দীপকের ক্ষমাশীলতার এই দিকটি ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধেও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপক এবং মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ক্ষমাশীলতার গুণটি ফুটে উঠেছে। তবে উদ্দীপকে এ প্রবন্ধের শুধু ক্ষমাশীলতার দিকটি ফুটে উঠলেও অন্যান্য গুণের ইঙ্গিত নেই। কিন্তু ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ক্ষমাশীলতা ছাড়াও ফুটে উঠেছে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর একাধিক মানবীয় গুণ। সেখানে ক্ষমা ত্যাগ, মহত্ত্ব, উদারতাসহ ফুটে উঠেছে মানুষের শ্রেষ্ঠতম আদর্শিক গুণ, যা উদ্দীপকের বিষয়বস্তুতে অনুপস্থিত। তাই আমরা বলতে পারি, “উদ্দীপকটিতে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটেছে মাত্র” – মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : গাজী সাহেবকে সবাই অত্যন্ত সৎ ও ভালো মানুষ হিসেবে জানেন। অফিসে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন। একারণে গাজী সাহেব কিছু সহকর্মীর বিরাগভাজন হন। সুযোগ পেলেই তারা তাঁকে নানাভাবে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ ও নাজেহাল করার চেষ্টা করে। গাজী সাহেব সব বুঝতে পারলেও তাঁর অবস্থান থেকে এতটুকু সরে আসেননি।

ক. হযরতের মৃত্যুশয্যার পাশে শেষ পর্যন্ত কে ছিলেন?
খ. মহানবি (স.) কেন স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যের কণ্টক মুকুট পরিধান করেছিলেন?
গ. সহকর্মীদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ উপেক্ষা করায় গাজী সাহেবের চরিত্রে মহানবির কোন গুণটি ফুটে উঠেছে? মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আদর্শ মানুষ হতে হলে গাজী সাহেবকে মহানবির আর কোন গুণগুলো অর্জন করতে হবে? ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. হযরতের মৃত্যুশয্যার পাশে শেষ পর্যন্ত মহামতি আবুবকর (রা.) ছিলেন।

খ. মহানবি (স.) নিজেকে আর দশ জন মানুষের মতো অর্থাৎ সাধারণ মানুষের একজন মনে করে স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যের কণ্টক মুকুট পরিধান করেছিলেন।
মহানবি (স.)-এর আচরণ মানুষের অনুকরণীয় আদর্শ। জীবনে সুখ ভোগের সুযোগ থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। সত্যের জন্য তিনি অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। দুঃখ ও শোকের দিনেও তিনি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে সান্ত্বনা পেয়েছেন। মানুষের মনের রাজা হয়ে নিজের ইচ্ছায় দারিদ্রাকে বরণ করে তিনি সাধারণ মানুষের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।

গ. সহকর্মীদের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ উপেক্ষা করার মধ্য দিয়ে গাজী সাহেবের মধ্যে মহানবির চরিত্রের সহনশীলতার গুণ ফুটে উঠেছে।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর মানবীয় গুণাবলি তুলে ধরা হয়েছে। হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন মানুষের নবি । তাই মানুষের পক্ষে যা আচরণীয়, তিনি তারই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। সারাজীবন তিনি মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। তাঁর সাধনা, সহনশীলতা, সততা ও নিষ্ঠা সমগ্র বিশ্বের মানুষের অনুকরণীয়।
উদ্দীপকের গাজী সাহেব একজন সৎ ও ভালো মানুষ। অফিসে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন। একারণে তিনি কিছু সহকর্মীর বিরাগভাজন হন। তারা সুযোগ পেলেই তাঁকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে। কিন্তু গাজী সাহেব এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। তিনি তাঁর কর্তব্য পালন থেকে সরে আসেননি। ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর মধ্যেও আমরা একই বিষয়ের প্রতিফলন লক্ষ করি। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে তিনি জর্জরিত হলেও তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। আল্লাহর বাণী তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রচার করেছেন। অর্থাৎ মহানবি (স.)-এর চারিত্রিক গুণগুলোই উদ্দীপকের গাজী সাহেবের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এককথায় গাজী সাহেবের চরিত্রে মহানবির সততা, নিষ্ঠা ও সহনশীলতার গুণই ফুটে উঠেছে।

ঘ. উদ্দীপকের গাজী সাহেবকে আদর্শ মানুষ হতে হলে মহানবি (স.)-এর চরিত্রের ক্ষমা, দয়া ও আত্মত্যাগের মতো গুণগুলো অর্জন করতে হবে।
মহানবি (স.) বিপুল ঐশ্বর্য, ক্ষমতা এবং মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মধ্যে থেকেও একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন। ক্ষমা ও মহত্ত্ব, প্রেম ও দয়া তাঁর অজস্র চারিত্রিক গুণগুলোর মধ্যে প্রধান। মানুষের শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে তিনি তাঁর জীবনকে রূপায়িত করেছিলেন।
উদ্দীপকের গাজী সাহেবের মধ্যে আমরা সততা, নিষ্ঠা ও সহনশীলতার গুণগুলো লক্ষ করি। তিনি সহকর্মীদের শত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ সত্ত্বেও সততা ও নিষ্ঠার পথ থেকে সরে আসেননি। মহানবি (স.)-এর গুণগুলো তাঁর চরিত্রকে উজ্জ্বল করেছে। হযরত মুহম্মদ (স.) সারাজীবন মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন আল্লাহর বাণী প্রচার করতে গিয়ে তিনি পদে পদে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু কাউকে তিনি আঘাত করেননি বা অভিশাপ দেননি। ক্ষমা ও দয়ার আদর্শ স্থাপন করে তিনি মানুষের মাঝে আল্লাহর বাণী প্রচার করেছেন।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মহনবী (স.) ছিলেন সকল মানবিক গুণের আধার। উদ্দীপকের গাজী সাহেবের পরিস্থিতি ভিন্ন হলেও তাঁর মধ্যে সততা, নিষ্ঠা, সহনশীলতা প্রভৃতি গুণগুলোর সমন্বয় ঘটেছে। তবে তাঁকে আদর্শ মানুষ হতে হলে আরও কিছু গুণ অর্জন করতে হবে। তাঁকে ক্ষমাশীল হতে হবে, দুস্থ মানুষের প্রতি তাঁকে দয়া প্রদর্শন করতে হবে। সর্বোপরি অন্তর থেকে তাঁকে মানুষকে ভালোবাসতে হবে। মহানবির চরিত্রের এ গুণগুলো অর্জন করলেই গাজী সাহেব একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

Leave a Comment